নতুন সূর্যোদয় ।। রবীন বসু

onugolper adda full

 

মনে করুন সূর্য নেই। সমস্ত পৃথিবী জুড়ে অনালোকিত এক জ্যোৎস্না। ছায়া ছায়া চারপাশ। নক্ষত্রের খই ফুটছে আকাশে। বাতাস মন্থর মৃদু। একমাত্র জীবিত মানুষ প্রজ্ঞা।  ন্যুব্জ দেহে নিজের প্রাচীন শ্লথ শরীরটা টানছে। টেনেই যাচ্ছে। কোথাও লুকোতে হবে তাকে। গৃহবন্দী। কিন্তু গৃহই তো নেই। এক সুপার সাইক্লোন পৃথিবীকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আর তারপরেই এসেছে অজানা ভাইরাস কোভিড-১৯। যে সব মানুষ আর প্রাণী বেঁচে ছিল তারাও সংক্রমিত হল। একে অন্যের থেকে। তারপর কাশতে কাশতে জ্বর। ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতেই হৃদযন্ত্র বিকল। 

প্রজ্ঞাই একমাত্র জীবিত। কেননা সে ধারক এই সভ্যতার। আদিম গুহাযুগ থেকে সে মানুষকে উৎসাহ দিয়েছে। অনুসন্ধান দিয়েছে। বিনিময়ে মানুষ মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে নিত্য নতুন আবিষ্কার করেছে। তাইতো সভ্যতার রথ গড়গড়িয়ে চলেছে। কিন্তু সেই মানুষই পরিশেষে হল বেহিসেবি। উদ্দাম লোভী উচ্ছৃঙ্খল। যে প্রকৃতি তাকে জন্ম দিল, ধারণ করল, খাদ্য ও নিরাপত্তা দিল, তাকেই সে আশ্রয়হীন করল। দূষিত করল। তাই প্রকৃতি আজ নিজের তাগিদে আর আত্মরক্ষার জন্য পালটা আক্রমণ শানালো। ঝড়, প্লাবন আর সব শেষে এই ভাইরাস কোভিড-১৯। 

হাতে বেশি সময় নেই। মারণ ভাইরাস তাকে যেন স্পর্শ করতে না পারে। যে কোন ভাবেই হোক প্রজ্ঞাকে বেঁচে থাকতে হবে। আগামী পৃথিবীর প্রয়োজনে। রাত শেষ হয়ে আসছে। প্রজ্ঞার শরীর আর টানছে না। সে গড়াতে শুরু করল। গড়াতে গড়াতে কখন যেন এক মহাজাগতিক টানে একটা ব্ল্যাক হোলের মধ্যে ঢুকে গেল। অনন্ত অন্ধকার আর দুর্নিবার আকর্ষণ। প্রজ্ঞা মজা পেল। কোভিড-১৯ এখানে ঢুকতে পারবে না। ঢুকলেও বেঁচে থাকবে না। লাট খেতে খেতে প্রজ্ঞার মস্তিষ্কের কোষে সংকেত এল আগামী পৃথিবীর নতুন সূর্যোদয়ের । 

                         

একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...