iswarchandra vidyasagar

Mohool Potrika
Login Here  Login::Register

logo corona

করোনা Diary ।। আভা সরকার মন্ডল

 

এই মুহূর্তে সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা 12 লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। একটি দিন পার হলেই এক লক্ষ করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আমেরিকাতেই আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে তিন লক্ষ । বিশ্বে সেরে ওঠা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় আড়াই লক্ষ । আক্রান্তের তুলনায় যদিও সংখ্যাটি নগন্য। এখনো পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে 65 হাজার মানুষের।
আমাদের পিপিই কিট প্রয়োজনের তুলনায় কম। অপ্রতুল চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে লড়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ভারতবর্ষে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়েছে, মৃত্যু হয়েছে 83 জনের ।সেরে ওঠা রোগীর সংখ্যা 267 গত 24 ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন 505 জন। (সূত্র: টিভি চ্যানেল). প্রতি 24 ঘন্টায় যদি এই হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে তবে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে একসময়। এবং আমরা ঘরে না থাকলে আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে পারবো না। মানুষ কবে সচেতন হবে?
বিদেশফেরৎ মানুষের হাত ধরে এই ভাইরাস ঢুকে পড়ল ভারতবর্ষে ছড়িয়ে গেল রাজ্যে রাজ্যে। থাবা বসাচ্ছে গ্রামে-গঞ্জে শহরে। ঘরে ঘরে যাতে না ঢুকে যায় তার জন্যই লকডাউন। লকডাউন হলো ভাইরাসকে স্ট্যাচু করে দেয়া। যে কজন আক্রান্ত যেখানে আছেন উপসর্গ দেখা দেয়া মাত্র সেখান থেকে সোজা হসপিটালে তাদের পাঠাতে হবে। প্রশাসন খবর পেলে আক্রান্তকে হসপিটালের নেয়া এবং বাড়ির লোকজনকে কোয়ারেন্টাইন এ পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করছেন।আমরা বাইরে না বের হলে আমাদের সাথে তাদের দেখা হওয়ার ভয় নেই।
শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষ এখন অনেকটাই বেশি সচেতন হয়েছেন । অনেক গ্রামবাসীরাই নিজেদের গ্রাম নিজেরাই পাহারা দিচ্ছেন।বাইরে থেকে কেউ যেন গ্রামে ঢুকতে না পারেন সেদিকেও নজর রাখছেন। প্রশাসন ও কড়া এই ব্যাপারে।আমরা বাঁচার দিশা পাচ্ছি। তাদের সাথে আমাদেরও সচেতন হতে হবে।
শোনা যাচ্ছে জুন-জুলাইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা মাত্রা ছাড়াবে। এই মুহূর্তে লকডাউন ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো রাস্তা খোলা নেই। আক্রান্তের সংখ্যা মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে সবাই চিকিৎসার সুযোগও পাবে না। বড় ভয়ানক সেই দিন। করোনা আক্রান্ত শ্বাসকষ্টের রোগীকে ভেন্টিলেটর এর অভাবে বিনা ভেন্টিলেশনে রাখতে হবে। মৃত্যুর অপেক্ষায়। মনে রাখতে হবে 24 ঘন্টায় দেশে আক্রান্তের সংখ্যা 505 !! আর প্রাইভেটে এর চিকিৎসার খরচ ব্যাপক।
গরিবদের খাবার দিয়ে ঘরে আটকে রাখা, স্বাস্থ্যকর্মীদের সুযোগ দেয়া (উপযুক্ত চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ে তুলে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম জুগিয়ে )রুগীর সেবা করার ...এই দুটো কাজের সাথে দেশকে লকডাউনে রাখা,এই হলো করোনাকে দূরে রাখার উপায়।ভ্যাকসিন বের না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই করোনা থেকে দূরে থাকতে হবে আমাদের।সব ঠিকঠাক থাকলে ভ্যাকসিন বের হতে সময় লাগবে পৌনে দু'বছর।
অন্য দেশের দুর্ভোগ থেকে আমরা শিক্ষা নেইনি।সুযোগ পেয়েও প্রথম লকডাউনকে আমরা ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারিনি। অনেকগুলো জমায়েত নামক দুর্ঘটনার মাধ্যমে ছড়িয়ে গেছে এই ভাইরাস।একমাত্র নিজামুদ্দিন কান্ডেই আক্রান্তের হার লাফিয়ে হয়েছে দ্বিগুণ । কোথায় কোথায় ভাইরাস আক্রান্ত মানুষ ছড়িয়ে গেছে আমরা জানি না। তাই আমাদের ঘরেই থাকতে হবে। উপসর্গ দেখা দিলে আক্রান্তদের চিকিৎসা করে সারিয়ে তুলতে হবে, আর তারা আবার কাদের কাদের আক্রান্ত করে এসেছে তাদেরও খুঁজে বের করে চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে.... এই ভাবেই চলবে। সেটা কতদিন আমরা কেউ জানিনা। সব মানুষ সচেতন হয়ে ঘরে থাকলেই এই কাজটি সহজ হবে।সমস্ত কাজকর্ম ফেলে রেখে কিভাবে দিনের পর দিন মাসের পর মাস ঘরে থাকা সম্ভব ভাবলে মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু থাকতেই হবে । ধৈর্য হারা হলে চলবে না।এছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই বাঁচার। লকডাউন তো চলবেই কিন্তু আমরা সচেতন হয়ে যদি তা‌ না মানি তাহলে তার মেয়াদ আরও দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হবে। ঘরে থাকা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আপাততঃ ঘরেই থাকতে হবে। তাড়াতাড়ি বাইরে বেরোনোর জন্য আমরা আরো কিছু দিন না হয় ঘরেই থাকি, ধৈর্য ধরে.....

একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...