অন্তঃসলিলা ।। সমীরণ সরকার

onugolper adda full

 

 
পৌষ সংক্রান্তির রাত । জয়দেব মেলা । বিভিন্ন আশ্রমের অস্থায়ী ছাউনিতে  বসেছে কীর্তন বা বাউল গানের আসর । তেমনি এক আসরে মঞ্চে ওঠার আগে প্রস্তুতি নিচ্ছেন  কীর্তনীয়া রসমঞ্জরী দাসী ।
                            অনেক  বছর আগে জয়দেব মেলাতে গান গাইতে এসেছিল মালতী দাসী ও তার মেয়ে টগর । ওই গানের আসরেই তাদের পরিচয় হয়েছিল যুবক কীর্তনীয়া সুবল দাসের সঙ্গে । মন দেওয়া নেওয়া করেছিল  সুবল ও টগর ।ব্যাপারটা বিয়ে অব্দি গড়িয়েছিল ।
                                       গরম খিচুড়ি প্রসাদ পাওয়ার লোভে সুবল দাস একটা ছেঁড়া কম্বল জড়িয়ে আসরের এক কোণে বসে ঝিমোচ্ছিল ।
রসমঞ্জরীর গান শুরু হতেই চমকে  ওঠে সে ।
                রসমঞ্জরীর গান শেষ হতেই সুবল লাঠিতে ভর দিয়ে মঞ্চের কাছে পৌঁছে যায় ।চীৎকার করে ওঠে, টগর! চমকে ওঠেন রসমঞ্জরী । একমাথা পাকা চুল, চোয়াল ভাঙা, লাঠিতে ভর  দিয়ে কে দাঁড়িয়ে? 
এই সুবল দাসই তো  বছরকয়েক আগে  এই জয়দেবের মেলাতে  অসুস্থ অবস্থায় তাকে ফেলে পালিয়েছিল যুবতী বিধবা বৃন্দার হাত ধরে । তারপর দীর্ঘ সংগ্রামের  পরে সে হয়ে উঠেছে আজকের রসমঞ্জরী । রসমঞ্জরীর ইঙ্গিত  পাওয়া মাত্র স্বেচ্ছাসেবকেরা সুবলকে জোর করে সরিয়ে নিয়ে যায় ।
                                      গভীর রাত । মাথায় ঘোমটা দিয়ে  নিজের তাঁবু থেকে বেরিয়ে  এলেন রসমঞ্জরী । আসরের এক কোণে কুণ্ডলী পাকিয়ে
শুয়ে আছে সুবল। সঙ্গে করে নিয়ে আসা  একটা দামী  চাদর অতি সন্তর্পণে   সুবলের গায়ে চাপিয়ে দিলেন । দ্রুতপায়ে ফিরে যেতে যেতে  শাড়ীর আঁচল দিয়ে চোখের কোণ মুছে  নেন  নিঃশব্দে । 
 

একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...