তলপেটের ব্যথায় ঘুম ভাঙল। ঘড়িতে রাত ২টো বেজে ৪০। যাবো কিনা ভাবছি। এসময় হঠাৎ শব্দ। টয়লেটে জল পড়ছে, সাথে খসখস কাশিও। বিছানায় পাশ ফিরলাম। অগত্যা, একটু চেপেই রাখি! একটুপরে দরজার খচরমচর শব্দে বুঝলাম। হলো!
কিন্তু কথাটা মনে হতেই, দৌড়ে ঘরের ছিটকিনিটা লাগালাম! বিছানায় বসতেই মাথা ভোভো, গলাটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেলো! তলপেটে চাপ নিয়েও জল খেলাম - গোটা বাড়িতে আমি একা! টয়লেটে কে? দরজায় বাইরে যেন পায়চারীর আওয়াজ! দশ মিনিট গেল। নাহ্ আর তো পারা যায় না, পেটে চাপ বাড়ছে! সাহস করে এগোলাম।
ছিটকিনিতে হাত রাখতেই শরীর ভারী; গা ছমছম্ শুরু। এতোরাতে ওটা কি ভ...? দেখবো? নাহ্! দেএএখি; যা থাক্ কপালে। পা ঠকাঠক। প্যান্টালুন যাবে বুঝি ভিজে! গেলো! একাআআ আআআমি! ঝমঝম রাতে চিনচিন করছে মাথা! তবুও ডাইনিংয়ে এলাম...
কিন্তু এ কী! ছূঁচো ক্যারিব্যাগে আটকে, মুক্তির জন্য ছটফট করছে বলে খসখস্ খচরমচর শব্দ! এগিয়ে দেখি বাথরুমের ছিটকিনি খোলা, কলটা ঠিকমতো আটকানো হয়নি। মহৎকর্মটি আমারই। আগেরবার আটকাইনি।
ভূতে ভীতু নই মোটেও। আর একা আছি বলে উল্টোপাল্টা একদমই ভাবিনি। আমি খুউউব সাহসী। আমায় নিয়ে নো হাসাহাসি। আপনারাও না।