শিক্ষক বিদ্যাসাগর ।। দেবাশিস কুইল্যা

vidyasagar
   

     'শিক্ষক' শব্দের অক্ষরগুলি বিশ্লেষণ করে পাই ; শিষ্টাচার, ক্ষমাসহিষ্ণু আর কর্তব্যপরায়ণ। এই  শব্দগুলিকে বিশ্লেষণের আলোয় ফেলে অসাধারণ কৃতিত্বের অধিকারী ও শিক্ষক হিসেবে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের শিক্ষামূলক কাজগুলিকে বিশ্লেষিত করতে পারি।
     বিদ্যাসাগরের অভ্যুদয় ঊনবিংশ শতকে। ঊনবিংশ শতক নবজাগরণের যুগ। ভারত পথিক রামোহন ভারতবাসীকে উদ্বুদ্ধ করলেন সমাজ সংস্কার, শিক্ষা সংস্কারের মধ্য দিয়ে। নতুন ভাবনার জন্ম হল। এই শতকের সূচনায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠা,  প্রাচ্য পাশ্চাত্য ভাষা, সাহিত্য, দর্শন ইত্যাদির মেলবন্ধনে গড়ে উঠল নতুন দৃষ্টিভঙ্গি–যা সমন্বিত করল প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যকে। ফলে মিল, বেন্থামের মতবাদ নবজাগরণে নতুন মাত্রা যোগ করল। ডিরোজিওর সমস্ত গতানুগতিকতা থেকে মুক্ত সমাজভাবনা  ও শিক্ষাব্যবস্থার প্রভাব প্রতিফলিত হল মনন জগতে। ইংরাজী শিক্ষার প্রবর্তন, যুক্তিবাদী চিন্তাভাবনা, মানবতাবোধের বিস্তার, জীর্ণ সংস্কারের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা, নারী শিক্ষার স্বল্প সূচনা, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ, ধর্ম নিরপেক্ষ শিক্ষাভাবনা প্রাচ্য পাশ্চাত্যের সংমিশ্রণে মূর্ত হয়ে উঠল নবজাগরণের পটভূমিতে। ধর্মনিরপেক্ষ আধুনিক শিক্ষাবিস্তারের উদ্দেশ্যে ১৮১৭ খ্রীষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হিন্দু কলেজ‌ যাত্রা শুরু করল রামমোহনের আদর্শ অনুসারে অতীত বর্তমান, পূর্ব পশ্চিমের ভাবনার মিলনকেন্দ্র রূপে। ঊনবিংশ শতকের মধ্যভাগে বিদ্যাসাগর এই ভাবনার যোগ্য উত্তরাধিকার রূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করলেন। ঈশ্বরচন্দ্র যে পরিবেশ ও শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যদিয়ে রচনা করলেন তাঁর কর্মজগৎ তা আদৌ আশাব্যঞ্জক ছিল না। সংক্ষেপে বলতে গেলে পরাধীন ভারতবর্ষের মানুষ নিপীড়নের শিকার ছিল। সাধারণ জনসাধারণের জন্য শিক্ষার বিশেষ ব্যবস্থাই ছিল না। ফলে শিক্ষা একেবারেই একপেশে, সংকীর্ণ ও সীমাবদ্ধ ছিল। এই ধরনের শিক্ষা স্বভাবতই প্রকৃত মানুষ তৈরীর উপযোগী ছিলনা তাই নয় সমাজ সংস্কারেরও উদ্দেশ্য ছিল না। এমন এক পটভূমিতে দাঁড়িয়ে বিদ্যাসাগর অবতীর্ণ হয়েছেন।
     ছাত্র জীবনের শেষে কর্মজীবন শুরু করেন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের একজন হিসাবরক্ষক ও পরে বাংলাভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে। এই সময়ে তার অসামান্য বিদ্যাবত্তা, উদ্যম, হৃদয় ও মস্তিষ্কের কিছু বিরল  গুনে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের সচিব ক্যাপ্টেন জে মার্শাল, কাউন্সিল অফ্ এডুকেশনের সচিব ড: এফ জে মোয়েট এবং আরো অনেকে মোহিত হলেন। শিক্ষক বিদ্যাসাগরের আন্তরিকতা, কর্তব্যনিষ্ঠা , নিয়মানুবর্তিতা তাঁর ব্রিটিশ ছাত্র হ্যালিডে, সিটনকার, সিসিল বীডনকেও তাঁর সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল করে তুলল।
        এই সময়ে বিদ্যাসাগর এইসব তরুণ সিভিলিয়নদের সংস্পর্শে এসে উপলব্ধি করলেন যে ইংরেজদের মধ্যে অনেক গুণ আছে, যা আহরণ করা দরকার। আরও বুঝলেন, যে দেশের জনসাধারণকে  জীর্ণ কুসংস্কার ও অশিক্ষা থেকে মুক্ত করতে হলে পাশ্চাত্য ভাষা, সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান সম্পর্কে জানতে হবে ও জীবন চর্চায় সেগুলি প্রয়োগ করতে হবে। তাই তিনি ইংরাজী, হিন্দি শিখতে শুরু করলেন। রামমোহনের সমন্বয়ী আদর্শ অর্থাৎ প্রাচ্য পাশ্চাত্য ভাবধারার মিলনের আদর্শ তাঁকে উজ্জীবিত করল। পরবর্তী সময়ে সংস্কৃত কলেজে অধ্যক্ষ পদে বৃত হওয়ার পর প্রয়োগবাদী, উপযোগিতাবাদী ও জাত শিক্ষক বিদ্যাসাগর সমগ্ৰ শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের দিকে দৃষ্টি দিলেন। তাঁর সংস্কারমূলক কাজের মধ্যে প্রথমটি হল সংস্কৃত কলেজের দ্বার জাতি নির্বিশেষে সকলের জন্য উন্মুক্ত করা। ১৮৫১খ্রীষ্টাব্দে শিক্ষাপরিষদের সেক্রেটারি  Captain F F C Hays কে একটি চিঠিতে লিখলেন - " I see no objection to the admission of other castes than Brahmanas and Vaidyas or in other words, different order of Sudras , to the Sanskrit College ." সংস্কৃত কলেজে ইংরাজী শিক্ষা প্রবর্তিত হল। পাঠক্রমের অপ্রয়োজনীয় নানা অংশকে বাদ দিয়ে আধুনিক জীবনের উপযোগী বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে উদ্যোগী হলেন। পঠন পাঠনে তাঁর বক্তব্য তিনি সরকারী মহলে পেশ করেন। এই সূত্রে ব্যালেন্টাইনের সঙ্গে তাঁর পত্র বিনিময় হয়। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জাতীয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের জন্য ইংরাজী শিক্ষা প্রবর্তনের পক্ষে ছিলেন। ইংরাজী শিক্ষা বিষয়ে Council of Education এর সেক্রেটারি মোয়াটকে লিখলেন , "it is very clear that if the students of the Sanskrit College be made familiar with English literature , they will prove the best and the ablest contributiors to an enlightened Bengali literature . "  তবে তিনি শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে মাতৃভাষা ব্যাবহারের কথা বারবার বলেছেন।তিনি গতানুগতিক মুখস্থ বিদ্যার ওপর গড়ে ওঠা শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করেছেন। সেই স্বার্থেই শিক্ষার আত্মীকরণের জন্য সহজ করে বই লিখেছেন , পরীক্ষাব্যবস্থার সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি উপলব্ধি করেছেন যে উপযুক্ত প্রশিক্ষিত শিক্ষক না থাকলে শিক্ষাবিস্তার নিরর্থক। তাই ১৮৫৪ খ্রীষ্টাব্দের ১৭ ই জুলাই খুললেন নর্ম্যাল স্কুল। আজকের সময়ে শিক্ষক - শিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলি এই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতার ফল।

        অষ্টাদশ শতকে ইউরোপের ভাববিল্পবের প্রভাব বিদ্যাসাগরের  অন্যান্য প্রতিভাও ব্যাক্তিত্বের ওপরে বেন্থাম, মিল ও কোঁতর দর্শন, রুশোর মানবতার আদর্শ, দিদোর বিচারবাদের প্রভাব ক্রিয়াশীল ছিল। তাই সমাজ-সংস্কারের আগে তিনি শিক্ষা সংস্কারের কাজে হাত দিলেন।শিক্ষকের দূরদর্শিতায় ভেবেছিলেন, শিক্ষার আলোতেই মানুষের বুদ্ধি ও বিচারবোধকে উন্নত করে তোলা সম্ভব। এই প্রসঙ্গে বিদ্যাসাগরের স্পষ্ট উদ্দেশ্য ধরা পড়ে তৎকালীন শিক্ষা অধিকর্তা মোয়াটকে লেখা চিঠির মাধ্যমে। তিনি লিখেছেন , " What we require to do extend the benefit of education to the mass of the people . Let us establish Vernacular schools , let us prepare a series of Vernacular clas books on useful and instructive subjects , let us raise up a band of men qualified to undertake the responsible duty of teachers and the object is a accomplished ." এই ভাবনাকে ভিত্তি করে বিদ্যাসাগর বিভিন্ন অঞ্চলে আঞ্চলিক ভাষাভিত্তিক আদর্শ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এগুলির সংখ্যা নগন্য ছিল না। 

        প্রাথমিক শিক্ষাকে সার্বজনীন ও অবৈতনিক করার জন্য তাঁর উদ্যোগ কম ছিল না। সরকারী মহলে বিদ্যাসাগরের জনপ্রিয়তার দরুন তাঁর প্রচেষ্টায় প্রাথমিক স্তরে  পাঠক্রমের পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেল। লেখা, পড়া, অঙ্ক কষা (Three Rs ) ছাড়াও পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করলেন ভূগোল, ইতিহাস, পাটীগণিত, জ্যামিতি, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, শারীরবিদ্যা, জীবনীগ্ৰন্থ, রাষ্ট্রনীতি। এই সব বিষয়ের শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বেছে  ছিলেন মাতৃভাষাকে।

        বয়স্ক শিক্ষায় বিদ্যাসাগরের অবদান স্মরনীয়। শ্রমজীবী ও কৃষিজীবী মানুষের পক্ষে বিদ্যালয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এই কথা উপলব্ধি করতে পেরেছেন বলেই বীরসিংহে প্রথম সান্ধ্য বিদ্যালয় খোলেন। পরবর্তীকালে কার্মাটারে সাঁওতালদের জন্য। এখনকার প্রথা-বহির্ভূত শিক্ষা ব্যাবস্থা বিদ্যাসাগরের প্রচেষ্টারই পুনঃপ্রবর্তন।

        রামমোহনের রায়ের সমাজ সংস্কারের পথে ঊনবিংশ শতকের মধ্যভাগে নারীমুক্তি ও নারীশিক্ষার প্রধান পুরোহিত বীরসিংহের ঈশ্বরচন্দ্র। মানবতাবাদের প্রেরণায় তিনি সমাজের দুটি অঙ্গ– পুরুষ ও নারী, উভয়েরই শিক্ষা ও স্বাধীনতার জন্য সমান উদ্যোগী ছিলেন। বহুবিবাহ, বাল্যবিবাহ, বাল্যবৈধব্যের অভিশাপ থেকে মুক্ত করার জন্য তিনি প্রচেষ্টা চালিয়ে গেলেন। শিক্ষা প্রসারে, নারীমুক্তি আন্দোলনের প্রধান শক্তি বিদ্যাসাগরকে বেথুন সহযোদ্ধা হিসেবে কাছে পেলেন। নারীশিক্ষা প্রসারের কাজে বিদ্যাসাগরের সহযোগী হলেন‌ রামগোপাল ঘোষ, দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায় ও মদন মোহন তর্কালংকার। নারী শিক্ষার জন্য ১৮৪৯ খ্রীষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত বেথুন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা Bethune সাহেবের ১৮৫২ খ্রীষ্টাব্দে মৃত্যু হলে ঐ বিদ্যালয় চালনার জন্য  বিদ্যাসাগরকে বেথুন স্কুলের সেক্রেটারি করে কমিটি গঠন করা হয়। বিদ্যাসাগরের নির্দেশে বেথুন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের গাড়ীর সামনে লেখা হল  - 'কন্যাপ্যেবং পালনীয়া শিক্ষানীয়াতি যত্নতঃ।' অর্থাৎ ' পুত্রের মত কন্যাকেও সযত্নে পালন করতে হবে ও শিক্ষা দিতে হবে। '

        দূরদর্শী বিদ্যাসাগর শুধু নারী শিক্ষা ও বিদ্যালয় স্থাপন করেই সীমায়িত করেননি। তিনি উপলব্ধি করেছেন, শুধু বিদ্যালয় স্থাপনই যথেষ্ট নয়, শিক্ষক -শিক্ষণ প্রবর্তনও সব নয়। শিশুমনের বিকাশের ক্রম অনুযায়ী বাংলাভাষায় পরিবেশনের উপযুক্ত বই চাই। তাই 'বর্ণপরিচয়' লেখা। তিনি স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ, বর্ণযোজনা, শব্দ, বাক্য ও ছোট ছোট অনুচ্ছেদ, এইভাবে ক্রমধারায় সরল থেকে জটিলে, বিশেষ থেকে সাধারণে, মূর্ত থেকে বিমূর্তে  বর্ণপরিচয়কে সাজালেন । সাধু ও চলিত ভাষার ব্যবহার পৃথক করলেন। অক্ষরের সংখ্যা সুনির্দিষ্ট করলেন।  বাংলা ভাষায় বিশেষ্য, বিশেষণ, ক্রিয়া, ক্রিয়াবিশেষণ ইত্যাদির ব্যবহারকে মনস্তত্ত্বনির্ভর ভাষা-বিজ্ঞান  নির্ভর করলেন শিশুমনের মতো করে। শব্দসমষ্টি দিয়ে বাক্য রচনা– যা বক্তব্যকে উপস্থাপিত করতে পারে এবং শব্দের সুললিত বিন্যাস যা বক্তব্যকে পাঠকের মনে গেঁথে দিতে পারে ৎ, সংক্ষেপে ভাষাকে মাধুর্যের সাথে ক্রিয়াশীল করতে পারে– এমন ব্যাকরণও তিনি দিলেন বর্ণপরিচয় প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগে। সরল বাংলায় শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যাসাগর পরিবেশন করলেন 'কথামালা'য়। নীতিউপদেশ পরিবেশনের জন্য লিখলেন 'আখ্যানমঞ্জরী '। এইভাবে শিক্ষার্থীদের বৌদ্ধিক, মানসিক ও নৈতিক জীবন গঠনের উদ্দেশ্যে ও শিক্ষার দ্বারা সামাজিক রূপান্তরের প্রত্যাশায় তিনি সংস্কার বিবর্জিত সেক্যুলার শিক্ষার প্রথম সোপানটি দৃঢ় ভিতের উপর প্রতিষ্ঠা করলেন।

        শিক্ষক বিদ্যাসাগরের শিক্ষামূলক অবদান ভারতীয় এমনকি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও তাঁর এমন কিছু উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ড আছে, যা স্বল্প পরিসরে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। তাঁর অবদানের মূল্যায়ন করতে গেলে একটি কথাই মনে হয় যে আজ একবিংশ শতাব্দীর বিশ্বায়নের যুগে প্রযুক্তি নির্ভর সভ্য সমাজে আরব্ধ বহু কাজ আজও বাস্তবায়িত হয়নি। বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে অবৈতনিক সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা আজও সর্বত্রগামী নয়। দারিদ্র্য, কুসংস্কার,‌অশিক্ষা, অজ্ঞতা আজও সমাজের ব্যক্তিমানুষের পীড়ার কারণ। আজ নারীশিক্ষার অনেকখানি প্রসার ঘটলেও এখনও নারী -পুরুষ বৈষম্য সামাজিক ব্যাধি। শিক্ষার পাঠক্রম, পদ্ধতি, শিক্ষক-শিক্ষণ ব্যবস্থা যেগুলির বিজ্ঞানসম্মত ও মনস্তাত্ত্বিক ভিত্তিভূমি রচনা করেছিলেন, সেগুলির যুগোপযোগী ব্যবহারভিক্তিক পুনর্বিন্যাস এখনও কতটা হয়েছে তা ভেবে দেখার বিষয়। বাংলা ভাষার, বাংলা সাহিত্যের যে সম্ভাবনার দিকগুলির প্রতি তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন, প্রয়োগ করে দেখিয়েছেন, তারই উপর রচিত হয়েছে পরবর্তী সাহিত্যকীর্তি। বঙ্কিমচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথ এ বিষয়ে তাঁর উত্তরসূরী। তাঁর মানবতাবাদ সেক্যুলার শিক্ষা প্রসারে উদ্যোগী করেছিল। তাঁকে সেক্যুলার শিক্ষাভাবনার জনক বলা চলে। বিশেষ করে আজ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় এটির মূল্য অপরিসীম। গ্ৰামাঞ্চলে শিক্ষার প্রসার, বয়স্ক শিক্ষার আয়োজন, বৃত্তি-নির্ভর শিক্ষা, বিজ্ঞানমনস্কতা, জীবনোপযোগী শিক্ষা, মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের মধ্যদিয়ে মানুষের মনে সমাজ সচেতনতার বিকাশ বিদ্যাসাগরেরই অবদান। বাস্তববাদী, মানবপ্রেমীক বিদ্যাসাগরের ধর্ম একমাত্র মানুষের সেবা, সমাজের উত্তরণ, যার প্রধানতম হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন শিক্ষাকে। আজও সবক্ষেত্রে তাঁর ভাবনা সমান প্রাসঙ্গিক।
         এই প্রাসঙ্গিকতার আলোয় দাঁড়িয়ে আধুনিক সময়েও আজকের দিনের বিশ্লেষণ প্রয়োজন। ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থার  যে বীজ রোপিত হল বিদ্যাসাগরের কর্মযজ্ঞে, আজ তা মহীরুহ।  এ প্রসঙ্গে বিদ্যাসাগর সম্পর্কে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর মত প্রনিধানযোগ্য – " .....বিদ্যাসাগরের জীবনচরিত বড় জিনিসকে ছোট দেখাবার জন্য নির্মিত যন্ত্রস্বরূপ। আমাদের দেশের মধ্যে যাঁহারা খুব বড় বলিয়া আমাদের নিকট পরিচিত, ওই গ্ৰন্থ একখানি সম্মুখে ধরিবামাত্র তাঁহারা সহসা অতিমাত্র ক্ষুদ্র হইয়া পড়েন। "
        আধুনিক ভারতের শিক্ষাব্যবস্থার যে বৃক্ষটির বীজ শিক্ষকতার মহান দায়িত্ব পালনের জন্য বিদ্যাসাগর রোপন করেছেন তার ছায়ায় দাঁড়িয়ে আমাদের নিত্যদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদিত হোক শিক্ষায় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের  পরম্পরায়।

      তথ্যসূত্র : -
      ১) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর - সুবল চন্দ্র মিত্র
      ২) সমকালে বিদ্যাসাগর - স্বপন বসু
      ৩) অনলপ্রভ বিদ্যাসাগর - সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
       ৪) ক্রোড়পত্র - গণশক্তি পত্রিকা , ১৮ই আগষ্ট ২০১২
      
       
    

swadhinata pra

গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি



Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 3371

স্বাদহীনতার জীবন : উপভোগ্য এক নোতুন পৃথিবী ।। বিভাবসু
Bibhabosu ।। বিভাবসু

  স্বাদহীনতার জীবন : উপভোগ্য এক নোতুন পৃথিবী।। বিভাবসু  ।। এক ।। স্বাদহীনতার প্রসঙ্গে ঢুকে পড়ার আগে, হে আমার জিহ্বার দেবতা, হে আমার বোধের দেবতা, হে তৃপ্তির দেবতা, তোমাদের আমি আমার বিস্বাদ ও বিষাদগ্রস্থ জীবনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই। একসময়ে আমি তোমাদের…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1807

স্বাধীনতার স্বাদহীনতা ।। সুদেষ্ণা ঘটক অধিকারী
Sudesna Ghatak Adhikari ।। সুদেষ্ণা ঘটক অধিকারী

  স্বাদহীনতার কাহিনী বলতে গিয়ে আমার মতো, আমাদের মতো স্বাস্থ্য বিভাগের তৃণমূল স্তরের কিছু কর্মীর স্বাধীনতার স্বাদহীনতাকেই বেছে নিলাম। স্বাধীনতাও যে স্বাদহীন হয় স্বাধীনতার এতো বছর পরেও বা Covid-19 এর উপসর্গের মতো মাঝে মাঝেই তার মিষ্টি গন্ধটাও যে দম বন্ধ করা…

Aug 14, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2604

‘‘জীবন কাটালেন কী রকম?’’–‘‘ভালো’’ ।। আশিস মিশ্র
Ashis Mishra || আশিস মিশ্র

  " জীবন কাটালেন কী রকম " " ভালো " " আপনার কোনো শত্রু ছিল? " " তারা আমাকে সৃষ্টিকাজ থেকে সরাতে পারে নি। " " আর খ্যাতি?" " কাজকে করে দিয়েছে কর্তব্য।" " আর আপনার বন্ধুরা? " " আমার কাছ থেকে চেয়েছে আরো কাজ।" " আর নারীরা?" " আমার…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 5890

স্বাদহীনতা অথবা স্বাধীনতা ।। সমর দেব
Samar Deb ।। সমর দেব

    স্বাধীনতা মানে তো নিজের অধীনতা। এই সরল বয়ানে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক এই যে, মানুষ কী সত্যিই নিজের অধীনে ছিল কোনোকালেই? অথবা, মনীষী বাক্য, মানুষ  স্বাধীন হয়েই জন্মায় এবং পরে সে পরাধীনতার বশীভূত হয়। সেটাও পুরোপুরি ঠিক নয় বোধহয়। জন্মমুহূর্তেই শুরু…

Aug 7, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 3950

স্বাদহীন স্বাধীনতা ।। তৈমুর খান
Taimur Khan ।। তৈমুর খান

–আমরা কি স্বাধীন? –হ্যাঁ আমরা স্বাধীন। ১৯৪৭ সালের ১৫ই অগাস্ট আমরা স্বাধীনতা পাই। –ওটা স্বাধীনতা নয়, ক্ষমতা হস্তান্তর। ব্রিটিশরা ভারতকে ভাগ করে ক্ষমতা হস্তান্তর করে গেলেন মাত্র। আমরা একই শাসনের ভেতর পাল্টানো শাসককে পেলাম। ব্রিটিশ শাসকের বদলে এল ভারতীয় শাসক। –এতো অদ্ভুত কথা…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2778

ছোলামুড়ি ।। অলক জানা
Alok Jana || অলক জানা

  ঝড় ভাইরাস মাটিকম্পন পেরিয়ে বরাবরের মতো খামতিহীন এবারও ভারতবর্ষে ১৫ আগস্ট চলেই এলো। মেঘ বৃষ্টির বেরসিক খলনায়কত্ব, উল্কাপাত মরশুম। এক কথায় সমস্ত রকম নেগেটিভ স্পর্শকাতর ইস্যুগুলো সামলে টিকে থাকতে হবে এটাই এখন বড় কথা। তবুও ভালো স্বাধীনতার আলো হাওয়ায় অন্তত…

Aug 13, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1601

শিক্ষকের স্বাধীনতা–শিক্ষকের স্বাদহীনতা ।। শোভা ভট্টাচার্য্য
Shobha Bhattacharya ।। শোভা ভট্টাচার্য্য

মানুষের অন্তর্নিহিত পূর্ণতার বিকাশ সাধনের নাম শিক্ষা। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল জ্ঞানের বিকাশ। জ্ঞানের উন্মেষ না হলে চিত্তের বোধন হয় না। শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারেনা। সুশিক্ষিত লোকমাত্রেই স্বশিক্ষিত। তবুও কারও না কারও কাছ থেকে কিছু শিক্ষা তো নিতেই হয়।…

Aug 14, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2713

স্বাদ হীনতার কথা ।। প্রিয়াঙ্কা
Priyanka ।। প্রিয়াঙ্কা

ডিভোর্স শব্দ টা আমি প্রথম শুনি আমার যখন ১০/১১ বছর  বয়স।   আমার বাড়ি অসমের বরাক ভ্যালির ছোট্ট একটা ডিস্ট্রিক্ট করিমগঞ্জে। একান্নবর্তী পরিবারে জন্ম। একদিন একজন মহিলা এলো, ওর বাবা বাড়ি বাড়ি দুধ বিক্রি করেন, তিনি নিজেই নিয়ে এসেছেন সেই মহিলা কে।…

Aug 10, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2302

হে আমার দেশ ।। অভিনন্দন মুখোপাধ্যায়
Avinandan Mukhopadhyay ।। অভিনন্দন মুখোপাধ্যায়

স্বাদ এবং সাধ, এই দুই এক অনন্য বন্ধুবৃত্তের দুই জোড়া। একের জন্য অন্যের মরিয়া হামদর্দি। অথচ বহুত্ত্বের ক্ষেত্রে এই দুইয়ের এক হওয়া হয়না, হয়নি। এ আমার দেশ - খিদের দেশ, দারিদ্রের দেশ, পরিযায়ী শ্রমিকের দেশ, দিনে অধিকাংশের ২০ টাকার নিচে আয়…

Aug 13, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2087

ভয় ।। অর্পিতা আচার্য
Arpita Acharya ।। অর্পিতা আচার্য

   "যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সেই কেড়েছে ভয় আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয় " আমি সন্দীপা। আসামের শিলচরে থাকি। এই ভারতবর্ষেরই একটা ছোট্ট নগর --ঝাঁ চকচকে শহরের তুলনায় একটা দেহাতি জনপদ, কিছু পাহাড় টিলা আর বাংলাভাষায় কথা বলা কয়েকটা মানুষ। এতো সাধারণ একটা শহর…

Aug 13, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 14562

স্বাধীন লেখা এবং স্বাদহীন লেখা ।। বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়
Biplab Gangopadhyay ।। বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়

স্বাধীন লেখা এবং স্বাদহীন লেখা। এরকম দুটি শিবির আমরা কল্পনা করতে পারি অনায়াসে । কল্পনা নয়, বাস্তবেও আমরা দেখি একধরণের লেখার অক্ষরে কোথাও বন্দিত্বের দাগ নেই। ঋজু টানটান শিরদাঁড়া। শব্দের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে অপরিসীম তেজ। আবার কিছু লেখা থাকে…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1739

জল জঙ্গল জমিন / হড় মিতানের ঋণ ।। গৌতম মাহাত
Gautam Mahata ।। গৌতম মাহাত

    দীর্ঘ স্বাধীনোত্তর সময়ের পরেও অন্ধকার থেকে অন্ধকারে থেকে গ্যাছে জঙ্গলমহল তথা আদিবাসী সমাজ। তাদের থেকে হস্তান্তর হয়েছে জল জঙ্গল জমিনের অধিকার। দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু সেই অনন্ত আলোর ছোঁয়া পৌঁছতে পারেনি যার বা যাদের সমাজের চৌকাঠে তারা আদিবাসী।         যাদের…

Aug 14, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 14735

তুলির টানে স্বাদ–হীন সময় ।। অঙ্কন মাইতি
Ankan ।। অঙ্কন

" প্রভু, আপনি সর্বজ্ঞপণ্ডিত, ভবিষ্যৎদ্রষ্টা।  জগৎটাকে পরিবর্তন করে সব কালিমা দূর করে দিন। আমিও আমার ছবি মুছে দেব।" মাইকেলেঞ্জেলোর এই স্বাধীনতার আর্তি হয়তো পথ দেখালো আগামী দিনের শিল্পীদের। আধুনিক চিত্রকলার স্বাধীন ভাবনার যুগ শুরু হলো ১৮১৯ সালে জাত,  ফরাসি শিল্পী গুস্তাভে…

Aug 13, 2020
আরও পড়ুন
«
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
»

গল্প: স্বাদহীনতার কাহানি



Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 13789

শোধ ।। ওবায়দুল বারী
Obaidul Bari ।। ওবায়দুল বারী

  নূরীর মন টা আজ বেশ কিছুদিন ধরেই অজানা আশঙ্কায় ভর করে আছে। কোনো কিছুতেই মন বসাতে পারছে না। সেয়ানা মেয়ে ঘরে রাখা ঠিক হবেনা ভেবে, সেই যে বাবা বিয়ে দিয়ে দিল... সেজন্যে তো মন খারাপ হয়েই ছিল। শুধু শফিকের একটা…

Aug 5, 2020
Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2245

রবিবাসরীয়র জন্য গল্প ।। শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তী
Suddhendu Chakraborty ।। শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তী

ডোরবেল বাজাবার সময়  অনীক ভেবেছিল একটা রূপকথার পরি দরজাটা খুলে দেবে। কী যেন নাম বলেছিল ফেসবুকে? নির্ঘাত জালি নাম। আজকাল ওইসবই তো চলে। ও হ্যাঁ । মনে পড়েছে। কুয়াশা।              অথচ যে মেয়েটা অনীককে চমকে দিয়ে…

Aug 10, 2020
Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 13779

শিশুর স্বাধীনতা– শিশুর অধিকার ।। সহদেব প্রধান
Sahadev Pradhan ।। সহদেব প্রধান

এক. সিংহাসনে সাদা চামড়ার বদলে বাদামি চামড়ার বসাটা স্বাধীনতা নয়। স্বাধীনতা হলো মানুষের কিছু মৌলিক অধিকার পূরণ। শিশুদের ক্ষেত্রেও এই কথা প্রযোজ্য। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ১৮ বছর বয়সের নীচে সবাই শিশু। জীবন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নিরাপত্তা, বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশের অধিকারগুলি শিশুর মৌলিক…

Aug 11, 2020
Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 4032

আজ স্বাধীনতা দিবস ।। অ্যাঞ্জেলিকা ভট্টাচার্য
Anjelika Bhattacharjee ।। অ্যাঞ্জেলিকা ভট্টাচার্য

    পাশের বাড়ির টিয়াটা সারাদিন ডেকে চলেছে।মিনতি একমনে বারান্দার গ্রিল মুছতে থাকে । টিয়ার ডাকে  একবার করে পাশের বাড়ির পোলুদের বারান্দার দিকে চোখ চলে যায়। খাঁচাটা বেশ বড় , তারমধ্যে আবার দোলনা আছে। চারদিন হল টিয়াটা এই শহরে এসেছে। পোলুর মামাবাড়ি…

Aug 5, 2020
আরও পড়ুন

প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি



Card image




প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 15841

স্বাধীনতার এত বছর পরেও লোকশিল্পীদের স্বাদহীনতার কাহিনী ।। ভাস্করব্রত পতি
Bhaskarbrata Pati ।। ভাস্করব্রত পতি

"বিটির বিঁহা দিব কেমনে / আমার ঘুম ধরেনা নয়নে / এমনি মুগের রীতিনীতি / পণ ছাড়া বিকায় না / বিটির বিঁহা দিব কেমনে" -- এভাবেই টুসুগানে আমাদের সমাজের আঁধার কাহিনীর সুর তোলে। এ কান্না শিল্পীদের জীবনেও। কান্নার আওয়াজে দেওয়াল কাঁপে।…

Aug 11, 2020
Card image




প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 16090

বিস্মৃতির ধুলায় মলিন ঘাটাল মহকুমার স্বদেশী আন্দোলন ।। দেবাশিস কুইল্যা
Debasish Kuila ।। দেবাশিস কুইল্যা

  বিস্মৃতির ধুলায় মলিন ঘাটাল মহকুমার স্বদেশী আন্দোলন                  দেবাশিস কুইল্যা       ঘাটাল ; পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উত্তর পূর্বে অবস্থিত আয়তনে ৯৫২.২৮ বর্গ কিমি ১৮৭৬ খ্রীষ্টাব্দে স্বতন্ত্র মহকুমার স্বীকৃতি পায় । এই মহকুমার প্রাচীন ইতিহাসের…

Aug 5, 2020
Card image




প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1977

নারী স্বাধীনতা ।। রোশেনারা খান
Roshenara Khan ।। রোশেনারা খান

  স্বাধীনতা বলতে কী বোঝায় ? এর উত্তর  বা সংজ্ঞা সমাজের বিভিন্ন  শ্রেণির নারী-পুরুষের কাছে বিভিন্ন রকম। আসলে বহু যুগ ধরে পুরুষ ও পুরুষ-তান্ত্রিক  সমাজব্যবস্থায় ধর্মের নামে নারীকে  সামাজিক রীতি-নিয়মের বেড়াজালে  আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে গৃহবন্দি করে রাখার পক্ষপাতদুষ্ট রেওয়াজ চলে আসছে। নারীকে…

Aug 10, 2020
আরও পড়ুন

স্বাদহীনতার কাহানি - সংখ্যায় প্রকাশিত লেখা সমূহ



একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...