এক অদৃশ্য ভাইরাস কাবু করে দিল আবিশ্বকে। কয়েক সপ্তাহ আগের প্রমোদ উদ্যান আজ মৃত্যপুরির দেশ। দূরের দেশের কথা তোলা থাক। বরং ঘরের কথা বলি।
এই মূহুর্তে মনেই হচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গে করোনা হয়েছে। কেন এরকম মনে হচ্ছে বলুন তো! মহামারী দরজায়। অন্যদিকে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী আর রাজ্যপালের বাকবিতণ্ডা মিডিয়া হাউসের হটকেক। কে মনোনীত আর কে নির্বাচিত এই নিয়ে সমানে তর্ক করে যাচ্ছে। চালিয়ে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির জবাবে রাজ্যপাল টুইট করছেন। আমরা ঘরে বসে এইদিন দেখছি। পুরনো ঝগড়াঝাটি কি সরিয়ে রাখা যেত না? আসলে এ হল স্বভাব। পাল্টাবে না। কয়লা হাজার ধোয়া হলেও ময়লা থেকে যাবেই। এটাই পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান ছবি।
ছবির কথা উঠল যখন তা বিস্তারিত করছি এ লেখায়। আমার সত্যিই আজ কিছু লিখতে মন সায় দিচ্ছে না। তবু লিখতে হচ্ছে। বলতে হচ্ছে। আবারও বলছি পশ্চিমবঙ্গে করোনার চাইতেই ভয়ঙ্কর বিপদ হল এই বিজেপি তৃনমূল ইমেজ ধরে ঘরবন্দি জীবনে রাজনীতি করে যাওয়া। আমি তৃনমূল তো আপনাকে বিজেপি হতেই হবে। নইলে আমরা কী নিয়ে লড়ব? করোনা ভুলে যান। ঘরে বসে রাজনীতি উপভোগ করুন। এটা পশ্চিমবঙ্গ। করোনা কিস্যুটি করতে পারবে না। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম করোনা ওষুধ আবিষ্কৃত হয়েছে। গো মূত্র পান করুন। করোনা চলে যাবে। আমাদের দেশে যখন এরোপ্লেনে চড়ে করোনা ঢুকল। ঢুকতে না ঢুকতে দাওয়াই তৈরি হল নন্দ ঘোষের গোয়ালে। দেদার বিক্রি হল সেসব গোমূত্র। অতিরিক্ত পানে যখন কেউ কেউ হসপিটাল মুখো হল।
এর পরের সপ্তাহে জনতা কারফিউ। থালি বাজাও। শুরু হল আনন্দ উৎসব। গোটাদেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও একসুর বাজতেই ফের বিজেপি তৃনমূল বিভাজনরেখা সামনে আনা হল।
লকডাউন। সামনে আনল অনেক অনেক ছবি। এই বাজারে দেদার কালোবাজার। পুকুর থেকে উঠে আসছে বস্তা বস্তা চাল। সেই যে ভোটের সময় ব্যালট বাক্স পুকুরে ঢুকেছিল । করোনা আসতেই পুকুরে সলিলসমাধি হল ত্রানের চালের । এটাই পশ্চিমবঙ্গ। জঙ্গল মহলের গ্রামগুলোতে আসতে লাগল ত্রান । মন্ত্রী পাঠালেন। ত্রান। এলাকার পাড়ার নেতা আর ওদের সাঙ্গপাঙ্গ কিছুটা বিলি করে বাকি নিজেদের ঘরে তুলল। নেতার বাড়িতে ত্রান এসে জমা হচ্ছে রাতের অন্ধকারে। ভুখে পেটে পর্যাপ্ত খাবার তুলে দেওয়ার কেউ নেই। মিড মিলের চাল আলু বিলিতে অনিয়ম। পরিমানে কম। বাকি খাবার যাচ্ছে গ্রামের স্কুলের মাস্টারটির রান্নাঘরে। এই ছবিও দেখলাম। বেশ কিছু জায়গায়। অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। রেশন ব্যবস্থা তো অনিয়মের আঁতুড়ঘর। অনেক বড় মাথা প্রশাসনিক কর্তা আমলা অফিসার এই আঁতুড়ে নাড়ি কেটেই পকেট ভরতি করে নিচ্ছে। মিডিয়া ডিলার মাল ঠিক দিচ্ছে না এটা দেখায়। উপরের বাস্তুঘুঘুদের বাসা ভাঙ্গার সাহস নেই। নিচুতলায় চুরি চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো যায়। উপরতলার কলমবাবুদের দুর্নীতির আঁতুড়ঘরে ঢোকার দম নেই। বড়লোকেরা বড় অফিসারেরা বড় নেতারা তো চুরি করতেই জানে না! এরা তো ডাকাতি করে।
করোনা না এলে পাশের মানুষটিকে ঠিকঠাক চেনাই হত না। চিনতাম কি পাড়ার কিছু বেকার যুবকদের? দুঃস্থ মানুষের বাড়িতে বাড়তে সব্জি বাজার পৌঁছে দেওয়ার ছবিটা সত্যিই পাওয়া যেত না। এই বেকারদের একটা বড় অংশ যখন ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে আটকা পড়ে। গাদাগাদি করে শোয়। পায়ে হেঁটে ঘরে ফেরার চেষ্টা করে পথেই জীবন হারায়।
ঠিক এইরকম পরিস্থিতেও তরজা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। আমাদের রাজ্যপাল। সরকার শুধু চাল দিয়ে দায় এড়াতে পারে না। সরকারের দায়িত্ব আরও অনেক। রোজগারহীন জীবনে ডালভাতের গ্যারান্টি দিক। ভোটের সময় ভোটার স্লিপ যদি ঘরে পৌঁছাতে পারে সরকার ডালভাত কেন নয়। ফিরি চাল দিলেই হবে না অন্যান্য সামগ্রী দেওয়াও সরকারের কর্তব্য এই বিপদের দিনে।
করোনা Diary
- বিশ্বমারী করোনা ও পরবর্তী ট্রমাকথা ।। বিভাবসু
- পথ খুঁজে না পাই ।। রোশেনারা খান
- কী হবে কেউ জানি না আশায় বাঁধি বুক ।। আশিস মিশ্র
- একটি অরাজনৈতিক উদ্দেশ্য।। সন্দীপ দত্ত
- করোনা Diary ।। শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তী
- লকডাউন পাঁচালি ।। যশোধরা রায়চৌধুরী
- করোনা Diary ।। আভা সরকার মন্ডল
- Quarantine Diary ।। প্রিয়াঙ্কা
- করোনা একটি কদম ফুল ।। নিমাই জানা
- পতাকা নেই, পা আছে ।। কেশব মেট্যা
- সাবধান, সতর্ক, সচেতন এবং সুস্থ একটি আহ্বান ।। মন্দাক্রান্তা সেন
- আজ দোষারোপ নয় ।। সুব্রত কুমার বুড়াই
- আত্মহননের কথারা ।। শ্রীজিৎ জানা
- প্রবাসীর ডায়েরি ।। পাপিয়া ভট্টাচার্য
- কোভিড যুদ্ধের ময়দান থেকে ।। স্বর্ণালী নস্কর,স্টাফ নার্স এস এস কে এম হসপিটাল
- করোনা Canvas
- পুলিশ তুমি দলদাস ও ঘুষখোর !।। উমাশঙ্কর নিয়োগী
- আছে দুঃখ , আছে মৃত্যু , বিরহদহন লাগে ............।। অ্যাঞ্জেলিকা ভট্টাচার্য
- বন্ধ তালার ভিতর ।। লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল
- করোনা Canvas (দ্বিতীয়)
- দেখা হয় যদি পুরানো প্রস্তরে ।। শ্রীতনু চৌধুরী
- শিবির ।। অলক জানা
- অন্ধকারের স্বভাব-চরিত্র ।। অমিত মাহাত
- মড়ক সকালের ধানফুল ।। খুকু ভূঞ্যা
- দেশের বুকে মহামারী কালে কালান্তরে ।। দেবাশিস কুইল্যা
- আত্মহত্যা কয়প্রকার ও কী কী ।। মানস চক্রবর্তী
- করোনা Canvas (তৃতীয়)
- আজকের দিনে ।। ডাঃ নীলাঞ্জন ষণ্ণিগ্রহী
- যেমন দেখছি ।। নিরঞ্জন জানা
- মস্তিষ্কের অন্ধকার ।। অভিজিৎ রায়
- শুভখন হঠাৎ এলে ।। ঋতম্ মুখোপাধ্যায়
- অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে ।। অরূপ মাহাত
- সাঁকোটি রহিল || সুকান্ত সিংহ
- করোনা Canvas (চতুর্থ)