একাকার
অলক জানা
বসন্ত বাউণ্ডুলে‚ যেখানে সেখানে হি হি সবুজ ডানায় উঁকি
দুঃখ-অশ্রু সত্যি ঢাকতে পারো‚ তাই মুখের সমতলে
লিখে দাও আনন্দঝুরি কবিতা। তোমার মেয়ে‚ স্ত্রী তুমি
দূরে গেলে ফোনে সন্ধের খাদ্যতালিকা শোনায়---
তুমি তখন পাঁঠার মাংসে ডুবিয়েছ রুটির অর্ধেক পিঠ
বিষাদগ্রস্ত তুমি‚ আমিষ পথ্যে পাও আলুমাখা ডালের স্বাদ
তুমি আহত‚ চেয়ে চিন্তে ঘাম দাও‚ দাও শ্রম
যে কড়ি পাও অনেক খুশির চোখ লেখ তাতে আঁকো মুখও
এক মরু অভাব তোমাকে তাড়ায় তবু বৃষ্টি হয়ে
ঝরে পড়ে মিনুর সাজানো ঘরে---
রাধাপদ্য আর কৃষ্ণগদ্যের মিলনের মতো।