ব্যালান্সশিট
মধুমঙ্গল বিশ্বাস
মধুমঙ্গল বিশ্বাস
সাদাকাগজের দুপাশে দুটো খোপ কাটো
মাঝখানে
একটু এবড়োখেবড়ো
বইয়ে দাও একটা নাতিপ্রশস্ত নালা
নালাটিকে জলময় করে আঁকো
হাওয়া দিলে তিরতির করে যেন কেঁপে কেঁপে ওঠে তার হৃদয়
তুমি ভেবেছিলে
দুপাশে ধানখেত
মাঝখান দিয়ে আল
হেঁটে যাবে বাতাস লাগিয়ে গায়ে
এখন
চিত্রটি ঈষৎ অন্য
দুপাশের দুটি ঘর, আয় ব্যয়
মধ্যিখানে তোমার হাড়ভাঙা প্রয়াস
যদি কোনওক্রমে মেলানোর আনন্দ তালুবন্দি করা যায়
সূর্যের এক নাম তো তপন
ধরা যাক, এই গল্পের নায়ক তপনই
তপন নামে তোমার এক বাল্যবন্ধু ছিল!
সে তোমার সাথে দিন রাত মাঠে ঘাটে
শ্মশানে স্বপনে
ছায়াপ্রায় বান্ধব ছিল!
রাত্রির আলপথে হেঁটে হেঁটে
তোমরা কি তমিস্রা জয়ের কথা ভাবোনি!
ভেবেছিলে একদিন ব্যান্ডেলচার্চের চূড়া থেকে শান্তিনিকেতন স্টেশন পর্যন্ত
টাঙিয়ে দেবে
একটি রোপওয়ে
পারাপার করবে চেতনার অনুভব
শ্রীনিকেতনের কারিগরি কুটুম করবে ট্যাংরার সাদাসিধে কৃষিপ্রণালিকে
তাদের বন্ধুত্বের পরিধিতে
খেলা করবে ভালোবাসার বসন্তবৌরি
কত কত হার্ডলস টপকে
কত কত মাঠ ও মাঠের বিজন পার হয়ে
সায়ংকালে দুইবন্ধু বসেছ
রুং-তুলি হাতে
আলটি কখন যে কুটুম হয়ে যাচ্ছে
নালাটি আপন!
কী এক আশ্চর্য তৃপ্তি!
ভেবেছিলে--
সবই ভেবেছিলে জীবন!
ভেবেছিলে?
তৃপ্তি কি একজীবনে কিছুই দিতে পারে!