logo corona

অন্ধকারের স্বভাব-চরিত্র ।। অমিত মাহাত



এক অদৃশ্য ভাইরাস কাবু করে দিল আবিশ্বকে। কয়েক সপ্তাহ আগের প্রমোদ উদ্যান আজ মৃত্যপুরির  দেশ। দূরের দেশের কথা তোলা থাক। বরং ঘরের কথা বলি।

এই মূহুর্তে মনেই হচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গে করোনা হয়েছে। কেন এরকম মনে হচ্ছে বলুন তো!  মহামারী দরজায়। অন্যদিকে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী আর রাজ্যপালের বাকবিতণ্ডা  মিডিয়া হাউসের হটকেক।  কে মনোনীত আর কে নির্বাচিত  এই নিয়ে সমানে তর্ক করে যাচ্ছে। চালিয়ে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির জবাবে রাজ্যপাল টুইট করছেন। আমরা ঘরে বসে এইদিন দেখছি। পুরনো ঝগড়াঝাটি কি সরিয়ে রাখা যেত না? আসলে এ হল স্বভাব। পাল্টাবে না। কয়লা হাজার ধোয়া হলেও ময়লা থেকে যাবেই। এটাই পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান ছবি।

ছবির কথা উঠল যখন তা বিস্তারিত করছি এ লেখায়। আমার সত্যিই আজ কিছু লিখতে মন সায় দিচ্ছে না। তবু লিখতে হচ্ছে। বলতে হচ্ছে। আবারও বলছি পশ্চিমবঙ্গে করোনার চাইতেই ভয়ঙ্কর বিপদ হল এই বিজেপি তৃনমূল ইমেজ ধরে ঘরবন্দি জীবনে রাজনীতি করে যাওয়া। আমি তৃনমূল তো আপনাকে বিজেপি হতেই হবে। নইলে আমরা কী নিয়ে লড়ব? করোনা ভুলে যান। ঘরে বসে রাজনীতি উপভোগ করুন। এটা পশ্চিমবঙ্গ। করোনা কিস্যুটি করতে পারবে না। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম করোনা ওষুধ আবিষ্কৃত হয়েছে। গো মূত্র পান করুন। করোনা চলে যাবে। আমাদের দেশে যখন এরোপ্লেনে চড়ে করোনা ঢুকল। ঢুকতে না ঢুকতে দাওয়াই তৈরি হল নন্দ ঘোষের গোয়ালে। দেদার বিক্রি হল  সেসব গোমূত্র। অতিরিক্ত পানে যখন কেউ কেউ হসপিটাল মুখো হল।

এর পরের সপ্তাহে জনতা কারফিউ। থালি বাজাও। শুরু হল আনন্দ উৎসব। গোটাদেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও একসুর বাজতেই ফের বিজেপি তৃনমূল বিভাজনরেখা সামনে আনা হল।

লকডাউন। সামনে আনল অনেক অনেক ছবি। এই বাজারে দেদার কালোবাজার। পুকুর থেকে উঠে আসছে বস্তা বস্তা চাল। সেই যে ভোটের সময় ব্যালট বাক্স পুকুরে ঢুকেছিল । করোনা আসতেই  পুকুরে সলিলসমাধি হল  ত্রানের চালের । এটাই পশ্চিমবঙ্গ। জঙ্গল মহলের গ্রামগুলোতে আসতে লাগল ত্রান । মন্ত্রী পাঠালেন।  ত্রান। এলাকার পাড়ার নেতা আর ওদের সাঙ্গপাঙ্গ কিছুটা বিলি করে বাকি নিজেদের ঘরে তুলল। নেতার বাড়িতে ত্রান এসে জমা হচ্ছে রাতের অন্ধকারে। ভুখে পেটে পর্যাপ্ত খাবার তুলে দেওয়ার কেউ নেই।  মিড মিলের চাল আলু  বিলিতে অনিয়ম। পরিমানে কম। বাকি খাবার যাচ্ছে গ্রামের স্কুলের মাস্টারটির রান্নাঘরে। এই ছবিও দেখলাম। বেশ কিছু জায়গায়। অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। রেশন ব্যবস্থা তো অনিয়মের আঁতুড়ঘর। অনেক বড় মাথা প্রশাসনিক কর্তা আমলা অফিসার এই আঁতুড়ে নাড়ি কেটেই পকেট ভরতি করে নিচ্ছে। মিডিয়া ডিলার মাল ঠিক দিচ্ছে না এটা দেখায়। উপরের বাস্তুঘুঘুদের   বাসা ভাঙ্গার সাহস নেই। নিচুতলায় চুরি চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো যায়। উপরতলার কলমবাবুদের দুর্নীতির আঁতুড়ঘরে ঢোকার দম নেই। বড়লোকেরা বড় অফিসারেরা বড় নেতারা তো চুরি করতেই জানে না!  এরা তো ডাকাতি করে।

করোনা না এলে পাশের মানুষটিকে ঠিকঠাক চেনাই হত না। চিনতাম কি পাড়ার কিছু বেকার যুবকদের? দুঃস্থ মানুষের বাড়িতে বাড়তে সব্জি বাজার পৌঁছে দেওয়ার ছবিটা সত্যিই পাওয়া যেত না। এই বেকারদের একটা বড় অংশ যখন ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে আটকা পড়ে। গাদাগাদি করে শোয়। পায়ে হেঁটে ঘরে ফেরার চেষ্টা করে পথেই জীবন হারায়।

ঠিক এইরকম পরিস্থিতেও তরজা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। আমাদের রাজ্যপাল। সরকার শুধু চাল দিয়ে দায় এড়াতে পারে না। সরকারের দায়িত্ব আরও অনেক। রোজগারহীন জীবনে ডালভাতের গ্যারান্টি দিক। ভোটের সময় ভোটার স্লিপ যদি ঘরে পৌঁছাতে পারে সরকার ডালভাত কেন নয়। ফিরি চাল দিলেই হবে না অন্যান্য সামগ্রী দেওয়াও সরকারের কর্তব্য এই বিপদের দিনে।

একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...