স্বাধীনতার এত বছর পরেও লোকশিল্পীদের স্বাদহীনতার কাহিনী ।। ভাস্করব্রত পতি

swadhinota

"বিটির বিঁহা দিব কেমনে / আমার ঘুম ধরেনা নয়নে / এমনি মুগের রীতিনীতি / পণ ছাড়া বিকায় না / বিটির বিঁহা দিব কেমনে" --
এভাবেই টুসুগানে আমাদের সমাজের আঁধার কাহিনীর সুর তোলে। এ কান্না শিল্পীদের জীবনেও। কান্নার আওয়াজে দেওয়াল কাঁপে। চোখের জলে দোর ভেজে। আর অব্যক্ত যন্ত্রণা বুকে নিয়েও আজ স্বাধীনতার এতো বছর পরেও এইসব লোকশিল্পীদের লৌকিক জীবনের মেঠোপথ বিস্বাদ! কর্দমাক্ত! রিক্ত! আজও তাই তাঁদের কন্ঠে শোনা যায় - "কাঁহা যাবে রে দাদা ধুতি পিঁধিঞে / কাঁহা যাবে রে দাদা তলং ছাড়িঞে"। ( ধুতি পিঁধিঞে - ধুতি পরে, তলং ছাড়িঞে - কোঁচা ছেড়ে )
মেদিনীপুরের লোকশিল্পের নাম লিখলে শেষ করা যাবে না। হয়তো অনেক লোকশিল্পীর সেই আগের অবস্থান নেই। উন্নতি ঘটেছে। কিন্তু বেশিরভাগ শিল্পীই আজ স্বাদহীনতার ঘেরাটোপে থেকে ডুবসাঁতার দিচ্ছে। উঠে আসার উপায় নেই। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সামান্য 'লোকপ্রসার প্রকল্প' হয়তো শিল্পীদের অল্পতম সহায়ক হয়েছে। কিন্তু তা তাঁদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সহায়ক হয়নি। তাঁদের প্রকৃত উন্নয়ন ঘটেনি। এখনও তিমিরাচ্ছন্ন তাঁদের জীবন।
আসলে স্বাধীনতার এত বছর পরে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে হারে মানোন্নয়ন ঘটেছে, সেইহারে শিল্পীদের কর্মসম্পাদনে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। সেই বস্তাপচা কুমোরের চাকাতেই আটকে থেকে ঘুরছে মাটির হাঁড়িকুড়ি তৈরির হতোদ্যম কাজ। এ তো এক ধরনের 'হারিকিরি'! তাই হাহাকার সর্বত্র। হাহুতাশ আজ শিল্পীদের মনে। হা পিত্যেশ করে চেয়ে থাকতে হয় সরকারের বদান্যতার দিকে। হাড়হাভাতে শিল্পীদের তাই হাঁড়িতে একমুঠো চাল ফেলার সেই কঠিন লড়াই আজও হারিয়ে যায়নি। স্বাধীনতার এত বছর পরেও তাই এঁদের স্বাদহীনতার রূপ রস গন্ধ গায়ে মেখে গান ধরে "তোর কি আমি লয় মনের মতন / তুই করলি কেন অযতন গো অযতন"!
মাদুরশিল্প –'রঙ্গ মসিনায় রঙ্গ কম্বলের বিছানা / তার পরে ঝিনবাস করে আচ্ছাদনা"। 
এই মসলন্দ মাদুর আজ আর কেবল ধনীদের গৃহশোভা নয়। সাধারণ মধ্যবিত্তও ব্যবহার করছে। তবে দীনদরিদ্র মাদুরশিল্পীদের নির্গত ঘামের মূল্য চুষে খাচ্ছে ব্রিটিশদের উত্তরসূরি এক শ্রেণীর ফড়ে, দালাল এবং তোলাবাজ। তবে একটু পরিবর্তন ঘটেছে এখন। যদিও প্লাস্টিকের সস্তাদরের মাদুরের কাছে হার মানতে হচ্ছে মাদুরকাঠির শিল্পীদের। 
পটশিল্প – "দেখিতে ভবের শোভা আকাশের পটে" - হেমচন্দ্র। 
পটের গান তো হারিয়ে যেতে বসেছে। আজ তুমুল দৈন্যদশা পটশিল্পীদের। বাধ্য হয়ে পটের চিত্র আঁকা সামগ্রী তৈরি করে বেচতে হয় মেলায়, বাজারে, পর্যটনকেন্দ্রে। সরকারি সুযোগ-সুবিধা এখনও ডুমুরের ফুল। সর্বোপরি মানুষের রুচির পরিবর্তন ঘটেছে এখন। তাই এই রুজির মানুষদের একপ্রকার ছুঁড়ে ফেলতে হয়েছে। ফলে রুটির অভাবে পেট কাঁদলেও মনোহর ফাঁসুড়ার স্রষ্টাদের এখন রূপহীন জীবন।
বয়নশিল্প – "নানা রূপ চিত্র কাঁথে / লিখিল যুবতী যূথে / মণ্ডল পাটনেত চন্দ্রাতপে"।  
আজ তাঁরা কোথায়? জেলায় তসর, রেশম ও কার্পাস শিল্পের নান্দনিক সৌন্দর্য মিলতো শিল্পীদের হাত ধরে। ১৮৫২ সালে কেশিয়াড়িতে ৯৫০ ঘর তসর শিল্পী ছিল। একসময় হিজলী ও তাম্রলিপ্ত বন্দর দিয়ে রপ্তানি হত বস্ত্র। সেই শিল্পীরা আজ কোথায়? কদিন আগেও তমলুক সংলগ্ন রাধামনি এলাকার গ্রামগুলির বাড়িতে বাড়িতে তাঁতকলের রমরমা ছিলো। নেই আজ। উন্নত প্রযুক্তির কাছে পাল্লা দিতে পারেনি তাঁরা। হারিয়ে গিয়েছে কালীডুংরি, লালডুংরি শাড়ি। হারিয়ে গিয়েছে চিরকালীন কিংবদন্তীর ছড়া - "শাড়ি বিড়ি রূপসী / তিন নিয়ে অমর্ষী"।
পুতুলশিল্প – "দস্যুগণ পরশে প্রভুর নারীগণ / পাষাণ পুতুলী হৈল ত্যজিয়া জীবন" - মহাভারত। 
আজ প্রায় হারাতে বসেছে টেপা পুতুল, দেওয়ালি পুতুল, জৌ পুতুল, খেলার পুতুল, কাঠের পুতুল, বৌ পুতুল, দস্তানা পুতুল, হিংলি পুতুল, তারের পুতুল, ডাঙের পুতুল এর একচ্ছত্র আধিপত্য। এখন রঙবেরঙের সস্তার চিনা পুতুল থেকে দামী বার্বিডল কচিকাঁচাদের হৃদয়হরণ করে নিয়েছে। তাই অতি সাধারণ মাটির পুতুলের শিল্পীদের হাতের তৈরি সামগ্রীগুলো এখন ব্যাকডেটেড। 
শোলাশিল্প - "সোলা হইতে পাতল বুড়া হৈল ততৈক্ষণ"- ময়নামতির গান। 
রঙবেরঙের রাঙতা ও জরির কারুকার্য খচিত শিল্পের সাথে কি লড়াইতে পারে এঁদো পুকুর ডোবা খালবিল  থেকে তুলে আনা শোলার ম্যাড়মেড়ে রূপ? আর এখন তো পরিবেশ দূষণের কারণে হারিয়ে ফেলেছি প্রকৃতির এইসব উপাদানগুলিকে। ফলে শিল্পীরা এখন গভীর তিমিরাচ্ছন্ন। খুদ খাওয়ার সুযোগ নেই।
মৃত্তিকাশিল্প - "মাটি হয়ে আছি মা! আমাতে আমি নেই" - দাশরথী রায়ের পাঁচালী। 
মাটির কাজ করে সংসার চালানো দুষ্কর এখন। মানুষ এখন অতি আধুনিক জীবনে অভ্যস্ত। ফলে মাটির তৈরি টব, জলের কলসি, ধুনাচুর, প্রদীপ, তাবা, খাপরি, ঘটভাঁড় ছাড়া মানুষের চাহিদা নেই অন্য কিছুতেই। আর এগুলো তৈরি করে কি সংসার চলে?
আজ আর তৈরি হয়না পোড়ামাটির তুলসীমঞ্চ। মাটির হাঁড়িতে ভাত রাঁধার দিন ফুরিয়েছে। মাটির গ্লাস আর নেই। একসময় যাঁরা মাটির বাড়ি বানাতেন, তাঁরাও এখন কর্মহীন। পাকাবাড়ির রমরমা। ডাক পড়েনা তাই উলোটি দেওয়ার শিল্পীদের। কুমোরের ঘরে আজ রান্নার উনুনটুকুও জ্বলেনা মাঝে মাঝে।
শঙ্খশিল্প – "শঙ্খবণিকের করাত যেমন, দুদিক কাটিয়া যায়"- বঙ্গসাহিত্য পরিচয়। 
এই শিল্পটিও আজ মৃয়মান। শিল্পীদের তাই লবেজান অবস্থা। আসলে কাঁচামালের অপ্রতুলতা এবং অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধি তাঁদের এই পেশাতে মন্দার ছোঁয়া এনে দিয়েছে। খুব অর্থবাণ ও নামকরা শিল্পী ছাড়া অতি সাধারণ শিল্পীদের কাছে অর্থ এবং সামর্থ্য কোনোটাই নেই এখন।
ঝিনুকশিল্প – "এমন একটা ঝিনুক খুঁজে পেলাম না, যাতে মুক্তো আছে"। 
দীঘা সমুদ্র তীরবর্তী গ্রামগুলিতে পূর্বের তুলনায় ইদানিং এই শিল্পটি একটু রমরমা। অনেক মানুষ বেঁচেবর্তে রেয়েছেন একে ঘিরে। পর্যটকসংখ্যা বাড়ায় এই শিল্পটিও অল্প হলেও প্রাণ পেয়েছে। গৃহশোভা বর্ধনে ঝিনুকের সামগ্রীর খুব চাহিদা এখন। তবে শিল্পীদের অভাব অভিযোগ শোনার কেউই নেই আজ। প্রশাসনের চরম দূরদৃষ্টির অভাব হয়তো একদিন এই শিল্পটিকেও মৃতদের দলে ফেলে দেবে।
এছাড়াও ঘঙপাতার টুপি, পাটজাত দ্রব্য, তালপাতার পাখা, পোড়ামাটির ছলন, কাঁথা তৈরি, লৌহসামগ্রী তৈরি করার শিল্পী মানুষজন চরম অস্থিতিশীল অবস্থায় দিন গুজরান করছে। কেউ নেই পাশে। ক্রেতা নেই। বাজার নেই। অথচ উৎপাদন খরচ হু হু করে বাড়ছে।
শিল্পীদের নাম এলে অবশ্যই আসবে লোকশিল্পীদের কথা। ঝুমুর, টুসু, ভাদু, কৃষ্ণযাত্রা, শয়াল গান, যুগীযাত্রা, পুতুল নাচ, চড়িয়া চড়িয়ানি পালাগান, ললিতা শবর পালাগান, গ্রামীণ যাত্রা, ভাঁড়যাত্রা, সঙের গান, ভারত গান, মাগনের গান, গাজনের গান, হাপু গান, কবিগান, তরজা গান ইত্যাদির শিল্পীরা আজ পাল্লা দিতে পারছেন না নেটযুগের ঝাঁ চকচকে দুনিয়ার সাথে। স্বাধীনোত্তর কালে সারা বিশ্বের মতো আমাদের গাঁগেরামের সাধারণ মানুষের জীবনের জলছবি এখন বদলে গিয়েছে অনেকটাই। সেই ধারাতে কিন্তু আমাদের চিরকালীন লৌকিক ঐতিহ্যের ধারকরা নিজেদের Update করতে পারেননি। যাঁরা পারেননি তাঁরা পিছিয়ে পড়তে পড়তে হারিয়ে যাচ্ছেন চিরতরে। সরকারেরও কিছু করার নেই এমতবস্থায়।  
আসলে যুগের সাথে তাল মেলাতে না পারলে সবকিছুই ইতিহাসের পাতায় চলে যায়। তখন সেটা খুব অমানবিক এবং বিসদৃশ হয়ে ওঠে জনসমাজের জন্য। জীবনের জন্য। বেঁচে থাকার জন্য। ফলে স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমাদের চিরচেনা শিল্পীদের জীবনের স্বাদহীনতার কষ্টগুলো লেহন করতে হয় হৃদয়ের প্রকোষ্ঠে। সেখানে তখন 'লাবডুব' শব্দ নয়, শোনা যায় একরাশ হাহাকারের প্রতিধ্বনি। শোনা যায় এক মুঠো ভাতের জন্য অমানুষিক লড়াইয়ের কাহিনি। শোনা যায় এক চুমুক ফ্যানের জন্য অভুক্ত শিশুর গোঙানি। শোনা যায় শুধু বেঁচে থাকার অব্যক্ত আর্তি। 
কিন্তু আমাদের চোখে ধরা পড়েনা ঐসব দালাল, ফড়ে, মহাজনদের মুখ। আমাদের কানে ঢোকেনা ঐসব সমাজবিরোধীর তকমাধারী বহুরূপী নেতানেত্রীদের হুহুঙ্কার। আমাদের মনে চেতনা জাগায়না স্বাধীনতার এত বছর পরেও যাঁরা এখনও স্বাদহীনতার যূপকাষ্ঠে নিত্যদিন পুড়ছে, তাঁদের অন্তরের ব্যথা নিরসনে সামান্য একটু বাড়িয়ে দেওয়া -- নিজের হাত!!
 
আসলে পরগাছার মতো থাকতে থাকতে স্বাধীনতার এত বছর পরেও বেঁচে থাকার স্বাদহীনতার জারক রসে ডোবানো এইসব শিল্পীরা আজ বোবা। বাউলের একতারা সুর তোলে। সেই সুর খিদের কথা বলে। কামারের হাতুড়ি রব তোলে। সেই রব বাঁচার কথা বলে। কবিয়ালের কন্ঠ বোল তোলে। সেই বোল লড়াইয়ের কথা বলে। কবির ভাষায় - "বাঁচান বাঁচি, মারেন মরি / বলো ভাই ধন্য হরি / ধন্য হরি ভাবের নাটে, ধন্য হরি রাজ্যপাটে / ধন্য হরি শ্মশানঘাটে, ধন্য হরি, ধন্য হরি / সুধা দিয়ে মাতান যখন ধন্য হরি, ধন্য হরি / ব্যথা দিয়ে কাঁদান যখন ধন্য হরি, ধন্য হরি / আত্মজনের কোলে বুকে ধন্য হরি, ধন্য হরি / ছাই দিয়ে সব ঘরের সুখে ধন্য হরি, ধন্য হরি"।

swadhinata pra

গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি



Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2598

‘‘জীবন কাটালেন কী রকম?’’–‘‘ভালো’’ ।। আশিস মিশ্র
Ashis Mishra || আশিস মিশ্র

  " জীবন কাটালেন কী রকম " " ভালো " " আপনার কোনো শত্রু ছিল? " " তারা আমাকে সৃষ্টিকাজ থেকে সরাতে পারে নি। " " আর খ্যাতি?" " কাজকে করে দিয়েছে কর্তব্য।" " আর আপনার বন্ধুরা? " " আমার কাছ থেকে চেয়েছে আরো কাজ।" " আর নারীরা?" " আমার…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2777

ছোলামুড়ি ।। অলক জানা
Alok Jana || অলক জানা

  ঝড় ভাইরাস মাটিকম্পন পেরিয়ে বরাবরের মতো খামতিহীন এবারও ভারতবর্ষে ১৫ আগস্ট চলেই এলো। মেঘ বৃষ্টির বেরসিক খলনায়কত্ব, উল্কাপাত মরশুম। এক কথায় সমস্ত রকম নেগেটিভ স্পর্শকাতর ইস্যুগুলো সামলে টিকে থাকতে হবে এটাই এখন বড় কথা। তবুও ভালো স্বাধীনতার আলো হাওয়ায় অন্তত…

Aug 13, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2296

হে আমার দেশ ।। অভিনন্দন মুখোপাধ্যায়
Avinandan Mukhopadhyay ।। অভিনন্দন মুখোপাধ্যায়

স্বাদ এবং সাধ, এই দুই এক অনন্য বন্ধুবৃত্তের দুই জোড়া। একের জন্য অন্যের মরিয়া হামদর্দি। অথচ বহুত্ত্বের ক্ষেত্রে এই দুইয়ের এক হওয়া হয়না, হয়নি। এ আমার দেশ - খিদের দেশ, দারিদ্রের দেশ, পরিযায়ী শ্রমিকের দেশ, দিনে অধিকাংশের ২০ টাকার নিচে আয়…

Aug 13, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 14712

তুলির টানে স্বাদ–হীন সময় ।। অঙ্কন মাইতি
Ankan ।। অঙ্কন

" প্রভু, আপনি সর্বজ্ঞপণ্ডিত, ভবিষ্যৎদ্রষ্টা।  জগৎটাকে পরিবর্তন করে সব কালিমা দূর করে দিন। আমিও আমার ছবি মুছে দেব।" মাইকেলেঞ্জেলোর এই স্বাধীনতার আর্তি হয়তো পথ দেখালো আগামী দিনের শিল্পীদের। আধুনিক চিত্রকলার স্বাধীন ভাবনার যুগ শুরু হলো ১৮১৯ সালে জাত,  ফরাসি শিল্পী গুস্তাভে…

Aug 13, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 3941

স্বাদহীন স্বাধীনতা ।। তৈমুর খান
Taimur Khan ।। তৈমুর খান

–আমরা কি স্বাধীন? –হ্যাঁ আমরা স্বাধীন। ১৯৪৭ সালের ১৫ই অগাস্ট আমরা স্বাধীনতা পাই। –ওটা স্বাধীনতা নয়, ক্ষমতা হস্তান্তর। ব্রিটিশরা ভারতকে ভাগ করে ক্ষমতা হস্তান্তর করে গেলেন মাত্র। আমরা একই শাসনের ভেতর পাল্টানো শাসককে পেলাম। ব্রিটিশ শাসকের বদলে এল ভারতীয় শাসক। –এতো অদ্ভুত কথা…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2707

স্বাদ হীনতার কথা ।। প্রিয়াঙ্কা
Priyanka ।। প্রিয়াঙ্কা

ডিভোর্স শব্দ টা আমি প্রথম শুনি আমার যখন ১০/১১ বছর  বয়স।   আমার বাড়ি অসমের বরাক ভ্যালির ছোট্ট একটা ডিস্ট্রিক্ট করিমগঞ্জে। একান্নবর্তী পরিবারে জন্ম। একদিন একজন মহিলা এলো, ওর বাবা বাড়ি বাড়ি দুধ বিক্রি করেন, তিনি নিজেই নিয়ে এসেছেন সেই মহিলা কে।…

Aug 10, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 3369

স্বাদহীনতার জীবন : উপভোগ্য এক নোতুন পৃথিবী ।। বিভাবসু
Bibhabosu ।। বিভাবসু

  স্বাদহীনতার জীবন : উপভোগ্য এক নোতুন পৃথিবী।। বিভাবসু  ।। এক ।। স্বাদহীনতার প্রসঙ্গে ঢুকে পড়ার আগে, হে আমার জিহ্বার দেবতা, হে আমার বোধের দেবতা, হে তৃপ্তির দেবতা, তোমাদের আমি আমার বিস্বাদ ও বিষাদগ্রস্থ জীবনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই। একসময়ে আমি তোমাদের…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1805

স্বাধীনতার স্বাদহীনতা ।। সুদেষ্ণা ঘটক অধিকারী
Sudesna Ghatak Adhikari ।। সুদেষ্ণা ঘটক অধিকারী

  স্বাদহীনতার কাহিনী বলতে গিয়ে আমার মতো, আমাদের মতো স্বাস্থ্য বিভাগের তৃণমূল স্তরের কিছু কর্মীর স্বাধীনতার স্বাদহীনতাকেই বেছে নিলাম। স্বাধীনতাও যে স্বাদহীন হয় স্বাধীনতার এতো বছর পরেও বা Covid-19 এর উপসর্গের মতো মাঝে মাঝেই তার মিষ্টি গন্ধটাও যে দম বন্ধ করা…

Aug 14, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1599

শিক্ষকের স্বাধীনতা–শিক্ষকের স্বাদহীনতা ।। শোভা ভট্টাচার্য্য
Shobha Bhattacharya ।। শোভা ভট্টাচার্য্য

মানুষের অন্তর্নিহিত পূর্ণতার বিকাশ সাধনের নাম শিক্ষা। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল জ্ঞানের বিকাশ। জ্ঞানের উন্মেষ না হলে চিত্তের বোধন হয় না। শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারেনা। সুশিক্ষিত লোকমাত্রেই স্বশিক্ষিত। তবুও কারও না কারও কাছ থেকে কিছু শিক্ষা তো নিতেই হয়।…

Aug 14, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 5877

স্বাদহীনতা অথবা স্বাধীনতা ।। সমর দেব
Samar Deb ।। সমর দেব

    স্বাধীনতা মানে তো নিজের অধীনতা। এই সরল বয়ানে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক এই যে, মানুষ কী সত্যিই নিজের অধীনে ছিল কোনোকালেই? অথবা, মনীষী বাক্য, মানুষ  স্বাধীন হয়েই জন্মায় এবং পরে সে পরাধীনতার বশীভূত হয়। সেটাও পুরোপুরি ঠিক নয় বোধহয়। জন্মমুহূর্তেই শুরু…

Aug 7, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1731

জল জঙ্গল জমিন / হড় মিতানের ঋণ ।। গৌতম মাহাত
Gautam Mahata ।। গৌতম মাহাত

    দীর্ঘ স্বাধীনোত্তর সময়ের পরেও অন্ধকার থেকে অন্ধকারে থেকে গ্যাছে জঙ্গলমহল তথা আদিবাসী সমাজ। তাদের থেকে হস্তান্তর হয়েছে জল জঙ্গল জমিনের অধিকার। দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু সেই অনন্ত আলোর ছোঁয়া পৌঁছতে পারেনি যার বা যাদের সমাজের চৌকাঠে তারা আদিবাসী।         যাদের…

Aug 14, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 14538

স্বাধীন লেখা এবং স্বাদহীন লেখা ।। বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়
Biplab Gangopadhyay ।। বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়

স্বাধীন লেখা এবং স্বাদহীন লেখা। এরকম দুটি শিবির আমরা কল্পনা করতে পারি অনায়াসে । কল্পনা নয়, বাস্তবেও আমরা দেখি একধরণের লেখার অক্ষরে কোথাও বন্দিত্বের দাগ নেই। ঋজু টানটান শিরদাঁড়া। শব্দের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে অপরিসীম তেজ। আবার কিছু লেখা থাকে…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2085

ভয় ।। অর্পিতা আচার্য
Arpita Acharya ।। অর্পিতা আচার্য

   "যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সেই কেড়েছে ভয় আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয় " আমি সন্দীপা। আসামের শিলচরে থাকি। এই ভারতবর্ষেরই একটা ছোট্ট নগর --ঝাঁ চকচকে শহরের তুলনায় একটা দেহাতি জনপদ, কিছু পাহাড় টিলা আর বাংলাভাষায় কথা বলা কয়েকটা মানুষ। এতো সাধারণ একটা শহর…

Aug 13, 2020
আরও পড়ুন
«
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
»

গল্প: স্বাদহীনতার কাহানি



Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 13766

শোধ ।। ওবায়দুল বারী
Obaidul Bari ।। ওবায়দুল বারী

  নূরীর মন টা আজ বেশ কিছুদিন ধরেই অজানা আশঙ্কায় ভর করে আছে। কোনো কিছুতেই মন বসাতে পারছে না। সেয়ানা মেয়ে ঘরে রাখা ঠিক হবেনা ভেবে, সেই যে বাবা বিয়ে দিয়ে দিল... সেজন্যে তো মন খারাপ হয়েই ছিল। শুধু শফিকের একটা…

Aug 5, 2020
Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 13748

শিশুর স্বাধীনতা– শিশুর অধিকার ।। সহদেব প্রধান
Sahadev Pradhan ।। সহদেব প্রধান

এক. সিংহাসনে সাদা চামড়ার বদলে বাদামি চামড়ার বসাটা স্বাধীনতা নয়। স্বাধীনতা হলো মানুষের কিছু মৌলিক অধিকার পূরণ। শিশুদের ক্ষেত্রেও এই কথা প্রযোজ্য। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ১৮ বছর বয়সের নীচে সবাই শিশু। জীবন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নিরাপত্তা, বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশের অধিকারগুলি শিশুর মৌলিক…

Aug 11, 2020
Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 4029

আজ স্বাধীনতা দিবস ।। অ্যাঞ্জেলিকা ভট্টাচার্য
Anjelika Bhattacharjee ।। অ্যাঞ্জেলিকা ভট্টাচার্য

    পাশের বাড়ির টিয়াটা সারাদিন ডেকে চলেছে।মিনতি একমনে বারান্দার গ্রিল মুছতে থাকে । টিয়ার ডাকে  একবার করে পাশের বাড়ির পোলুদের বারান্দার দিকে চোখ চলে যায়। খাঁচাটা বেশ বড় , তারমধ্যে আবার দোলনা আছে। চারদিন হল টিয়াটা এই শহরে এসেছে। পোলুর মামাবাড়ি…

Aug 5, 2020
Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2240

রবিবাসরীয়র জন্য গল্প ।। শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তী
Suddhendu Chakraborty ।। শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তী

ডোরবেল বাজাবার সময়  অনীক ভেবেছিল একটা রূপকথার পরি দরজাটা খুলে দেবে। কী যেন নাম বলেছিল ফেসবুকে? নির্ঘাত জালি নাম। আজকাল ওইসবই তো চলে। ও হ্যাঁ । মনে পড়েছে। কুয়াশা।              অথচ যে মেয়েটা অনীককে চমকে দিয়ে…

Aug 10, 2020
আরও পড়ুন

প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি



Card image




প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 15817

স্বাধীনতার এত বছর পরেও লোকশিল্পীদের স্বাদহীনতার কাহিনী ।। ভাস্করব্রত পতি
Bhaskarbrata Pati ।। ভাস্করব্রত পতি

"বিটির বিঁহা দিব কেমনে / আমার ঘুম ধরেনা নয়নে / এমনি মুগের রীতিনীতি / পণ ছাড়া বিকায় না / বিটির বিঁহা দিব কেমনে" -- এভাবেই টুসুগানে আমাদের সমাজের আঁধার কাহিনীর সুর তোলে। এ কান্না শিল্পীদের জীবনেও। কান্নার আওয়াজে দেওয়াল কাঁপে।…

Aug 11, 2020
Card image




প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 16065

বিস্মৃতির ধুলায় মলিন ঘাটাল মহকুমার স্বদেশী আন্দোলন ।। দেবাশিস কুইল্যা
Debasish Kuila ।। দেবাশিস কুইল্যা

  বিস্মৃতির ধুলায় মলিন ঘাটাল মহকুমার স্বদেশী আন্দোলন                  দেবাশিস কুইল্যা       ঘাটাল ; পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উত্তর পূর্বে অবস্থিত আয়তনে ৯৫২.২৮ বর্গ কিমি ১৮৭৬ খ্রীষ্টাব্দে স্বতন্ত্র মহকুমার স্বীকৃতি পায় । এই মহকুমার প্রাচীন ইতিহাসের…

Aug 5, 2020
Card image




প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1975

নারী স্বাধীনতা ।। রোশেনারা খান
Roshenara Khan ।। রোশেনারা খান

  স্বাধীনতা বলতে কী বোঝায় ? এর উত্তর  বা সংজ্ঞা সমাজের বিভিন্ন  শ্রেণির নারী-পুরুষের কাছে বিভিন্ন রকম। আসলে বহু যুগ ধরে পুরুষ ও পুরুষ-তান্ত্রিক  সমাজব্যবস্থায় ধর্মের নামে নারীকে  সামাজিক রীতি-নিয়মের বেড়াজালে  আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে গৃহবন্দি করে রাখার পক্ষপাতদুষ্ট রেওয়াজ চলে আসছে। নারীকে…

Aug 10, 2020
আরও পড়ুন

স্বাদহীনতার কাহানি - সংখ্যায় প্রকাশিত লেখা সমূহ



একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...