মার্চ ২০২০                                                  প্রচ্ছদ–ঋত্বিক ত্রিপাঠী    

ছোলামুড়ি ।। অলক জানা

 swadhinota

ঝড় ভাইরাস মাটিকম্পন পেরিয়ে বরাবরের মতো খামতিহীন এবারও ভারতবর্ষে ১৫ আগস্ট চলেই এলো। মেঘ বৃষ্টির বেরসিক খলনায়কত্ব, উল্কাপাত মরশুম। এক কথায় সমস্ত রকম নেগেটিভ স্পর্শকাতর ইস্যুগুলো সামলে টিকে থাকতে হবে এটাই এখন বড় কথা। তবুও ভালো স্বাধীনতার আলো হাওয়ায় অন্তত একটি দিনের মতো আমরা ভুলে যাবো ঘরের ভেতরে আমাদের কোনো শত্রু নেই, ঘা নেই, ক্ষতও নেই। যা আছে কেবল সীমান্তের বাইরে। তো আমাদের এখন একটাই কাজ। সতর্কতার সঙ্গে সীমান্ত পাহারা দেওয়া আর একান্নবর্তী হিন্দুস্থান-পরিবারটিকে রক্ষা। শুধু তাই নয় সীমান্ত এলাকায় কোনরূপ বেগতিক কাণ্ড কিছু দেখলেই তড়িৎ গতিতে ঝাঁপিয়ে পড়া ! 
প্রাথমিক স্কুলে যাওয়ার আগে পাড়ার ক্লাবেই স্বাধীনতার প্রকৃতি বিষয়ে সামান্য অবগত হই। আমার চেয়ে যারা একটু বড়। দেখতাম তারা সকাল সকাল কলাপতায় ফুল সংগ্রহে ব্যস্ত। যতটা পরিমাণ বেশি ফুল আনা যায়। অন্যদিকে অর্ধেক গ্রাম পরিক্রমা। এই দুই কাজে সমান পটুধারীদের জন্য ছোলামুড়ির পরিমাণ একটু বেশি বরাদ্দ থাকত। ফলে এদের মধ্যেও শুরু হয়ে যেত কে কতটা পরিমাণ ফুল নিয়ে আসতে পারে, তার প্রতিযোগিতা। তো ১৫ আগস্ট এবং ছোলামুড়ি যেন একটাই শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। আলাদা করার কথা ভাবাই যায় না।
কিন্তু এর পরের ঘটনার জন্য আমি বা আমার চেয়ে খানিক বড়রা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না। অর্ধেক গ্রাম ঘুরে পা ব্যথা, ঘাম ঝরানো, গলা ধরিয়ে এলাকা স্বাধীন করার পর ছোলামুড়ির আতিথেয়তায় আনন্দে মশগুল হলেও তা অর্ধেক হয়ে গেল। কারণ ক্লাবের কর্তাব্যক্তি দুপুরে মাংস ভাতের আয়োজন করলেও আমাদের নেমন্তন্ন নেই। আমাদের সকাল সকাল অভিনয় শেষ তো ছোলামুড়ি নিয়ে ফুটো। আমার মধ্যে আমাদের মধ্যে স্বাধীনতা দিবস মানে একটি নেতিবাচক ধারণার জন্ম হলো।
১৫ আগস্ট ভারতবর্ষ, পরাধীনতার বেড়ি কেটে মুক্তিলাভ করেছিল। পক্ষপাতিত্বের ইতিহাস তাই জানান দেয়। আসলে ভারতে ব্যবসাকরা ইংরেজ বণিক মাটি ছেড়ে পালিয়েছে ! গেছে তো গেছে, তাতে কার কী এসে যায়। না গেল ? কার্ কী লোকসান হতো ? যদি তাই না হয় তবে এত অন্তর্কলহ কিসের জন্য। স্বাধীন গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ দেশে এত রক্তের বন্যা কেন ? এই নিবন্ধ স্বল্পভাষ্যের নয় অনেক রাগ প্রতিহিংসা অভিমান উগরে দেয়া যায়। 
এবার প্রশ্ন হলো এই প্রতিক্রিয়া কাকে করবে, কার কাছে করবে। কারণ মাৎস্যন্যায়ের রুমিকৌশল শীলমোহরে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রই আক্রান্ত। শিক্ষা স্বাস্থ্য সংস্কৃতি সামরিক রাজনৈতিক, প্রতিটি বিভাগই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত। দেশে চারা ও ধেড়ে নেতার উৎপাতে কেবল স্বাভাবিক জীবনজীবিকা নয়, ব্যাহত ও বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে সংবিধান এবং দুশো বছরের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাও। আমার জন্মের আগে বাবা ও দাদাঠাকুর ভয় পেতেন বাইরের সাদাচামড়ার লোকেদের। আর এখন আমি, আমরা ভয়ে তটস্থ থাকি আমাদের প্রতিবেশী বটাদার দাপটে। এই বটাদাটা আবার কে ? বটাদারা দলফের রঙফের নীতিকানুন ফের করা ঝানু সুযোগসন্ধানী যুগাবতার ! ছোলামুড়ি ছড়িয়ে দরজা আটকে যারা টেংরি খায়।

একক কবিতা সন্ধ্যা



সহজ কবিতা সহজ নয় কঠিনও নয়



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...