মার্চ ২০২০                                                  প্রচ্ছদ–ঋত্বিক ত্রিপাঠী    

বসন্ত ফোঁটা ।। অলক জানা

 


ঝরে যাওয়া ক্ষতে বাড়তে থাকে
নতুন পাতার দিন, গাছে গাছে উৎসব আলেখ্য
আলো আবিরে বিগত শোকের অশৌচ পালন।


ধুলোর বিষণ্ণতা বইতে পারে বাতাস
সবটুকু ত্রুটি মেনে গাছেরা, পরকীয়া বাতাসে কেমন ক্রমশ অভ্যস্ত হয়ে ওঠে।


স্মৃতি ও মরণপতা পড়ে থাকে অসহায়
মনন ও গাছতলায় কুরুক্ষেত্রের চিহ্ন পড়ে থাকে।


সম্পর্কের দাবি সমতা হারালে
সমস্ত সীমারেখার বন্ধন একদা
আলগা হয়ে যায়...
তখন একক সংকীর্তনে বেজে ওঠে
বিচ্ছেদ বসন্তে নবীনবরণ।


ইচ্ছে মান্যতা পেলে, শরীরে আসে
সামুদ্রিক লবণাক্ত স্বাদ, বহুকিছু অপ্রাপ্তির ভেতর
নতুন ছাড়পত্র যেন ফিরে আসা
মহাকাব্যের বসন্তদিন অরণ্যলিপি।


ফিরে আসাটাও ধ্রুব নিশ্চিত, সম্পর্কের ধর্ম।
পর্ণমোচী বিপন্নতায় রাতের কঙ্কাল
বেঁচে থাকে দিনের উদাস কম্পাঙ্কে।


অপেক্ষা মানে কিছু চঞ্চল সময়ের পায়ে
বেড়ি দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা...
ইন্দ্রিয়বনে ফাল্গুন, আগুন ছড়িয়ে যায়।


প্রশ্রয় দাও বলেই না আকাশ ?
আমার মাটির আকাশ, কৃষিজ খামারে মজুত
শস্যের মতো খুঁটে নিই প্রাণ, মহাকাব্য।


চেতনার বাঁকে জমে থাকে বাস্তুঘুঘু অন্ধকার
ঋতুবিকারে তার বা কী এসে যায় ?
কেবল চৈতন্যজ্যোতি জানে রঙের মহিমা।

১০
দীর্ঘসহবাসে ছিল পাশবালিশ অসুখ,
অনিদ্রা অনিচ্ছে, অনিবার্য বৃষ্টির প্রত্যক্ষ প্রমাণ,
পাতা খসানোর নিয়মে তারও ঢাকনা সরে গেলে
নিয়ন আলোয় ঝরে পড়ে বসন্তের রঙ।

একক কবিতা সন্ধ্যা



সহজ কবিতা সহজ নয় কঠিনও নয়



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...