কখনও দেখা হয়নি মৃগশিরা নক্ষত্রের আলো...
নাভিমূলে খুঁজেছি সদ্য পোষা হরিণীর কস্তুরি,
অতল গভীর নিষেধের গানের কথা ভাষাহীন নীরবতা...
অচেনা দীর্ঘশ্বাসে ভেসে আসে শালিক দোয়েলের গান,
বন বাতাসীর সুরে তখন এক মরণে দু'জন মরণ সুর...
কুঁড়ি খোলা মুখে তখন আলো মুখের তুমুল উচ্চারণ।
গলায় ছিল পদ্ম বীজের মালা কোঁচড়ে বকুল...
বাহুমূলে লাল পলাশের নিবিড় আস্তরণ,
এ রূপের বিভা জানে লাল সূর্যের সকাল কুয়াশা ভোর...
দূর্বাঘাসে আলতা পাটির চূর্ণ কুয়াশার মুক্তা ফসল,
পানকৌড়ি ভুলে গেছে ডুব দিতে ডানায় উড়ান দখিন হাওয়া
স্নানের শরীরে দু’চোখে গভীর নীলাচল মায়াবী হরিণ চাওয়া।
জলজ পরি বাতাসে ভেসেছে অরূপ পৃথিবীর ছোট্ট কোণে,
সে কথায় সুর তোলে আদুল শরীরের ভাঁজে গান বোনে...
পাখিরাও বোঝে মিহি সুরে দোয়েল কোকিলার গোপন উচ্চারণ।
সম্মোহনের বাঁধনে ছড়িয়ে পড়েছে মোহন অভিজ্ঞান,
অরূপ কুমারী বাতাস পীত রঙা পাতার আড়ালে কচি পাতা...
অন্বিষ্ট বার্তা নিয়ে ছুঁয়ে গেছে অরূপ রূপের কুমারী কথা।