আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...

একক কবিতা সন্ধ্যা



kobitadiwas

তরুণ কবির কবিতা উৎসব



Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। রজত গোস্বামী
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। নিরঞ্জন জানা
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। মোনালিসা পাহাড়ী
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। সৌমন্তী সিনহাবাবু
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। সুজিত কুমার পাল
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। কৌশিক দাস
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। আগমনী রাজ
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব।। মোহিত ব্যাপারী
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। কবিতা সামন্ত
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। শান্তময় গোস্বামী

amit heontor mohool

 

 
মা শালপাতা তুলে আনত বন থেকে। সেলাই করত। অন্যের বাড়িতে কখনও ধানসেদ্ধ চাল পাছড়ানো থেকে কাজে ভোজে ছোঁচগোবর সাফসুতরা। আমার তখন অতি অল্প বয়স। মা কাজে চলে যেত। সকালে। ফিরত সাঁঝে । আমার হাতে দেদার সময়। কীভাবে যে খরচা হত   এক একটা দিন। এখন সেসব ভাবি।
খুব ছোটো বয়সে বাবাকে হারিয়েছি। আমার আড়াই বছর বয়সে। বাবার তেমন কোনও স্মৃতি আমার নেই। তবে মা গল্প বলত সেসব দিনের। মা ছেলে   একথালায় ভাত খেতে খেতে সেসব দিনের কথা হত । এই যে ভাত খাচ্ছি। এই ভাত মা পুটলি বেঁধে নিয়ে আসত। কাজের বিনিময়ে। আমার ছোটোবেলায় খুব একটা রান্না হত না ঘরে। সন্ধেবেলা যে ভাতটি আসত জামবাটি চুড়। সে ভাত  থেকেই কিছুটা হাঁড়িতে জল ঢেলে রেখে দিত। পরের দিন বেলার দিকে সে ভাত খেতাম। আবার গোটাদিন অপেক্ষা করতাম। সন্ধ্যের জন্য। মা ভাত নিয়ে আসবে। আমরা মা ব্যাটায় একথালায় খাব আবার। সারাদিনে মাকে পেতাম না। একা একা থাকতাম। 
এই একা থাকতে থাকতে একদিন সত্যিই একা হয়ে গেলাম। ভীষণ একা।
জীবনের খালিহাত কাকে বলে, জানলাম। খালি পা। খালি পেট। যে প্যান্ট জামা পরতাম তখন। অন্যদের দেওয়া। একা একটা কিশোর। এইভাবে বড় হয়ে উঠছে। মানুষ চিনছে। বাস্তবের মাটি কেমন চিনে নিচ্ছে।
নিজের সাথে নিজের সংলাপ। কথাবার্তা।দগ্ধদিনে তৃষাতুর বুনোমাঠময়  কুর্চিফুল যেভাবে পড়ে থাকে সাদা হয়ে। ভাবতাম। এ ফুল যদি ফুল না হয়ে সব ভাত হত?  কী মজা হত।  পাখিদের মতো কুড়িয়ে নিতাম। খেতাম। অন্তর থেকে চাইতাম। পাখি- জীবন। ডানা মেলে উড়ে যেতাম। চেনা মাঠ ছাড়িয়ে। চেনা জীবন ছাড়িয়ে।
একদিন মাঝরাতে দরজায় তালা ঝুলিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। সোজা হন্টন। কোথায় যাব জানি না। বেরিয়ে এলাম বাইরের পৃথিবীটাকে দেখতে। চিনতে। চেনা জঙ্গল ছাড়িয়ে দহিজুড়ি অব্দি। মামাবাড়ি গেলাম না। তখন ঢেড়ুয়া ব্রিজ সম্পূর্ণ হয়নি। কাজ চলছে। সেখানে কয়েকটা দিন থেকে কাজ করব ভেবেছিলাম । হলনা। আমার রোগা চেহারা আর অল্পবয়স দেখে কাজে তো নিলই না। তবে দিনদুই থাকতে ও খেতে দিয়েছিল। ওরা। ফের রাত হল। হাঁটা লাগালাম। মেদিনীপুর এর মাটি আমাকে টানত। এই মাটিতে পা পড়ল প্রথম যখন। এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। আর হাঁটি নি। ট্রেনে চড়ে বসলাম। টিকিট ছাড়াই। আর টিকিট কাটব যে সে পয়সা'ই তো নেই। গাড়ি কোন লাইনের? কোথায় যাবে? হাওড়া কোনদিকে?  আদ্রা কোনদিক? কিছুই জানি না। উঠে পড়লাম।
এই উঠে পড়ার নেশাটি এখনও দারুন উপভোগ করি । এখনও হঠাৎ হঠাৎ দরজায় ছোট্টো তালা ঝুলিয়ে ব্যাগপত্তর আর খাতা কলম সঙ্গে করে আচাক আচাক গা ঝাড়া দিই। গুয়া লোকাল ধরে নির্জন চাইবাসা। বাদামপাহাড়। সরাইকেলা। চান্ডিল। মন চাইলেই উঠে পড়া। বাসের ছাদে দেদার দু পা নাড়াতে নাড়াতে বান্দোয়ান। ইঁট ভাটা জীবন দেখতে। খোলা আকাশ দেখতে। পকেটে দুদিনের খরচ টুকুর পয়সা উসুল করতে একদিন বেরিয়ে পড়া।
আমার ভালোবাসার জোছনাগ্রাম। খড়িডুংরির ধুধু প্রান্তর।খড়িমাটি জীবন।  রামগড়ের রাজার পাগলা ঘোড়ার মাঠ।
পোড়া আলুর সাথে পোড়া লংকা চটকে পান্তাভাত খেতে খেতে যদি না মা বলত - রবি ঠাকুরের জন্মদিনে তোর জন্ম। চিল্কিগড়ে। পঁচিশে বৈশাখে যে জন্মায় তাকে তো কলম ধরতেই হয়। তখন আমার পড়তে ইচ্ছে করত না। আড়ালে আবডালে পাড়া আর স্কুলের বন্ধুদের গোপন প্রেমপত্র তখন লিখে দেওয়ার বয়স। পাড়ার ছেলেটির হয়ে আমার পাশের বাড়ির মেয়েটিকে প্রথম চিঠি লিখে দেওয়া। সেই চিঠির উত্তরে আবার মেয়েটির হয়ে লিখে দেওয়া। যদিও ওদের বয়ঃসন্ধি প্রেম টেকে নি। টিকে গেল আমার লেখার অভ্যেসটি।
মা  বলত - রবি ঠাকুরের স্কুলের বিদ্যে ছিল না। আমিও আমার মুখেভাতে'র  দিন কলম ধরেছিলাম। মা গল্প করত।এইসব।  মুখেভাতে সাজানো ছিল খেলনাপাতি। গোবর। আহার্য সামগ্রী। বইপত্তর। কলম।
মায়ের চলে যাওয়া। আমার একলাদিনে এইসব ভাবনা। মন যা চাইত। যেমনটি ভাবতাম। যেমনটি কাটত আমার খালি হাতের জীবন। রাত জেগে আমার ভেতরের শক্তিটিকে ডান হাতের মুঠোয় বন্দি করতে মন চাইত। ভীষণ ছটফটানি অনুভব করতাম। ভেতরে ভেতরে।
সাদা পাতায় লেখা হতে থাকে দৈনন্দিন অন্তরকথন।

Amit Mahata ।। অমিত মাহাত

রথযাত্রা



Card image




রথযাত্রা  দেখেছেন : 1088

গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা ।। শৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়
Souvik Bandopadhyay ।। শৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়

গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা ।। শৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় উষ্ণতা এবং ভক্তির একটি প্রাচীন ঐতিহ্য, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলার গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা ২৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। গুপ্তিপাড়া পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার একটি প্রাচীন জনপদ। এই জায়গাটি চুঁচুড়া সদর মহকুমার বলাগড় ব্লকে অবস্থিত। গুপ্তিপাড়ার পাশ…

Jun 21, 2023
Card image




রথযাত্রা  দেখেছেন : 1103

রথযাত্রা: যাত্রার বোধনের দিন ।। শুভদীপ গোস্বামী
Subhadip Goswami ।। শুভদীপ গোস্বামী

রথযাত্রা: যাত্রার বোধনের দিন ।। শুভদীপ গোস্বামী   রথযাত্রা মানেই যাত্রার বোধনের দিন। ষষ্ঠী থেকে জষ্ঠি যাত্রার মরশুম হলেও জগন্নাথদেবের রথের চাকা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে যায় প্রায় ৫৫০ বছরের পুরাতন লোকশিল্প যাত্রার যাত্রাপথ। অনেকে আবার এই দিনটিকে যাত্রার নতুন খাতার…

Jun 23, 2023
Card image




রথযাত্রা  দেখেছেন : 1179

মেদিনীপুরের রথযাত্রা ।। ভাস্করব্রত পতি
Bhaskarbrata Pati ।। ভাস্করব্রত পতি

মেদিনীপুরের রথযাত্রা ।। ভাস্করব্রত পতি   অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। ধারে ভারে এগুলো বেশ কয়েক কদম এগিয়ে। তবে জেলার মধ্যে বিখ্যাত মহিষাদলের রথ, রঘুনাথ বাড়ির রথ, নাড়াজোলের রথ, বগড়ির রথ, মহাপ্রভু মন্দিরের রথ ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন…

Jun 19, 2023
Card image




রথযাত্রা  দেখেছেন : 1177

দাসপুরের খাঞ্জাপুরের প্রাচীন রথ ।। দেবাশিস কুইল্যা
Debasish Kuila ।। দেবাশিস কুইল্যা

দাসপুরের খাঞ্জাপুরের প্রাচীন রথ ।। দেবাশিস কুইল্যা   সে কবেকার কথা। সংস্কৃত পণ্ডিত চতুষ্পাঠীতে ন্যায়শাস্ত্র শিখিয়ে চলছেন ছাত্রদের। আর পণ্ডিতের পরিচয় ছড়িয়ে পড়েছে দূর বহুদূরে। তখন সময়টা দ্বাদশ শতকের শেষ দিকে। বর্ধমান মহারাজ কীর্তিচন্দ্র মহাতাব। সংস্কৃত মনস্ক মহারাজের একান্ত ইচ্ছায় চেতুয়া পরগনার…

Jun 19, 2023
Card image




রথযাত্রা  দেখেছেন : 1194

মাহেশের রথে ঘাটাল যোগ ।। সন্দীপ দে
Sandeep Dey ।। সন্দীপ দে

মাহেশের রথে ঘাটাল যোগ ।। সন্দীপ দে   বোন সুভদ্রা বেড়াতে যাবার বায়না ধরলে তাকে ভোলাতে মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে গমন করেছিলেন দুই দাদা - জগন্নাথ ও বলরাম। সেই যাত্রাই রথযাত্রা। বাংলার বুকে দাঁড়িয়ে রথযাত্রা নিয়ে বলতে প্রথমেই যেটা মাথায় আসে- “রাধারাণী নামে একটি…

Jun 22, 2023
Card image




রথযাত্রা  দেখেছেন : 1049

মহিষাদলের রথযাত্রা ।। ড. নীলোৎপল জানা
Dr.Nilotpal Jana ।। ড. নীলোৎপল জানা

মহিষাদলের রথযাত্রা ।। ড. নীলোৎপল জানা     মহিষাদলের রথযাত্রায় মহিষাদল রাজ পরিবারের ভূমিকাই এক সময় প্রধান ছিল। এই রথ ২০০ বছরের প্রচীন। মহিষাদলের রথযাত্রার সূচনাবর্ষ নিয়ে অল্প হলেও বিতর্ক আছে। কোনো কোনো প্রাবন্ধিক মনে করেন ১৭৭৬ সাল নাগাদ মহিষাদল রথযাত্রার প্রবর্তন করেছিলেন  রানি…

Jun 19, 2023
Card image




রথযাত্রা  দেখেছেন : 940

রথ দেখবি নাড়াজোল, জাত দেখবি কানাশোল ।। উমাশঙ্কর নিয়োগী
Umasankar Neogi ।। উমাশংকর নিয়োগী

রথ দেখবি নাড়াজোল, জাত দেখবি কানাশোল ।। উমাশঙ্কর নিয়োগী ভগ্ন রাজপ্রাসাদ আছে রাজা নেই, রাজার রাজত্বও নেই কিন্তু রাজকীর্তির সব কিছু জনসাধারণের মন থেকে মুছে যায়নি। রাজকীর্তিকে নিজেদের অতীত গৌরব বলে মনে করেছে। সাধারণ মানুষের একটি অংশ নিজেদের অর্থ শ্রম আন্তরিকতা…

Jun 21, 2023
Card image




রথযাত্রা  দেখেছেন : 1356

মেদিনীপুরের তিয়রবেড়িয়ার পেতলের রথ ।। কেশব মেট্যা
Keshab Metya ।। কেশব মেট‍্যা

মেদিনীপুরের তিয়রবেড়িয়ার পেতলের রথ ।। কেশব মেট্যা     শৈশবে মেলার প্রতি আকর্ষণ থাকবে না, এটা ভাবাই যায় না। কচি পায়ে হাঁটা দিয়ে মেলা দেখতে যাওয়া আর ছোট্ট ছোট্ট জিনিসের জন্য আবদারই তো মেলার প্রাণ। খেলারমাঠ আর মেলারমাঠ পেলেই শিশুরা ডানা মেলতে চায়…

Jun 19, 2023
আরও পড়ুন

সর্বাধিক জনপ্রিয়



একক কবিতা সন্ধ্যা



সহজ কবিতা সহজ নয় কঠিনও নয়



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...