প্রতিবিম্ব ।। শ্রীজিৎ জানা

 onugolper adda full
১.
সৈকত বদলে গ্যাছে। ওকে দেখে আজকাল অনেকের চোখ হোঁচট খায়।
সেমন্তী তবে বেশ খুশি। কলেজ লাইফে ওসব মরালিটি ইজমটিজমের ভূত মাথায় চাপে। জাস্ট ইউটোপিয়া ভাবনা। বাট সংসার মানে হার্ড রিয়েলিটি। তাছাড়া নিজের পাওনাগন্ডা বুঝে নেওয়ার মধ্যে কোন দোষ নেই।
মাঝেমাঝে খাঁচার ভিতর একটা আর্তনাদ অনুভব করে সৈকত। বেঁকে বসতে চায়।পারে না।
সমর্থন আদায়ের চেষ্টায় চিন্ময়ের কাছে অফিসের কথাটা তুলে। চিন্ময় খেঁকিয়ে ওঠে।
- ধম্মপুত্তুর হয়ে তুই বাঁচতে পারবি না। শিরদাঁড়াকে একটু নমনীয় কর দেখবি লাইফ কত স্মুদ। মন্দিরে ঢোকার মত মাথা নুইয়ে বসের কেবিনে ঢুকে দ্যাখ। কাজ হবেই ব্রাদার।
সন্ধ্যায় প্রমোশনের পার্টিতে গমগম করে সারাবাড়ি। সেমন্তী খুশিতে উড়তে থাকে। শুধু সৈকত টের পায় তার পিছনে একটা বাঁকা লেজ জন্মেছে।
২.
সেমন্তী রোজ বিছানায় নতুন হতে চায়। দাম্পত্যে একটা সময় যৌনতা অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়। স্বাদের রকমফের না হলে তিক্ততা বাড়ে।
দু'একদিন ছাড়াই সৈকতের বাইক মেডিকেল শপের সামনে দাঁড়ায়।
সেদিন সে এক বেপরোয়া ঘোড়া। সেমন্তী ঘোড়া বা বাঘ পুষতে চায়।
৪.
জোসনা এক সপ্তাহ কাজে আসেনি। মাস গেলে টাকা কেটে সৈকত বাকিটা ধরিয়ে দ্যায়।
-- জ্বর হল বলেই না দাদাবাবু। পুরোটা না দিলে একদম চলবেনি।
-- শরীর থাকলে জ্বর তো হবেই। যত্ত বাজে এক্সকিউস। না পোষালে অন্য বাড়ি দ্যাখ।
নাগাড়ে বলে যায় সৈকত। আর বুঝতে পারে তার হাতে পায়ে নখ ক্রমশ বাড়ছে।
৫.
-- মান্থলি আর ভাড়া গোনা যায় না। এবার একটা ফ্ল্যাট দেখো প্লিজ।
সেমন্তীর অনেক দিনের শখ! টাকার ব্যাপারটা তার আগেই ভাবা আছে। সৈকতকে প্ল্যানটা শোনায়। ভিজে বেড়ালের মতো সে শোনে। তারপর দাদাকে ফোনে জানায়-
-- আমার অংশের ভিটে আর বাড়ি বিক্রি করতে চাই। তুমি নিলে নাও, নইলে অন্যকে বলতে হবে।
বিক্রির টাকা আর লোন মিলে অঙ্কটা বেশ বড়ই! মনের মতো ফ্ল্যাট নেওয়া যাবে। হায়নার মতো সৈকতের চোখদুটো চকচক করে।
সেমন্তী কিভাবে ফ্ল্যাট ডেকোরেট করবে তার ফিরিস্তি শোনায়। হঠাৎ সৈকত ঘোরের মধ্যে বলে ওঠে--
ফ্ল্যাটের কোথাও যেন আয়না রেখো না।

একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...