গুরু শিষ্য পরম্পরা ।। অঙ্কন মাইতি

 nandalal basu

ভারতীয় শিল্প, ভাস্কর্য, স্থাপত্য, প্রাচীর ও গুহাচিত্র ইত্যাদির ইতিহাস আর বৈশিষ্ট্য শুধু অন্যতম প্রাচীনই নয়, তার একটি বিশেষ ছন্দনৈপুণ্য আছে। সেই ধারাবাহিকতা থেকে ভারতীয় শিল্পশৈলীর চর্চার বিচ্ছেদ ঘটেছিল বিশেষভাবে মোঘল সাম্রাজ্যের পর দীর্ঘদিন ব্রিটিশ শাসন ও তারই পাশাপাশি দুটি বিশ্বযুদ্ধ এবং ইউরোপের আধুনিক শিল্পের বিভিন্ন মতবাদগত আন্দোলন প্রভৃতির চাপে। পরম্পরা থেকে প্রায় ছিন্ন হয়েছিল আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শিল্পের স্বাভাবিক ধ্যানধারণা ও সৃষ্টিশীলতা। তাই ভারতের আধুনিক চিত্রকলার ইতিহাস ইউরোপের তুলনায় একান্তই নবীন।

ক্ষমতার প্রতি অনুগত একটি বিশেষ শ্রেণি গড়ে তোলার উদ্দেশ্যেই ব্রিটিশরা ভারতের সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থার ছাঁচটি তৈরি করেন। শিক্ষার এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি মনে করতেন, নিজস্ব বোধশক্তির ক্ষমতাতেই মানুষ প্রকৃতি এবং শিক্ষায়তন থেকে লব্ধ বিভিন্ন ধারণাকে বা জ্ঞানকে সূত্রায়িত করতে সমর্থ। এই আগ্রহই প্রাকৃতিক, সামাজিক এবং আত্মিক, এই তিন নৈর্ব্যক্তিক পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে ক্রিয়াশীল এক শক্তি যা শিক্ষা বা শিল্প উদ্দীপনার সহায়ক।

১৯০১ সালে পূর্ব ভারতের শান্তিনিকেতনে কবি যে বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন, পরবর্তী সময়ে ১৯১৯ সালে সেই বিদ্যালয় একটি উদারমনা বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ছিল কর্মমুখী বাজার-চলতি শিক্ষার বিপ্রতীপে সব মানবিক দক্ষতার বিকাশমুখী শিক্ষা। সেই প্রথম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রকৃতির কোলে সৃজনশীল ক্ষমতা বিকাশের উপযোগী একটি পরিবেশ সহায়ক বিশ্ববিদ্যালয় ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের সামনে উপস্থাপিত করলেন। একেবারে নিজস্ব আর্থিক ক্ষমতায় বলীয়ান এই বিশ্ববিদ্যালয় ভারতবর্ষে সেই প্রথমবার কলা অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে শিল্পকলাকেও উচ্চতর জ্ঞানের একটি বিষয় হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। তাঁর খ্যাতনামা ভাইপো শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্ভাবনাময় ছাত্র, তরুণ চিত্রকর নন্দলাল বসুকে তিনিই ১৯১৯ সালে শান্তিনিকেতনে নিয়ে আসেন। সেখানকার নান্দনিক পরিবেশের বিকাশ এবং শিল্প বিভাগ, যার নাম তিনি দিয়েছিলেন ‘কলাভবন’ অর্থাৎ শিল্পের আবাসগৃহ, সেই কলাভবন সংগঠনের দায়িত্ব দেন নন্দলালকে। কলাভবনের ভ্রূণাবস্থায় নন্দলাল সেখানে যোগ দেন। তাঁর দীর্ঘ সময়কালে কলাভবন ভারতের সবচেয়ে প্রাণচঞ্চল একটি শিল্পকেন্দ্র হয়ে উঠেছিল।

পরম্পরানির্ভর ভারতবর্ষের হস্তশিল্পের ক্ষেত্রে দরকার ছিল নতুন অভিমুখ, নতুনতর মাত্রা। আচার্য নন্দলালের দৃষ্টিভঙ্গিতে, প্রতিটি হস্তশিল্পী একজন স্ব-নিযুক্ত শ্রমিক ও তার স্টুডিও বা কর্মস্থল একটি কারখানা। ঔপনিবেশিক ও পরাধীন ভারতবর্ষের আমজনতার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল এই আত্মপ্রত্যয় ও স্বনির্ভরতা।

ঘটনাচক্রে শান্তিনিকেতনে প্রথমে কলাবিভাগে ছাত্রীদেরও ভর্তি করা হতো এবং শিক্ষকতার কাজেও মহিলাদের নিয়োগ করা হতো। নতুন অভিমুখ এবং আরও বেশি কাজের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সেই প্রথম কোনো কলা শিক্ষায়তনের পাঠক্রমে সূচিশিল্প এবং হস্তচালিত তাঁত অন্তর্ভুক্ত হলো এবং শান্তিনিকেতনের গ্রাম্য হস্তশিল্পীরাই গ্রাম্য নকশা, নানা কর্মপদ্ধতি এবং প্রয়োগ-শৈলী সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিত। শিল্প, জীবনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মানুষের যে স্বাভাবিক তৎপরতা তাকেই পাঠক্রমের শীর্ষে স্থান দেওয়া হয়েছিল।

কর্মজীবনের শুরুতে নন্দলালের ঝুলিতে পরিপূর্ণ  পাটনা, রাজগির, বুদ্ধগয়া, বারাণসী, দিল্লি, আগ্রা, মথুরা, বৃন্দাবন, 
এলাহাবাদ ভ্রমণ সহ উত্তর ভারতের শিল্প ঐতিহ্যের অভিজ্ঞতা। প্রায় একই সময়ে পুরী থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত প্রায় সমগ্র দক্ষিণ ভারত তিনি ভ্রমণ করেন এবং কোনারকের সূর্য মন্দির তাকে প্রভাবিত করে। ১৯২১ সালে তিনি বাগ গুহার নষ্ট হয়ে যাওয়া চিত্রগুলি পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব নেন আবার তিনি ভগিনী নিবেদিতার " হিন্দু-বৌদ্ধ পুরাকাহিনী " বইটির অঙ্গসজ্জা করেন এবং ঠাকুর বাড়ির চিত্রকলার তালিকা তৈরিতেও সাহায্য করেন। প্রসঙ্গত ,
ভারতীয় সংবিধানের সচিত্র মূল সংস্করণটিও নন্দলাল বসু তাঁর নিজস্ব স্বকীয়তায় অলংকৃত করেন। শেষ জীবনে নন্দলাল বসু তুলি-কালি এবং ছাপচিত্রের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হন এবং এক্ষেত্রে সাফল্যের পরিচয় দেন।

আমাদের অনেকের বালকবয়সের অবশ্যপাঠ রবিঠাকুরের সহজপাঠ। লেখাগুলির পাশাপাশি
সাদাকালো ছবিগুলির এক অদ্ভুত অদম্য আকর্ষণ আজও আমাদের মনের মধ্যে ঘুরে বেড়ায়। এই ছবিগুলো নন্দলালের আঁকা। সেই অর্থে তিনি আমাদেরও অক্ষরের সাথে প্রথম ছবি দেখার শিক্ষাগুরু।

শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীর বিবেচনায় ভারতীয় প্রেক্ষাপটে হাতের ভাষা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। হাতে তৈরি শিল্পের কদর বা অর্থ হলো হাতের স্পর্শে মানুষে-মানুষে ভাব-বিনিময়। ভারতের গ্রামই হলো আসলে সমগ্র দেশ। তাই গ্রামীণ শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতার অর্থ হলো গ্রামনির্ভর ভারতীয় অর্থনীতিকে নৈতিক এবং আর্থিকভাবে সাহায্য করা। শিক্ষক নন্দলাল সমাজের একেবারে নিচের তলার বঞ্চিত মানুষের কাছ থেকেই তাঁর ভাবনা, ও উদ্দীপনা আহরণ করেছিলেন। শান্তিনিকেতনে তাঁর বত্রিশ বছরের শিক্ষক জীবন তিনি অতিবাহিত করেছিলেন। তারপরও পনেরো বছর, তাঁর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনিই ছিলেন প্রেরণার মূল উৎস। আজও তিনি ভারতীয় শিল্পীদের অনুপ্রাণিত করেন। কোন একটি ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা প্রদর্শন না করে, শিল্প ও হস্তশিল্প এবং শিল্প ও সমাজ – এদের মধ্যে গভীর আত্মিক সম্পর্ক গড়ে তোলাই ছিল তাঁর লক্ষ্য ।

শিক্ষক নন্দলাল নিজ সময়কালের পরিবেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। তিনি মনে করতেন সমাজ-অর্থনীতির পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে শিল্প-শিক্ষার প্রথাগত কাঠামো একেবারে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে। তিনি এই নতুন ধারণার ভিত্তিতে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। নিজের দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রথাগুলোকে তাঁরা নতুন করে আবিষ্কার করেছিলেন। রাষ্ট্রীয় নিয়ম-কানুনের বিপ্রতীপে তাঁরা সংবেদনশীলতার এমন একটি নতুন সত্তার সৃষ্টি করেছিলেন, যাতে শিল্পকে আরো একবার সমাজে প্রাসঙ্গিক করে তোলা যায়। ইউরোপীয় রেনেসাঁসের পর থেকেই ক্রমশ ললিতকলা এবং ফলিতকলার মধ্যে যে মিথ্যা বিভাজন সৃষ্টি করা হয়েছিল, তিনি তাকে বর্জন করেছিলেন। নিজের চারপাশের জগৎ এবং মানুষজনের নান্দনিক দৃষ্টিভঙ্গির গভীরতর সত্তার বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করার মাধ্যম হলো শিল্প, এটাই ছিল তাঁর শিল্প-দর্শন। নন্দলাল তাঁর এই প্রগতিশীল ধ্যান-ধারণাকে শিক্ষাদানের মূল্যবান অভ্যাসে নিয়োজিত করেছিলেন।

শান্তিনিকেতনের প্রাক্তনী ও প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আচার্য প্রসঙ্গে সামান্য কটি কথা, এক কথায় অনবদ্য। " নন্দলাল বসু ছিলেন একজন যথার্থ আচার্য। তিনি শুধু নিজে প্রতিষ্ঠা অর্জন করেননি, আরও অনেককেই প্রতিষ্ঠা অর্জনে সাহায্য করেছেন। শিল্পী হিসাবে তিনি সকল বস্তুতেই তাদের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ও সৌন্দর্যের সন্ধান করতেন, এবং জনসাধারণের জীবনে শিল্পের প্রভাব যাতে আরও গভীর হয় সেদিকে সব সময় তাঁর সজাগ দৃষ্টি ছিল।... অজন্তা ও বাগ-গুহার চিত্রাবলি থেকে শুরু করে সাঁওতালদের তৈরি মাটির পাত্র ও তালপাতার বাঁশি পর্যন্ত যে-বস্তুতেই তিনি যেরকম সৌন্দর্যের প্রকাশ দেখেছেন তাই ছিল তাঁর কাছে পরম আদরের।..."

এবার গুরু - শিষ্য পরম্পরা প্রসঙ্গে দুটি ঘটনার
কথা উল্লেখ করবো। গুরু নন্দলাল, যাঁকে রামকিঙ্কর অনায়াসে মাস্টার বলে ডাকেন আর নন্দলাল তাঁর প্রিয় শিষ্যকে কিঙ্কর বলে ডাকেন।

কলাভবনের ছাত্রী হিসেবে দক্ষিণভারত থেকে এলেন জয়া আপ্পাস্বামী। কৃষ্ণাঙ্গ, দীর্ঘকায়া ছাত্রী জয়াকে খুব পছন্দ শিক্ষক রামকিঙ্করের।
মনে মনে গড়ে চলেছেন মূর্তি, নামকরণ হবে
" জয়া " । ইউক্যালিপ্টাসের ঘন সবুজে মূর্তি প্রাণ
পেতে লাগলো। প্রায় শেষের দিকে, একদিন এলেন শিক্ষক নন্দলাল। শিষ্যের মুখ থেকে মনের কথা জানলেন, কিন্তু পাল্টে দিলেন সমস্ত স্বপ্ন। নারীমূর্তি মাথায় একটি হাঁড়ি, একহাতে ধরা। জয়া হয়ে গেল " সুজাতা " , চলেছেন পরমান্ন নিয়ে তপস্যাক্লান্ত মগ্ন গৌতমের কাছে , বোধিত্ব প্রাপ্তির জন্য যিনি উদগ্রীব। একটা ব্যক্তিগত ভাবনা মুহূর্তে দেশকালপাত্র ছাড়িয়ে
চরাচরে ছড়িয়ে পড়লো।

আমরা শান্তিনিকেতনে রামকিঙ্করের বিখ্যাত ভাস্কর্য " কলের বাঁশি " সম্পর্কে প্রায় সবাই জানি,  অনেকেই দেখেছি। এই ভাস্কর্য তৈরির
গোড়ার কথা তুলে ধরলাম। কারখানার সাইরেন বা কলের বাঁশি বেজে উঠেছে, দৌড়ে চলেছে এক পুরুষ ও এক নারী। রামকিঙ্কর চাইছেন, গতি বোঝাতে নারীর আঁচল হাওয়ায়
ওড়াতে কিন্তু বারবার ভারি হওয়ার কারনে কাঁকর আর সিমেন্ট খুলে পড়ছে। আঁচল আর উড়ছে না, ব্যর্থ হচ্ছেন রামকিঙ্কর। একটুদুরে, ফাঁকা মাঠে চারচালায় বসে আছেন নন্দলাল। শিষ্যের ব্যর্থতা দেখে হাঁক পাড়লেন। আয় কিঙ্কর, ছায়ায় বসে একটু জিরিয়ে নে। দুটো বিড়ি ধরা। কিঙ্কর মাস্টারের পাশে এসে বসলেন। একটু চিন্তা করে নন্দলাল শিষ্যকে বললেন, একটা ঠেকনা (সাপোর্ট) দে কিঙ্কর। ঠিক দাঁড়িয়ে যাবে। বেশ কিছুক্ষণ দুজনে চুপচাপ বসে। হঠাৎ কিঙ্কর লাফ দিয়ে
বললো, মাস্টার পেয়েছি। দৌড়ে গিয়ে নারীর আঁচলে একটা বাঁশের টুকরো দাঁড় করিয়ে দিল।
ক্রমে ক্রমে সেই বাঁশটি একটি শিশুতে পরিণত হল, যে তার মায়ের আঁচল ধরে রেখে মাকে যেতে দিতে চাইছে না। গতি আর আর্তি মিলে একটি স্বপ্নময় স্থাপত্য অনেক না বলা কথা বলে উঠলো।

আচার্য নন্দলাল শিল্প-শিক্ষায়তনের প্রথাসিদ্ধ রীতিকে অনুসরণ করতে অস্বীকার করতেন আবার পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণ তাঁর অপছন্দ ছিল। সাধারণ রুচি বিকৃতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তিনি গভীর অন্তর্দৃষ্টিতে তাঁর সময়কে অতিক্রম করে দূর ভবিষ্যতের সমাজকে দেখতে পেয়েছিলেন যা ভারতীয় শিল্পরীতির স্বকীয়তা তুলে ধরতে সমর্থ হয়েছিল।

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পার্সি ব্রাউন প্রমুখ শিক্ষক আর আর্ট স্কুলের আশ্রিত হয়েও নন্দলাল বসু ছিলেন স্বয়ংসম্পূর্ণ শিল্পী ও শিক্ষক। ভারতীয় দর্শন, জীবনবোধ, প্রকৃতি পরিবেশ ও নন্দনবোধ আর জীবন সারল্যের মধ্যে দিয়ে একদিকে প্রকৃত শিল্পী অন্যদিকে অতুলনীয় শিক্ষক হিসেবে ভারতীয় আধুনিক চিত্রকলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ পথিকৃৎ আচার্য নন্দলাল বসু। রবীন্দ্রনাথের দূরদর্শিতা তাঁকে চিনে নিতে ভুল করেনি। পরবর্তীকালে আমরা দেখতে পাই রবীন্দ্রসৃষ্টির রবীন্দ্রস্বপ্নের অন্যতম যে শিক্ষাঙ্গন তার রূপ ও রুচি প্রস্ফুটিত হয়েছিল নন্দলাল বসুর রূপশৈলীর মাধ্যমে।

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে নান্দনিক বিশিষ্টতা তা নন্দলাল বসুর শিল্পবোধ, সৃষ্টিশীলতা আর ছাত্রছাত্রীদের উদ্দীপ্ত করার প্রভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল অসংখ্য ছাত্রছাত্রীর মাধ্যমে। তখনও ভারতবর্ষে চারুকলার কোনও যৌথ আন্দোলন সংগঠিত হয়নি। দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু ব্যক্তিশিল্পীর অবদান তা একান্তই ইউরোপীয় শৈলীতে রচিত হত। সেদিক থেকে নন্দলাল বসু আর তাঁর শিল্পগুরু অবনীন্দ্র ঠাকুরকে ঘিরে ভারতীয় আধুনিক শিল্পে বেঙ্গল আর্ট মুভমেন্টের অগ্রণী ভূমিকা অনস্বীকার্য।
ভারতের আধুনিক শিল্প আন্দোলনের রূপ ফুটে উঠেছিল তাঁরই ছাত্রদের মাধ্যমে। বিনোদবিহারী, রামকিঙ্কর বেইজ, শঙ্খ চৌধুরি, কে জি সুব্রহ্মনিয়াম, চিন্তামণি করেরা ছড়িয়ে পড়েছিলেন শিক্ষক হিসেবে, শিল্পী হিসেবে।

অবনীন্দ্র–নন্দলালকে কেন্দ্র করে বাংলা তথা ভারতীয় আধুনিক চিত্রকলার যে আন্দোলন, ঐতিহ্যের পরম্পরা থেকে ব্যক্তিশিল্পীর আধুনিক মনস্কতার প্রকাশ ও জাগরণ, লোকশিল্প থেকে শিল্পের রসদ ও আঙ্গিক গড়ে তোলা, তা থেকে পরবর্তীকালে বিচ্যুত হয়েছে শিল্পসমাজ।
নন্দলাল বসুর শিল্পভাবনায় চারুকলা যেভাবে সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করত, সমৃদ্ধ করতো শিল্পচেতনাকে, যা মনকে স্পর্শ করে জীবন ও সমাজকে বর্ণময় করতে পারে— সেই গভীর বোধ থেকে আমরা সরে এসেছি ক্রমশ।

চারুকলা এখন বুদ্ধি বা মস্তিষ্কের চমক হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঘোষণাপত্র দেখে শিল্পবস্তুকে বুঝে নিতে হয়। উপলব্ধির জন্য একান্ত মনের ঘ্রাণ নিতে হয় না।

swadhinata pra

গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি



Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 14560

স্বাধীন লেখা এবং স্বাদহীন লেখা ।। বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়
Biplab Gangopadhyay ।। বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়

স্বাধীন লেখা এবং স্বাদহীন লেখা। এরকম দুটি শিবির আমরা কল্পনা করতে পারি অনায়াসে । কল্পনা নয়, বাস্তবেও আমরা দেখি একধরণের লেখার অক্ষরে কোথাও বন্দিত্বের দাগ নেই। ঋজু টানটান শিরদাঁড়া। শব্দের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে অপরিসীম তেজ। আবার কিছু লেখা থাকে…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 14734

তুলির টানে স্বাদ–হীন সময় ।। অঙ্কন মাইতি
Ankan ।। অঙ্কন

" প্রভু, আপনি সর্বজ্ঞপণ্ডিত, ভবিষ্যৎদ্রষ্টা।  জগৎটাকে পরিবর্তন করে সব কালিমা দূর করে দিন। আমিও আমার ছবি মুছে দেব।" মাইকেলেঞ্জেলোর এই স্বাধীনতার আর্তি হয়তো পথ দেখালো আগামী দিনের শিল্পীদের। আধুনিক চিত্রকলার স্বাধীন ভাবনার যুগ শুরু হলো ১৮১৯ সালে জাত,  ফরাসি শিল্পী গুস্তাভে…

Aug 13, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2713

স্বাদ হীনতার কথা ।। প্রিয়াঙ্কা
Priyanka ।। প্রিয়াঙ্কা

ডিভোর্স শব্দ টা আমি প্রথম শুনি আমার যখন ১০/১১ বছর  বয়স।   আমার বাড়ি অসমের বরাক ভ্যালির ছোট্ট একটা ডিস্ট্রিক্ট করিমগঞ্জে। একান্নবর্তী পরিবারে জন্ম। একদিন একজন মহিলা এলো, ওর বাবা বাড়ি বাড়ি দুধ বিক্রি করেন, তিনি নিজেই নিয়ে এসেছেন সেই মহিলা কে।…

Aug 10, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1601

শিক্ষকের স্বাধীনতা–শিক্ষকের স্বাদহীনতা ।। শোভা ভট্টাচার্য্য
Shobha Bhattacharya ।। শোভা ভট্টাচার্য্য

মানুষের অন্তর্নিহিত পূর্ণতার বিকাশ সাধনের নাম শিক্ষা। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল জ্ঞানের বিকাশ। জ্ঞানের উন্মেষ না হলে চিত্তের বোধন হয় না। শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারেনা। সুশিক্ষিত লোকমাত্রেই স্বশিক্ষিত। তবুও কারও না কারও কাছ থেকে কিছু শিক্ষা তো নিতেই হয়।…

Aug 14, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 5889

স্বাদহীনতা অথবা স্বাধীনতা ।। সমর দেব
Samar Deb ।। সমর দেব

    স্বাধীনতা মানে তো নিজের অধীনতা। এই সরল বয়ানে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক এই যে, মানুষ কী সত্যিই নিজের অধীনে ছিল কোনোকালেই? অথবা, মনীষী বাক্য, মানুষ  স্বাধীন হয়েই জন্মায় এবং পরে সে পরাধীনতার বশীভূত হয়। সেটাও পুরোপুরি ঠিক নয় বোধহয়। জন্মমুহূর্তেই শুরু…

Aug 7, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2086

ভয় ।। অর্পিতা আচার্য
Arpita Acharya ।। অর্পিতা আচার্য

   "যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সেই কেড়েছে ভয় আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয় " আমি সন্দীপা। আসামের শিলচরে থাকি। এই ভারতবর্ষেরই একটা ছোট্ট নগর --ঝাঁ চকচকে শহরের তুলনায় একটা দেহাতি জনপদ, কিছু পাহাড় টিলা আর বাংলাভাষায় কথা বলা কয়েকটা মানুষ। এতো সাধারণ একটা শহর…

Aug 13, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 3371

স্বাদহীনতার জীবন : উপভোগ্য এক নোতুন পৃথিবী ।। বিভাবসু
Bibhabosu ।। বিভাবসু

  স্বাদহীনতার জীবন : উপভোগ্য এক নোতুন পৃথিবী।। বিভাবসু  ।। এক ।। স্বাদহীনতার প্রসঙ্গে ঢুকে পড়ার আগে, হে আমার জিহ্বার দেবতা, হে আমার বোধের দেবতা, হে তৃপ্তির দেবতা, তোমাদের আমি আমার বিস্বাদ ও বিষাদগ্রস্থ জীবনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই। একসময়ে আমি তোমাদের…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2778

ছোলামুড়ি ।। অলক জানা
Alok Jana || অলক জানা

  ঝড় ভাইরাস মাটিকম্পন পেরিয়ে বরাবরের মতো খামতিহীন এবারও ভারতবর্ষে ১৫ আগস্ট চলেই এলো। মেঘ বৃষ্টির বেরসিক খলনায়কত্ব, উল্কাপাত মরশুম। এক কথায় সমস্ত রকম নেগেটিভ স্পর্শকাতর ইস্যুগুলো সামলে টিকে থাকতে হবে এটাই এখন বড় কথা। তবুও ভালো স্বাধীনতার আলো হাওয়ায় অন্তত…

Aug 13, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2604

‘‘জীবন কাটালেন কী রকম?’’–‘‘ভালো’’ ।। আশিস মিশ্র
Ashis Mishra || আশিস মিশ্র

  " জীবন কাটালেন কী রকম " " ভালো " " আপনার কোনো শত্রু ছিল? " " তারা আমাকে সৃষ্টিকাজ থেকে সরাতে পারে নি। " " আর খ্যাতি?" " কাজকে করে দিয়েছে কর্তব্য।" " আর আপনার বন্ধুরা? " " আমার কাছ থেকে চেয়েছে আরো কাজ।" " আর নারীরা?" " আমার…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 3950

স্বাদহীন স্বাধীনতা ।। তৈমুর খান
Taimur Khan ।। তৈমুর খান

–আমরা কি স্বাধীন? –হ্যাঁ আমরা স্বাধীন। ১৯৪৭ সালের ১৫ই অগাস্ট আমরা স্বাধীনতা পাই। –ওটা স্বাধীনতা নয়, ক্ষমতা হস্তান্তর। ব্রিটিশরা ভারতকে ভাগ করে ক্ষমতা হস্তান্তর করে গেলেন মাত্র। আমরা একই শাসনের ভেতর পাল্টানো শাসককে পেলাম। ব্রিটিশ শাসকের বদলে এল ভারতীয় শাসক। –এতো অদ্ভুত কথা…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1807

স্বাধীনতার স্বাদহীনতা ।। সুদেষ্ণা ঘটক অধিকারী
Sudesna Ghatak Adhikari ।। সুদেষ্ণা ঘটক অধিকারী

  স্বাদহীনতার কাহিনী বলতে গিয়ে আমার মতো, আমাদের মতো স্বাস্থ্য বিভাগের তৃণমূল স্তরের কিছু কর্মীর স্বাধীনতার স্বাদহীনতাকেই বেছে নিলাম। স্বাধীনতাও যে স্বাদহীন হয় স্বাধীনতার এতো বছর পরেও বা Covid-19 এর উপসর্গের মতো মাঝে মাঝেই তার মিষ্টি গন্ধটাও যে দম বন্ধ করা…

Aug 14, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1734

জল জঙ্গল জমিন / হড় মিতানের ঋণ ।। গৌতম মাহাত
Gautam Mahata ।। গৌতম মাহাত

    দীর্ঘ স্বাধীনোত্তর সময়ের পরেও অন্ধকার থেকে অন্ধকারে থেকে গ্যাছে জঙ্গলমহল তথা আদিবাসী সমাজ। তাদের থেকে হস্তান্তর হয়েছে জল জঙ্গল জমিনের অধিকার। দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু সেই অনন্ত আলোর ছোঁয়া পৌঁছতে পারেনি যার বা যাদের সমাজের চৌকাঠে তারা আদিবাসী।         যাদের…

Aug 14, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2302

হে আমার দেশ ।। অভিনন্দন মুখোপাধ্যায়
Avinandan Mukhopadhyay ।। অভিনন্দন মুখোপাধ্যায়

স্বাদ এবং সাধ, এই দুই এক অনন্য বন্ধুবৃত্তের দুই জোড়া। একের জন্য অন্যের মরিয়া হামদর্দি। অথচ বহুত্ত্বের ক্ষেত্রে এই দুইয়ের এক হওয়া হয়না, হয়নি। এ আমার দেশ - খিদের দেশ, দারিদ্রের দেশ, পরিযায়ী শ্রমিকের দেশ, দিনে অধিকাংশের ২০ টাকার নিচে আয়…

Aug 13, 2020
আরও পড়ুন
«
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
»

গল্প: স্বাদহীনতার কাহানি



Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 13777

শিশুর স্বাধীনতা– শিশুর অধিকার ।। সহদেব প্রধান
Sahadev Pradhan ।। সহদেব প্রধান

এক. সিংহাসনে সাদা চামড়ার বদলে বাদামি চামড়ার বসাটা স্বাধীনতা নয়। স্বাধীনতা হলো মানুষের কিছু মৌলিক অধিকার পূরণ। শিশুদের ক্ষেত্রেও এই কথা প্রযোজ্য। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ১৮ বছর বয়সের নীচে সবাই শিশু। জীবন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নিরাপত্তা, বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশের অধিকারগুলি শিশুর মৌলিক…

Aug 11, 2020
Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2243

রবিবাসরীয়র জন্য গল্প ।। শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তী
Suddhendu Chakraborty ।। শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তী

ডোরবেল বাজাবার সময়  অনীক ভেবেছিল একটা রূপকথার পরি দরজাটা খুলে দেবে। কী যেন নাম বলেছিল ফেসবুকে? নির্ঘাত জালি নাম। আজকাল ওইসবই তো চলে। ও হ্যাঁ । মনে পড়েছে। কুয়াশা।              অথচ যে মেয়েটা অনীককে চমকে দিয়ে…

Aug 10, 2020
Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 4032

আজ স্বাধীনতা দিবস ।। অ্যাঞ্জেলিকা ভট্টাচার্য
Anjelika Bhattacharjee ।। অ্যাঞ্জেলিকা ভট্টাচার্য

    পাশের বাড়ির টিয়াটা সারাদিন ডেকে চলেছে।মিনতি একমনে বারান্দার গ্রিল মুছতে থাকে । টিয়ার ডাকে  একবার করে পাশের বাড়ির পোলুদের বারান্দার দিকে চোখ চলে যায়। খাঁচাটা বেশ বড় , তারমধ্যে আবার দোলনা আছে। চারদিন হল টিয়াটা এই শহরে এসেছে। পোলুর মামাবাড়ি…

Aug 5, 2020
Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 13788

শোধ ।। ওবায়দুল বারী
Obaidul Bari ।। ওবায়দুল বারী

  নূরীর মন টা আজ বেশ কিছুদিন ধরেই অজানা আশঙ্কায় ভর করে আছে। কোনো কিছুতেই মন বসাতে পারছে না। সেয়ানা মেয়ে ঘরে রাখা ঠিক হবেনা ভেবে, সেই যে বাবা বিয়ে দিয়ে দিল... সেজন্যে তো মন খারাপ হয়েই ছিল। শুধু শফিকের একটা…

Aug 5, 2020
আরও পড়ুন

প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি



Card image




প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1977

নারী স্বাধীনতা ।। রোশেনারা খান
Roshenara Khan ।। রোশেনারা খান

  স্বাধীনতা বলতে কী বোঝায় ? এর উত্তর  বা সংজ্ঞা সমাজের বিভিন্ন  শ্রেণির নারী-পুরুষের কাছে বিভিন্ন রকম। আসলে বহু যুগ ধরে পুরুষ ও পুরুষ-তান্ত্রিক  সমাজব্যবস্থায় ধর্মের নামে নারীকে  সামাজিক রীতি-নিয়মের বেড়াজালে  আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে গৃহবন্দি করে রাখার পক্ষপাতদুষ্ট রেওয়াজ চলে আসছে। নারীকে…

Aug 10, 2020
Card image




প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 15839

স্বাধীনতার এত বছর পরেও লোকশিল্পীদের স্বাদহীনতার কাহিনী ।। ভাস্করব্রত পতি
Bhaskarbrata Pati ।। ভাস্করব্রত পতি

"বিটির বিঁহা দিব কেমনে / আমার ঘুম ধরেনা নয়নে / এমনি মুগের রীতিনীতি / পণ ছাড়া বিকায় না / বিটির বিঁহা দিব কেমনে" -- এভাবেই টুসুগানে আমাদের সমাজের আঁধার কাহিনীর সুর তোলে। এ কান্না শিল্পীদের জীবনেও। কান্নার আওয়াজে দেওয়াল কাঁপে।…

Aug 11, 2020
Card image




প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 16089

বিস্মৃতির ধুলায় মলিন ঘাটাল মহকুমার স্বদেশী আন্দোলন ।। দেবাশিস কুইল্যা
Debasish Kuila ।। দেবাশিস কুইল্যা

  বিস্মৃতির ধুলায় মলিন ঘাটাল মহকুমার স্বদেশী আন্দোলন                  দেবাশিস কুইল্যা       ঘাটাল ; পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উত্তর পূর্বে অবস্থিত আয়তনে ৯৫২.২৮ বর্গ কিমি ১৮৭৬ খ্রীষ্টাব্দে স্বতন্ত্র মহকুমার স্বীকৃতি পায় । এই মহকুমার প্রাচীন ইতিহাসের…

Aug 5, 2020
আরও পড়ুন

স্বাদহীনতার কাহানি - সংখ্যায় প্রকাশিত লেখা সমূহ



একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...