- ASTROID_ARTICLE_BLOG_READTIME
- Hits: 1599
শীত ল্যাংচাচ্ছে। লেপের গায়ে জমছে হালকা ঘাম ঘাম গন্ধ। খাঁচা থেকে বেরিয়ে আসছে পাতলা কাঁথা কম্বল। খিরিশ গাছ সুযোগ বুঝে বাতাসের গালে চকাস চকাস চুমু দিয়ে খুলে দিচ্ছে পাতার গিঁট। হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিক ধরেছো গোঁসাই, মোবাইল রিংটোনে বেজে উঠলো বসন্ত এসে গেছে...
ফেব্রুয়ারি মাস এলেই মাগো তোমায় মনে পড়ে! গর্বে বুক ফুলিয়ে সোচ্চারে বলি ‘আমি বাংলায় গান গাই...আমি আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই’ । কখনো বা বিড়বিড় করে উঠি ‘বাংলা ভাষা উচ্চারিত হলে নিকানো উঠোনে ঝরে রোদ‚ বারান্দায় লাগে জ্যোৎস্নার চন্দন’। আর চাঁদ দেখতে গিয়ে আমরা চায়ের দোকান খুঁজেছি! ‘মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধ’ এসব শুনতে শুনতে বলতে বলতে দেখছি পাড়ার দোকানগুলোর নাম কবিগুরু মোগলাই হাউস, বিদ্যাসাগর চিকেন সেন্টার, নেতাজি অয়েল মিল কিংবা সারদা চিট ফাণ্ড হয়ে গেছে। মনীষীদেরও রেহাই...
কথাটা জলের মতো সহজ, ইচ্ছে হয়ে ছিলি মনের মাঝে। তারপর এই আকাশ, এই বাতাস, এই চরাচর, এই আবিশ্ব প্রাণ। এইখানে ‘আমি’, আমার অস্মিতা, সকলের নিজ নিজ ভুবন। কেউ পর নয়, সকলেই আপন। আমার আপনার সঙ্গে সকলের আপন সম্পর্কের এই রসায়ন গড়ে তোলে সব আমির নিজস্ব ভাষা, ভাষার সূত্রে সমস্ত অনুভব। এই বেঁচে থাকা, এই স্বপ্ন, এই শ্রম, এই আশা, এই স্পর্ধা, এই অহঙ্কার...সব মিলিয়ে আমিত্ব। হোমো ইরেক্টাস থেকে বা তারও আগে থেকে শুরু করে সমস্ত সংগ্রাম, জীবনে টিঁকে থাকা ও প্রজননের সমস্ত ফিকির ও কৌশল, সমস্ত পাপ ও পুণ্য, সমস্ত অর্জন ও বিসর্জন, সমস্ত ত্যাগ ও তিতিক্ষা এবং অবিরত জীবনস্রোত...সব বয়ে চলেছে আমার মাতৃভাষা, সকলের মাতৃভাষা। মানুষের হাজার হাজার বছরের উত্তরণ, সভ্যতার সমস্ত বাঁক ও অগ্রগমন বিধৃত রয়েছে সমাজ-ব্যক্তির মাতৃভাষায়। এভাষা জন্মসূত্রে প্রাপ্তি, যেমন আমার...
এক পর্যটক গেছেন কায়রোর মিউজিয়ামে। গাইড তাঁকে সেই দেশের নানান প্রাচীন সামগ্রী দেখাতে দেখাতে নিয়ে এল বিখ্যাত ফারাও তুতেনখামেনের ব্যবহার করা কুড়ুলের কাছে। পর্যটক আপ্লুত। এমন একটি কুড়ুল, যেটি কিনা ব্যবহার করেছেন ফারাও তুতেনখামেন! তিনি গাইডকে জিজ্ঞেস করলেন-- আপনারা এত চমৎকার ভাবে কুড়ুলটা...
বাঁশ ঝাড়ে শালিখ বগলার ডেরা। সরফুচি আর বুড়ি মৌকাল পাখিটিও থাকে। আমার বরাবরের রাত জাগা অভ্যেস। ভোরের দিকে ঘুমোলে ব্যালা উঠার আগে বিছানা ছাড়া মুশকিল।
রাঁধাশাল থেকে তখন মায়ের গলা ভেসে আসত।
-'' নিগৈতরার এতনা আলিস ক্যানে! কাওয়া বনি ডেঁঙ্ঘে গেল ছাইন্যের উপর...
ছোটবেলা থেকে কথা বলে আসছি যে ভাষায়, বড় হয়ে পড়াশুনা করতে গিয়ে সেই ভাষাটাকে আর খুঁজে পেলাম না কোথাও। জানতে পারলাম, শিক্ষিত হতে হলে পড়তে হবে বাংলা, হিন্দি অথবা ইংরেজি। এই সমস্যা শুধু তো আমার নয়। এই যে আমার সাঁওতাল ভাই, সে-ও তো একই সমস্যায় পড়েছে। উত্তরবঙ্গের রাজবংশী থেকে শুরু দক্ষিণ-পশ্চিমের...
আমাদের কথা
আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...
কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...
ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...