নষ্ট শোক
শম্ভু রক্ষিত
আমার অস্থির কাঁপা হাত দিয়ে যখন আমি তোমার হাড় মাংস তুস
পান করে আসি‚ স্বর্ণখনি উসকে জাদুর তুলার রাজ্য নিতে আসি
অনুভূতির তখন যেন স্বার্থহীন যাত্রা
হোভার ক্রাফট‚ মনোরেল চড়ে যখন আমি তোমাকে গোপন ও গ্রাস করি
পুরাণকাহিনী‚ মেধমূর্তি‚ অগ্নিসংঘর্ষ আমাকে রোশনি অভ্যর্থনা করতে চায়
এবং অফুরন্ত সুযোগ নিয়ে যখন আমি আকাশে বৃহৎ বেলুনের নকশা আঁকি
আমার দূরবিনে ভিন্ন দুই নেবুলামণ্ডল কাঁপে
হরেকরকম জগৎ কে যেন বয়ে আনে
আমি জানি সবই জানি নাটক সঙ্গীত গুটিপোকা কখনো সুতোহীন
আমি প্রথম উঁচু হয়ে নীচে দৌড়ে যাই‚ আমি তোমার অস্তিত্ব চেপে ধরি
আমি বাতাস ধরে ঘূর্ণির ধারে তোমাকে প্রথম ঝুঁকে দেখি
আমি আণ্ডারগ্রাউণ্ড বা পুতুলের মিউজিয়ামে যখন খকখক করে উঠি
আমি স্থলের সম্রাট‚ ভূ-আলোড়নের চাপে পড়ে অস্ত্র-উৎপাদক
আমাকে উঠিয়ে নাও----
বর্ণনিরূপক যন্ত্র আমাকে গ্রাহ্যই করে না
ধোঁয়া ধুলো কুণ্ডলী হয়ে ঘুরে সরু হয়ে নেমে আসে
পৃথিবী আমার মতো প্রতিষ্ঠিত কুৎসিত হয়ে যায়