শোধ ।। ওবায়দুল বারী
 swadhinota
নূরীর মন টা আজ বেশ কিছুদিন ধরেই অজানা আশঙ্কায় ভর করে আছে। কোনো কিছুতেই মন বসাতে পারছে না। সেয়ানা মেয়ে ঘরে রাখা ঠিক হবেনা ভেবে, সেই যে বাবা বিয়ে দিয়ে দিল... সেজন্যে তো মন খারাপ হয়েই ছিল। শুধু শফিকের একটা দেড় রুমের পাকা বাড়ী আছে, এটাই কি মেয়ের উপযুক্ত পাত্র হওয়ার যোগ্যতা হলো? ছেলে কি আয় রোজগার করে তা দেখতে হবে না? মা' কিছু বলতে আসলেই বলতো...'শোনো... নূরীর মা, সেয়ানা মেয়ে ঘরে রাখা ঠিক না। গঞ্জে মেলেটারী আইছে, হ্যারা নাকি মাইয়াদের ধইরা লইয়া যায়। এখন বিয়া দিলে, জামাই ই দেইখা রাখবো। আমগো আর চিন্তা করন লাগবো না।’ এই করেই বিশেই নূরীর বিয়েটা হয়ে গেল। ঠিক একাত্তরেই এপ্রিলেই
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল।
নূরীর বিয়ে নিয়ে নিজের কোনো অলীক স্বপ্ন ছিল না। ক্লাস সিক্স পাশ করার পর বাবা আর পড়ায় নি। তাই তার মধ্যে আকাশ কুসুম কোন স্বপ্নও তেমন কিছু ছিলনা।
বিয়ের ক'দিনের মধ্যেই নূরী কিছু কিছু বুঝতে শিখলো, যে শফিক কিছুই করে না, ভাদাইম্যা টাইপের। সারাদিন কিছু কাজ করে না। দুপুরে একবেলা পেট পুরে খাবার জোটে, তো রাতে আধপেটা। দুটোর বেশী শাড়ি নূরী কখনো দ্যাখে নি। ভাগ্যিস, বাড়ীর চারপাশে কিছু গাছ গাছালি শাকসবজি লাগিয়ে ছিল। তাই বেচাকেনা করে, রান্না বান্না করে দিন যাচ্ছিল। তবে শফিকের মধ্যে তার বৌ কে ভালোবাসার কমতি ছিলনা। একটা ভয় তার মধ্যে ছিল যে, তার ফর্সা সুন্দরী বৌ যেন অন্য কারো চোখে না পড়ে যায়। দিনের মধ্যে দু তিনবার এসে বৌকে জড়িয়ে না ধরলে শান্তি পেত না। বাপের সংসারেও এমন অভাব ছিল বলে, এই অসচ্ছলতা বিয়ের তিন চার মাসের মধ্যেই নূরী গা সওয়া হয়ে গেল।
নূরীর অস্বস্তির শুরুটা প্রায় হঠাৎ করেই। যে খানে সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকে, সেখানে কোথা থেকে এক সুখ পাখী উড়ে এসে বসলো, নূরী ধন্দে পড়ে গেল। চাল ডাল তেল মুরগী আসছে, খানা পিনা বেড়ে গেছে। মাঝে কোথা থেকে একদিন একটা ছাগল এলো, বাঁধা থাকলো খুঁটির সঙ্গে। বেশ মোটাসোটা , তেল চকচকে শরীর। দুদিন বাঁধা থাকলো, আবার একদিন চলেও গেল। বিকেলে কেজি দুয়েক মাংস দিয়ে গেল শফিক। বললো...‘ভালো করে রাধিস বৌ...রাতে মজা করে খাবো।’  নূরী দু' কেজি মাংস একসঙ্গে জীবনেও দেখেনি। রাঁধে বটে, কিন্ত মন টা খচ খচ করে। এতো সব আসছে কোত্থেকে ? কি এমন আয় বেড়ে গেলো শফিকের? কিন্তু, কোনো উত্তর খুঁজে পায় না।
এদিকে গঞ্জের মিলিটারি দের সঙ্গে নদীর দিকে নাকি মুক্তিবাহিনীর ছেলেদের যুদ্ধ হয়েছে। দুপক্ষেই নাকি বেশ কিছু মারা পড়েছে। রাতে মাঝে মধ্যে দূর থেকে গুলীর শব্দ ভেসে আসে কানে। স্বামীর কোলের মধ্যে ভয়ে জড়সড় হয়ে থাকে নূরী।
একদিন সাহস করে জিজ্ঞেসই করে ফেললো শফিক কে...‘আচ্ছা... তুমি এসব কোথাও পাও? আগে তো এত সব দেখি নাই। আমার জন্য শাড়ী পাইলা কই...এত খাওন দাওনই বা আসে কোত্থেই কা...?’
শফিক গাল চুলকিয়ে, আমতা আমতা করে বলে...‘আরে গিরামের শান্তি ঠিক রাখোন লাগবোনা? ছাওয়াল পাওয়াল মুক্তি গো'র দলে যাইতেছে, সে গুলান ঠেকান লাগবো না? মুরুব্বিরা আছেনা ? তারাই এই সব দেয়। বেতন তো আর দেয় না, জিনিষপত্র দিয়া বেতন দেয়। তুমি এইসব নিয়া মাথা ঘামাইওনা, কাউরে কিছু বলবাও না। চুপ থাকো। দেহ না, আমি রাতে গিরাম পাহারা দিবার লাগি মাঝ রাইতে বাইত থন বাইর হই...!’
নূরী চুপ করে শোনে। মাঝে মাঝে কানে আসে, তার স্বামী শান্তি কমিটির মেম্বার হইছে। গেরামে এখন অনেক ইজ্জত শফিকের। সঙ্গে আরো খারাপ কথাও কানে আসে। ইসা মণ্ডলের সুন্দরী মেয়েটারে নাকি একদিন গঞ্জে নেবার জন্য মণ্ডলরে বহু টাকা দিয়ে সেধেছে। কিছু মুরুব্বী টাইপের কিছু লোকের বাধার জন্য পারে নি। নূরী ভেবে পায়না, গ্রামের শান্তি রক্ষার জন্য, মেয়েদের গঞ্জের মিলিটারীদের কাছে যেতে হবে কেন? মিলিটারীরা নাকি মেয়ে পেলে খুশী হয়। নূরী হাজার হলেও নারী, আস্তে আস্তে সবই বুঝতে পারে।
একদিন শফিক কে সাহস করে জিজ্ঞাসাই করে বসলো...‘তুমিতো কুনোদিন কুনো মাইয়ার দিক চক্ষু তুলেও তাকাও নি...কিন্তু এসব কি হুনতাছি,...তুমি নাকি গঞ্জে মেলেটারী দের সঙ্গে মেশো? গত বুধবার গাছতলায় থাকা অল্প বয়েসী খোদেজা পাগলীরে নাকি গঞ্জের মেলেটারী গো কাছে নিয়া গেছো? কি করছ তারে নিয়া? সে আর ফির‍্যা আহে না ক্যা...সত্যি কইরা কও...!’
শফিক জবাব দেয়না। কাচুমাচু করে অন্যদিকে তাকিয়ে থাকে। আস্তে আস্তে, নূরী সব বুঝতে শিখে ফেলে। সারাদিন শুধু কাঁদে। মানুষের মুখেও সব শোনে। চোখের পানি ছাড়া তার এ দুঃখে আর কেউ সঙ্গী নেই।
দিন দিন গ্রামের পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে।মিলিটারীরা গঞ্জের ক্যাম্প থেকে তেমন একটা বেরোয়না। কারন মুক্তিরা নাকি অনেকগুলোকে মেরে ফেলেছে। এই গ্রাম থেকেও কয়েকজন ছেলে নাকি মুক্তিবাহিনীতে তে যোগ দিয়েছে। যাদের ছেলেরা মুক্তি বাহিনীতে যোগ দিয়েছে, তাদের বাবা মার উপর অবর্ণনীয় অত্যাচার হয়েছে, ঘরের টিন খুলে নিয়ে গেছে, গরুছাগল নিয়ে গেছে। মুরুব্বীদের পরামর্শে এসব বাড়ীর বৌ ঝিদের অন্য কোথাও পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। নূরী সব খবরই পায়। যখন শোনে সব কিছুর সঙ্গে তার স্বামী শফিকের নাম আসে, তখন তার আর মুখে অন্ন রোচেনা। শুধু কেঁদে চলে। এদিকে আজকাল নূরীর শরীরও ভাল যাচ্ছেনা। সারাদিন বমি করে আর ওয়াক টানে। নূরীর বুঝতে কিছু বাকী থাকেনা। এক একবার ভাবে যদি ওটা নষ্ট হয়ে যেত, তাহলে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করতো। পাপীর সন্তান পেটে রাখতে সে চায়না।
নভেম্বরের দিকে এলো সেই কালসন্ধ্যা। বাড়ীর লাগোয়া ঘন পাটক্ষেত। শফিক একটা ডুরে শাড়ী পরা অল্পবয়সী মেয়েকে টেনে হিঁচড়ে ঘরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে শিকল টেনে দেয়। হতবিহ্বল নূরী জিজ্ঞাসা করে...‘এইডা কে,...
হ্যারে ক্যান বাসায় আনল?’  শফিক আমতা আমতা করে বলে...‘আর জাগা পাইলাম না...সব খানে চিল্লাচিল্লির শব্দ বাইরে যাইতে পারে...এইডা বিল্ডিং.... শব্দ হইলেও বাইরে যাইবোনা...রেজাকার কমান্ডার সাব রে খুশী করন লাগবো।....আমি অহন যাইতাছি...আরেকটু রাত হইলে উনি আইবো....
তুমি শুধু কমান্ডার সাবরে ঘরে ঢুকাইয়া দিবা....যা কই তাই করবা’...বলে হনহন করে বেরিয়ে যায়...! নূরী শুধু চেঁচিয়ে বলতে পারে..‘তুমি এই পাপের কাজ আমগো বাইত করবা? হে আল্লাহ !’  শফিক চেঁচিয়ে বলে...
‘অন্য কিছু করলে তোরে বটি দিয়া দুই টুকরা কইরা ফালামু, হারামজাদী।’
নূরী দাওয়ার উপর আছড়ে পড়ে অঝোরে কাঁদতে থাকে।
সন্ধ্যা হওয়ার আগে আগে নূরী শিকল খুলে সন্তর্পণে ঘরে ঢোকে হ্যারিকেন নিয়ে। ঘরে ঢুকতেই  একটা চৌদ্দ পনেরো বছরের  মেয়ে নূরীর কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কেঁদে কেঁদে চোখ লাল। বলে...‘আপনি আমার মা, আমি আপনের মেয়ের লাহান...আমার ইজ্জত বাঁচান,...তিনদিন পর আমারে বরপক্ষ দেখতে আইবো...মা গো...আপনে আমারে বাঁচান। আমার এই ক্ষতি আপনেরা কইরেন না।’  নূরীও কাঁদছে। একটু পরে নিজের চোখ মুছে ফেলে.....হ্যারিকেন তুলে বলে...‘তুই গঙ্গাকাকার মাইয়া শিউলী না?...তোরে ধইরা আনছে হারামী ডায় ? হায় আল্লাহ...আমি কীভাবে তোর এহোন বাঁচাই...!’
পরক্ষণেই মন স্থির করে নেয় নূরী। কিছু গুড় চিড়ামুড়ি বাঁধে এক বড় পোটলায়। এতদিনের জমানো ভর্তি মাটির ব্যাংক এক আছাড়ে ভেঙে সব যা ছিল তাও এক পোটলায় বাঁধে। শিউলীকে বুকে জড়িয়ে ধরে আবার কেঁদে ফেলে নূরী। বলে.....‘মা' যখন ডাকছস... তোর কিচ্ছু হইবোনা, নিশ্চিন্ত থাক। এই গুলা নিয়া অক্ষনই বাইত গিয়া, তালা দিয়া গঙ্গা কাকারে নিয়া দূরে কোথাও যাবি গা। দ্যাশ স্বাধীন হইলে ফিরবি, যা....ভাগ ! দৌড় দে...যা জলদি কর।’ পাটক্ষেত দিয়ে বের করে দেয় শিউলীকে। যতদুর পাটক্ষেত নড়াচড়া করে ততক্ষণ দাঁড়িয়ে পাহারা দেয় নূরী। আবার চোখ মুছে আল্লাহর 
শুকরিয়া আদায় করে।
সন্ধ্যার পরে শফিক রাজাকার কমান্ডার কে নিয়ে আসে। কম্যান্ডারের কাঁধে কালো রাইফেল।
শফিক দূরে দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে বলে.....‘আমি গঞ্জে যাইতাছি। মেলেটারী স্যার খবর দিছে...আইতে রাইত অইবো.....কমান্ডার স্যারের যেন কোন অযত্ন য্যান না হয় দেহিস.....!’  বলেই দৌড়ে চলে যায় শফিক।
নূরীর মধ্যে কোনো ভাবান্তর নেই। বাড়ী পুরাই অন্ধকার। কমাণ্ডার দহলিজ ঘর ছাড়া কিছুই দ্যাখেনি। নূরী অন্ধকারের মধ্যে আস্তে করে দরজা খুলে ঘরে যেয়ে খাটে শুয়ে থাকে। রাজাকার কমান্ডার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল। নুরীর অভ্যস্ত শরীরে কিছুই হলোনা। শুধু মিনিট পাচেক দাঁত কামড়ে পাশবিক খামচা-খামচি সহ্য করে রইলো। খানিকপর কমান্ডার, ঘরের কোনা থেকে রাইফেল তুলে প্যান্ট পরে চলে গেল। সে চলে গেলে নূরী মাটি থেকে শাড়ী ব্লাউজ পেটিকোট কুড়িয়ে নিয়ে সাবান আর ধুন্দলের গা ঘষা খোসা নিয়ে নির্বিকার ভাবে পুকুর ঘাটের দিকে চললো। তার গা ঘিন ঘিন করছে। কিন্তু, কী আশ্চর্য মনে কোনো পাপ বোধই হচ্ছে না। কচি মেয়ে শিউলীর বুকফাটা আর্তনাদ যে শুনতে হয়নি, সেই তার পরম ভাগ্য। 
 
একবার ভেবেছিলো পাশের আমড়া গাছের ডালে গলায় দড়ি দিয়ে মরে। কিন্তু পেটের টার কথা মনে পড়লো, তার তো আর কোনো দোষ নেই । আবার ভাবলো...না....দিন এমন থাকবেনা, দেশ স্বাধীন হবেই। স্বাধীন দেশ কে, স্বাধীন জাতিকে, সবাই কে এ ঘটনা বলে যেতে হবে, জানাতে হবে। অন্ততপক্ষে, শফিক কে তো বটেই। সে অন্তত জানুক তার পাপের প্রায়শ্চিত্ত নূরী কিভাবে করেছে। তার পাপের বিচার হোক বা না হোক, স্বামীর পাপের তো শোধ নেয়া হলো। যতদিন শফিক বেঁচে থাকবে, ততদিনই সে এই শোধের সাক্ষী হয়ে থাকুক। অনেকদিন পর নূরীর আজ নিজেকে খুব হাল্কা বোধ হচ্ছে।।

swadhinata pra

গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি



Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 14521

স্বাধীন লেখা এবং স্বাদহীন লেখা ।। বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়
Biplab Gangopadhyay ।। বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়

স্বাধীন লেখা এবং স্বাদহীন লেখা। এরকম দুটি শিবির আমরা কল্পনা করতে পারি অনায়াসে । কল্পনা নয়, বাস্তবেও আমরা দেখি একধরণের লেখার অক্ষরে কোথাও বন্দিত্বের দাগ নেই। ঋজু টানটান শিরদাঁড়া। শব্দের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে অপরিসীম তেজ। আবার কিছু লেখা থাকে…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2293

হে আমার দেশ ।। অভিনন্দন মুখোপাধ্যায়
Avinandan Mukhopadhyay ।। অভিনন্দন মুখোপাধ্যায়

স্বাদ এবং সাধ, এই দুই এক অনন্য বন্ধুবৃত্তের দুই জোড়া। একের জন্য অন্যের মরিয়া হামদর্দি। অথচ বহুত্ত্বের ক্ষেত্রে এই দুইয়ের এক হওয়া হয়না, হয়নি। এ আমার দেশ - খিদের দেশ, দারিদ্রের দেশ, পরিযায়ী শ্রমিকের দেশ, দিনে অধিকাংশের ২০ টাকার নিচে আয়…

Aug 13, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1729

জল জঙ্গল জমিন / হড় মিতানের ঋণ ।। গৌতম মাহাত
Gautam Mahata ।। গৌতম মাহাত

    দীর্ঘ স্বাধীনোত্তর সময়ের পরেও অন্ধকার থেকে অন্ধকারে থেকে গ্যাছে জঙ্গলমহল তথা আদিবাসী সমাজ। তাদের থেকে হস্তান্তর হয়েছে জল জঙ্গল জমিনের অধিকার। দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু সেই অনন্ত আলোর ছোঁয়া পৌঁছতে পারেনি যার বা যাদের সমাজের চৌকাঠে তারা আদিবাসী।         যাদের…

Aug 14, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1803

স্বাধীনতার স্বাদহীনতা ।। সুদেষ্ণা ঘটক অধিকারী
Sudesna Ghatak Adhikari ।। সুদেষ্ণা ঘটক অধিকারী

  স্বাদহীনতার কাহিনী বলতে গিয়ে আমার মতো, আমাদের মতো স্বাস্থ্য বিভাগের তৃণমূল স্তরের কিছু কর্মীর স্বাধীনতার স্বাদহীনতাকেই বেছে নিলাম। স্বাধীনতাও যে স্বাদহীন হয় স্বাধীনতার এতো বছর পরেও বা Covid-19 এর উপসর্গের মতো মাঝে মাঝেই তার মিষ্টি গন্ধটাও যে দম বন্ধ করা…

Aug 14, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2773

ছোলামুড়ি ।। অলক জানা
Alok Jana || অলক জানা

  ঝড় ভাইরাস মাটিকম্পন পেরিয়ে বরাবরের মতো খামতিহীন এবারও ভারতবর্ষে ১৫ আগস্ট চলেই এলো। মেঘ বৃষ্টির বেরসিক খলনায়কত্ব, উল্কাপাত মরশুম। এক কথায় সমস্ত রকম নেগেটিভ স্পর্শকাতর ইস্যুগুলো সামলে টিকে থাকতে হবে এটাই এখন বড় কথা। তবুও ভালো স্বাধীনতার আলো হাওয়ায় অন্তত…

Aug 13, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1599

শিক্ষকের স্বাধীনতা–শিক্ষকের স্বাদহীনতা ।। শোভা ভট্টাচার্য্য
Shobha Bhattacharya ।। শোভা ভট্টাচার্য্য

মানুষের অন্তর্নিহিত পূর্ণতার বিকাশ সাধনের নাম শিক্ষা। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল জ্ঞানের বিকাশ। জ্ঞানের উন্মেষ না হলে চিত্তের বোধন হয় না। শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারেনা। সুশিক্ষিত লোকমাত্রেই স্বশিক্ষিত। তবুও কারও না কারও কাছ থেকে কিছু শিক্ষা তো নিতেই হয়।…

Aug 14, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 5872

স্বাদহীনতা অথবা স্বাধীনতা ।। সমর দেব
Samar Deb ।। সমর দেব

    স্বাধীনতা মানে তো নিজের অধীনতা। এই সরল বয়ানে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক এই যে, মানুষ কী সত্যিই নিজের অধীনে ছিল কোনোকালেই? অথবা, মনীষী বাক্য, মানুষ  স্বাধীন হয়েই জন্মায় এবং পরে সে পরাধীনতার বশীভূত হয়। সেটাও পুরোপুরি ঠিক নয় বোধহয়। জন্মমুহূর্তেই শুরু…

Aug 7, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2703

স্বাদ হীনতার কথা ।। প্রিয়াঙ্কা
Priyanka ।। প্রিয়াঙ্কা

ডিভোর্স শব্দ টা আমি প্রথম শুনি আমার যখন ১০/১১ বছর  বয়স।   আমার বাড়ি অসমের বরাক ভ্যালির ছোট্ট একটা ডিস্ট্রিক্ট করিমগঞ্জে। একান্নবর্তী পরিবারে জন্ম। একদিন একজন মহিলা এলো, ওর বাবা বাড়ি বাড়ি দুধ বিক্রি করেন, তিনি নিজেই নিয়ে এসেছেন সেই মহিলা কে।…

Aug 10, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2593

‘‘জীবন কাটালেন কী রকম?’’–‘‘ভালো’’ ।। আশিস মিশ্র
Ashis Mishra || আশিস মিশ্র

  " জীবন কাটালেন কী রকম " " ভালো " " আপনার কোনো শত্রু ছিল? " " তারা আমাকে সৃষ্টিকাজ থেকে সরাতে পারে নি। " " আর খ্যাতি?" " কাজকে করে দিয়েছে কর্তব্য।" " আর আপনার বন্ধুরা? " " আমার কাছ থেকে চেয়েছে আরো কাজ।" " আর নারীরা?" " আমার…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 3936

স্বাদহীন স্বাধীনতা ।। তৈমুর খান
Taimur Khan ।। তৈমুর খান

–আমরা কি স্বাধীন? –হ্যাঁ আমরা স্বাধীন। ১৯৪৭ সালের ১৫ই অগাস্ট আমরা স্বাধীনতা পাই। –ওটা স্বাধীনতা নয়, ক্ষমতা হস্তান্তর। ব্রিটিশরা ভারতকে ভাগ করে ক্ষমতা হস্তান্তর করে গেলেন মাত্র। আমরা একই শাসনের ভেতর পাল্টানো শাসককে পেলাম। ব্রিটিশ শাসকের বদলে এল ভারতীয় শাসক। –এতো অদ্ভুত কথা…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2085

ভয় ।। অর্পিতা আচার্য
Arpita Acharya ।। অর্পিতা আচার্য

   "যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সেই কেড়েছে ভয় আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয় " আমি সন্দীপা। আসামের শিলচরে থাকি। এই ভারতবর্ষেরই একটা ছোট্ট নগর --ঝাঁ চকচকে শহরের তুলনায় একটা দেহাতি জনপদ, কিছু পাহাড় টিলা আর বাংলাভাষায় কথা বলা কয়েকটা মানুষ। এতো সাধারণ একটা শহর…

Aug 13, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 14696

তুলির টানে স্বাদ–হীন সময় ।। অঙ্কন মাইতি
Ankan ।। অঙ্কন

" প্রভু, আপনি সর্বজ্ঞপণ্ডিত, ভবিষ্যৎদ্রষ্টা।  জগৎটাকে পরিবর্তন করে সব কালিমা দূর করে দিন। আমিও আমার ছবি মুছে দেব।" মাইকেলেঞ্জেলোর এই স্বাধীনতার আর্তি হয়তো পথ দেখালো আগামী দিনের শিল্পীদের। আধুনিক চিত্রকলার স্বাধীন ভাবনার যুগ শুরু হলো ১৮১৯ সালে জাত,  ফরাসি শিল্পী গুস্তাভে…

Aug 13, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 3369

স্বাদহীনতার জীবন : উপভোগ্য এক নোতুন পৃথিবী ।। বিভাবসু
Bibhabosu ।। বিভাবসু

  স্বাদহীনতার জীবন : উপভোগ্য এক নোতুন পৃথিবী।। বিভাবসু  ।। এক ।। স্বাদহীনতার প্রসঙ্গে ঢুকে পড়ার আগে, হে আমার জিহ্বার দেবতা, হে আমার বোধের দেবতা, হে তৃপ্তির দেবতা, তোমাদের আমি আমার বিস্বাদ ও বিষাদগ্রস্থ জীবনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই। একসময়ে আমি তোমাদের…

Aug 5, 2020
আরও পড়ুন
«
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
»

গল্প: স্বাদহীনতার কাহানি



Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 4024

আজ স্বাধীনতা দিবস ।। অ্যাঞ্জেলিকা ভট্টাচার্য
Anjelika Bhattacharjee ।। অ্যাঞ্জেলিকা ভট্টাচার্য

    পাশের বাড়ির টিয়াটা সারাদিন ডেকে চলেছে।মিনতি একমনে বারান্দার গ্রিল মুছতে থাকে । টিয়ার ডাকে  একবার করে পাশের বাড়ির পোলুদের বারান্দার দিকে চোখ চলে যায়। খাঁচাটা বেশ বড় , তারমধ্যে আবার দোলনা আছে। চারদিন হল টিয়াটা এই শহরে এসেছে। পোলুর মামাবাড়ি…

Aug 5, 2020
Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 13748

শোধ ।। ওবায়দুল বারী
Obaidul Bari ।। ওবায়দুল বারী

  নূরীর মন টা আজ বেশ কিছুদিন ধরেই অজানা আশঙ্কায় ভর করে আছে। কোনো কিছুতেই মন বসাতে পারছে না। সেয়ানা মেয়ে ঘরে রাখা ঠিক হবেনা ভেবে, সেই যে বাবা বিয়ে দিয়ে দিল... সেজন্যে তো মন খারাপ হয়েই ছিল। শুধু শফিকের একটা…

Aug 5, 2020
Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 13723

শিশুর স্বাধীনতা– শিশুর অধিকার ।। সহদেব প্রধান
Sahadev Pradhan ।। সহদেব প্রধান

এক. সিংহাসনে সাদা চামড়ার বদলে বাদামি চামড়ার বসাটা স্বাধীনতা নয়। স্বাধীনতা হলো মানুষের কিছু মৌলিক অধিকার পূরণ। শিশুদের ক্ষেত্রেও এই কথা প্রযোজ্য। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ১৮ বছর বয়সের নীচে সবাই শিশু। জীবন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নিরাপত্তা, বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশের অধিকারগুলি শিশুর মৌলিক…

Aug 11, 2020
Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2238

রবিবাসরীয়র জন্য গল্প ।। শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তী
Suddhendu Chakraborty ।। শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তী

ডোরবেল বাজাবার সময়  অনীক ভেবেছিল একটা রূপকথার পরি দরজাটা খুলে দেবে। কী যেন নাম বলেছিল ফেসবুকে? নির্ঘাত জালি নাম। আজকাল ওইসবই তো চলে। ও হ্যাঁ । মনে পড়েছে। কুয়াশা।              অথচ যে মেয়েটা অনীককে চমকে দিয়ে…

Aug 10, 2020
আরও পড়ুন

প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি



Card image




প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 16050

বিস্মৃতির ধুলায় মলিন ঘাটাল মহকুমার স্বদেশী আন্দোলন ।। দেবাশিস কুইল্যা
Debasish Kuila ।। দেবাশিস কুইল্যা

  বিস্মৃতির ধুলায় মলিন ঘাটাল মহকুমার স্বদেশী আন্দোলন                  দেবাশিস কুইল্যা       ঘাটাল ; পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উত্তর পূর্বে অবস্থিত আয়তনে ৯৫২.২৮ বর্গ কিমি ১৮৭৬ খ্রীষ্টাব্দে স্বতন্ত্র মহকুমার স্বীকৃতি পায় । এই মহকুমার প্রাচীন ইতিহাসের…

Aug 5, 2020
Card image




প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1973

নারী স্বাধীনতা ।। রোশেনারা খান
Roshenara Khan ।। রোশেনারা খান

  স্বাধীনতা বলতে কী বোঝায় ? এর উত্তর  বা সংজ্ঞা সমাজের বিভিন্ন  শ্রেণির নারী-পুরুষের কাছে বিভিন্ন রকম। আসলে বহু যুগ ধরে পুরুষ ও পুরুষ-তান্ত্রিক  সমাজব্যবস্থায় ধর্মের নামে নারীকে  সামাজিক রীতি-নিয়মের বেড়াজালে  আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে গৃহবন্দি করে রাখার পক্ষপাতদুষ্ট রেওয়াজ চলে আসছে। নারীকে…

Aug 10, 2020
Card image




প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 15800

স্বাধীনতার এত বছর পরেও লোকশিল্পীদের স্বাদহীনতার কাহিনী ।। ভাস্করব্রত পতি
Bhaskarbrata Pati ।। ভাস্করব্রত পতি

"বিটির বিঁহা দিব কেমনে / আমার ঘুম ধরেনা নয়নে / এমনি মুগের রীতিনীতি / পণ ছাড়া বিকায় না / বিটির বিঁহা দিব কেমনে" -- এভাবেই টুসুগানে আমাদের সমাজের আঁধার কাহিনীর সুর তোলে। এ কান্না শিল্পীদের জীবনেও। কান্নার আওয়াজে দেওয়াল কাঁপে।…

Aug 11, 2020
আরও পড়ুন

স্বাদহীনতার কাহানি - সংখ্যায় প্রকাশিত লেখা সমূহ



একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...