সুজাল,
কেমন আছো? অনেক দিন ধরে পড়ে থাকা একটা সাদা কাগজে তোমাক কিছু লিখবো ভেবেছি! তাও জানি না তোমার হাতে পৌঁছবে কিনা! বেশ কিছুদিন হলো আমি ঘরবসা! মানে আমার কর্মশক্তি অনেকখানি হ্রাস পেয়েছে; তাই ঘরেই থাকি। সারাদিন উঠানে হাঁস মুরগীগুলো কিচিরমিচির করে। ওদের কথা শুনতে শুনতেই একটি একটি দিন শেষ হয়ে যায়। তুমি কেমন আছো? জানো তুমি যেখানে এসে বসতে, সেখানে একটা বাঁধানো দালান হয়েছে। প্রতিদিন দুপুর বসি। দখিনা বাতাস গায়ে লাগে, চোখ জড়িয়ে আসে। কানে ভেসে আসে কৃষি কথার আসরের গল্প। কখন যে বিকেল হয়ে যায় তার টের পাই না। জানো ঘুম ভেঙে দেখি স্কুল ফেরত অষ্টাদশীরা তোমার দেওয়া পলাশ গাছের ফুল কুড়াচ্ছে। কতবার ভুল করে ওদের কারো কাঁধে হাত দিয়ে বলেছি; সুজাল আমার হাতে কিছু পলাশ কুড়িয়ে দাও। ওরা ঘুরে দাঁড়িয়ে বলে কাকু তুমি না…! আমি পাগল বলল। না গো কাকু তুমি পাগল নও! ওরা ফিরে যায়। সুজাল তোমার মনে আছে! এই গাছটি কোনোভাবেই লাগাতে দেবে না দাদা‚ আর তুমি জোর করে গাছটি লাগিয়েছিলে। বলেছিলে গাছ আমাদের বন্ধু। এখন জানো ঐ পলাশ আমার সত্যই বন্ধু। খুব কাছের, খুব অন্তরের। সুজাল একবার তো আসতেই পারো! নাইবা একা এলে, সাথে তোমার পলাশকে নিয়ে এসো। তোমার পলাশ দেখে তো যাক, কেমন ফুলে ফুলে ভরে গেছে তার মায়ের হাতে লাগানো পলাশ। আজ রাখি। একটু বিশ্রাম নিতে হবে। অনেকক্ষণ বসে আছি তাই কোমরের যন্ত্রণাটা বেড়েছে। রাখি তাহলে; আমি এখন ভালো আছি আগের থেকে।
ইতি,
আবীর