কাঁটা ।। সুদীপ ঘোষাল


কাঁটা
সুদীপ ঘোষাল

ঘুঙুর পরা হাঁসটা কেমন হেলেদুলে চলেছে। চুমকির পিছনে পিছনে চলেছে হাঁসটা। চুমকিকে এখন সরস্বতী ঠাকুরের মতো লাগছে। বাহন তার চলেছে সঙ্গে সঙ্গে। ঘাটে শান বাঁধানো সিঁড়িতে চুমকি বসে পরলো। আর হাঁসটা উড়ে গিয়ে পরলো জলে। ডুব দিয়ে চুমকিকে খেলা দেখিয়ে চলেছে। চুমকি জলে ঝুঁকে পরা গাছটার ডাল ধরে তুলে আনলো পানিফল। ছাড়িয়ে খেতে গিয়ে পানিফলের কাঁটা ফুটে গেলো। লাল এক ফোঁটা রক্ত চুঁইয়ে পরলো মাটিতে। পাশে চাঁদু এসে বললো, দে দে আঙুলটা দে। চুমকির আঙুলটা মুখে নিয়ে চুষতে লাগলো। চুমকির খুব সুড়সুড়ি পেলো। সে হাসতে লাগলো। চাঁদু বললো, জানিস না, মুখের লালায় ঘা পর্যন্ত ভালো হয়ে যায়। চাঁদু আঙুল ছাড়ছে না, খুব ভালো লাগছে। চুমকিও জোর করছে না। একটা ভালো লাগা শিরশিরে ভাবে সে বিহ্বল। চুমকি আঁচল থেকে কটা পাকা কুল দিলো চাঁদুকে,  হাত ছাড়িয়ে। চাঁদু বললো, তোর সব সময় কাঁটা নিয়ে কাজ। কুলগাছেও কাঁটা থাকে। চুমকি হাসতে হাসতে বললো, তুই তো আমার মিষ্টি কুল। তাইতো কাঁটা ভালোবাসি।

লেখকের অন্যান্য লেখা

একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...