ঘরে বাইরে ।। দীপঙ্কর বেরা


ঘরে বাইরে
দীপঙ্কর বেরা

হাত থেকে পড়ে যাওয়া পার্স কুড়াতে টপ জিনস পরা যেই ঝুঁকেছে অমনি সমর ঠেলা দিল দিদিতাকে - ওই দেখো। দিদিতাও দেখল মেয়েটির সাদা ধপধপে বুক অনেকটাই দেখা গেল। কানে হেডফোন তাই একবার চেষ্টায় পারল না তাই আবার। দিদিতা ঝাঁঝ দিল - তুমি কি এই করতে বেরিয়েছো। মুচকি হেসে জবাব দেয় সমর - তা কেন? এ তো আজকাল রাস্তার পরিচিত দৃশ্য। একটু ভালো করে খেয়াল করে দেখো অনেকেই কিন্তু তাকিয়ে ছিল। তিন বছর প্রেম করার পরে দু বছরের বিয়ে করা বউ দিদিতা বিড়বিড় করে আরও কি সব বলল সমর গ্রাহ্য করল না। তখন সবে দশ ক্লাস পরীক্ষার পর পাড়ার দাদার সাথে লুকিয়ে সেই প্রথম নীল ভিডিও দেখার পর তিন রাত ঘুমোতে পারে নি। দাদার বিছানায় শুতে হত। চোখের সামনে টপ জিনসের মত খালি শরীর ঘুরছে। পুকুর ঘাটে চোখ পড়ে যেত। গ্রামে ঘরে কাজকর্ম করা মেয়েদের শরীর ভাবনা কম। কিন্তু সমরের ভাবনা জাগ্রত। সময় পেরিয়ে একা একা নির্জন খুঁজে ফেরা হোস্টেলে পড়াশুনা করেছে। জানলার ফাঁক দিয়ে দূরে গাছের ফাঁকে স্বপ্নচারিনী দেখেছে। কিন্তু শরীরের শরীর মিলন অধরা। দিদিতার সাথে প্রেমে করে সমরের জীবনে এল এক গণ্ডুষ জল। ঘরে ফিরে দিদিতা সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলে - তখন হাঁ-করে দেখছিলে এই নাও এখন দেখো। সব পুরুষ একই রকম। দিদিতার এক বুকে হাত রেখে আর এক বুকে মুখ ঘষতে ঘষতে সমর বলে - সব পুরুষ তো একই। এই বুক দেখে আমি যদি এখন উত্তেজিত হই তাহলে ওখানে টপ জিনস দেখেও উত্তেজিত হব। পুরুষ তো। সঙ্গম শেষ হওয়ার আগে ঠেলা দিল দিদিতা। কিন্তু সমর রেগেমেগে সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করে আরও উদ্যমে দিদিতাকে আঁচড়ে কামড়ে দিতে লাগল। তারপর ক্লান্ত দেহে সমর একা একা বলতে লাগল - আমি ঘরে এসে উত্তেজনা কমিয়ে নিলাম। আর যে ঘরে ফিরে একা। যার চোখের সামনে ঘুরছে টপ জিনস। তার কি হবে? বারান্দায় চা খেতে খেতে দিদিতা বলে - তুমিও কি তাহলে একসময় এ রকম তার কি হবে তার কি হবে ভেবে ভেবে অন্য কিছু কিছু করেছো? সমর হাসল - তাহলে তো একটু আগের জন্য তুমিও আমাকে মি টু তে ফেলে দিতে পারো। তাছাড়া যতই বলো এটাই হল মানুষের প্রধান মোক্ষ লাভ। মানুষময় সংসারে। দিদিতা পেছন থেকে আরও জোরে সমরকে চেপে ধরল।

একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...