স্বাদহীনতার কাহানি 
প্রিয় রুদ্রকে
তাপস খাঁন
প্রিয় রুদ্র , কতদিন পর দেখা হল অাজ
মনে পড়ছে ; নাকি সব ভুলে বসে অাছিস ৷
সেই যে সোনামুইয়ের শিক্ষায়তন
ক্লাস টুয়েলভ ; রোল নং থার্টিন
তুই প্রথমের দিক থেকে দ্বিতীয় বেঞ্চ
অার অামি একটা ছেড়ে চতুর্থ ৷
তবুও সব কিছুই কেমন যেন
অনায়াসে অাদান—প্রদান হয়ে যেত ৷
জানিস ;এখন ততটা ভালো নেইরে
যতটা সেই দিনগুলোতে ছিলাম।
একটা বিশ্বাসী মানুষের কাছে
প্রত্যেকটা দিন ,প্রত্যেকটা মুহূর্ত ধর্ষিত হয়েছি
না পুরুষাঙ্গের অাঘাতে নয়
প্রত্যাক্ষায়িত কথার অাঘাতে অার
অবিশ্বাসের লোলুপ দৃষ্টিতে ৷
এই দেখ কথায় কথায় জিজ্ঞেস করতেই ভুলে গেছি
এখন কী করছিস,বিয়েথা করেছিস?
নাকি...অাজও অপেক্ষায় ...!
কিরে কিছু বলছিস না কেন; কিছু বল?
সেদিনের সেই দিনটা অাজও ভুলতে পারিনা।
একটা ভুল সিদ্ধান্ত
অাজও অামাকে তাড়িয়ে বেড়ায়
ভীষণ রকম ভাবে তাড়িয়ে বেড়ায়!
তোকে লুকিয়ে ;বন্ধুদের লুকিয়ে
তলে তলে যে ফার্স্ট ইয়ারের রাজার সঙ্গে
প্রেম জমিয়েছিলাম
তা সফল হয়েছিল ঠিকই
কিন্তু তার ফলটা ছিল খুব মারাত্মক ৷
সেদিন শ্রাবণ মাসের ঝোড়ো অাকাশ
তুমুল বৃষ্টি—বাদল মাথায় নিয়ে
তোদের না জানিয়ে বাড়ি ছেড়েছিলাম ৷
তার মাস চারেক পর একদিন রাতে
রাজা মদ্যপ অবস্থায় বেহুঁশ হয়ে বাড়ি ফিরেছিল!
বলতে যেতেই সেকী মার মেরেছিলো অামায়
শরীর ফেঁটে রক্ত ঝরছে
অামি গুঁঁগিয়ে গুঁঁগিয়ে কাঁদছি।
লাথি মারতে মারতে দরজার বাইরে বের করে দিল।
শরীর ছেঁড়ার যন্ত্রনায় অার জ্বরে গা পুঁড়ে যাচ্ছিল অামার ৷
পরের দিন সকালে অামায় পাশ কাটিয়ে
দরজায় চাবি দিয়ে চলে গেল সে
একটি বার ফিরেও তাকালনা ৷
সেই যে সেদিন ঘর ছাড়লাম
স্বামী ছাড়লাম
তার পর পাঁচ বছর হয়ে গেল
ফিরে যাওয়া হয়নি ৷
কিছু দিন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ালাম
তখন বদ্ধ উন্মাদ ; ঠিক মনে নেই
কোথা থেকে অামার মেজো কাকা
অামাকে ধরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিলেন ৷
তারপর অারো দুবছর হয়ে গেল
কতকিছু পালটেছে মানুষ পালটেছে সমাজ পালটেছে
অার নিজেকেও অনেকটা পালটে নিয়েছিরে ৷
তুই কেমন অাছিস রুদ্র!
শরীরটা খুব ভেঙেছেরে তোর
তোর চোখে জল, তুই কাঁদছিস রুদ্র
সেদিন তোকে তোদেরকে ঠকানোর
শাস্তি ঠিক পেয়ে গেলাম রুদ্র
ঠকানোর শাস্তি ঠিক পেয়ে গেলাম!
মনে পড়ছে ; নাকি সব ভুলে বসে অাছিস ৷
সেই যে সোনামুইয়ের শিক্ষায়তন
ক্লাস টুয়েলভ ; রোল নং থার্টিন
তুই প্রথমের দিক থেকে দ্বিতীয় বেঞ্চ
অার অামি একটা ছেড়ে চতুর্থ ৷
তবুও সব কিছুই কেমন যেন
অনায়াসে অাদান—প্রদান হয়ে যেত ৷
জানিস ;এখন ততটা ভালো নেইরে
যতটা সেই দিনগুলোতে ছিলাম।
একটা বিশ্বাসী মানুষের কাছে
প্রত্যেকটা দিন ,প্রত্যেকটা মুহূর্ত ধর্ষিত হয়েছি
না পুরুষাঙ্গের অাঘাতে নয়
প্রত্যাক্ষায়িত কথার অাঘাতে অার
অবিশ্বাসের লোলুপ দৃষ্টিতে ৷
এই দেখ কথায় কথায় জিজ্ঞেস করতেই ভুলে গেছি
এখন কী করছিস,বিয়েথা করেছিস?
নাকি...অাজও অপেক্ষায় ...!
কিরে কিছু বলছিস না কেন; কিছু বল?
সেদিনের সেই দিনটা অাজও ভুলতে পারিনা।
একটা ভুল সিদ্ধান্ত
অাজও অামাকে তাড়িয়ে বেড়ায়
ভীষণ রকম ভাবে তাড়িয়ে বেড়ায়!
তোকে লুকিয়ে ;বন্ধুদের লুকিয়ে
তলে তলে যে ফার্স্ট ইয়ারের রাজার সঙ্গে
প্রেম জমিয়েছিলাম
তা সফল হয়েছিল ঠিকই
কিন্তু তার ফলটা ছিল খুব মারাত্মক ৷
সেদিন শ্রাবণ মাসের ঝোড়ো অাকাশ
তুমুল বৃষ্টি—বাদল মাথায় নিয়ে
তোদের না জানিয়ে বাড়ি ছেড়েছিলাম ৷
তার মাস চারেক পর একদিন রাতে
রাজা মদ্যপ অবস্থায় বেহুঁশ হয়ে বাড়ি ফিরেছিল!
বলতে যেতেই সেকী মার মেরেছিলো অামায়
শরীর ফেঁটে রক্ত ঝরছে
অামি গুঁঁগিয়ে গুঁঁগিয়ে কাঁদছি।
লাথি মারতে মারতে দরজার বাইরে বের করে দিল।
শরীর ছেঁড়ার যন্ত্রনায় অার জ্বরে গা পুঁড়ে যাচ্ছিল অামার ৷
পরের দিন সকালে অামায় পাশ কাটিয়ে
দরজায় চাবি দিয়ে চলে গেল সে
একটি বার ফিরেও তাকালনা ৷
সেই যে সেদিন ঘর ছাড়লাম
স্বামী ছাড়লাম
তার পর পাঁচ বছর হয়ে গেল
ফিরে যাওয়া হয়নি ৷
কিছু দিন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ালাম
তখন বদ্ধ উন্মাদ ; ঠিক মনে নেই
কোথা থেকে অামার মেজো কাকা
অামাকে ধরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিলেন ৷
তারপর অারো দুবছর হয়ে গেল
কতকিছু পালটেছে মানুষ পালটেছে সমাজ পালটেছে
অার নিজেকেও অনেকটা পালটে নিয়েছিরে ৷
তুই কেমন অাছিস রুদ্র!
শরীরটা খুব ভেঙেছেরে তোর
তোর চোখে জল, তুই কাঁদছিস রুদ্র
সেদিন তোকে তোদেরকে ঠকানোর
শাস্তি ঠিক পেয়ে গেলাম রুদ্র
ঠকানোর শাস্তি ঠিক পেয়ে গেলাম!
