স্বাধীনতার স্বাদহীনতা ।। সুদেষ্ণা ঘটক অধিকারী

swadhinota

 

স্বাদহীনতার কাহিনী বলতে গিয়ে আমার মতো, আমাদের মতো স্বাস্থ্য বিভাগের তৃণমূল স্তরের কিছু কর্মীর স্বাধীনতার স্বাদহীনতাকেই বেছে নিলাম।
স্বাধীনতাও যে স্বাদহীন হয় স্বাধীনতার এতো বছর পরেও বা Covid-19 এর উপসর্গের মতো মাঝে মাঝেই তার মিষ্টি গন্ধটাও যে দম বন্ধ করা হয়; উবে যায়, সে বিষয়েই নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দু'চার কথা...
"স্বাধীনতার স্বাদহীনতা" শব্দটাকে আমি আপাতভাবে তিনটি ভাগ করে নিলাম...
১)পারিবারিক স্বাধীনতার স্বাদহীনতা
২)সামাজিক স্বাধীনতার স্বাদহীনতা
৩)কর্মক্ষেত্রের স্বাধীনতার স্বাদহীনতা
কর্মক্ষেত্রের যে স্বাদহীনতা, তা নিয়েই  নিজের অনুভূতি প্রকাশ করছি আজ। যদিও এই ক্ষেত্রটাতে পদার্পণ করতে হলেও আমার মতো মধ্যবিত্ত ঘরের বাঙালি নারীদের প্রথম দুই ক্ষেত্রের প্রাথমিক পরাধীনতা কাটিয়ে যৎসামান্য স্বাধীনচেতা হতেই হয়, স্বভাবতই কিছুটা স্বাদহীন হয়ে ওঠে পারিবারিক - সামাজিক জীবন ও সম্পর্কগুলো।
তারপর যেটা হয় সেটা আরও কঠিন, বড়োই বে-আস্বাদের। সামনে তখন প্রত্যক্ষ স্বাধীনতার স্বাদ ভর্তি খোলকের আড়ালে পরোক্ষ শৃঙ্খলিত তিক্ততায় মোড়া একটা জীবন। কোয়ালিটি সার্ভিসের অভিজ্ঞতা নিয়ে কোয়ান্টিটি সার্ভিসের পিছনে ছুটতে ছুটতে ক্লান্ত হাঁপধরা মনটাকে টিকিয়ে রাখার একটা পরিসর।
আমি W.B Nursing Council থেকে পাশ করা NRHM নিযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এক অস্থায়ী ANM(R), নিজ এলাকার পঞ্চায়েত সংলগ্ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিযুক্ত আছি  ANM 2 Designation নিয়ে, যদিও আমার কর্মের মেয়াদ ১০ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে।
চাকরী মানেই পরোক্ষে কম-বেশি একটা পরাধীন জীবন, নিয়মের বাইরেও বেনিয়মের একটা লম্বা হাতের অক্টোপাস বন্ধন।


আমি ব্যক্তিগত ভাবে কর্মক্ষেত্রে ঢুকে একসময় একইসাথে দ্বৈত স্বাধীনতার স্বাদ হারিয়েছিলাম। দ্বৈত বললাম, তার কারণ একবার হারালাম সরকারী জায়গায় মাথা গুঁজে, একই সাথে হারালাম অস্থায়ী কর্মী হওয়ার সুবাদে। স্বভাবতই অনেক স্থায়ী কর্মীদের চোখে খানিকটা অচ্যুত হিসাবেই শুরু করেছিলাম নিজের কর্মজীবনটা।
প্রতিনিয়ত সমানতালে যোগ্যতার লড়াই লড়তে লড়তে ক্লান্ত হয়েছি, তবু শক্তি সঞ্চয় করেছি করছি নিজের মধ্যে, প্রতিনিয়ত সজীব করে তুলছি মনের টেস্টবারগুলোকে।
আমার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দু'জন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ANM(R) ও এলাকা ভিত্তিক প্রায় ১০০০-১৪০০ জনসংখ্যায় একজন করে মোট ছয় জন ASHA দিদি। খাতা কলমে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এলাকা ভাগ দুই ANM এর সমান সমান, জনসংখ্যাও, দায়িত্বও। স্থায়ী কর্মী হিসাবে ANM 1 Incharge হিসাবে গণ্য হন। তাঁর অনুপস্থিতিতে সমস্ত দায়িত্বই ANM 2 এর।
শুরু করি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিকাঠামো; পরিবেশ বা সেখান থেকে প্রাপ্ত বে-আস্বাদের অভিজ্ঞতা দিয়েই...
আগে পঞ্চায়েতের একটি ঘরে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাজ চলতো, বছর খানেক হলো জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের টাকাতেই পঞ্চায়েত সংলগ্ন একটি দ্বিতল গৃহ নির্মাণ হয়েছে, সেখানে এলাকার ৮৫০০ জন মানুষের জন্মের আগে থেকে মৃত্যুর পর অবধি বিভিন্ন রকমের পরিষেবা দিই আমরা মিলে মিশেই। অতিরিক্ত প্রায় ৬৫০০০ টাকা থাকা সত্ত্বেও; বহুবার আবেদন করার পরও বাইরে মাথার উপর একটা সেড, একটা নির্দিষ্ট নিরাপত্তা দেওয়া বাউন্ডারি পাইনি আমরা, ফলে কোনোদিন গিয়ে সরাই ভাঙা মদের বটল, কোনোদিন পরিষ্কার করি ফুচকার প্লাস্টিকের বাটি, কোনোদিন দেখি বাইরে বসানো সাবমার্সিবেলের ট্যাপ টাই উধাও...

ইঞ্জেকশানের দিন গুলোতে তো রোদ জলে আধা পুড়ে-ভিজেই  গর্ভবতী মা, সদ্যজাত শিশুকে থাকতে হয় সেন্টারের ভিতরের ছোট্ট একটু দুয়ারে। বর্তমানে এই কোভিড পরিস্থিতিতেও চালু আমাদের সমস্ত রকম পরিষেবা, দূরত্ব বজায় রাখতে গর্ভবতী মায়েদের সিঁড়ি ভেঙে পাঠাতে হয় দোতলার ঘরে। অনেকে ওঠেন, অনেকে ওঠেন না। নিরুপায় আমরা, তাই কঠোর হই মায়েদের উপর, বাধ্য করি উঠতে। সংক্রমণ এড়াতে পরোক্ষে অন্য বিপদে ফেলি আসন্নপ্রসবাদের।
সরকারি আদেশ অনুযায়ী প্রতিবার পরিষেবার পর  সংক্রমণ মুক্ত করতে হবে সেই স্থান। কখনও যদি জানতে চাই- করবে কে? উত্তর আসবে আমরাই...
এতো বড়ো একটা ক্রাইসিসেও একটা স্বাস্থ্যকর্মীও নিয়মিত পরিপূর্ণ সুরক্ষার জিনিস পায়নি সেই মার্চ মাস থেকে। দাবীর পর দাবী করে করে যেটুকু পেয়েছি, সেটা নেহাতই তুচ্ছ আমাদের কাছে। যে আমরা কিনা প্রতিদিন ভিন রাজ্য থেকে আসা কমিউনিটির অজানা অচেনা পরীক্ষা না হওয়া মানুষদের ও তাদের পরিবারের পরিষেবা দিই, সেই কোভিড যোদ্ধাদের সুরক্ষা শুধুমাত্র ৫০ বার কাচা আর শুকনো করা দু একটা ডিসপোজাল গ্লাভস আর মাস্ক। একটা করে চাদর অবশ্য পেয়েছি সবাই, রোদ বৃষ্টি ঝড়ের নাকি ওটাই একমাত্র প্রতিরোধক। ANM দের জন্য কটন গাউন। তবু বলবো কম, খুব কম এগুলো প্রয়োজনের তুলনায়, উপযুক্ত সুরক্ষার জন্যও।

সুরক্ষার অভাবে আক্রান্ত হচ্ছে, মরছেও কর্মীরা। ঠিক তখনই ফলাও করে ঢাক পেটানো কথাগুলো মিথ্যে প্রমাণিত হচ্ছে বারবার।আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার পরও তারা তাদের উদ্দেশ্যে ঘোষিত বীমার আবেদন করতে পারছে না, অবহেলিত হচ্ছে, অপমান করা হচ্ছে ইচ্ছে মতো, সবশেষে অস্বীকারও করা হচ্ছে প্রথম সারির যোদ্ধা হিসাবে। এমনিতেই সুপ্রিমকোর্ট এর রায়ের পরেও এখনও জারি সম কাজে সম পারিশ্রমিকের বৈষম্য, ASHA দিদিদের উপযুক্ত সাম্মানিক নেই। মাঝে মাঝে ভাবনা আসে, আমরা জীবন বাজি রেখে লড়বো তবে কিসের জন্য? প্রশ্ন করলে হারাতে হবে কাজ,  "পোষালে করো, না হলে ছাড়ো। "কাজের বেলায় কিন্তু এক চুলও কম নেয় না আমাদের থেকে, বরং বুঝে নেয় দ্বিগুন তিনগুণই। অথচ বাঁচিয়ে রাখার অনিহা প্রবল, নিরাপত্তার অভাব প্রকট। এবার আসি কর্মক্ষেত্রের মানুষজনের কথায়, যাদের জন্য আমরা জীবনের ঝুঁকি নিই, ঘরে ঘরে, গ্রামে গ্রামে ঘুরে পরিষেবা দিই। দিন রাত সবসময়ের জন্য পাশে থাকার আশ্বাস দিই, সশরীরে, ফোনের মাধ্যমেও। অথচ কিছু ঘটনা ঘটলে ঠিক ভুল বিচার না করেই তারাই চড়াও হয় আমাদের উপর, আমাদের পরিবারের উপর। অপমান, কটু কথা, উপহাস, ভালোবাসা সবই পাই মানুষ বিশেষে, তবে খারাপের ভাগটাই বেশি। অনুরোধ করি, বোঝানোর চেষ্টা করি, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে সঠিক পথের হদিস দিই, কাজ হয় কিন্তু শতকরা হিসেবে অনেকটাই কম। কেন? আসলে, আমরা তো আর নেতা নেত্রী না, আমরা মানুষের বন্ধু হয়ে কাজ করি। আমাদের কথারও যে গুরুত্ব আছে এটা বোঝাবে কে জ্ঞানপাপী মানুষজনকে!
তারা কোয়ারেন্টাইন রাখাকে ভাবে দিদিমণির লাভ, সার্ভে করতে গেলে শোনায় "পয়সা পাবো?"
সময় মতো মা এর রেজিস্ট্রেশনের পিছনেও তারা ASHA দিদিদের লাভের হিসেব দেখে,
একসাথে বাচ্চাকে একাধিক  রুটিন ইঞ্জেক্ট করলে তারা দিদিমণিদের নির্দয়তা নিয়ে সোচ্চার হয়।
সময় নিয়ে বাচ্চাকে ইঞ্জেক্ট করলে তারা ব্যস্ততার বাহানা দেয়, বিরক্তি প্রকাশ করে,
৬ মাস অবধি বাচ্চাকে শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে বলাকে তারা স্বাস্থ্যকর্মীদের মুর্খামি ভাবে, নরমাল ডেলিভারির জন্য অপেক্ষা করাকে তারা নিজেদের বোকামি ভাবে।
তবু আমরা এসব নিয়েই কাজ করি, বুঝিয়ে যাই এলাকাবাসীকে, জানি ১০০ জনের মধ্যে ১০ জনও তো শোনে আমাদের কথা। আশা রাখবো একদিন আরও সচেতন হবে এলাকার মানুষ, আনন্দের স্বাদ ফিরবে তাদের আমাদের হাত ধরেই।


সরকারি তরফ থেকে আমরা আশা রাখি, সরকার ASHA দের বাঁচাক ANM দের বাঁচাক, সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি সরকার আরও তৎপরতা দেখান।
না মানলেও এটাই সত্যি যে-একটা প্রশিক্ষিত, অভিজ্ঞতা সম্পন্ন স্বাস্থ্যকর্মী বানাতে মিনিমাম একটা সময় লাগেই, সাড়ে তিন দিন বা সাত দিনে এসব হয়না। তাই দৃষ্টি দেওয়া উচিত যারা কাজ করছে তাদের সুরক্ষার ব্যাপারে, মূল্য দেওয়া উচিত তাদের জীবনের।


স্বাধীনতার এতবছর পরেও গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর  অনুপযুক্ত পরিকাঠামো কি প্রশাসনিক অবহেলা নয়? তৃণমূল স্তরের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি দ্বিচারিতা কি উদ্দেশ্য প্রণোদিত নয়? আমরাও চাই আদর্শ পরিবেশে মানুষকে সঠিক পরিষেবাটুকু দিতে। সর্বোপরি খেয়াল রাখতে হবে  স্বাস্থ্যকর্মীরাও মানুষ, সর্বাগ্রে উপযুক্ত সম্মান দেওয়া উচিত তাঁদের প্রত্যেককেই।

swadhinata pra

গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি



Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1808

স্বাধীনতার স্বাদহীনতা ।। সুদেষ্ণা ঘটক অধিকারী
Sudesna Ghatak Adhikari ।। সুদেষ্ণা ঘটক অধিকারী

  স্বাদহীনতার কাহিনী বলতে গিয়ে আমার মতো, আমাদের মতো স্বাস্থ্য বিভাগের তৃণমূল স্তরের কিছু কর্মীর স্বাধীনতার স্বাদহীনতাকেই বেছে নিলাম। স্বাধীনতাও যে স্বাদহীন হয় স্বাধীনতার এতো বছর পরেও বা Covid-19 এর উপসর্গের মতো মাঝে মাঝেই তার মিষ্টি গন্ধটাও যে দম বন্ধ করা…

Aug 14, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2715

স্বাদ হীনতার কথা ।। প্রিয়াঙ্কা
Priyanka ।। প্রিয়াঙ্কা

ডিভোর্স শব্দ টা আমি প্রথম শুনি আমার যখন ১০/১১ বছর  বয়স।   আমার বাড়ি অসমের বরাক ভ্যালির ছোট্ট একটা ডিস্ট্রিক্ট করিমগঞ্জে। একান্নবর্তী পরিবারে জন্ম। একদিন একজন মহিলা এলো, ওর বাবা বাড়ি বাড়ি দুধ বিক্রি করেন, তিনি নিজেই নিয়ে এসেছেন সেই মহিলা কে।…

Aug 10, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2605

‘‘জীবন কাটালেন কী রকম?’’–‘‘ভালো’’ ।। আশিস মিশ্র
Ashis Mishra || আশিস মিশ্র

  " জীবন কাটালেন কী রকম " " ভালো " " আপনার কোনো শত্রু ছিল? " " তারা আমাকে সৃষ্টিকাজ থেকে সরাতে পারে নি। " " আর খ্যাতি?" " কাজকে করে দিয়েছে কর্তব্য।" " আর আপনার বন্ধুরা? " " আমার কাছ থেকে চেয়েছে আরো কাজ।" " আর নারীরা?" " আমার…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 5890

স্বাদহীনতা অথবা স্বাধীনতা ।। সমর দেব
Samar Deb ।। সমর দেব

    স্বাধীনতা মানে তো নিজের অধীনতা। এই সরল বয়ানে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক এই যে, মানুষ কী সত্যিই নিজের অধীনে ছিল কোনোকালেই? অথবা, মনীষী বাক্য, মানুষ  স্বাধীন হয়েই জন্মায় এবং পরে সে পরাধীনতার বশীভূত হয়। সেটাও পুরোপুরি ঠিক নয় বোধহয়। জন্মমুহূর্তেই শুরু…

Aug 7, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 14564

স্বাধীন লেখা এবং স্বাদহীন লেখা ।। বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়
Biplab Gangopadhyay ।। বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়

স্বাধীন লেখা এবং স্বাদহীন লেখা। এরকম দুটি শিবির আমরা কল্পনা করতে পারি অনায়াসে । কল্পনা নয়, বাস্তবেও আমরা দেখি একধরণের লেখার অক্ষরে কোথাও বন্দিত্বের দাগ নেই। ঋজু টানটান শিরদাঁড়া। শব্দের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে অপরিসীম তেজ। আবার কিছু লেখা থাকে…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 3372

স্বাদহীনতার জীবন : উপভোগ্য এক নোতুন পৃথিবী ।। বিভাবসু
Bibhabosu ।। বিভাবসু

  স্বাদহীনতার জীবন : উপভোগ্য এক নোতুন পৃথিবী।। বিভাবসু  ।। এক ।। স্বাদহীনতার প্রসঙ্গে ঢুকে পড়ার আগে, হে আমার জিহ্বার দেবতা, হে আমার বোধের দেবতা, হে তৃপ্তির দেবতা, তোমাদের আমি আমার বিস্বাদ ও বিষাদগ্রস্থ জীবনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই। একসময়ে আমি তোমাদের…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2089

ভয় ।। অর্পিতা আচার্য
Arpita Acharya ।। অর্পিতা আচার্য

   "যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সেই কেড়েছে ভয় আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয় " আমি সন্দীপা। আসামের শিলচরে থাকি। এই ভারতবর্ষেরই একটা ছোট্ট নগর --ঝাঁ চকচকে শহরের তুলনায় একটা দেহাতি জনপদ, কিছু পাহাড় টিলা আর বাংলাভাষায় কথা বলা কয়েকটা মানুষ। এতো সাধারণ একটা শহর…

Aug 13, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2779

ছোলামুড়ি ।। অলক জানা
Alok Jana || অলক জানা

  ঝড় ভাইরাস মাটিকম্পন পেরিয়ে বরাবরের মতো খামতিহীন এবারও ভারতবর্ষে ১৫ আগস্ট চলেই এলো। মেঘ বৃষ্টির বেরসিক খলনায়কত্ব, উল্কাপাত মরশুম। এক কথায় সমস্ত রকম নেগেটিভ স্পর্শকাতর ইস্যুগুলো সামলে টিকে থাকতে হবে এটাই এখন বড় কথা। তবুও ভালো স্বাধীনতার আলো হাওয়ায় অন্তত…

Aug 13, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1603

শিক্ষকের স্বাধীনতা–শিক্ষকের স্বাদহীনতা ।। শোভা ভট্টাচার্য্য
Shobha Bhattacharya ।। শোভা ভট্টাচার্য্য

মানুষের অন্তর্নিহিত পূর্ণতার বিকাশ সাধনের নাম শিক্ষা। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল জ্ঞানের বিকাশ। জ্ঞানের উন্মেষ না হলে চিত্তের বোধন হয় না। শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারেনা। সুশিক্ষিত লোকমাত্রেই স্বশিক্ষিত। তবুও কারও না কারও কাছ থেকে কিছু শিক্ষা তো নিতেই হয়।…

Aug 14, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2303

হে আমার দেশ ।। অভিনন্দন মুখোপাধ্যায়
Avinandan Mukhopadhyay ।। অভিনন্দন মুখোপাধ্যায়

স্বাদ এবং সাধ, এই দুই এক অনন্য বন্ধুবৃত্তের দুই জোড়া। একের জন্য অন্যের মরিয়া হামদর্দি। অথচ বহুত্ত্বের ক্ষেত্রে এই দুইয়ের এক হওয়া হয়না, হয়নি। এ আমার দেশ - খিদের দেশ, দারিদ্রের দেশ, পরিযায়ী শ্রমিকের দেশ, দিনে অধিকাংশের ২০ টাকার নিচে আয়…

Aug 13, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 14741

তুলির টানে স্বাদ–হীন সময় ।। অঙ্কন মাইতি
Ankan ।। অঙ্কন

" প্রভু, আপনি সর্বজ্ঞপণ্ডিত, ভবিষ্যৎদ্রষ্টা।  জগৎটাকে পরিবর্তন করে সব কালিমা দূর করে দিন। আমিও আমার ছবি মুছে দেব।" মাইকেলেঞ্জেলোর এই স্বাধীনতার আর্তি হয়তো পথ দেখালো আগামী দিনের শিল্পীদের। আধুনিক চিত্রকলার স্বাধীন ভাবনার যুগ শুরু হলো ১৮১৯ সালে জাত,  ফরাসি শিল্পী গুস্তাভে…

Aug 13, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 3952

স্বাদহীন স্বাধীনতা ।। তৈমুর খান
Taimur Khan ।। তৈমুর খান

–আমরা কি স্বাধীন? –হ্যাঁ আমরা স্বাধীন। ১৯৪৭ সালের ১৫ই অগাস্ট আমরা স্বাধীনতা পাই। –ওটা স্বাধীনতা নয়, ক্ষমতা হস্তান্তর। ব্রিটিশরা ভারতকে ভাগ করে ক্ষমতা হস্তান্তর করে গেলেন মাত্র। আমরা একই শাসনের ভেতর পাল্টানো শাসককে পেলাম। ব্রিটিশ শাসকের বদলে এল ভারতীয় শাসক। –এতো অদ্ভুত কথা…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1739

জল জঙ্গল জমিন / হড় মিতানের ঋণ ।। গৌতম মাহাত
Gautam Mahata ।। গৌতম মাহাত

    দীর্ঘ স্বাধীনোত্তর সময়ের পরেও অন্ধকার থেকে অন্ধকারে থেকে গ্যাছে জঙ্গলমহল তথা আদিবাসী সমাজ। তাদের থেকে হস্তান্তর হয়েছে জল জঙ্গল জমিনের অধিকার। দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু সেই অনন্ত আলোর ছোঁয়া পৌঁছতে পারেনি যার বা যাদের সমাজের চৌকাঠে তারা আদিবাসী।         যাদের…

Aug 14, 2020
আরও পড়ুন
«
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
»

গল্প: স্বাদহীনতার কাহানি



Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 13793

শোধ ।। ওবায়দুল বারী
Obaidul Bari ।। ওবায়দুল বারী

  নূরীর মন টা আজ বেশ কিছুদিন ধরেই অজানা আশঙ্কায় ভর করে আছে। কোনো কিছুতেই মন বসাতে পারছে না। সেয়ানা মেয়ে ঘরে রাখা ঠিক হবেনা ভেবে, সেই যে বাবা বিয়ে দিয়ে দিল... সেজন্যে তো মন খারাপ হয়েই ছিল। শুধু শফিকের একটা…

Aug 5, 2020
Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 13784

শিশুর স্বাধীনতা– শিশুর অধিকার ।। সহদেব প্রধান
Sahadev Pradhan ।। সহদেব প্রধান

এক. সিংহাসনে সাদা চামড়ার বদলে বাদামি চামড়ার বসাটা স্বাধীনতা নয়। স্বাধীনতা হলো মানুষের কিছু মৌলিক অধিকার পূরণ। শিশুদের ক্ষেত্রেও এই কথা প্রযোজ্য। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ১৮ বছর বয়সের নীচে সবাই শিশু। জীবন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নিরাপত্তা, বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশের অধিকারগুলি শিশুর মৌলিক…

Aug 11, 2020
Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 4033

আজ স্বাধীনতা দিবস ।। অ্যাঞ্জেলিকা ভট্টাচার্য
Anjelika Bhattacharjee ।। অ্যাঞ্জেলিকা ভট্টাচার্য

    পাশের বাড়ির টিয়াটা সারাদিন ডেকে চলেছে।মিনতি একমনে বারান্দার গ্রিল মুছতে থাকে । টিয়ার ডাকে  একবার করে পাশের বাড়ির পোলুদের বারান্দার দিকে চোখ চলে যায়। খাঁচাটা বেশ বড় , তারমধ্যে আবার দোলনা আছে। চারদিন হল টিয়াটা এই শহরে এসেছে। পোলুর মামাবাড়ি…

Aug 5, 2020
Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2245

রবিবাসরীয়র জন্য গল্প ।। শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তী
Suddhendu Chakraborty ।। শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তী

ডোরবেল বাজাবার সময়  অনীক ভেবেছিল একটা রূপকথার পরি দরজাটা খুলে দেবে। কী যেন নাম বলেছিল ফেসবুকে? নির্ঘাত জালি নাম। আজকাল ওইসবই তো চলে। ও হ্যাঁ । মনে পড়েছে। কুয়াশা।              অথচ যে মেয়েটা অনীককে চমকে দিয়ে…

Aug 10, 2020
আরও পড়ুন

প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি



Card image




প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1979

নারী স্বাধীনতা ।। রোশেনারা খান
Roshenara Khan ।। রোশেনারা খান

  স্বাধীনতা বলতে কী বোঝায় ? এর উত্তর  বা সংজ্ঞা সমাজের বিভিন্ন  শ্রেণির নারী-পুরুষের কাছে বিভিন্ন রকম। আসলে বহু যুগ ধরে পুরুষ ও পুরুষ-তান্ত্রিক  সমাজব্যবস্থায় ধর্মের নামে নারীকে  সামাজিক রীতি-নিয়মের বেড়াজালে  আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে গৃহবন্দি করে রাখার পক্ষপাতদুষ্ট রেওয়াজ চলে আসছে। নারীকে…

Aug 10, 2020
Card image




প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 16095

বিস্মৃতির ধুলায় মলিন ঘাটাল মহকুমার স্বদেশী আন্দোলন ।। দেবাশিস কুইল্যা
Debasish Kuila ।। দেবাশিস কুইল্যা

  বিস্মৃতির ধুলায় মলিন ঘাটাল মহকুমার স্বদেশী আন্দোলন                  দেবাশিস কুইল্যা       ঘাটাল ; পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উত্তর পূর্বে অবস্থিত আয়তনে ৯৫২.২৮ বর্গ কিমি ১৮৭৬ খ্রীষ্টাব্দে স্বতন্ত্র মহকুমার স্বীকৃতি পায় । এই মহকুমার প্রাচীন ইতিহাসের…

Aug 5, 2020
Card image




প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 15848

স্বাধীনতার এত বছর পরেও লোকশিল্পীদের স্বাদহীনতার কাহিনী ।। ভাস্করব্রত পতি
Bhaskarbrata Pati ।। ভাস্করব্রত পতি

"বিটির বিঁহা দিব কেমনে / আমার ঘুম ধরেনা নয়নে / এমনি মুগের রীতিনীতি / পণ ছাড়া বিকায় না / বিটির বিঁহা দিব কেমনে" -- এভাবেই টুসুগানে আমাদের সমাজের আঁধার কাহিনীর সুর তোলে। এ কান্না শিল্পীদের জীবনেও। কান্নার আওয়াজে দেওয়াল কাঁপে।…

Aug 11, 2020
আরও পড়ুন

স্বাদহীনতার কাহানি - সংখ্যায় প্রকাশিত লেখা সমূহ



একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...