প্রিয় পলাশ,
পাগল আমার। মনে পড়ে, গত বছর বলে গেলি বসন্ত উৎসবে আসবি। এলি। তবে বড্ড দেরি কোরে। আর হ্যাঁ, আগেই বলে দিচ্ছি–বকুলের পানে একদম তাকাবি না কিন্তু। ভোরের আলো ফোটার আগেই যখন বসন্ত সখা ডাকে, বাতাসে আবিরের গন্ধ, শাল বনে কচি পাতা ফাগুন রোদ মাখে, এলোমেলো হাওয়া দ্যায়–তখন আমার যেন কী একটা হয় ! বসন্তের শিউলি সজনে ফুল ঝুপ করে পড়ে মাটির বুকে কি সুখ পায় ! তুই একটা আস্ত ভিতুর ডিম। আজকাল দুষ্টু ছেলেরাও বাসকের মধু খায়। ভাঁটফুলরাও হয়েছে তেমনি ! মুখের দিকে হাঁ করে থাকে। রাত্রিদি ভোরাইকে জড়িয়ে যখন চুমু খায় তখন বাতাবি ফুলের সুবাস মেখে অভিসারে যাই। বেহায়া বৃষ্টি তোর উপর ঢলে পড়লে আমার ভীষণ কষ্ট পায়। আর ঐ মৌটুসি ! তোর নগ্ন সৌন্দর্য দেখে তোর কাছে খালি ঘুর ঘুর করে। আমার ভয় করে। পাছে যদি হারাই...। তবে ফি বছর মধু মাসে অযোধিয়া, বাঘমুণ্ডি, ডুংরি পাহাড় , ডুলুং নদীর পাড়ে তোর সঙ্গ সুধা ভোলার নয় ।
ভালো থাকিস লাল।
ইতি
তোর লালি,
শিমুল।