দিনযাপন ।। বঙ্কিম দে

WhatsApp Image 2018 10 04 at 23.19.09

দিনযাপন
বঙ্কিম দে
 
 
কী অমোঘটান অনুভব করি, তারাদের চিনে চিনে ফের ফিরে ফিরে আসা।
তোমার নামের মতো অধিকতর উজ্জ্বল তারাদের নাম দিয়েছিল কেউ।
মুশকিল জানো, একবার চেনা হলে তাকে ভোলা দায়, তবে কি জন্মান্তর দাগ-
ওই আলো ও আলেয়ায় মিশে আছে? শুধু কি মানুষের এমনতর ভ্রম বিভ্রম হয়!
পরিযায়ীরাও তো কোন্ দূরদেশ মহাদেশ অতিক্রম করে ফিরে ফিরে আসে।
ওদের ডানায় রোদের উত্তাপ, ঝড়ের মাতন, হিম জ্যোৎস্না, বৃষ্টির ছোপদাগ-
ক্লান্তির রেশ, শেষবার ডানা ঝেড়ে নিলে সব কি মুছে যায়? মুছে ফেলা সম্ভব?
তাহলে তো অতীত ঢেউয়ের সব সন্তরণ থেমে যেত।
 
অফুরান উর্দ্ধাকাশ বিচিত্র পরিধি। তার প্রতি অনন্ত আবেগ অনুরাগ-
চিরন্তন কৌতূহল আমাদের পরম্পরার এক দুরারোগ্য ব্যাধি।
নিরাময়ে বোধ-নির্বোধ ঘুমে-নির্ঘুমে ভাবে ওখানেই আত্মাদের শেষ মহানগর।
এ হাতের পাপ-পূণ্য, সঞ্চিত স্বপ্নের আহ্লাদ-বিষাদ, স্পষ্ট-অস্পষ্ট মুহুর্তের ভ্রুণ-
জন্ম জন্মান্তরের আলো ছায়াপথে, দাঁড়িয়ে আছে নানান ইশতেহারের লিখিত-
অলিখিত দেওয়াল। আবেগে বিভূতি ছাড়া আছে কি বিস্ময়ের কোনো নৈসর্গিক রং?
জল ও মৃত্তিকা লিপিতে লেখা সুরে বাজে বারবার ফিরে আসার গান।
 
 
 

একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...