অণুগল্প

অণুগল্প


অন্ধের যষ্ঠি
দীপ্তি মৈত্র
“কী হলো সঞ্চিতা, কষ্ট হচ্ছে?”-গাড়িতে যেতে যেতে জিজ্ঞাসা করলো শৈলেন্দ্র।“না ওই একটু বমি ভাব লাগছে-কিছু এমন না।”গন্তব্য স্থলে পৌঁছে শৈলেন্দ্র শৈবালিনীকে যত্ন সহকারে নামিয়ে নিয়ে এলো নার্সিংহোমে।আগে থেকে লিখিয়ে রাখা নাম অনুযায়ী ডাক পড়লে গর্ভবতী স্ত্রী কে নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকল শৈলেন্দ্র।ডাঃ শৈবালিনী ও শৈলেন্দ্র একে অন্যের মুখের দিকে অবাক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকলো কিছুক্ষণ।এই শৈবালিনীই সেই নামকরা গায়নোকলজিস্ট!যে ছিল তার সাত বছর আগেকার প্রেমিকা।চিকিৎসা বিদ্যায় পারদর্শী হয়ে যে নিজের প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলাদের বাঁচাতে চেয়েছিল,চেয়েছিল যেসব স্ত্রীরা লজ্জা পেয়ে নিজের রোগ সম্বন্ধে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারে না,তাদের সহায় হওয়ার।আর সেই কারণেই তো শৈলেন্দ্র সব সম্পর্ক চুকিয়ে সরে এসেছিল...


মন কেমনের কাব্য
সুদীপ্ত চক্রবর্তী
সে দিন খুব জোরে হাওয়া বইছিল, ঝড়ের মতো…… বৃষ্টি ও ঝর ছিল একনাগাড়ে | আমরা তখন ক্লাসরুমে, মেয়েদের আর ছেলেদের বেঞ্চ আলাদা | আমি ছেলেদের ফিফথ্ বেঞ্চের মেয়েদের দিকটায়, আর শ্রীতমা মেয়েদের টায় ওই একইভাবে | ক্লাস চলছে, ফিজিক্স স্যার কল্যাণ বাবু শব্দের কম্পাঙ্ক বোঝচ্ছেন, হটাৎ শ্রীতমা-র ফিসফিস্ আওয়াজ,”ক্লাসের পর একটু দাঁড়াস, কথা আছে |” আমার মতো একটা আকাট এর সাথে কারোর যে কোনো কথা থাকতে পারে বিশ্বাসই হোলোনা…তাই বেয়াক্কেলের মতো বলে দিলাম, আমার খেলা আছে; কিন্তু শ্রীতমা এমনভাবে তাকালো, সে দৃষ্টি আমার একেবারেই অপরিচিত, অগত্যা দাঁড়াতেই হোলো | ক্লাসের পর একটা মোড়া কাগজ আমার হাতে দিয়ে বললো,” বাড়িতে গিয়ে দেখিস”, আমি তখনই দেখতে যাচ্ছিলাম.. শ্রীতমা হাতটা...


দাম
নিরঞ্জন জানা


পাত্রপক্ষ মেয়ে দেখে বেজায় খুশি। কণ্যাপক্ষ রাজি হলে বোধহয় আজই চার হাত এক করে দেবে। মুখ দেখে সৌজন্য স্বরূপ এক হাজার এক টাকার দানও ফেলে। সবাই ভাবে- দারুণ! দারুণ! পণের প্রসঙ্গ উঠলে ছেলের বাবা বলেন -"কি যে বলি । জানেন তো- আজকাল চাকুরে ছেলের যা দাম ! আচ্ছা, আপনারাই...


পরীক্ষার প্রস্তুতি
বিমল মণ্ডল
মহাদেব আটচালা ঘরের একটি বারান্দায় পড়ছে।সামনে পরীক্ষা। দিন রাত পড়ছে মহাদেব। মহাদেবের বাবা খুবই গরীব। টোটো গাড়ি একটি লোন নিয়ে করেছেন। সংসারে চারজন খেতে। সারাদিন যা আয় হয় বেশিরভাগ লোন মেটাতে চলে যায়। তাতে এক ছেলে আর একটি মেয়ে পড়াশুনা করছে। এদের পেছনে ও খরচ আছে।...


ঢং
বুদ্ধদেব ঘোষ
সেদিন বাজার থেকে ফিৱে মৌকে বাজাৱেৱ ব্যাগটা দিলাম।সাথে একটা ভালো কবিতাৱ কাগজ, বললাম ভালো ভালো কয়েকটা কবিতা আছে পড়ে নিয়।সে বাজাৱেৱ ব্যাগটা সহ কাগজটা নিয়ে ঘৱে গেল। বাজারেৱ ব্যাগটা বাৱ বাৱ নেড়ে চেড়ে কি যেন একটা খুঁজছে। কবিতা ৱ কাগজটা পড়াৱ ঘৱে ৱেখে বেড়িয়ে এলো,বলল,দুৱ...


মা
সুদীপ ঘোষাল

মধু মাসি ফুটপাতের এক কোণে কোনোরকমে থাকে।  তার কোনো ছেলেমেয়ে নেই।একদিন
ফুটপাতে কুড়িয়ে পেলো একটা শিশুকে।তাকে ভগবানের দান মনে করে মানুষ করতে
লাগলো।তারপর মাসি আরও চারজন অনাথ শিশুর খোঁজ পেলো। মাসি ভিখারী হতে পারে
কিন্তু তার পড়াশোনার যোগ্যতা, বুদ্ধি ভালোই ছিলো। শিক্ষিতা রুচিশীল...


"ধর্ম "
তপন জানা
গ্রামের একই স্কুলে , একই ক্লাসে পড়ে এ পাড়ার দুলাল আর ও পাড়ার ইসরায়েল।
দুজনের খুব ভাব।দুই ভাইএর মত।সহোদর ও সমধর্মী না হয়ে ও তাদের মধ্যে এত
বন্ধুত্ব, এত ভাব যে গ্রামের মানুষ দের ইর্ষার কারন হয়।
একজন আর এক জনের কষ্টে দুঃখ পায় আবার সুখে আনন্দ।দুলালের বাড়ির সরস্বতী পুজায়
ইসরায়েল...

Subcategories

Page 8 of 10

একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...