এস.এম.এস ।। অন্তরা দাঁ

onugolper adda full

 

 ফ্রেন্ডরিকোয়েস্ট'টা পেন্ডিং পড়েছিল ক'দিন ধরেই। চেনাজানা না'হলে সাধারণত একসেপ্ট করে না অনির্বাণ। নভেম্বরের এই তীব্র শীতে এই এতদূর বিদেশে সেমিনারে এসে পাকস্থলী'তে সোনালি তরলের আধিক্যেই বোধহয় প্রোফাইলে আঙুল ছোঁয়ায় সে। সাদা সূতী-শাড়ি পরা একটা খুব সাধারণ আন-ইম্প্রেসিভ চেহারা'র মেয়ে। তার চেনাজানা বৃত্তের একেবারে বিপরীত মেরু'র বাসিন্দা। সাত-পাঁচ ভেবে নিয়েই নিলো লিস্টে। জোনাকি'র মতো সবুজ সংকেত জ্বলে ওঠে নামের পাশে, অনলাইন। ইন্ডিয়াতে তো এখন প্রায় মাঝরাত! এতরাতেও জেগে? 

ইনবক্সে উঁকি দেয়... 
—বন্ধু, জীবন কেমন? 
—এই, একইরকম। একঘেয়ে, ক্লান্তিকর... 
—কেন?  এরকম কেন? 
—জীবন, এরকমই হয় বলে!    
একটু থমকায় অনির্বাণ সেন। এরকম কথোপকথন ফেসবুকে প্রথম। নেশা বেশ চেপে বসেছে না'হলে সাদাচোখে এসব কথা লেখা'র সময়, ইচ্ছা কোনোটাই তার হতো না, ওরকম একটা আটপৌরে ন্যাতানো-মার্কা মেয়ের সাথে। মেজাজটাই খিঁচিয়ে দিল শালী, মনে মনে একটা স্ল্যাং গালাগালি দিয়ে নেট অফ করে দিলো সে। কাল সকালে ব্লক করে দেবে। 
দিনদুয়েক ভীষণ ব্যস্ততায় কেটে যায়, কলকাতায় ফিরে বিমানবন্দরে গাড়ী'র অপেক্ষার অবসরে ব্ল্যাককফিতে আলতো চুমুক দিয়ে নেট অন করতেই... 
উইশিং কার্ডের গোলাপ, ইমোজি হার্টে'র বুদবুদ, লিপ্সটিক-রাঙানো ঠোঁটের ইমোটিকন।মেসেঞ্জারে'র বারান্দা'য় একপাশে দুঃখী'র মতো পড়েছিল বাংলা হরফে টাইপ করা, একটা সাদামাটা লেখা... 
—ফিরে এসে একটা এস.এম.এস করা যেত না? 
আজ ওর প্রত্যেক'টা এস.এম.এসের জন্য অন্তহীন অপেক্ষা করতে পারে অনির্বাণ।
 
 

একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...