আগুনের ডায়েরী ।। শর্মিষ্ঠা ঘোষ



ডায়ারি হাতে পেতে পেতে ক্লাস সেভেন। তার আগের দুই ক্লাস লাইনটানা নোটবুক। তখন অনেক কিছু ব্যক্তিগত। তখন অনেক কিছু সবাইকে বলা যাচ্ছে না। তখন সেরকম প্রাণের কাছাকাছি কেউ নেই তো। কেউ নেই বড় হওয়ার বিস্ময় কষ্ট আঘাত অপমান শেয়ার করার। তাই লিখে ফেলা। স্বগতকথন। মিশতে পারি কই তেমনভাবে। ভালো লাগে না তো অহেতুক উচ্ছ্বাস বাচালপনা। কী ইমম্যাচিওরড মনে হয় জামা পুতুল সাবান শ্যাম্পু হ্যানত্যানের ব্রান্ডেড বারফাট্টাই। ভেতরে ভেতরে বুক দুরু দুরু , কাউকে দেখলে , যেন আরো কিছুক্ষণ কাছাকাছি থাকে যেন আরো একবার হাসিমুখে তাকায়। তখন লিঙ্গ সাম্য বুঝছি ক্রমে , তখন ক্রমশ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছি নারীজন্মের জন্য , তখন খুঁজছি পাগলের মত খুঁজছি যাকে বলা যায় সবকিছু গোপন আপন , তার কাছে মেলে দেওয়া যায় ভেজা সুখ  পেঁজা দুঃখ। তাই নোটবুক তাই ডায়ারি। প্রথম ইনফ্যাচুয়েশান ক্লাস সেভেনে, নিজে লেখা প্রথম কবিতা। কে ব্যথা দিল কাকে ভেবে ব্যথা হোল লিখে রাখতে ডায়ারি। ঘুম আসছে না , ডায়ারি। অভিমান বুক ফেটে ভেঙে পড়ছে ঠোঁটে ভেসে যাচ্ছে চোখ কে আছে পাশে ডায়ারি ছাড়া। ভালো লাগা পঙক্তি, শায়েরী টুকে রাখতে ডায়ারি। প্রথম প্রেম প্রথম পতন প্রথম সবকিছু জানে আমার ডায়ারি। কোন ভাঙন ইতিবৃত্ত কোন অম্লমধুর ওঠাপড়া না জানে এই ডায়ারির পাতা?

একটা সময় সেই পর্যায় পেরিয়ে গেল। এবার নিজেরই লজ্জা লাগে , এত ন্যাকা বোকা ছিলাম! এত ভঙ্গুর! এত আত্ম নিপীড়ক! তাই পুড়িয়ে দেওয়া সব। নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া একটা সময়। তার অপমান। ক্রোধ। যন্ত্রণা।

ডায়ারি লিখি না আর। বলি না খুলে। দেখাই না। বহ্নুৎসব আজও আছে। নিত্য অপমানিত আত্মার। রাবণ চিতা। আত্মহননের পূর্বপাঠ। আত্মদহন দেখা যায় না। বোঝাও না । তাই আগাম দেখা। ডায়ারি লিখি না আজকাল। শুধু আগুন দেখি।

একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...