কল্প সুখ
সুনীল কুমার মণ্ডল।
বর্ষারা লুকালো মুখ সাগরের পারে।
মেঘের কাঁদুনে মুখ হাসিল এবারে।।
রিম ঝিম জলতরঙ্গ লইল বিদায়।
নদীর গম্ভীর ধ্বনি শান্ত হয়ে যায়।।
নদী কোলে ঠাকুমারা গল্প করে, হাসে।
তাদের পলিত কেশ কাশফুলে ভাসে।।
আকাশের গায়ে দেখি ধুনুরির কাজ।
থরে থরে তুলো- মেঘ বালিশের সাজ।।
ভোরের শিউলি গন্ধ বাউলের সুরে।
মায়ের পুজোর স্মৃতি নিয়ে যায় দূরে।।
বর্ষাস্নাত প্রকৃতির শান্ত সৌম্য রূপ।
ধ্যানে মগ্ন বুদ্ধদেব নীরব নিশ্চুপ।।
সকালে সোনালী আভা বঙ্গজ অন্তর।
ধান গাছে খেলে যায় সম্প্রীতিতে ভর।।
বর্ষারানী দিয়ে যায় বিষাদের ছায়া।
শরতের আগমনে দেখি মাতৃমায়া।।
উৎসবের ফুল ফোটে বাঙালীর প্রাণে।
হাসি খুশি কোলাকুলি অন্তরের টানে।।
শরতে মাতাল বায়ু অকথিত কথা।
ফেলে আসা এক মুখ দেয় শুধু ব্যথা।।
স্মৃতি শুধু গড়ে তোলে নব তাজমহল।
ক্ষণিকেই যায় ভেঙে নয়ন সজল।।
সহসা বাহিরে দেখি অপরূপ খেলা।
শত শত তাজমহল মমতাজদের মেলা।।
হারানো সেই সে মুখ মমতাজের মুখে।
শরৎ ফিরিয়ে দেয় থাকি কল্প সুখে।।
শরতের প্রকৃতিতে মনের মানুষ।
আমারে দিয়েছে শান্তি হোক সে ফানুস।।