হ্যাপি চিলড্রেন্স ডে ।। কেশব মেট্যা

 

WhatsApp Image 2018 10 04 at 23.19.09

হ্যাপি চিলড্রেন্স ডে
কেশব মেট্যা

 

মফস্বল যখন ‚ একটা দুটো আলমারি দোকান থাকতে হয়। আলমারি দোকান যখন‚ গায়ে গতরে দু দশটা লেবারও থাকে। ফুরসতে বিড়িও জ্বলে।
 
 পাশে ইস্কুল। ইস্কুলের ঘণ্টা শুনতে না পেলেও আলমারী দোকানের টিন কাটার সিঁ সিঁ ঢিপ ঢাপ শব্দ ঠিক কানে যায় দোলই পাড়ার জিৎ দেব যীশুদের। বয়স ৭‚ ৮ হলে কী হবে, বিড়ি জ্বালাইলে জিগরসে পিয়া গানটা গড়গড় মুখস্থ বলে দিতে পারবে। আলমারী দোকানে তো এসবই বাজে দিনরাত।
 
কাজের ফাঁকে লেবার কাকুদের মুখে বিড়ি জ্বলতে দ্যাখে। কুণ্ডলী কুণ্ডলী ধোঁয়া দ্যাখে। বুকের ভিতরটা ধকধক করে ওদের। অনেকটা টেরেন চলার মতো। আলো । ধোঁয়া। ওরা কেউ রেলগাড়ি দেখেনি। তবে এরকমই শুনেছে ইস্কুলের স্যারের মুখে। ধোঁয়া বের করে লম্বা লম্বা টেরেন কু ঝিকঝিক করে নাকি দূরে চলে যায়। অনেক দূরে !

--- ওই হিরো‚ হাঁ করে কী দেখছু বে ‚ দু এক টান লিবি নাকি ?

সম্বিত ফিরে পায়। দাঁত বের করে বলে ওঠে--

--- তুমি তো মাকে বলে দিবে।

---আবে ধরধর । সুড়ুৎ করে টান মেরে দে একটা। তারপর ফুড়ুৎ করে ধুঁয়াটা ছেড়ে দিলেই দিল-খুশ। তারপর এই টিনগুলান ধরে লিয়ে উইখানটায় সরাবি। আর এই রং এর বালতিটা ধুবি। বিকালে কুড়ি টাকা পাবি বে।
 

ইস্কুল যখন। রোজ রোলকলও করতে হয়। মিড ডে মিল আছে যখন‚ ইস্কুলের খাতায় ওদের উপস্থিতিও এমনি এমনিই হয়ে যায়। তবে আলমারি দোকানের কাকুরা খোঁজ রাখে ওদের। বিড়ি দেয়। ঝিঙ্কা চিকা গান শুনায়। টাকাও দেয়।

কিন্তু ওসব খোঁজ রাখেনা ইস্কুল ! পরীক্ষা না দিয়েও বছরের পর বছর খাতায় কলমে পাশ হয়ে যায় ওরা। 

ঘরে মা আছে। মদ খাওয়া বাপ আছে। মা বাপ আছে যখন , দুটো দুটো চারটা হাতও আছে। হাত আছে যখন , ওই কুড়ি টাকা চালান হয়ে যায় বাপ মায়ের হাতে। ওদের বয়স ৭ কিংবা ৮। স্বাধীনতার বয়স এদের অনেকগুণ !  'শিশু’ আছে যখন‚ ‘শ্রম’ আছে যখন । দুটো জুড়েই দিলাম। শালা তোর বাপের কী ?

 

 

একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...