ঋ,
এখনো দখিনা বাতাস এলে মধ্য তিরিশের খোলা জানালায় আবারও প্রথম যৌবন আসে। ঋতুরাজ প্রতিদিনের ভাঙনকে অলৌকিক করে দেয়। শীত ঘুম থেকে জেগে ওঠা গাছ তখন আদিম তরুণী । তুমি তাকে গতি দাও। আমার শরীরে বহু জন্মের ঘুঙুর খুলে গেলে আরেকবার রাই হই। ফাল্গুনের চাঁদ হাতছানি দিয়ে ডাকে। পায়ে বাঁধা আছে ঘাস।ভুলে যাব চাঁদ তোমায়, এই বলে তুলেনি বাঁশি।মধুমাস ঘিরে আমিও তো মধুমতী হই। তোমার ঘরহীন বাড়িতে রেখে দিয়েছি পারিজাত। আর চাঁদের কথা ভাবতে ভাবতে আমরা দেখি আমাদের কোনো ছাদ নেই, মাটি আছে। মাটিতে হাস্নুহানার ঘ্রাণ। তবুও কোনো একদিন আমার না বোঝাতে পারা ধারাপাতে তুমি বিষণ্ন হও। আমি অভিমান চিরে চিরে দগ্ধ হই খুব। কত যুগ কেটে যাবে বলো – অস্থির হয়ে ঘর খুঁজি রোজ। তোমার অপেক্ষায় বসে আছি ঋ। জানি তুমি টের পাও, তোমার রোজকার বেসুরো আগুনের ভেতর আমি আমার সমস্ত অস্তিত্ব নিয়ে আছি। আজকাল আমার ভোর কিংবা রাত তোমার সুঘ্রাণ মাদকতা। মনে মনে প্রাচীন বটের গায়ে লাল সুতো বেঁধে এসেছি।শোনো, আজ আর কোনো যুক্তি তর্ক নয়, জন্ম জন্ম ধরে আমি তোমার ভেতর ফুল হয়ে ফুটে থাকতে চাই।
ইতি,
২২ফাল্গুন ১৪২৬