প্রচ্ছদ -  সুকান্ত সিংহ      
 
স ম্পা দ কী য়
 
জীবন বিচিত্র এই
হাসি সুখ দুঃখ...
মরমে ধরতি হবে
অনুভূতি সূক্ষ্ম।
 
ভাষার কান্না কী
জেনেছ কি সত্যি?
শিকারস্বভাব ছাড়ো
...
যার নাম রোদ ।। লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল
 lakkhikanta heontor mohool
 
 
 
 
 'তবে পরানে ভালোবাসা কেন গো দিলে  
           রূপ না দিলে  যদি বিধি হে ' - 
এ আক্ষেপ নিজের কাছেই । ভালোবাসা চাই  - ভালোবাসা চাই  - ভালোবাসতে চাই - ভালোবাসতে চাই , আজ চিৎকার করে বলতে হচ্ছে ।   যেমন করে বিন্দু বিন্দু জলকনা নদী হতে চায়,  স্রোত হতে চায় ,  সমুদ্র হতে চায় । যেমন করে গাছ সবুজ হতে চায় ,  ফুল ফোটাতে চায়,  ফল ফলাতে চায় । এই বোধটুকু জন্মায় তখনই  -  যখন গোপনে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে ওঠে  সত্তা ।  
বিপন্নতা না এলে  ঠিক সেখানে যেতে চাই না , যেখানে সুন্দর ।  আশঙ্কা না থাকলে তার ধারও মাড়াতে চাই না , যেখানে সত্য ।  কেননা আমাদের চারপাশে এত রোশনাই , এত সাইনবোর্ড ,  এত কাট আউট  তার নিচে আমরা সব আলেয়া-পথিক । কিন্তু আামাদের  ' আছে আছে স্থান । / একা তুমি, তোমার শুধু এক আঁটি ধান ।  / না হয় হবে ঘেঁষাঘেঁষি  / এমন কিছু নয় সে বেশি - / না হয় কিছু ভারী হবে আমার তরীখান - / তাই বলে কি ফিরবে ?  আছে , আছে  স্থান । ' 
অন্তিমে এসে মানুষ শুরুর দিকে ফিরে যেতে চাইবে ,  এটাই স্বাভাবিক ।  যেমন এতদিন কেউ পৃথিবীর কথা ভাবতে চায় নি - আগুন জ্বালিয়েছে তার শরীরে - পৃথিবী জ্বলতে জ্বলতে  তার নিজের জ্বালার কথা বলেছে । কেউ অনুভব করতে চায় নি সেই যন্ত্রণা ।  দুষিত হতে হতে সে বলেছ শ্বাসকষ্টের কথা । কেউ শুনতে চায় নি । ধোঁয়ায় ভরা পৃথিবীতে ফুরিয়ে যাচ্ছে শ্বাসবায়ু । অবজ্ঞা করছে চঞ্চলতা ।  তার জন্য মানুষের কোন আবেগই ছিল না । 
 কিন্তু হে অন্তর   -  ’ নীরব বাঁশরি খানি বেজেছে আবার  - '
 ফিরে আসে আবেগ  , ফিরে আসে তার একেবারে সূচনা কালের ছবি । যাত্রাপথ, স্কুল পালানো , প্রাণের ধ্বনি । সেই মধুর স্বর , সেই মাধবীলতা  ,  সেই ভেজা মাটির গন্ধ ।   যা অবচেতন অন্তরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হয়ে কুলুঙ্গিতে গচ্ছিত ছিল।  আজ তীব্র হয়ে ওঠেছে তার স্মৃতি-অতীত আকুতি ; এবং খুবই স্পষ্টভাবে । সহজভাবে  বলতে গেলে, সময় দ্রুত পাল্টে  যাচ্ছে ,  রূপ পাল্টাচ্ছে প্রকৃতির , মানুষের মূল্যবোধে পরিবর্তন আসছে , প্রাকৃতিক  তৎপরতার কারনে আপাত অর্থে চলছে অন্তর শোধনবোধ , ফিরে আসছে  ঐতিহ্য , সাংস্কৃতিক প্রত্যয় , বিলীন হচ্ছে ঝলমলে নিজস্ব প্রকরণ , স্বপ্ন গান কথা গল্প । 
উল্টে যাচ্ছি নিজের পাতাগুলো । কত কিছু লেখা আছে প্রতিটি পঙক্তিতে। পড়ছি 'ছোট খোকা বলে অ আ '। পড়ছি 'কাল ছিল ডাল খালি / আজ ফুলে যায় ভরে।  / বল দেখি তুই মালি হয় সে কেমন করে । ' জানি না ,  আজও বুঝতে পারিনি কেমন করে ফুল ফোটে । এটি যুক্তির ধার ধারে না। এটি বলতে দেয় না ফুল ফোটার শর্ত কি ছিল ।  শুধু অন্তরে জমা ফুল গণ্ডি পেরোতে চায় , বন্দিদশা থেকে চায় মুক্তি ।  মুক্তি বললাম এই কারণে যে, সংগীতের মতন স্বাধীন হবার প্রসঙ্গটি এসে যাচ্ছে বারবার । থেকে থেকে বেজে ওঠে অন্তর  । কেঁপে ওঠে বাদ্য মর্মর ।  কৃতজ্ঞ সুন্দরের কাছে সে সুর ' দে দোল দোল , দে দোল দোল / এ মহাসাগরে তুফান তোল / বধূরে আমার পেয়েছি আবার , ভরেছে কোল  - '/  
বসবাসের এসব মর্মযাতনা ও বেদনা এখন মিস্টিক হলেও সত্য । জীবনের কালপর্বগুলোর অনিবার্যতা অন্তর্সত্যকে ক্লাসিক্যাল জায়গাটি চিনিয়ে দেয়  - উন্মোচন করে প্রাণের সৌন্দর্য । আমি গুনগুন করে গাইতে থাকি   ' এ কি লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ,  প্রাণেশ হে  - ' 
 এই  পাওয়ার মাঝেই আমার বর্তমান । যার নাম রোদ। 

একক কবিতা সন্ধ্যা



সহজ কবিতা সহজ নয় কঠিনও নয়



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...