মা ।। অমৃতা খেটো

onugolper adda full
 
 
শহরতলির এক গৃহস্থ বাড়িতে ছয় মাসের জন্য দামী টেলিভিশন সেটটি প্যাকিং বাক্সবন্দী করা হল। তখন মোবাইলের যুগ আসেনি, বাড়ির সকলে টিভিতে মশগুল থাকত। তবুও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী একমাত্র পুত্রের জন্য এই ব্যবস্থা হল। পুত্রটি স্কুলের উজ্জ্বল রত্ন। সেই বছরে ছেলেটি জেলায় প্রথম ও রাজ্যে ঊনিশতম পদ লাভ করেছিল।
       সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের কেবিনে এক বৃদ্ধা ভর্তি আছেন। সকালের জলখাবার ও ওষুধ খাবার পর থেকে তিনি চুপচাপ, প্রিয় বইও পড়ছেননা। লাঞ্চ ফিরিয়ে দিলেন। দুই সেবিকার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হল। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হল। সেবিকারা উদ্বিগ্ন হয়ে ডাক্তারবাবুকে ফোন করলো।
কিছুক্ষণ পরে ডাঃ পিয়ালতরু সেন হন্তদন্ত হয়ে কেবিনে এলেন। নতমুখে জিগ্যেস করলেন,-"খাবার, ওষুধ খাওনি কেন"। রোগিনী মুখ ফিরিয়ে শুয়ে রইলেন। ডাঃবাবুর ইশারায় সেবিকারা একগ্লাস দুধ ও ফল আনলো। তিনি দুধের গ্লাস হাতে বললেন,- "মা, দুধটুকু খেয়ে নাও, আজ তোমাকে আকাশ দেখাতে ছাদে নিয়ে যাব।" বৃদ্ধা মুখ ফিরিয়ে ছেলেকে দেখলেন অভিমানী বালিকার মতো। দুধ খেলেন।
আজ সকাল দশটার পর থেকে ডাক্তারবাবুর তিনটে অপারেশন ছিল, আসতে পারেননি।
     হাসিমুখে তিনি মাকে পাঁজাকোলা করে তুললেন।সেবিকারা হুইলচেয়ার আনল। ছাদে মাকে আকাশ 
দেখাতে দেখাতে ডাক্তারবাবুর মনে পড়ে যাচ্ছিল
এক গ্লাস দুধ খাওয়ানোর জন্য মায়ের অসম্ভব প্রচেষ্টার কথা। খাবার টেবিলের চারপাশে ছেলে ছুটছে, দুধের গ্লাস হাতে মা। দুধ খেলে দশ টাকা দেব এরকম আশ্বাস পেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছেলেটি 
দুধ খেত। এখন মা তার কন্যা.....

একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...