একক কবিতা সন্ধ্যা ।। সমর দেব 

samar deb

সমর দেব-এর এক গুচ্ছ কবিতা 

 

 

 

মাংসাশী বাঁদরেরা

আলোর আলিঙ্গন চেয়ে পাথরের বুকে বসেছিলে অনন্তকাল
যাত্রার দলের ঝকমকে পোশাকে ঢাকা শরীরে অভিনয়ে
মেতেছিল রাজা নির্ভুল উচ্চারণে অনুপম ডায়ালগ তার
দর্শকেরা বুঁদ হয়ে শোনে মুহুর্মূহূ হাততালি দেয়
রাজার বুকের তলে ফুলে ওঠে লবণাক্ত জল দারুণ জোয়ারে
সন্ধ্যে থেকে একটাও বিড়ি না পেয়ে নেশা চড়ে গেছে তার
চরম কঙ্জুস ওই অধিকারী মশায়ের ‘পরে যত রাগ আছে
সবটুকু ঝেড়ে দেয় হতভাগ্য মন্ত্রী আর উজিরের ঘাড়ে।

যাত্রার দলের এইসব গোপন কথা সবটুকু জানা আছে তার
তবুও পরম আলোর ডাক নিশির হাতছানি যেন, মোহময়
আদিম পাথরের বুকে বসে সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত গুনে গেছ শুধু
একটু একটু করে হেঁটে চলে গেছ পুন্নাম নরকের দিকে
সেখানে মানুষ নেই প্রেতাত্মারা পরস্পর খেয়োখেয়ি করে
বোমা নিয়ে অদ্ভুত জাগলারি করে মাংসাশী কয়েকটা বাঁদর।

 

বিনির্মাণ

একটি একটি করে ইঁট খসাতে খসাতে উৎসের দিকে যেতে চাই
তারও আগে কেটে ফেলি গাছপালা, ছুঁড়ে দিই টব, মুছে ফেলি ঘাস
গুঁড়িয়ে দিই সীমানা পাঁচিল ঘরে নিয়ে আসি আস্ত শ্মশান
পবিত্র গঙ্গা ছেঁচে তুলে আনি অস্থি সব পুর্বপুরুষের, এইবার
গড়ে তোলা হবে ফের নতুন প্রতিমা আমিই গড়ে নেবো ছাঁচ
একটি একটি করে নিজেই বসিয়ে নেবো সমস্ত বিকশিত জিন
নিগূঢ় পাপের মতো এইকথা চুপি চুপি উচ্চারিত হলে
সন্ধ্যা নামে, ইঁট ধরে টানি আমি দিনরাত অক্লান্ত পাগল

অনপনেয় বিষাদগাথা জুড়ে মানবিক গ্লানি ছেয়ে ফেলে মহাকাশ
তখন কোথায় নদী, চলে গেছে দূরে, স্নান করি নাইল কুমিরে
কুয়োর সুগোল জলে ভেসে ওঠে বিগলিত জ্যোৎস্নার চাঁদ
দর্পণ সরে গেছে মানুষের অপার লাঞ্ছনায়, তখন গভীর রাত
ঘন কালো মেঘে আকাশ ঢেকে আছে আউসভিৎস যেন
মায়ের উষ্ণ কোলে মাথা রেখে শৈশবের ঘুম মনে পড়ে
ইঁট খুলে খুলে ক্লান্ত আমি প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়ে অটল শ্রমিকের মতো
সমস্ত শরীর ভেজা ঘামে, এইবার ভিত্তিমূলে শাবলের দুর্মর আঘাত
কোনো শোক নেই তাপ নেই দুরন্ত কিশোরের মতো বিষাদের লেশমাত্র নেই
দিনরাত জুড়ে ক্রমাগত ইঁট খুলে চলি উৎসে যাবো বলে

 

বৃত্তের বাইরে

একটা সরলরেখা ধরে হেঁটে যেতে যেতে
অন্ধকারের সঙ্গে দেখা, চোখে তার দুষ্টুমির হাসি
আস্তিনে লুকনো তুরুপের টেক্কা থেকে ঝরে পড়ে
অজস্র মুদ্রা, তুমি কুড়োতে কুড়োতে হাঁটো
একেকটি প্রজন্ম পেরিয়ে যায়, সাবলীল গতি
অন্ধকারের ভেতরে জ্বলে ওঠে অনির্বচনীয় আলো

প্রাচীন উপমার মতো উঠে আসে কলুর কাহিনি
কে চালায় তাকে অথবা ঘানির বলদ
আজকাল যন্ত্রের নির্গমন নল থেকে আসে
অঢেল তেল, সেখানেও যন্ত্রবলদ, শব্দ হয়
ঝনঝন আওয়াজে চাকা ঘোরে মুদ্রা ঘোরে
এসব সরলরেখা কার্যত পাকে পাকে বৃত্তাকার
জটিল আলোর আভাস বয়ে নিয়ে আসে
আলোর ওপারে যাবে পেশল মানব, ভেঙে
ফেলে ঘানি, তাজা রক্ত চলকে ওঠে শিরায় শিরায়।

 

অনন্ত নিয়তি

শূন্যও কি বিস্ফোরণ এক আর কিছু নয়, অথবা শূন্যমাত্র
দশদিক জুড়ে অসীম ব্যাপ্তি তার, তবুও নিষ্ক্রিয় স্থবির ব্যাঙ
মধ্যরাতে তাকে দেখি পথের শায়িত ছায়ায় শুয়ে থাকে বড় মূক
কালো কালো বৃক্ষদের ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখি দীর্ঘশ্বাস ছুঁয়ে থাকে হাওয়া
গায়ে গায়ে লেগে থাকা গাছে উদ্ভাসিত বল্কলের প্রত্ন আলো
অনন্ত হেঁটে চলি শূন্যের প্রান্তদেশ বরাবর আপাত সরল
আদিগন্ত উদ্ভাসে জেগে থাকে অনন্ত শূন্যের বিশাল হামুখ
সেইখানে মঘা স্বাতী নক্ষত্রেরা অবারিত শূন্য হয়ে জ্বলে
আরো আরো দূরে নাভিপদ্ম জেগে থাকে অকা কলুষবিহীন
বহু নীচে ঘুমিয়ে মানুষ রাত কাটে স্তূপাকার মাংসের স্বপ্ন দেখে দেখে
কোথাও সরলরেখা নেই সব পথ বৃত্তাকার অলাতচক্রের মতো
আমারও ঘুম পায় খুব, দুচোখ জুড়ে নেমে আসে আদিম ক্লান্তি
তবু হাঁটি জুতো মোজাহীন, পাথরের ঘায়ে পায়ে ক্ষত রক্ত ঝরে
শূন্যতার কাছে তবে আত্মসমর্পণ, ঘনঘোর নিয়তির মতো
মনে পড়ে কারো মুখ মনে পড়ে ফেলে আসা পথের মায়াবী ছায়া
সাগরদীঘির জলে কার ছায়া পশ্চিমের ঘাটলায় গুজবে মশগুল
পরিযায়ী পাখিদের ভিড় নেই জলের কিনারে এক নিঃসঙ্গ বক নিশ্চল চুপ
এত রাতে শান্ত চরাচর, জেগে থাকে অসীম ব্যাপ্তি শুধু, অনন্ত সড়ক
কোথা যেতে হবে বোঝে না রাতের পিয়ন শুধু ছোটে হাতে তার অজস্র লেফাফা
শূন্যের বৃত্ত ছুঁয়ে ছুঁয়ে ক্রমাগত ছুটে চলা শুধু, জেগে থাকে প্রত্ন আলোমালা।

 

জাদুবাস্তব

বগলে পাণ্ডুলিপি নিয়ে উড়ে যায় শোকতপ্ত পরিযায়ী হাঁস
গুগলি জোটেনি তার সারারাত জুড়ে অন্ধকারে খুঁজে খুঁজে
একজীবনের ক্লান্তির ভার অসহ মনে হলে ভোরের আগেই
অনির্দেশ্য আকাশে তার ডানা মেলা, পায়ের নীচে পড়ে থাকে
সশস্ত্র আধুনিক সামরিক ঘাঁটি, সুসজ্জিত পুলিশ ব্যারাক
অবোধ শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মলের বিলাস, আইনসভা
ক্রমাগত পেছনে ফেলে আরো দূর আকাশের দিকে উড়ে
যেতে যেতে ব্যর্থতার হিসেব মেলায়, তখন দুপুর রোদ
পেটের ভেতরে যেন আগুনের মহোৎসব, ভয়ানক উল্লাস
অসহায় একে একে গিলে খেতে থাকে সমস্ত পাণ্ডুলিপি

তখন নেমেছে সন্ধ্যা দুই ডানা অবসাদে শ্লথ হয়ে আসে
জঙ্গলে ঘেরা এক নিয়তি-হ্রদের জলে ডুব দেয় চুপ
চোখ টিপে হাসে দ্বাদশীর ক্রুর চাঁদ জলের ওপরে ঢেউ
শান্ত ঘুমে জলের ভেতরে তার শান্তির অপার আলো
হাঁসের আগুন আর আগুনের হাঁস নিয়ে তুমুল তর্ক জমে
আইনসভায়, নগরের পথ জুড়ে দিনরাত ভারী বুটের আওয়াজ
দুয়ার আগলে চুপ বসে থাকে প্রতিটি গৃহস্থ, বুকে হিম ত্রাস
স্বপ্নের ভেতরে এইসব দেখে তখনও গুগলি খোঁজে হতভাগা হাঁস।

 

মাংসের ঘ্রাণ

ক্যানাইন টিথে মানচিত্র ছিঁড়ে ফেলে বসেছো বিরামে
তখনও হয়নি ভোর সূর্যের প্রথম ছটা আছে বহুদূর
অন্ধকার এখনও অনেক গাঢ়, এখনও প্রচুর শীত
ফুটপাথ জুড়ে ছেঁড়া কম্বলে আপাদমস্তক ঢাকা
কয়েকটা মানুষ, তাদের নিঃশ্বাসে ঝড় ওঠে খুব
তখন দাঁতন হাতে তুমি ঘসে ফেলো ঝকঝকে দাঁত

মাংসের বিরল স্বাদ জেনে গেছে পৃথিবীর সমস্ত বাঁদর
সমস্ত জল আর স্থলভাগ জুড়ে তারা ঢুঁড়ে ফেরে
আমিশাষী ঘ্রাণ, আকস্মিক নিভে যায় হ্যালোজেন ছিল যত
মধুর কিমায় তারা সুনিপুন ঢেকে দেয় কলসের মুখ
মহেঞ্জোদড়োর মতো চাপা পড়ে গ্রাম ও শহর আর নিঃস্ব পাঁজড়
অথচ অবোধ্য লিপিতে ঠিক ধরা থাকে সত্য অকপট

একদিন ডিকোড হবে ঠিক, একদিন আচ্ছাদন সরে যাবে দেখো
সমস্ত অবোধ্য লিপি প্রতিভাত হবে কোনোদিন চরম প্রজ্ঞায়
সব ব্যথা, সব দুঃখ, সমস্ত অভিমান আর অকথ্য নিপীড়ন
উদ্ঘাটিত হবে, দাঁতের ফসিলে যত থরে থরে লুকনো অতীত
বেলজিয়াম কাচের আয়নায় প্রতিচ্ছবি এত স্বচ্ছ হতে পারে
আগে তো ভাবনি সময়ের দাঁতে মাংসের ঘ্রাণ লেগে থাকে।

 

আমার স্বদেশ

শীত জাঁকিয়ে বসার আগেই এবছর
টুপ করে খসে পড়ল পাকুড় পাতাটি
তখন গাঢ় এক ষড়যন্ত্রের পাঁশুটে গন্ধে
রোমাঞ্চিত হয়ে ওঠে তাবৎ চরাচর
ভালবাসার কবিতায় কম্বল মুড়ি দিয়ে
চমৎকার শ্বাস নেয় প্রিয় বন্ধু ফারুক
কেননা এখনও তেমন শীত জাঁকিয়ে বসেনি

মধ্যরাতে ঘেমে উঠি খুব জিরাফে যেমন নেই
প্রেমেও, অথচ আগুনে ঝলসে ওঠে হালকা পৃথিবী
সৌরঝড় আছড়ে পড়ে, আমাদের পুষ্করিণী জুড়ে
ভেসে ওঠে মাছ রুপোলি রুপোলি রুই কাতলাও কিছু
এইসব ইমেজারি ছেড়ে মূর্খ পাঠক নিতান্ত নির্বোধ
দিনরাত জুড়ে জাবর কাটার মতো দাঁতে ভাঙে মুড়ি

আমরা জীবন জুড়ে স্বস্তি দেখিনি কোনও, তর্ক শুধু
জমে ওঠে কবরেই শোবো নাকি আগুনেই আলিঙ্গন
তাহলে বরং বিনিময় হোক মত, ফারুকের সাথে কথা বলি
হে কবি বন্ধু, এসো বেছে নিই পরস্পর কবর-শ্মশান

 

মাতৃভাষা

একটা তেলা বাঁশের গা বেয়ে যখন ক্রমশ উপরে
উঠতে চাইছে একটা বাঁদর তখন বৃষ্টি ছিল না
আর, এইভাবে মেঘে মেঘে বেলা বাড়তে থাকলে মরুপ্রান্তরে বেজে উঠেছিল তীব্র রণভেরী
ক্ষুধা ভুলে হিংসায় মেতে উঠেছিল আদমসন্তান বন্দিশিবিরে একা সাদঈদ স্বপ্ন দেখেছিল খেজুরের

তেলা বাঁশের মসৃণতা থেকে প্রতিবিম্ব উঠে এলে
তুমি ধর্ম হারানোর ভয়ে চোখ বুঁজে ফেলো
আস্তাবলে জন্ম নেয় তোমার ফুটফুটে শিশু
তাকে উপহার দিতে ছুটে আসে প্রাচ্যের ঋষিরা
জ্বলে ওঠে উজ্জ্বল নক্ষত্রেরা জ্বলে ওঠে কালপুরুষ

এমত গৃঢ় বার্তায় দৈববাণী ছড়ায় ধুলোয় ঘাসেতে
চলে আসো মানুষের কাছে জীবনের হৃদয়ের পাশে মাতৃভাষায় গেয়ে ওঠো গায়ত্রীমন্ত্র মা, জননী আমার!

 

বেড়ালের অনিশ্চয়তা

ভোরবেলা দরজায় সটান এসে দাঁড়ায় গ্রেগর সামসা
আমি চোখ বুজে থাকি, এরপর শুরু হবে গভীর আলাপ
এই কথা নিশ্চিত জানি বলে এক কাপ চায়ের তেষ্টা
কিচেনের থেকে ভেসে আসে কাপ-কেতলির মধু রিনরিন
ভারী এই চোখের পাতায় হাত রাখে পরম আশ্বাস
কানে ভেসে আসে কারও পদশব্দ দার্জিলিং চায়ের সুঘ্রাণ
ততক্ষণে বুঝে যাই যেন আমি উল্টো কচ্ছপ এক
অনিবার্য নিয়তির মতো পড়ে থাক বইখাতাকলমদোয়াত
হেঁটে আর কতদূর যাব অতএব তাড়াহুড়ো নেই
টয়লেটে যাওয়া আছে অথচ অসাড় ছয় পায়ে চিত
সামসা বাড়ায় হাত যেন কত প্রিয়জন অনুগত প্রাণ
বেঁচে আছি আমি বেড়ালের সূত্রে তার নিশ্চয়তা নেই
অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে আগন্তুক চরম বিদ্রুপ তার চোখে
অসহায় আমি ঊর্ধ্বমুখে শুয়ে ক্রমাগত মন্ত্রোচ্চারণ করি, ওঁম
ছয়টি বিকল পা, হায় ঈশ্বর, মানুষের পরিণতি এই!

 

প্রতিপক্ষ 

একটা হলুদ প্রজাপতির পেছনে ছুটতে ছুটতে বহুদূর চলে গিয়ে
আকস্মিক প্রতিপক্ষ খুঁজে পাই সে জীবনে ধ্বস্ত এক মধ্যবয়সী
তাকে আমি দেখিনি কখনও চোখ তুলে শুধু তার দীর্ঘ বলিষ্ঠ পা
এখনও পরিষ্কার দেখতে পাই শাদা শাদা নখ হিংস্র উঁকি দেয়
ধুতি বা লুঙ্গির ঝালরের ফাঁকে, আমি মাটি দেখি পিঁপড়েরা
হেঁটে যায় সারি সারি মাঝখানে ভারিক্কি হেঁটে যায় মাথামোটা নেতা

মায়ের আঁচলে মুখ গুঁজি এত ভালবাসা তুমি কোন গাছে পেলে
শাড়িতে বিছানায় ঘরে বারান্দায় ভাতে লেগে থাকেে স্নেহ
লোকটাকে বলে দাও চলে যেতে দূরে, বহু আরও বহু দূরে
আমার প্রজাপতি চাই, কিছু নাই হোক অন্তত দুয়েকটা ফড়িং
এক মগ জল নিয়ে হুটোপাটি এই প্রখর রোদ্দুরে সামুদ্রিক স্নান
মায়ের চিবনো পান এক কুচি ঈষৎ খয়েরি, মৃদু মৃদু ঝাঁঝ

আমার কৈশোরে এক অবুঝ সন্ধ্যায় মধ্যবয়সী চলে গেলে বুকে বড় বাজে
বহুকাঙ্ক্ষিত মোলাকাত আর হয় না কখনও, এ কেমন প্রতিদ্বন্দ্বী
আপাদমস্তক নিদারুণ অপমানে নিজেকে পোড়াই নির্নিমেষে
ফাঁকা কুরুক্ষেত্রে প্রতিপক্ষহীন আমি হাওয়ার সঙ্গে লড়ি কতদিন
কখন গড়িয়ে গেছে বিকেল, ডানা মেলেছে কালো কালো বাদুর আর
কয়েকটা ঘৃণ্য চামচিকে, মা, তুমি লোকটাকে আসতে বলো, এইখানে
দাঁড়িয়ে রয়েছে তাঁর প্রতিপক্ষ এক বুক ভালোবাসা, সমর্পণ নিয়ে।

মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...