ঝিলম ত্রিবেদী-এর এক গুচ্ছ কবিতা
মাল্যবানকে
অস্থি মজ্জা ঘাম বিন্দু বিন্দু রক্ত
জলে ভাসিয়েছি আজ পিণ্ডপাকানো শিশুকে
নাড়ি ছিঁড়ে গেছে তার বন্ধ্যা মায়ের গর্ভে
বাঁজা সে বাঁজা সে মা— সন্তানশোক বুঝবে!
অধিকার নেই কোনও, দুঃখ পাওয়ার অধিকার
অলক্ষ্মী রাত জুড়ে আঁতুড়ে আগুন জ্বলে যায়
মাতৃকূলের কেউ নয় এই মা ডাকিনি—
স্বামীও তাহার নাম আজ থেকে বেশ্যা রেখেছে…
নবাবগঞ্জ
একটা গাছ আর তাকে ঘিরে কয়েকটি মানুষের কথা বলা
সংলাপ
পিঠোপিঠি হাসি
গোঁফে তা দিতে দিতে বলিরেখায় বুলিয়ে নেওয়া হাওয়াদের!
আজ অনেকদিন, অনেক অনেকদিন পরে যেন কোথায় এলাম?
ভাড়াবাড়ির টানা বারান্দা দেখতে দেখতে, পুরনো মায়ের সাথে আমার প্রাচীন ছোটবেলায়। মণ্ডলঘাট, কখনও কি আগের মতো থাকে? কত বদল হয়েছে তোমার, তবু সে-ই ঝালমুড়ি-কাকা আজও কী চিরল বিকেল ছড়াচ্ছে গোধূলি-রং মেয়েগুলোর উপর— আশ্চর্য!
তারপর হাঁটা, আরও পথ চলতে থাকা
ক্রমশ এক বিরাট মাঠের কাছে আসা
যে মাঠে
ওইতো এখনও লুকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সে
কখন আমার হাফ্-ছুটি হবে
আর
বাদামের খোলা উড়বে বরিশাইল্লা ছেলের দুইচোখে
নাহ্!
আজ কেউ অপেক্ষায় নেই
আমিও কি আছি খুউব কারও অবান্তর পিছু ফিরে তাকানোর লাগি?
নেই রে নেই
সামনেই এক নিরস্ত্র মাঠ আর মাঠ
হু হু ক'রে ওঠা মন আমার
ওইতো ওইখানে বাবা দাঁড়িয়ে না?
ভোর টুপটুপ করে ঝরে পড়ছে কপালে
কপাল চুঁইয়ে নরম গ্রীবার স্পর্ধায়
ঝরে পড়ছে বাবার আলবেট-কাটা জীবন
আহির ভৈরব বাবা আমার ক্রমশ কুয়াশায়
"ও বাবা যেও না! শোনো..."
ডেথ সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে
আমি শুধু ডুবে যাচ্ছি জলে
আরও জলে জ্ব'লে যাচ্ছি যেন!
এই সে-ই চায়ের দোকান। কালোকোলো দাদুর দেহাতি অন্ধকারে চুপচাপ দোকান। বাইরে রোদের শেষ ভিতরে আঁধার শুরু হল। বটগাছ শিকড়ে শিকড়ে মাখামাখি। নিচে টিমটিম দাদু-নাতি, ধোঁয়া ওঠা ছেলেবেলা আমার!
—"কী করবে তুমি যুবক?"
—"কেন? চা দিয়ে যাব, চা দিয়ে যাব আজীবন"...
—"আহা!
তোমার ঐ পারাপারহীন সেতু
আমায় দাও না একখানি, এ বুকে মাদুর করে পাতি!"
কাকচক্ষু ঝিল
চারপাশে গাছ গাছ গাছ
আরণ্যক, সরস্বতী কুণ্ডী মনে হয়
আমি একা, মা-ও তো কত একা
দুটিজনে পাশাপাশি অথচ কতদূর
দূরত্ব যতদূর ততদূর আমরা দুজন পাশাপাশি
একার মতন থেকে যাই
কী করুণ এই শীতের সন্ধিকাল। মানুষেরা ডানা মেলে দেয়। তুলসিতলায় জ্বালে নিজেকেই নিজের আগুনে। সে আগুনে ওম পায় যাবতীয় সমূহ জীবন।
দুটিচোখ ঐ জলে রেখে চলে আসি
ফিরে আসি
পায়ে পায়ে মিউনিসিপ্যালিটি ফেলে আসি
চায়ের গুমটি
পাতা ঝরে পড়া পৌষমাস
বাবাকে...
থাক না পুরনো ঘরদোর
পথঘাট
প্রাচীন পুকুর
বিদ্যালয়
ঝালমুড়ি-বন্ধু আমার
আমি আজও দেখতে পাই—
'সন্ধেকাল
দোলনা খাওয়া শেষ
লাইব্রেরির মৃদু মাঠ ছেড়ে ফিরে আসা
দাদুর আঙুলে ছোট আঙুলটি জড়ানো-মড়ানো
মা আমার দাঁড়িয়ে রয়েছে
বাবা
পেছনে দুহাত মুঠো
হাঁটতে হাঁটতে যেন ঢুকে যাচ্ছে মায়ের সিঁথিতে...'
আমি তো আ-জ-ও রয়ে গেছি
আমি বাবা মা আর বেদনার মতো কিছু গাছপালা
ঘাটের কিনারে রেখে শরীর
গঙ্গায় মিশে যায় মন
জন্মদিন বেজে ওঠে মৃত্যুর মতন!
ঘর
সোনালি গমের মতো ছেলে। যাবি একদিন আমার সঙ্গে। ঘন বুনো অন্ধকার। বুনোহাঁসের মতো মুদির দোকান। একা একা। নীরব। কথা বললে ধোঁয়া ওঠে পাশের টালির-চাল ঘরে। আঁচ দেয় বিকেলবেলার এক বৌ। আঁচ দেয় দোরে। পাখির ডানার মতো ডানা মেলে উড়ে যায় রূপম। ইশকুল নেই তার, আছে শুধু সামুদ্রিক-চোখ। ভোঁ ভোঁ সোঁ সোঁ উড়ে যায় বেড়ালের পো! রূপম তাকিয়ে দেখে— মা তার বড্ড বকল! ঠোঁট ফোলে, সামান্য চিরে যায় হৃদয়। মা তার আঁচে আঁচে বসিয়েছে পাখি পরিবার...
আমি যাই যেথা যায় পথ। চারপাশে আমবন বাঁশবন হাওয়া। চারপাশে তোর আসাযাওয়া। চোখ তোর ছড়িয়ে রয়েছে ঘাসে ঘাসে। আমি তুলে নিয়ে আসি, দোকানিটি মৃদুমন্দ হাসে। বাতাসে জড়িয়ে পড়ে আমার ফ্রকের আকাশি। তার উপর সাদা টিপ, টিপ টিপ, যেন ফুল ফোটে। তুই দিয়েছিস এই জামাহীন রাতের আঁধার। তুই দিয়েছিস এই চেনছেঁড়া জীবনের গাঙ। ছল ছল উড়ে যায় ছল ছল পায়ে বাজে গাছ; আমাকে আমার থেকে চুরি করে নিয়েছিস আজ!
আমি হাঁটি অন্ধকারের গায়ে মিশে। আঁধার আমাকে তার 'ফুলপরী' সই পাতিয়েছে। লেখকের বাড়ি দূরে। ডমরুচরিত লেখনি। কলমের গায়ে তার ফুটে ওঠে সরিষা খেতখানি। দোকানির হাতপাখা নড়ে নড়ে পড়া করে যায়। বৃষ্টি দারুণ হলে প্রেমিকের ডাকনাম পায়। জল পড়ে উপুর ঝুপুর। জল খেলে রূপমের সুর। পাঠশালাহীন এক ছেলে। তার পায়ে, পায়ে পায়ে, সারাগায়ে নদী আর নদী; আমাকে তোমার কাছে এক্ষুনি নিয়ে যায় যদি— আমিও ঘরের দোর ঝাঁট দেব ফুল কুড়োব; তোমার অবুঝ পিঠ ঘষে দেব যন্ত্রণা দিয়ে…
ভ্রমণ
চারিদিক
ধু ধু
তোমার চোখের মতো শুধু
ভাঙা আঙুলের মতো
ভেঙে যাওয়া সন্তানের মতো
চারিদিক
শুধু
নদীর জলের কাছে সংসার দাঁড়ালে হঠাৎ
প্রবাহ ওঠে না কোনও
স্থির এক শান্ত আঘাত
দুটি মুখ
জল দিয়ে এঁকে রাখা স্তনভার
রোদে
পুড়ে যায় সংসার!
চাঁদ লেগে থাকা দোকানিরা
বহতা কড়াই
শিশিরের বন থেকে ফিরে আসে লাজুক ছেলেটি
গান
গায়
চঞ্চল করে তোলে হাত
মেয়েটি আকাশি রং, মেয়েটিও পুজো নিতে চায়
পাটনী
একলা
দেখে
বিড়ি খায়, ধোঁয়া ওড়ে একা
নিভন্ত
ছেলে মেয়ে
সংসার ছেড়ে এসে নৌকোয় সংসার করে…
তুঙ্গভদ্রা
তুরঙ্গ তুমি জানো অশ্বারোহী পাতাদের কথা
সঘন গহিন সন্ধ্যা, তপ্ত স্নিগ্ধ চারিপাশ
এখনও নামেনি জল এখনও আসেনি সে করুণ
তুরঙ্গ তুমি জানো আমি তার দেউটি-রং মন
অখিল আঁধার করে ক'রে আসে নির্জনতা
করে রাখি তার কর কোকিল লজ্জা পেয়ে বলে
নিচুস্বর কণ্ঠে যার সেই মেয়ে নারিকেলপাতা
এসেছে কলার ভেলা বুকে তার রেখেছে অধর
হিরে মানিকের পারা জ্ব'লে ওঠে দোকান বাজার
পম্পাপতীর দোরে ধূপ জ্বালে বিরহী প্রেমিকা
সুগন্ধে তান ওঠে মারোয়ার নীবিবন্ধনে
কত জল কত জল, এ-দেশ জলের কথা জানে
বিপণীতে বেজে চলে রুপোলি মাছের দিঘি-নথ
কানে তার সৌরভী সুরভিত বন্যার দুল
লাল লাল, নীল নীল, হলুদ হলুদ কুঁড়ি ফোটে
চুনি পান্নায় মোড়া রূপকথা ওর কথা বলে
নারীর অবুঝ মুখ গরিব গরিব নাগরিক
ছুঁয়ে ছেনে বুঝে নেয় সংসারে টান পড়ে না কি
তারপর কিছু চুড়ি তারপর গলার মালায়
মোতির পুঁতির রাত গেঁথে দেয় দোকানি-মানুষ
চুলার হৃদয় জ্বলে, জ্ব'লে ওঠে শিব, রান্নাঘর
মন্দিরে মন্দিরে শাঁখ বাজে এ জন্মভর
বিকিকিনি করে জন, পরিজন, স্বজন, বন্ধু
সকলে মিলায় স্তোত্র, পাঠ আর শিবরঞ্জনে
চন্দন চন্দনা মৃদু মুখ চায় অপলক
বাজুতে জমেছে গাঢ় বেদনা দিয়েছে কিছু শোক
বিদ্যুন্মালা তার চুলের গভীর খুলে দেয়
অর্জুন লাজ পায় লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় চোখ!
নরম আদর থেকে শুরু হয় এই পথ চলা
পশ্চিম দিক থেকে ভেরি বেজে ওঠে কুহকিনী
দুজনে মুগ্ধ তারা দুজনেই দোঁহেতে বিলায়
আকণ্ঠ পান করে বেঁচে রহিবার সব দায়
পূর্ণিমা শশী তারা ছোট ছোট পাহাড় জানছে
আজ রাত ভরা রাত আজ রাতে ঘুম নেই কারো
ফিরিয়া যাইবে ধীরে রাজকুমারীর মতো মেয়ে
সাধারণ, চালে-ডালে, ভালো সে বেসেছে তাহাকেই
ফিরিয়া ফিরিয়া চায়— "আবার আসিব তরুলতা
সরোবরতীরে হবে আমাদের আবার সুদেখা…"
বিদ্যুন্মালা তার অর্জুন প্রেমিকের শুধু
তুঙ্গভদ্রা জানে ইতিহাস ভোলে না যে কিছু…
তাকাও ! আমার দিকে তাকাও...
তুমি জানতে আমি কেন তাকিয়ে থাকতাম?
অত দীর্ঘ পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে আমি তোমার কাছে এসে দাঁড়াতাম
তাকিয়ে দেখেছ কোনদিন কোনদিন আমায়?
জানো
পথের পাশে এক শূন্য পদধূলির দোকান
জুতো সাজানো থাকত থরে থরে
বিক্রেতা নেই
মালিক বুঝি ভবঘুরে?
চারপাশে কৃষ্ণচূড়া গাছ নিয়ে ধীরে ধীরে শুয়ে থাকত জুতোর দোকান
কেউ আসত না যে!
শুধু সারাদিন পাতা ঝরে, ঝরে ঝরে, পাতা ঝরে বিছিয়ে থাকত গরিমায়
টুপটাপ টুপটাপ
ঝরে পড়ত ক্রেতাহীন ধূলি-মহল্লার ঈশ্বর!
জানো
আটার গুমটির দাদু
বেলাভ'রে বাজাত 'মধুমতী'---
"আজা রে...
ম্যায় তো কবসে খড়ি ইস পার
কে অঁখিয়াঁ থক গয়ি পন্থ নিহার
আজা রে
প র দে শী..."
কেন অপেক্ষা করি আমি
কেন ওই সন্তানের মতো চোখ তুলে দেখনি আমার সীমারেখা
ভিতরে আগুন জ্বলে— বোঝনি?
সে আগুনে সিঙাড়া ভাজতে তুমি
আটাদাদু রুটি গড়ত সুর মেখে
শুধু তুমি বিড়ি ঠোঁটে চেপে, প্রতিদিন অপেক্ষা দেখতে আমার
থ্রু-ট্রেনে পিষে গেলে পতিতালয়ের কোনও পাখি
আমাকে আত্মহত্যার চা ঢেলে দিতে সর ছড়িয়ে!
আর
বুঝতে পারতে না
কতটা কতটা পথ ছিঁড়েছে আমার চোখগুলো
নির্বিকার
প্রতীক্ষা নেই যে ধুলোর
সে-ই সূর্যাস্তের নীড়ে ভেসে উঠলে ছিন্নভিন্ন বেশ্যারা
ধূপ জ্বেলে কাকে ডাকতে মনের বিধুর কামনায়?
"...তুম সঙ্গ জনম জনম কে ফেরে
ভুল গয়ে কিঁউ সাজন মেরে
তড়পত্ হুঁ ম্যায় সানঝ্-সবেরে
ও..."
অনন্য করেছ আমাকে
কোনদিন তাকিয়ে দেখনি
ধুলোতে যে কেটেছিল শরীর—
তোমার দোকানে রেখে
ফিরে গেছি রক্তের ট্রেনের ছুরিতে!
সদত হসন মন্টো
মৃত্যুর মতো জন্ম তোমার
শ্মশান আঁতুড়ঘর
পার্টিশন জরাসন্ধ করেছে শরীর
ডানহাত জানে না বাঁহাতের লুকোনো দৃষ্টি
বাঁচোখ চেনে না ডানচোখের মুগ্ধ তির
তুমি স্বপ্ন
তুমি শান্তিপ্রস্তাব পৃথিবীর
সমস্ত যুদ্ধের গায়ে থুতু ফেলে
কাঁটাতারে ওড়াও কিশোরী বেশ্যার সতীচ্ছদ!
যা কোরানে লেখা নেই
যা তোমায় শেখায়নি কুকুর সমাজ—
তুমি সেই অশ্লীল সূর্য
তুমি সাহসী উড়ান পাখির…
নামহীন
কে আসে সন্ধ্যাপাড়া বেয়ে
চুঁয়ে পড়ে সবুজ আতুর এক দিঠি
আমাকে রাত্রি ডাকে প্রিয়-পলাশের এক ছেলে
আমি তার নামের শিকড়
জড়িয়ে জড়িয়ে পরি শাড়ি আর দিঘির আঁচল
যে আমাকে নাম দিল তাকে আমি দিয়ে গেছি দিঘল দুঃখভরা চিঠি
আয় তুই বাউলের শিরা
আয় তুই আমাদের ত্রাণহীন শীর্ণকায় পাড়া
দুপুরে আশিস লাগে দিকে দিকে ঈশ্বরের রোদে
আয় আমাদের খর ক্রোধে!
দিকচিহ্ন হ', দেখ, চারিপার্শ্বে রোগা তীক্ষ্ণ সন্তানের মহড়া চলেছে
অবৈধ ইস্তেহারে ভরে গেছে একতলা ছোট্ট বাড়িটি
আর
এখনও আমার কাছে তুই এলে গর্ভবতী হই…
রং
পশ্চিম সে, তবু আমি তাকে পূর্ণ নামে ডাকি
সে আমার দিগন্ত, গঙ্গার নদীয়াল সে
আঁধারের আকাঙ্ক্ষায় তার চোখে রাত্রি জমেছে
আমি তার রামকিঙ্কর চুরি করি
ধীরে
ধীরে
জ্যোৎস্না
আকাশের গভীর দস্তখত
সে আমার কারিগর, সূর্যমুখী ভাস্কর এক…
আত্মহত্যা
ডুবে যায় কেউ, হৃদয়ের জলে ডুবে যায়। এই দুপুর আর তার রোদ। ভেঙে গেলে আরও এক জীবন ভেসে যায় কোথায়! কোথায়!
ভাসানের নদী থেকে দেবী উঠে আসে। কথা বলে মেঘার্ত স্বরে— "কোথা যাস বেটি? আয়, তোর বিনুনি বেঁধে দিই!" — এই বুঝি দেবী!
পাওয়ার দুঃখ এসে ঘাটে লাগে আমার
পুকুরেই শুয়েছিল সে
রোজ এসে বসে থাকত পুকুরের তীরে
জলের পোকারা এসে ঘাঁটত তার নূপুরের অন্ধকার
জলে ডুবে থাকা পাড়া, কার কাছে জমে আছে জীবনের কতখানি সুদ?
কী করে ফেরত দেব লবঙ্গলতিকার ঘ্রাণ?
"সীমান্ত পেরিয়ে আসা ওগো মোর নিভৃত বালক
সেতু মোরে দিও না তুমি, সেতুহীন করো!"
সন্ধে ঘনায়। ঘরে ফেরে রাত্তিরের মেয়ে। খায়। শোয়। হাঁসফাঁস করে ওঠে। পরিতৃপ্ত স্বামী ছেড়ে জানলায় দাঁড়ায়। কোকিল ডাকছে দূরে অমঙ্গলের সুর শোনে সে। ঘাম মোছে। আকাশের ভুরুর মাঝখানে জেগে উঠছে মরণ...
সূর্যের জ্যোৎস্নায় আজ এত অকালবৈশাখ!
'আমি আর যাই না সেখানে
অন্ধকার জানে
সই পাতিয়েছিলাম কার সাথে
মাঠে মাঠে বিজয়ার কান্না উঠলে
আজও আমি হৃদয়ের জলে
পাওয়ার দুঃখগুলো ভাসাই...'