এক স্বপ্নদর্শী শিক্ষক ।। শ্রীজিৎ জানা

 

 apj abdulkalam
তপোবনকেন্দ্রিক ভারতবর্ষীয় জ্ঞানচর্চার ঐতিহ্যধারায় তরুচ্ছায়াতলে আচার্য - শিষ্য সুমধুর পরম্পরায় শিক্ষাগ্রহণ সম্পন্ন হত। 'গু' তথা অন্ধকার থেকে ' রু' তথা আলোর দিশা দেখাতেন গুরু। দুচোখের পাতায় এঁকে দিতেন জ্ঞানাঞ্জন। শিষ্যের নিকট  তখন গুরু পিতা, গুরু মাতা, গুরু দেব ভবঃ। আর শিষ্যের -"তদ্বিদ্ধি প্রণিপাতেন পরিপ্রশ্নেন সেবয়া"-র মাধ্যমে অনুগত চিত্তে বিদ্যাগ্রহণ। কালচক্রে এমন মহান ঐতিহ্যবাহী, সশ্রদ্ধ, মধুর সম্পর্কের গায়ে দাগ লাগছে। দূরদর্শনের ব্রেকিং নিউজ, ছাপা দৈনিক, বাজার,  চা দোকান, অভিভাবক তর্জনী  উঁচিয়ে শাসিয়ে বলছেন- "  আপনি কিন্তু কিছুই দেখেননি মাস্টারমশাই"। সেবা আর পেশার ফারাক বুঝতে অক্ষম একাংশের দোষে কালিমালিপ্ত শিক্ষককুল। তথাপি বুনো রামনাথ, রাধাকৃষ্ণাণ, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র, সত্যেন্দ্রনাথ শিক্ষককুলের প্রণম্যজনরূপে স্মরণীয় হয়ে থাকেন। এহেন গৌরবময় সরণীতে কত নামের মাঝে উজ্জ্বলতম আর এক নক্ষত্র, এক বিস্ময় উড়ান -ফিনিক্স পাখির মতো আগুন ডিঙিয়ে, দৃঢ় পাখায় ঝাপটা মেরে সুউচ্চ শিখরে উড়ালো তাঁর চিন্তাশীল ব্যক্তিসত্তাকে।
 করমন্ডল উপকূলের অখ্যাত গ্রাম। একদিকে মসজিদ অন্যদিকে রামেশ্বরমের শিবমন্দির। একচিলতে ঘরটায় দারিদ্র্যের ছাপ স্পষ্ট। ধর্মপ্রাণ জয়নুল আবেদিন আর সহজসরল আশিয়াম্মার ছেলে কাকভোরে উঠে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয় খবরের কাগজ। সেদিন কেইবা জানত রামেশ্বরমের ওই ছেলেটাই একদিন সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান হবেন। দক্ষিণের সমুদ্রবেলা ছাড়িয়ে একদিন ৩৪০ একর জমির রাষ্ট্রপতি ভবনের ১৫ একরের মুঘল উদ্যানে নির্মাণ করবেন চিন্তনকুটির আর অমরকুটির বা ইমমরট্যাল হার্ট।
শৈশবেই বাবা নামাজ পাঠের সাথে ছেলের চোখে এঁকে দিয়েছিলেন স্বপ্ন। যে স্বপ্নকে ছেলেটা কক্ষনো চোখছাড়া করেনি। শুধু কোটি ভারতীয়র চোখে ছড়িয়ে দিয়ে বললেন–ঘুমের মধ্যে যে স্বপ্ন আসলে তা মিথ্যে, সেই স্বপ্ন সত্যি যা কখনো কাউকে ঘুমোতে দ্যায় না। যিনি নিজেই দিনরাত্রির চব্বিশঘণ্টার ঘুমোতেন মাত্র কয়েকঘন্টা। সেই ছেলেটা আর কেউ না পাঁচ শব্দ ও একত্রিশ বর্ণের বিস্ময়মানব আবদুল পাকির জয়নুল আবেদিন আব্দুল কালাম।
আব্দুল কালাম। মিসাইল ম্যান। মহাকাশ বিজ্ঞানী। ক্ষেপণাস্ত্র বিজ্ঞানী। একাদশ রাষ্ট্রপতি। পদ্মভূষণ। পদ্মবিভূষণ। ভারতরত্ন। এসবকে ছাপিয়ে তিনি নিজের পরিচয়ে বলেন–আমি একজন শিক্ষক। তিনি রাষ্ট্রশিক্ষক। তাঁর কর্মব্যস্ত জীবনের মলাটভর্তি শিক্ষণীয় বিষয়।জন্মেছেন মুসলমান পরিবারে। নিয়মিত নামাজ ও কোরান পাঠ, আবার পুরোহিত লক্ষ্মণ শাস্ত্রীর মুখ থেকে শুনছেন গীতা ও ভাগবত। সূর্য যখন পাটে বন্ধুসম জালালুদ্দিনের সাথে প্রদক্ষিণ করছেন রামেশ্বরমের শিবমন্দির। কিশোরবেলার বন্ধুরা হলেন গোঁড়া হিন্দু পরিবারের রামনাথ শাস্ত্রী, অরবিন্দন, আর শিবপ্রকাশন। বই পড়ার নেশা ধরিয়ে দেওয়া সাম্যবাদী চিন্তার মানুষ এস টি আর মনিক্কম। এমন পরিমণ্ডলে আব্দুল কালাম অনুভব করছিলেন বহুত্বের শক্তি, ভারত আত্মার মর্মবাণী সংহতি। বৈচিত্রের মাঝে একতার সুরকে তিনি জীবনভর ছড়িয়ে দিয়েছেন দেশে। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন গুজরাট দাঙ্গার সময় নিরাপত্তা বিষয়ে শত আপত্তি থাকলেও ছুটে গেছেন সেখানে। ভরসা দিয়েছেন মানুষকে। আবার যখন বিমানবাহিনীর ইন্টার্ভিউতে অসফল ; মন খারাপ; নিঃসঙ্কোচে চলে গেছেন হৃষিকেশে স্বামী দেবানন্দের আশ্রমে। মুসলমান পরিচয় দিলেও স্বামীজি তাঁকে দেখালেন শান্তির পথ, সাহসের পথ, বিশ্বাসের পথ। এহেন দৃশ্যই তো শেখায় ভারতবর্ষীয় ধর্মের উদারতা, মাধুর্য ও সহিষ্ণুতার পাঠ।
আব্দুল কালামের অন্তরভরা দেশপ্রেম। তাঁর পরিবার দেশ। বহুজন হিতায়, বহুজন সুখায় মন্ত্রে তিনি নিবেদিত প্রাণ। সদ্য স্বাধীন দেশ তখন শক্ত পায়ে দাঁড়াতে মরিয়া। প্রতিবেশী শত্রু ঝাঁপিয়ে পড়ছে দেশের উপর। সমরাস্ত্রে দেশ কিছুটা দুর্বল। আব্দুল কালাম ও তাঁর সহযোগী মিলে দেশের হাতে তুলে দিলেন একে একে পৃথ্বী, অগ্নি, আকাশ, ত্রিশূল, নাগ এর মতো ক্ষেপণাস্ত্র। পারমানবিক সফলতায়ও তাঁর পরোক্ষ যোগদান যথেষ্ট। অনেকে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে তাঁর সমালোচনা করেছেন। কালাম বুদ্ধ এবং গান্ধীজির প্রসঙ্গ টেনে বুঝিয়ে দিয়েছেন, ভারত অহিংসায় বিশ্বাসী। কিন্তুু স্বাধীনতা ও অখণ্ডতা রক্ষার প্রশ্নে সে কারো কাছে নত হবে না। তাঁর অস্ত্র ভাবনায় আগ্রাসন নেই, আছে আগ্রাসীকে রুখে দেবার দেশপ্রেম।
হতাশার সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর নাম আব্দুল কালাম। রোহিণী উপগ্রহ উৎক্ষেপণে বারবার অসফল হয়েছেন। বিভিন্ন মহলে সমালোচিত হয়েছেন। থেমে থাকেননি। শান্ত ধীর ঋষির মতো ভবিষ্যতের আলোক প্রত্যক্ষ করে এগিয়েছেন। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে রোহিণী  উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণে বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন। দেশ প্রথম দেখেছে আত্মনির্ভরতার শক্তি। শুধুমাত্র বিজ্ঞাপিত আত্মনির্ভরতা নয়।প্রয়োগে তার সাফল্য  প্রমাণ করা। তরুণ বিজ্ঞানীদের কানে শুনিয়েছেন চরৈবেতি মন্ত্র।প্রাণে সঞ্চারিত করেছেন মানবিক মূল্যবোধ। কর্মোদ্যমের প্রেরণা। বন্ধুর মতো মিশে সব সমস্যার সমাধান করেছেন। গীতা কোরান উপনিষদের শ্লোক আর কবিতার পঙক্তিতে তাদের হৃদয়ে জাগাতেন আধ্যাত্ম চেতনা, বিশ্বাস ও স্বপ্ন। 'স্বপ্ন না দেখলে কাজ করা যায় না'।তরুণ বিজ্ঞানীদের কাছে তাই আব্দুল কালাম আদর্শ শিক্ষাগুরু।
আব্দুল কালাম রূপকথার বর্ণময় চরিত্র। ভারতের ঐতিহ্য সংস্কৃতির প্রতি তাঁর তীব্র অনুরাগ। গবেষণাগারে মগ্ন মানুষটির কণ্ঠে উচ্চারিত হত খলিন জিব্রান, কীটস্, ইয়েটসের কবিতা। কবিতা তাঁর নিত্যদিনের সঙ্গী। দুঃখে শোকে আনন্দে লিখেছেন অসংখ্য কবিতা। বিষাদভরা সময়ে একান্তে শুনতেন বিসমিল্লাহ্ খানের সানাই। জ্ঞান ও মননের  আশ্চর্য সমন্বয়ে গড়া ব্যতিক্রমী মানুষ কালাম। একদিকে ঋষির প্রাজ্ঞতা, দূরদর্শিতা অন্যদিকে যুক্তিবাদ আবার শিশুর সারল্য, প্রকৃতিপ্রেম, সহৃদয়তা। প্রাচীন গুরু শিষ্য পরম্পরার প্রতি শ্রদ্ধাশীল কালাম বারবার স্মৃতিচারণায় লিখেছেন তাঁর প্রিয় শিক্ষক ইয়াদুরাই সলোমন, রামকৃষ্ণ আয়ার ও ফাদার সেক্যুইয়ার কথা। মাদুরাই কামরাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ভাষণ দিতে হবে তাঁকে। ওই শহরে থাকতেন প্রিয় শিক্ষক সলোমন। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার আগে গেলেন তাঁর বাড়ি। পা ছুঁয়ে এলেন। বর্তমান প্রজন্মের কাছে এমন শ্রদ্ধা প্রদর্শনের শিক্ষাই তো অনুকরণীয়। অহংশূন্য বিলাসবর্জিত জীবন। পরমপ্রিয় মা বাবা আর জালালুদ্দিনের মৃত্যু তাঁকে ভেঙে চুরমার করে দিলেও আবার মগ্ন হয়েছেন কর্মে। তিনি - দুঃখেষু উদ্বিগ্নমনা সুখেষু বিগতস্পৃহ। কর্মজীবনে মাত্র দুদিন ছুটি নিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি ভবনের দ্বার সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। অনেকক্ষেত্রে প্রোটোকলকে পাত্তা দেননি। যা সত্য উগরে দিয়েছেন অকপটে। তাঁর মতে ভারতীয় সভ্যতার শিকড় প্রোথিত আছে গ্রামে। রবীন্দ্রনাথ এবং গান্ধীজীর মতো গ্রাম উন্নয়নের কথা বলেছেন বারবার। সদা কর্মচঞ্চল কালাম সদ্য রাষ্ট্রপতি হয়েই দশমাসে একুশটি রাজ্য পরিদর্শন করেন। পাঁচ বছরের মেয়াদে বারশোর বেশি কার্যক্রমে যোগদান করে পনের লক্ষ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। কর্মযোগী তাদের শুনিয়েছেন ভারতবর্ষের আশার কথা, সম্ভাবনার কথা, স্বপ্নের কথা।
স্বপ্ন ছিল অবসরের পর এমন এক বিদ্যালয় গড়বেন, যেখানে ছেলেমেয়েদের সার্বিক বিকাশ ঘটবে। স্বপ্ন সত্যি হয়নি ঠিকই কিন্তু দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপকরূপে নিরলস জ্ঞান বিতরণ করে গেছেন। এমনকি বিশ্বের অনেক দেশের ছাত্রমহল রাষ্ট্রপতি নয়, তাঁকে দেখতে চেয়েছেন শিক্ষকরূপে। শিক্ষকতা তাঁর সাধনা। তাঁর বিশ্বাসে – ন হি জ্ঞানেন সদৃষং পবিত্রমিহ বিদ্যতে। ছাত্রকূল তাঁর হৃদস্পন্দন। কলকাতার একটি বিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী অনুষ্ঠান। মঞ্চে শহরের বিশিষ্টজন। বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি সবাইকে অবাক করে বলে উঠেন–আমি ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে চাই। তাদের কেন্দ্র করে এই অনুষ্ঠান অথচ এখানে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কেন? হতচকিত কর্মকর্তারা সঙ্গে সঙ্গে খুলে দেন প্রেক্ষাগৃহের দরজা, দলে দলে প্রবেশ করতে থাকে ছাত্রছাত্রী। তাদের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। এমনই ছাত্রদরদী আব্দুল কালাম।
আমৃত্যু তাঁর সাধনা–তেন ত্যক্তেন ভূঞ্জিথা। সাধারণ জীবনযাপন আর অসাধারণ কর্মভাবনা। কয়েকটা কোট, কোটের পকেটে চিরুনি, হাজার হাজার বইয়ে ঠাসা একটা লাইব্রেরী এটুকুই সম্বল এক স্বপ্ন সন্ধানীর। ধর্মপালনের মধ্যে এনেছেন যুক্তিবাদ, হৃদয়ের ঔদার্য। জ্ঞানচর্চার সাথে মিলিয়ে দিয়েছেন ভারত আত্মার চিরন্তন সেবা ও ত্যাগের আদর্শ। জীবনের অন্তিম মুহূর্তেও আব্দুল কালাম বক্তৃতা মঞ্চে দাঁড়িয়ে শেখাতে চেয়েছিলেন প্রকৃতিকে ভালবাসার কথা। স্বপ্নের ফেরীওয়ালার অন্তিম স্বপ্ন ছিল দূষণমুক্ত এক পৃথিবী। কিন্তু থেমে যায় আগুনপাখির উড়ান। শবদেহ পৌঁছায় রামেশ্বরমে। যাত্রাপথে অগুন্তি মানুষের ঢল। ছাত্রছাত্রীরা এনেছেন কবিতা, সাধারণের চোখে জল। তিনি যে কারো প্রিয় কালাম স্যার। তিনি যে দেশের পিপিলস্ প্রেসিডেন্ট। রাষ্ট্রপতিকে ঘিরে এমন উন্মাদনা দেশ কবে দেখেছে? রাষ্ট্রশিক্ষক তাঁর সহজাত মহিমায় রাষ্ট্রকে বলছেন– আমার মৃত্যুতে ছুটি ঘোষণা কোরো না। আমায় যদি ভালবাসো তাহলে সেদিন মন দিয়ে কাজ করো। 
  দেশের মানুষদের মধ্যে, বর্তমান শিক্ষককুলের মধ্যে এমন কর্মযোগের আদর্শ অনুসৃত হবে কি? শিক্ষকতাকে আব্দুল কালাম জীবনের সর্বোত্তম আসনে প্রতিষ্ঠা দিয়েছিলেন বলেই তাঁর দৃঢ় বার্তা– বিজ্ঞানী নয়, রাষ্ট্রপতি নয়, শিক্ষক হয়েই মানুষের মনে বেঁচে থাকতে চায়। এমন গৌরবমণ্ডিত স্বপ্নের পথ ধরেই কি হেঁটে চলেছেন শিক্ষালয়ের উদ্দেশ্যে বর্তমান শিক্ষকসমাজ? –সময় বলবে সেকথা। 

swadhinata pra

গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি



Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 3368

স্বাদহীনতার জীবন : উপভোগ্য এক নোতুন পৃথিবী ।। বিভাবসু
Bibhabosu ।। বিভাবসু

  স্বাদহীনতার জীবন : উপভোগ্য এক নোতুন পৃথিবী।। বিভাবসু  ।। এক ।। স্বাদহীনতার প্রসঙ্গে ঢুকে পড়ার আগে, হে আমার জিহ্বার দেবতা, হে আমার বোধের দেবতা, হে তৃপ্তির দেবতা, তোমাদের আমি আমার বিস্বাদ ও বিষাদগ্রস্থ জীবনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই। একসময়ে আমি তোমাদের…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2291

হে আমার দেশ ।। অভিনন্দন মুখোপাধ্যায়
Avinandan Mukhopadhyay ।। অভিনন্দন মুখোপাধ্যায়

স্বাদ এবং সাধ, এই দুই এক অনন্য বন্ধুবৃত্তের দুই জোড়া। একের জন্য অন্যের মরিয়া হামদর্দি। অথচ বহুত্ত্বের ক্ষেত্রে এই দুইয়ের এক হওয়া হয়না, হয়নি। এ আমার দেশ - খিদের দেশ, দারিদ্রের দেশ, পরিযায়ী শ্রমিকের দেশ, দিনে অধিকাংশের ২০ টাকার নিচে আয়…

Aug 13, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 14514

স্বাধীন লেখা এবং স্বাদহীন লেখা ।। বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়
Biplab Gangopadhyay ।। বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়

স্বাধীন লেখা এবং স্বাদহীন লেখা। এরকম দুটি শিবির আমরা কল্পনা করতে পারি অনায়াসে । কল্পনা নয়, বাস্তবেও আমরা দেখি একধরণের লেখার অক্ষরে কোথাও বন্দিত্বের দাগ নেই। ঋজু টানটান শিরদাঁড়া। শব্দের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে অপরিসীম তেজ। আবার কিছু লেখা থাকে…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 3929

স্বাদহীন স্বাধীনতা ।। তৈমুর খান
Taimur Khan ।। তৈমুর খান

–আমরা কি স্বাধীন? –হ্যাঁ আমরা স্বাধীন। ১৯৪৭ সালের ১৫ই অগাস্ট আমরা স্বাধীনতা পাই। –ওটা স্বাধীনতা নয়, ক্ষমতা হস্তান্তর। ব্রিটিশরা ভারতকে ভাগ করে ক্ষমতা হস্তান্তর করে গেলেন মাত্র। আমরা একই শাসনের ভেতর পাল্টানো শাসককে পেলাম। ব্রিটিশ শাসকের বদলে এল ভারতীয় শাসক। –এতো অদ্ভুত কথা…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2699

স্বাদ হীনতার কথা ।। প্রিয়াঙ্কা
Priyanka ।। প্রিয়াঙ্কা

ডিভোর্স শব্দ টা আমি প্রথম শুনি আমার যখন ১০/১১ বছর  বয়স।   আমার বাড়ি অসমের বরাক ভ্যালির ছোট্ট একটা ডিস্ট্রিক্ট করিমগঞ্জে। একান্নবর্তী পরিবারে জন্ম। একদিন একজন মহিলা এলো, ওর বাবা বাড়ি বাড়ি দুধ বিক্রি করেন, তিনি নিজেই নিয়ে এসেছেন সেই মহিলা কে।…

Aug 10, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1724

জল জঙ্গল জমিন / হড় মিতানের ঋণ ।। গৌতম মাহাত
Gautam Mahata ।। গৌতম মাহাত

    দীর্ঘ স্বাধীনোত্তর সময়ের পরেও অন্ধকার থেকে অন্ধকারে থেকে গ্যাছে জঙ্গলমহল তথা আদিবাসী সমাজ। তাদের থেকে হস্তান্তর হয়েছে জল জঙ্গল জমিনের অধিকার। দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু সেই অনন্ত আলোর ছোঁয়া পৌঁছতে পারেনি যার বা যাদের সমাজের চৌকাঠে তারা আদিবাসী।         যাদের…

Aug 14, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 14678

তুলির টানে স্বাদ–হীন সময় ।। অঙ্কন মাইতি
Ankan ।। অঙ্কন

" প্রভু, আপনি সর্বজ্ঞপণ্ডিত, ভবিষ্যৎদ্রষ্টা।  জগৎটাকে পরিবর্তন করে সব কালিমা দূর করে দিন। আমিও আমার ছবি মুছে দেব।" মাইকেলেঞ্জেলোর এই স্বাধীনতার আর্তি হয়তো পথ দেখালো আগামী দিনের শিল্পীদের। আধুনিক চিত্রকলার স্বাধীন ভাবনার যুগ শুরু হলো ১৮১৯ সালে জাত,  ফরাসি শিল্পী গুস্তাভে…

Aug 13, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 5868

স্বাদহীনতা অথবা স্বাধীনতা ।। সমর দেব
Samar Deb ।। সমর দেব

    স্বাধীনতা মানে তো নিজের অধীনতা। এই সরল বয়ানে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক এই যে, মানুষ কী সত্যিই নিজের অধীনে ছিল কোনোকালেই? অথবা, মনীষী বাক্য, মানুষ  স্বাধীন হয়েই জন্মায় এবং পরে সে পরাধীনতার বশীভূত হয়। সেটাও পুরোপুরি ঠিক নয় বোধহয়। জন্মমুহূর্তেই শুরু…

Aug 7, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1596

শিক্ষকের স্বাধীনতা–শিক্ষকের স্বাদহীনতা ।। শোভা ভট্টাচার্য্য
Shobha Bhattacharya ।। শোভা ভট্টাচার্য্য

মানুষের অন্তর্নিহিত পূর্ণতার বিকাশ সাধনের নাম শিক্ষা। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল জ্ঞানের বিকাশ। জ্ঞানের উন্মেষ না হলে চিত্তের বোধন হয় না। শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারেনা। সুশিক্ষিত লোকমাত্রেই স্বশিক্ষিত। তবুও কারও না কারও কাছ থেকে কিছু শিক্ষা তো নিতেই হয়।…

Aug 14, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2767

ছোলামুড়ি ।। অলক জানা
Alok Jana || অলক জানা

  ঝড় ভাইরাস মাটিকম্পন পেরিয়ে বরাবরের মতো খামতিহীন এবারও ভারতবর্ষে ১৫ আগস্ট চলেই এলো। মেঘ বৃষ্টির বেরসিক খলনায়কত্ব, উল্কাপাত মরশুম। এক কথায় সমস্ত রকম নেগেটিভ স্পর্শকাতর ইস্যুগুলো সামলে টিকে থাকতে হবে এটাই এখন বড় কথা। তবুও ভালো স্বাধীনতার আলো হাওয়ায় অন্তত…

Aug 13, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2587

‘‘জীবন কাটালেন কী রকম?’’–‘‘ভালো’’ ।। আশিস মিশ্র
Ashis Mishra || আশিস মিশ্র

  " জীবন কাটালেন কী রকম " " ভালো " " আপনার কোনো শত্রু ছিল? " " তারা আমাকে সৃষ্টিকাজ থেকে সরাতে পারে নি। " " আর খ্যাতি?" " কাজকে করে দিয়েছে কর্তব্য।" " আর আপনার বন্ধুরা? " " আমার কাছ থেকে চেয়েছে আরো কাজ।" " আর নারীরা?" " আমার…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2083

ভয় ।। অর্পিতা আচার্য
Arpita Acharya ।। অর্পিতা আচার্য

   "যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সেই কেড়েছে ভয় আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয় " আমি সন্দীপা। আসামের শিলচরে থাকি। এই ভারতবর্ষেরই একটা ছোট্ট নগর --ঝাঁ চকচকে শহরের তুলনায় একটা দেহাতি জনপদ, কিছু পাহাড় টিলা আর বাংলাভাষায় কথা বলা কয়েকটা মানুষ। এতো সাধারণ একটা শহর…

Aug 13, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1795

স্বাধীনতার স্বাদহীনতা ।। সুদেষ্ণা ঘটক অধিকারী
Sudesna Ghatak Adhikari ।। সুদেষ্ণা ঘটক অধিকারী

  স্বাদহীনতার কাহিনী বলতে গিয়ে আমার মতো, আমাদের মতো স্বাস্থ্য বিভাগের তৃণমূল স্তরের কিছু কর্মীর স্বাধীনতার স্বাদহীনতাকেই বেছে নিলাম। স্বাধীনতাও যে স্বাদহীন হয় স্বাধীনতার এতো বছর পরেও বা Covid-19 এর উপসর্গের মতো মাঝে মাঝেই তার মিষ্টি গন্ধটাও যে দম বন্ধ করা…

Aug 14, 2020
আরও পড়ুন
«
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
»

গল্প: স্বাদহীনতার কাহানি



Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2235

রবিবাসরীয়র জন্য গল্প ।। শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তী
Suddhendu Chakraborty ।। শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তী

ডোরবেল বাজাবার সময়  অনীক ভেবেছিল একটা রূপকথার পরি দরজাটা খুলে দেবে। কী যেন নাম বলেছিল ফেসবুকে? নির্ঘাত জালি নাম। আজকাল ওইসবই তো চলে। ও হ্যাঁ । মনে পড়েছে। কুয়াশা।              অথচ যে মেয়েটা অনীককে চমকে দিয়ে…

Aug 10, 2020
Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 13711

শিশুর স্বাধীনতা– শিশুর অধিকার ।। সহদেব প্রধান
Sahadev Pradhan ।। সহদেব প্রধান

এক. সিংহাসনে সাদা চামড়ার বদলে বাদামি চামড়ার বসাটা স্বাধীনতা নয়। স্বাধীনতা হলো মানুষের কিছু মৌলিক অধিকার পূরণ। শিশুদের ক্ষেত্রেও এই কথা প্রযোজ্য। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ১৮ বছর বয়সের নীচে সবাই শিশু। জীবন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নিরাপত্তা, বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশের অধিকারগুলি শিশুর মৌলিক…

Aug 11, 2020
Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 13744

শোধ ।। ওবায়দুল বারী
Obaidul Bari ।। ওবায়দুল বারী

  নূরীর মন টা আজ বেশ কিছুদিন ধরেই অজানা আশঙ্কায় ভর করে আছে। কোনো কিছুতেই মন বসাতে পারছে না। সেয়ানা মেয়ে ঘরে রাখা ঠিক হবেনা ভেবে, সেই যে বাবা বিয়ে দিয়ে দিল... সেজন্যে তো মন খারাপ হয়েই ছিল। শুধু শফিকের একটা…

Aug 5, 2020
Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 4019

আজ স্বাধীনতা দিবস ।। অ্যাঞ্জেলিকা ভট্টাচার্য
Anjelika Bhattacharjee ।। অ্যাঞ্জেলিকা ভট্টাচার্য

    পাশের বাড়ির টিয়াটা সারাদিন ডেকে চলেছে।মিনতি একমনে বারান্দার গ্রিল মুছতে থাকে । টিয়ার ডাকে  একবার করে পাশের বাড়ির পোলুদের বারান্দার দিকে চোখ চলে যায়। খাঁচাটা বেশ বড় , তারমধ্যে আবার দোলনা আছে। চারদিন হল টিয়াটা এই শহরে এসেছে। পোলুর মামাবাড়ি…

Aug 5, 2020
আরও পড়ুন

প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি



Card image




প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 15786

স্বাধীনতার এত বছর পরেও লোকশিল্পীদের স্বাদহীনতার কাহিনী ।। ভাস্করব্রত পতি
Bhaskarbrata Pati ।। ভাস্করব্রত পতি

"বিটির বিঁহা দিব কেমনে / আমার ঘুম ধরেনা নয়নে / এমনি মুগের রীতিনীতি / পণ ছাড়া বিকায় না / বিটির বিঁহা দিব কেমনে" -- এভাবেই টুসুগানে আমাদের সমাজের আঁধার কাহিনীর সুর তোলে। এ কান্না শিল্পীদের জীবনেও। কান্নার আওয়াজে দেওয়াল কাঁপে।…

Aug 11, 2020
Card image




প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 16034

বিস্মৃতির ধুলায় মলিন ঘাটাল মহকুমার স্বদেশী আন্দোলন ।। দেবাশিস কুইল্যা
Debasish Kuila ।। দেবাশিস কুইল্যা

  বিস্মৃতির ধুলায় মলিন ঘাটাল মহকুমার স্বদেশী আন্দোলন                  দেবাশিস কুইল্যা       ঘাটাল ; পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উত্তর পূর্বে অবস্থিত আয়তনে ৯৫২.২৮ বর্গ কিমি ১৮৭৬ খ্রীষ্টাব্দে স্বতন্ত্র মহকুমার স্বীকৃতি পায় । এই মহকুমার প্রাচীন ইতিহাসের…

Aug 5, 2020
Card image




প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1968

নারী স্বাধীনতা ।। রোশেনারা খান
Roshenara Khan ।। রোশেনারা খান

  স্বাধীনতা বলতে কী বোঝায় ? এর উত্তর  বা সংজ্ঞা সমাজের বিভিন্ন  শ্রেণির নারী-পুরুষের কাছে বিভিন্ন রকম। আসলে বহু যুগ ধরে পুরুষ ও পুরুষ-তান্ত্রিক  সমাজব্যবস্থায় ধর্মের নামে নারীকে  সামাজিক রীতি-নিয়মের বেড়াজালে  আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে গৃহবন্দি করে রাখার পক্ষপাতদুষ্ট রেওয়াজ চলে আসছে। নারীকে…

Aug 10, 2020
আরও পড়ুন

স্বাদহীনতার কাহানি - সংখ্যায় প্রকাশিত লেখা সমূহ



একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...