গদ্য

গদ্য

 

বাবা চেয়েছিলেন দোতলার পশ্চিমের ঘরটির উত্তর দিকে কোনও জানলা থাকবে না। থাকবো আমি। ওদিকে ঝোপঝাড় আর সেই পুকুর! তাই বন্ধ থাকবে ওদিক। তার চেয়ে পশ্চিমদিকে দুটো বড় বড় জানলা হয়ে যাক।
আমি মানতে পারলাম না। দক্ষিণ এর জানলা রোমান্টিক, শুনেছি পড়েছি। দক্ষিণেও যদি সমস্যা, তাহলে আমার অন্তত একটা উত্তর থাকুক।
অনেক তর্ক রাগ অভিমানের পর ঠিক হয়ে যায় উত্তর। আমার উত্তুরের জানলা। কে জানতো এই এক উত্তুরের জানলাই আমার জীবনের পরম আশ্চর্য হয়ে উঠবে!

       শিরীষ বড় হয়ে গেল দেখতে দেখতে। তার ডালপালার সংসার থেকে একখানা হাত বাড়িয়ে দিয়েছে  জানলায়। তোমার হাতে কী দিই বলোতো শিরীষ! আমার তো এই বাউন্ডুলে জীবন। ঘরময় ঝুল, ধুলো, ঘামে...

 

এই যে বিকেল নেমে এল কাঁশাইপাড়ে। ওই যে ওপারের ঝোপে সন্ধ্যার আয়োজন শুরু হল। শেষবারের মতো জাল টেনে গুছিয়ে রাখল অনন্ত মালো। দু একটি সাইকেল চলে গেল ঘরের দিকে। এই যে জল থেকে ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে বাঁশের সাঁকোর প্রতিচ্ছবি–আমি এসবের মধ্যে কবেকার তোরঙ্গে রাখা জামাকাপড়ের ভাঁজের ন্যাপথ্যালিনের গন্ধ পাচ্ছি কেন!

অনেক দূর থেকে, বোধহয় গঙ্গাপ্রসাদের আটচালার থেকেই, ভেসে আসছে এক বালিকার কণ্ঠস্বর। রাধারাণী যমুনা পেরোবেন। ছোকরা মাঝি তার কাছে দাবি করছে কানের দুল। দিতে পারো কি না-পারোর দ্বিধার মধ্যে বসে রয়েছেন হ্লাদিনী। কিংবা, যাকে সর্বস্ব দিতে চান, সে কিনা শুধু কানের দুল চাইছে! এইটি তাঁকে ব্যথা দিচ্ছে। বালিকার কণ্ঠ বুজে আসছে। দোহার স্তব্ধ। শ্রীখোল মৃদু। আমার খুব ইচ্ছে করছে একবার বলি–ও গানের বালিকা...

 

মনকেমনের কথা বললেই আমার গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের কথা মনে পড়ে। ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’-র গৌতম চট্টোপাধ্যায়। যে গান ৮০-র দশকে লোকে গ্রহণই করেনি সেই ‘মন আমার কেমন কেমন করে ও বধূরে’ ২০০০ পরবর্তী প্রজন্ম আপন করে নিল। আসলে ওই ‘মনকেমন’ শব্দটাই বড় আকর্ষণীয়।

...



ডায়ারি হাতে পেতে পেতে ক্লাস সেভেন। তার আগের দুই ক্লাস লাইনটানা নোটবুক। তখন অনেক কিছু ব্যক্তিগত। তখন অনেক কিছু সবাইকে বলা যাচ্ছে না। তখন সেরকম প্রাণের কাছাকাছি কেউ নেই তো। কেউ নেই বড় হওয়ার বিস্ময় কষ্ট আঘাত অপমান শেয়ার করার। তাই লিখে ফেলা। স্বগতকথন। মিশতে পারি কই তেমনভাবে। ভালো লাগে না তো অহেতুক...

 

 তর্ক করতে হয়েছে এবং তর্কের শেষে অপ্রিয় হতে হয়েছে এসব বিষয় যখনই উত্থাপন করেছি।  কখনো এতটাই অপ্রিয় হয়েছি, ঘুরে দাঁড়াবার ইচ্ছেটুকুও হারিয়েছি। মাঝে মাঝে একেকটা  কথপোকথন মনে পড়েছে আর মুষড়ে পড়েছি। তারপর হয়তো নিজেকেই আবার উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করেছি। মাঝে মাঝে অভিমান হয়, মনে...

বিকেলর রোদপিয়ন উঠোনে রেখে যায় মনখারাপ। আজও সিঁথি থেকে মেটে সিঁদুর মোছেনি বাসনা। সেই কবে বিহারের ওমপ্রকাশ বিয়ে করে রেখে চলে গেছে,আর ফেরেনি। গাঁয়ে বলে বাসনি শকুন্তলা। বাপের ভিটেয় ভাইদের ফরমাশ খাটতে খাটতে চোখের পাতা ভারী হয়। অপেক্ষমান তারায় ঘর বাঁধার আকুলতা। লখি বাগদীকে চেনো না বোধ হয়...

বিতানের রবিবার
শীর্ষেন্দু ভট্টাচার্য
 
আজ রবিবার। সকাল থেকেই বিতানের মন ছটফট করছে। আজকে সে খেলতেও যায়নি। আজ যে মায়ের সাথে পুজোর বাজার করতে যাওয়ার কথা। সারা বছর ধরে এই দিনটার অপেক্ষায় থাকে বিতান। কত কী ভেবে রাখে তার শেষ নেই। এবার তো চুপি চুপি অঙ্ক খাতার একটা পাতা ছিঁড়ে রীতিমতো লিস্ট বানিয়ে...

Subcategories

Page 3 of 5

একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...