মার্চ ২০২০                                                  প্রচ্ছদ–ঋত্বিক ত্রিপাঠী    

প্রেমপত্র ।। শান্তিব্রত বারিক

 
প্রিয় উদ্ভিদবিদ্যা অনার্স,
আজ তুই নাচের কথা বলছিলি। মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পর স্কুলের অনুষ্ঠানে শেষবার নেচেছিলি “চুড়ি যো খনকে”-এর তালে। হঠাৎ করেই একের পর এক স্মৃতির লতা বেয়ে উঠছিল তোর লাউডাঁটা নরম ঠোঁট। সবাই শুনছিলাম মন দিয়ে। আমি ছাড়া, না, না, তুই - আমি , আমরা ছাড়া আর কেউ দেখার সাহস করেনি পুরোনো মঞ্চ। হোক কল্পনা তবু একসাথে হেঁটে গেছি শব্দহীন। বছর পাঁচ আগের ফাল্গুনী পাঠক, নাচের দিদিমণি, বান্ধবীদের রিহার্সাল সবকিছু চোখের বৃত্তে ফিরে আসে। যদিও ফিরবো ফিরবো করে ফেরা হয়না তোর কাছে, শ্রুতি। হয়তো এখনও সময় হয়নি তোর কাছে ফেরার। জানি তুই তোর প্রেমিক কে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিস। তোর ইচ্ছেপূরণের পরও কোনোদিন জানতে পারবি না কতখানি হৃদয়ের আলো নিয়ে তোর চারপাশে ঘুরে বেড়িয়েছি এতদিন। কিভাবে সামলে রেখেছি বুকের ঢেউ। হত্যা করেছি ক্রমশঃ তাজা দীর্ঘশ্বাস। ভালোবাসা বলতে তুই যা যা মনে করিস, সবকিছুই বুকের ব্যালকনিতে টাঙিয়ে রেখেছি। তুই বিশ্বস্ত বলেই তোর হাতে ঘরের চাবি তুলে দিতে ভাবি না। তোকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়ে পিঁড়ি পেতে রাখে যুবক বয়স। তোর বয়স্কা ঠাকুমার কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে পড়েছিলি বুকের ঘাসে। সে রাতে আমারও ভীষণ জ্বর। ভুল বকছি অনর্গল। তোর নূপুরের শব্দে তাপমাত্রা নিম্নগামী হয়। জ্বর সেরে গেলে মনখারাপ করে। মাঝেমধ্যে ইচ্ছে করেই জ্বর ডেকে আনি। অমনি তুই কুয়াশার চোখে ধুলো দিয়ে স্বপ্নের শহরে ছুটে আসিস। শামুকের শরীরে অপরাধ লিখে ফেলি কখনো সখনো। তুইও যেমন এবারের শিবরাত্রি তে কাতান সিল্ক   শাড়ি , রানিরঙা জরির বর্ডার , ঝলমলে চুড়ি। রোদের ছদ্মবেশে কেঁপে উঠেছিলি বন্ধুর ঢিবিতে। আমি স্নানের সময় চুরি করে একা একা মন্দিরের ঘন্টার ধ্বনি শুনে আসি। তোর ফর্সা গোড়ালিতে চিক চিক করে পাকা পুঁইফল রঙ। তোর শীতল নিঃশ্বাসের ভেতর জ্যোৎস্না ডেকে ওঠে। আমি গ্লাসের জলে আঙুল ডুবিয়ে রাখি, ভীষণ লজ্জা করে জলের চিবুকে খুন হতে। তোর সাথে প্রাপ্তবয়স্ক কথা বলতে বলতে অমরাবতীর সাঁকোয় দাঁড়িয়ে পড়িনি। আমার প্রতি তোর সরল বিশ্বাস , তোর প্রতি আমার লাল টিপ নীল টিপ ভরসায় দূরত্ব নিভে গেছে। ঝুলন্ত বিশ্রামে একে অন্যের দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছি দশমিক ভদ্রতা। এ চিঠি তোর হাতে গেলে আমি তোর চোখে পাপী, মন্দমানুষ হয়ে যাবো। তবুও চাই এ চিঠি তোর হাতের ছোঁয়ায় ভিজুক। আঙুলের ঘামে এক একটা সত্য অক্ষর পুড়ে যাক পিঠ বরাবর। আমার ভাতের হাঁড়ি থেকে ফ্যান গড়িয়ে পড়ছে। এখুনি ফ্যান গড়াতেই হবে , যাই। তবে এইকথা রইলো, আজ রাতের স্বপ্নে তোর স্কুলের মঞ্চে দেখা হচ্ছে। আমি চাই, তোর নাচ দেখতে দেখতে আমার চোখে ঘুমিয়ে পড়ুক গর্ভবতী রাত....   
                         ইতি- 
তোর পরিচিত মেঘলা রঙের কেউ।

একক কবিতা সন্ধ্যা



সহজ কবিতা সহজ নয় কঠিনও নয়



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...