তুলির জন্য কয়েক পংক্তি : ১৩
তুলির জন্য কয়েক পংক্তি : ১৩
তৈমুর খান এর এক গুচ্ছ কবিতা
আশিস মিশ্র এর এক গুচ্ছ কবিতা
গান
যতটুকু গান ততটুকু বেঁচে আছি।
যে ছলনা মৃত্যুর পয়ারে আসে, তাকে
আমি অগ্রাহ্য করেছি। কানামাছি খেলা
দিয়ে আমাকে ভোলাবে? অসত্য প্রলাপে
ঢাকা দেবে নাকি? তাকি কখনো ভেবেছো?
ভুলে যাও হে অনাম্নী। অসুখে–অ-সুরে
ফেলে দিলে জেগে উঠি অনন্ত উত্তাপে...
চেয়ার
প্রতিবাদী ভালো। দেখি, বসে গেলে কেউ
চেয়ার ছেড়ে সহজে ওঠে না। বাসনা
বিঁধে যায় বুকে--ভুলে যায়, খাঁটি ঢেউ
এলে আনন্দে লাফিয়ে পড়বে ফেনায়।
সে সুযোগ নেই, জনতার চিতবোধে
তুমি এক অপদার্থ গোলক, প্যাঁচালো–
তাই যতটা সহজে নিয়েছো চেয়ার
তা হবার ছিল না হে কালো কালো কালো।
ভাষা
এতদিনে কত ভাবে বদলে গিয়েছে
চারপাশ। শুনসান রাস্তা– শ্মশানের
দিকে চেয়ে বসে আছি! গুটি গুটি পায়ে
যে বিড়াল এলো কাছে সে বললো, ম্যাঁও
আমিও বুঝেছি, যতবার কিছু বলি,
সে বলেছে ম্যাঁও-ম্যাঁও -ম্যাঁও– সত্যি তাই
ওর মতো আমার ভেতরে জেগে ওঠে
ম্যাঁও ভাষা– সারাদিন চারপাশে বলি...
শেষ দিন
পৃথিবীর শেষ দিন কেউ জানি? জানি
বলে এক ষাঁড় লেজ তুলে মাঠখেত
পার হয়ে গেল; তারপর হেসে হেসে
উপেক্ষা করেছি তাকে, গরু বলে বেত
মেরেছি কতো। কিন্তু কাকে মারছি, নেই
কোথাও তো সেই ষাঁড়, তাহলে? ম্যাজিক
ম্যাজিক– শেষের কটাদিন কীরকম
কেউ জানি না– শুধু অলীক চিকচিক...
এক্স
ধূপ জ্বেলে মদ খেতে বসি। কবিয়াল
বলে ডাক দেয় ভল্টুখুড়ো, যে আমায়
কৈশোরে সঙ্গম করেছিলো– হোমোসেক্স-
কতদিন এই সব মনে পড়ে– ধ্যাত
বলে তুমি সে কাহিনি শুনে লজ্জা পেলে
সত্যি সত্যি বলে টপাটপ চুমু খেয়ে
নিলাম নদীর, বলো বলো, সব এক্স...
গণেশ
ভার মুখে বসে আছে গণেশ বাবাজী।
আমরা তাকে গণশা বলে ডাকি, নাড়ু
দিয়ে পেট টিপে দিয়েছি কখনো, কবে
যে সে হেসে কথা বলেছে দেখিনি। বাঁড়ু
বলে তার নাক টেনে ধরে খিলখিল–
তবু সে কিচ্ছুটি বলেনি–কেননা মন্দা–
একদিন তার রোগা ভোগা শরীরের
কাছে যেতে সে খুব কাঁদলো; ছন্দা
তাকে দুধ খাওয়ালো--মেয়েদের মন!
এ গণেশ আমাদের পাড়ার; কবিতা
লিখেছে অনেক--কেউ তা ছাপেনি, আমি
তার দুটো ছেপেছি, জগে ওঠে জনতা...
জোনাকি
ওই টুকু আলো হলে চলে যাবে বেশ
পাখির বাসার মতো বেঁচে থাকে মোহ
একদিন তাও চলে যাবে ঝড়ে! রেস
থেকে যাবে কতদিন সেই বিষাদের--
শহরের ঘর গ্রামেদের ঘর আজ
স্তব্ধ পাথরের চাঁই--শুধু অন্ধকার--
জোনাকি আলোর মতো মায়া উড়ে চলে।
সিঁড়ি
সিঁড়ি ভেঙে গেলে সব বাতিল বাল্মিকী
একসঙ্গে বসে কবিতা যাপন করি।
সফরের ঘাড়ে বসে থাকে কালো জোঁক
রক্ত ঝরে পড়ে! শক্ত হয়ে ধরে থাকি
কলমের হাত--লিখে চলি যত শোক।
কাটারি
ছায়া পেয়ে গেছে। শরীরের গাছ বড়ো
প্রতিভাধর হয়েছে। টের পেয়ে গেছো--
এইবার তার ডালপালা কেটে দেয়
বাণিজ্য কাটারি! সারাদিন অস্ত্র নিয়ে
সে ভয় দেখায়--তাকে রোধ করো কবি।
জীবনী
জীবনী লেখার শেষে বাহবা পেয়েছো
আঁতেল হাওয়া এসে চুমু দিলো গালে
বড়ো উপকারী সব বন্ধু, দেখা নেই --
অসময়ে কাক এসে দিয়ে যায় ডিম
এই তো জীবনী আমার আশ্চর্যকুসুম।
শম্ভু রক্ষিত এর এক গুচ্ছ কবিতা
নষ্টশোক
আমার অস্থির কাঁপা হাত দিয়ে যখন আমি তোমার হাড় মাংস তুস
পান করতে আসি, স্বর্ণখনি উসকে জাদুর তুলার রাজ্য নিতে আসি
অনুভূতির তখন যেন স্বার্থহীন যাত্রা
হোভার ক্রাফট, মনোরেল চড়ে যখন আমি তোমাকে গোপন ও গ্রাস করি
পুরাণকাহিনী, মেধমূর্তি, অগ্নিসংঘর্ষ আমাকে রোশনি অভ্যর্থনা করতে চায়
এবং অফুরন্ত সুযোগ নিয়ে যখন আমি আকাশে বৃহৎ বেলুনের নকশা আঁকি
আমার দূরবিনে ভিন্ন দুই নেবুলামণ্ডল কাঁপে
হরেকরকম জগৎ কে যেন বয়ে আনে
আমি জানি সবই জানি নাটক সঙ্গীত গুটিপোকা কখনো সুতোহীন
আমি প্রথম উঁচু হয়ে নীচে দৌড়ে যাই, আমি তোমার অস্তিত্ব চেপে ধরি
আমি বাতাস ধরে ঘূর্ণির ধারে তোমাকে প্রথম ঝুঁকে দেখি
আমি আণ্ডারগ্রাউণ্ড বা পুতুলের মিউজিয়ামে যখন খকখক করে উঠি
আমি স্থলের সম্রাট, ভূ-আলোড়নের চাপে পড়ে অস্ত্র-উৎপাদক আমাকে উঠিয়ে নাও–
বর্ণনিরূপক যন্ত্র আমাকে গ্রাহ্যই করে না
ধোঁয়া ধুলো কুণ্ডলী হয়ে ঘুরে সরু হয়ে নেমে আসে
পৃথিবী আমার মতো প্রতিষ্ঠিত কুৎসিত হয়ে যায়
লোকশ্রুতি
আমাদের বিশেষ এক আকাঙ্ক্ষা হৃদয়ের ওপর এসে অনূদিত হয়
প্রাগৈতিহাসিক মৃত্তিকার ত্যাগের মধ্যে আমাদের সমস্ত স্বর
শিল্পে ব্যর্থ ও কুৎসিত ক্ষুধা, মানুষের সম্মুখে
প্রহরের আলো, তাও নেই।
একথা এতোদিন পরে আবার আঁধারেরা বলাবলি করে যায়
তারা বিচরণ করে না।
কল্পনা করে?
পরিশ্রান্ত পাথরের বিচরণরত ত্যাগের ধূয়া দ্যাখে তারা
মানুষের আত্মত্যাগের কঙ্কাল আনাড়িরা ওড়ায় না।
ডিম্বাণুরা বোধ করে না বিক্ষত প্রহরীদের
তাদের সমহৃদয়ে পৃথিবীর কোনো দেশের পরিভাষাই নেই।
প্রবীণেরা অনেকেই আজ
হত্যারকদের বিবর্তনের ব্যজনে পিপীলিকার কঙ্কাল
দ্যাখে না যারা এই তন্ময় আকাশ
ধারণাও নেই যাদের সমগ্র যন্ত্রণা
নির্বহ ব্যস্ততা–ঐ বাতাসের মাথায় ভাসে।
তারা জানে সভ্য প্রহরীদের মুখে আত্মনাশের যান্ত্রিক বার্তা
মানুষের পরিকল্পনায় চিন্তার শ্রম ধরে
বিভীষিকা দ্যাখে অনেক ব্যক্তিকৃত বোধি
তা নিগ্রহের দিকে চেয়ে গুনগুন করে। আঁকড়ে ধরে মুহ্যমান ফেনা
সকল নিবৃত্ত বিবরণও মুক্ত করে দিয়েছে তারা ব্যগ্র মানুষের ধর্মে
জমাটবাঁধা বিভ্রম নিয়ে জগতের পথ–যে পথে সবাই আশ্চর্য স্থির
এখন তাই অনাকাঙ্ক্ষিত উৎসে নিয়োজকের অনুমান, ছবি রুপালি দুঃখ
পৃথিবীর মানচিত্র নিয়ে মাছেদের অবসন্ন ভ্রূণ যেন সব
রাজনীতি
আমি তুষারের পুরু চাদরে ঢাকা এই বিস্তীর্ণ ভূখণ্ডের মধ্যেই শুয়ে পড়তে পারি
আমি বসাতে পারি বর্জ্য পদার্থ প্রক্রিয়ণকারী একটি কারখানা
নির্মাণ করতে পারি একটি চক্ষু চিকিৎসার গবেষণা কেন্দ্র
ও তার কম্পিউটার, লেসার, আল্ট্রাসাউন্ড ক্রায়োজেনিক কৃৎকৌশলও সম্পূর্ণ আয়ত্ত করতে পারি
আমি একটি চাকাওয়ালা শালভঞ্জিকা বা আমার স্বপ্নের শুশ্রূষা
অপরিণামদর্শী হতে বা বলতে পারি
আমি সব সমবায়ের কৃষক ও সমস্ত ছোট ফায়লাদের
দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে পারি
আমি হেলথ ট্রেনে চড়ে আনতে পারি স্তূপাকৃতি ধাতুর আকরিক
সাভিয়ার ট্রান্সফিগারেশন মঠ এলহাদজার ইস্পাত কারখানাও
রাজনীতি! ‘আমি’ হেলওয়ানে এইমাত্র উধাও হয়েছে
আর ‘পারি’কে ইস্পাহানের মহালোকে
অধ্যাপক সৃভিয়াতোসাঙ ফিও দোরভ পাঠিয়ে দিয়েছেন
অধ্যাপক ফিও দোরভের উক্তিটি: ‘আপনার প্রকৃত
বিকাশের ও রাজনীতির অভিব্যক্তির অনেক দেরি আছে’
শেষে বলতেই হচ্ছে
আমার শূন্য করপুট
জগতের সানুদেশে তোমার রোরুদ্যমান কণ্ঠ, স্বপ্নদহন মৃত্যুর কাছে
অধোঘুমের শস্য ছড়াচ্ছে, হতাশার ছাল পরে কে যেন কান্নার জল
ফেলল আমার পায়ে, প্রজ্বলন ও রঙিন মৃত্তিকার গন্ধভরা এক সন্ধিক্ষণে
এই গিরিচূড়া ও এই তৃষিত কালো পর্বত জ্বলনের সুগন্ধ আত্মার মতো বিষণ্ণ হয়ে
ওঠে। নিষিদ্ধ পতঙ্গের ওপর চেতনার ত্রিকোণ-ডানা ভাসে; তাদের আকম্প
বাহু জোনাকিরা দখল করে আছে; তাদের কণ্ঠ উঁচু হয়ে আছে বিবিপরীর
মেঘের হালুইয়ের মধ্যে; তাদের খোদিত মসৃণ সব অপরূপ দেহ
শস্যের সুবাসভরা ভাস্কর্যের মেঘের অনুকরণে–
একদিন মেঘনার জলের পায়ে তোমার অভিজ্ঞতার কল্পনার বস্ত্রের উপর
অক্ষর বসালুম। বর্ণালি মাকড় উর্বীর বিঘ্ন ফল দিয়েছিল; অভ্রভেদী
আর্তনাদ করে সন্ত্রস্ত জ্যোৎস্না; আমার শূন্য করপুট অনুভবের
উন্মাদনার ঝড়ে–সনির্বন্ধ প্রেরণার আদিগন্ত চিৎকারে তারা তাদের
সব আকাঙ্ক্ষা ও শপথ নিয়ে আতঙ্কের দ্বারে দ্বারে দ্রগড়
বাজিয়ে উঠবে
কাঁকসার ঢেউয়ের মতো প্রান্তর। তীক্ষ্ণ শ্যালট সৌধশীর্ষে যুদ্ধচক্র ছড়াচ্ছে
ক্রমাগত আমার শরীরে আর ভূমিতে জলের ধারাপ্রপাতের মতো শব্দ
করে মিলনের তন্বঙ্গী জলপাত্র, তোমার নির্দেশের জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকে
তোমার সর্বকারুকার্যের তরঙ্গগুলি সূর্যের পা বেয়ে বেয়ে ওঠে।
পৌত্তলিক
এক ধূসর ধাতুর দুর্গের মধ্যে হাত ও পাগড়িধারী
মাহুত আকৃতির পাথর পেয়ে যাই।
আর এবারই প্রথম শুনতে পাই
নদীর জলে চামু কর্মকারের হাতে খুন হওয়া
মোহান্তজির পোষা হরিণের গোঙানির সুর।
আমাকে পাঁচ পরগনিয়ায় ভাষায় যুক্তি দেন যে পর্তুগিজ
তিনি ধনী গাড়ি বাড়ি সম্পত্তি-ওলা ক্রীতদাসদের দেশ থেকে মাঝে মধ্যে
মুরীর অ্যালুমিনিয়াম ফ্যাক্টরির চিমনিগুলোর মতন হয়ে ওঠেন।
তিনি সারাদিনমান নিয়ে আমার মতো চিন্তিত নন
আমার খুঁটিতে বাঁধা আকাশের দিকে চেয়েও তিনি দেখেন না।
তিনি নদীর মাছ আর হিন্দু ত্রিতত্ত্ববাদের ওপর নির্ভরশীল
কেননা তিনি কালো বস্ত্রধারী পীর, কখনো বা পুরোহিত, মোহান্ত, যাদব
চুপিসাড়ে আমি তাঁর পায়ের ছাপ থেকে
জলমগ্ন খেতের আল বের করি।
লোকে বলে, আমার ময়লা ছিন্নবস্ত্রে আটত্রিশটা গিঁট
এক ফুটো জলপাত্র দেখে
আমি মেদিনী পিস্কার যাওয়ার গাড়ি ছাড়ি।
এ পাহাড়ের অতি প্রাচীন এক লোকালয়ে ঝুলে আছে
আমার যুক্তিদাতা পর্তুগিজের কাঠের বাড়ি।
তিনি একাধারে সুদর্শন ও অমায়িক
তাঁর বাড়ির চারিদিকে নানা সুগন্ধি রঙিন বুনো ফুলের গন্ধ
সামনে জঙ্গল, দূরে ছোট ছোট পাহাড়
আমার প্রায়ান্ধ চোখের হিম সেখানে পৌঁছয় না
তবে এক চোরা জঙ্গল উত্তাল সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে এখানে পৌঁছেছে।
আমি রানিচাপের মানুষ। খয়ের চিকরাশি
সোহা চিতার হাওয়ার ওপর ভিত্তি করে
একটিমাত্র বিশাল পাথর দিয়ে কুটির বানিয়েছি।
আমার পাহাড়ে শস্য নেই, জুমচাষ নেই
মাঘী মাহালির ন্যায় নাচনি নেই
আমি অভ্যন্তরীণ গৃহ কলহের জন্যে বছর কয়েক
মালগুজারি দিতে পারিনি।
এবার বোঝাই যাচ্ছে
আমার কুটীর অনেকটা উপরে উঠে এসেছে
এবারই তাই প্রথম আমি নৈঃস্বর্গের ঘোড়ার ঘাড় ধরেছি
এবার আমার দুপাশে ছোট ছোট ঢিপির মতো
অনেক পাহাড় লালচে মাটি
এবার আমাকে ভাবলাম: আকাশের ছায়া, যৌতুক আর তত্ত্ব
যুক্তিদাতা পর্তুগিজকে দেবতাজ্ঞানে আমার পুজো করাটাকে
কেউ হাস্যকর মনে করে নাকি?
লেজিসলেটিভ রেফারেন্স সার্ভিস
আর কয়েকটি নিঃশব্দ মুখের
বুকমোবাইলস খসে পড়ছে।
ফোর এইচ ক্লাবগুলি
প্রস্তরীভূত কঙ্কালে পরিণত হয়েছে।
ঠিক তাই।
চেল্লানি, হাততালি, সিটি
মিছিল বস্তাবাঁধা কোম্পানিদের সঙ্গে।
আশেপাশের বাতাস ঠাট্টা করে দ্যাখে
ল্যাবরেটরির পিরিয়ড, ক্লোজডশেলফ।
ঠিক তাই।
ফ্যাক্টরি, কারাগার, কোর্ট
কয়েকটি জীবন্তবৎ জীবজন্তু
বিতর্কের ঝড় তুলছে
প্রত্যক্ষ আকর্ষণ থেকে
ছিটকে বেরিয়ে গিয়ে পড়ছে,
প্রাদেশিকতাদুষ্ট প্রকৃতিবাদ আমন্ত্রণ পেয়েছে
নিঃসঙ্গ বনরক্ষীর মনোভাবটি পাঠ করবার।
ঠিক তাই।
বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়বৃষ্টি বিবর্ধিত দেখা যাচ্ছে
অঙ্ককষা সংখ্যা নিয়ে মাথা ঘামানো চুলগুলো
গাঢ় রঙে পালিশ করছে
এবং উদ্দেশ্য ঠিক করছে।
ঠিক তাই।
দুর্ঘটনা ও স্বাস্থ্যবীমা, ব্যবসাসংক্রান্ত অঙ্কশাস্ত্র
আইন ইংরেজি এবং অর্থনৈতিক ভূগোল
টুকরো সমস্যাগুলির বিভিন্ন দিক বুঝতে সাহায্য করছে
ঠিক তাই।
রঙ্গিনচিত্র, ভাস্কর্য, ইন্ডাস্ট্রিয়াল আর্ট
মণ্ডনশিল্প, প্রাকৃতিক ইতিহাস স্বভাবতই ধৈর্য ধরে!
কেবল শব্দের, কেবল ভাষার
আমি রক্তমাখা হাসি ও সূক্ষ্মতা নিয়ে অধীর ও উন্মাদ চিৎকার করে
আবার মিন্দানাও দ্বীপের কাছে ফিরে যাব।
এখন আমার শরীরে কোনো মহাবীর গাজী ও সমান পাশা নেই
বিধর্মী ইহুদী ও খ্রিস্টিয়ানগণ নেই
এখন অবারিত মাঠ ধু ধু প্রান্তর। কোথাও শ্রান্ত শীতল বৃক্ষতল নেই
পায়ের তলায় ম্যাসিডোনিয়ার পাথর, সম্মুখে কোনো সুগভীর
সরোবর নজরে আসে না।
আমার মাথার উপর কোনো ক্ষয়গ্রস্ত মনুমেন্ট নেই।
সামনে কোনো আত্মধর্ম ও সমাজ ও হিন্দু মোসলমানদের বাগান নেই
এখন সমুদ্রের মতো দিশাহীন সীমাহীন কোনো
বিল পুকুর মনে করতেই পারি না আমি।
আগুন ও নদীর সামনাসামনি দাঁড়িয়েও আমি এখন কিছু দেখি না।
অন্ধকার। অথচ সেই অন্ধকার নীল অন্ধকারের মধ্যে
রূপালি বিদ্যুৎ রেখা–
আদি নেই, অন্ত নেই, চতুর্দিকে অন্তহীন জটিলতা
অপার সমুদ্রের মতন কি–জানা নেই।
এখানে আনন্দ নেই।
নিখাদ অন্ধকার
আলোর ক্ষীণতম আভাসও নেই
ফিরে যাব।
আমি নদীর শরীরে রুপালি আলোর খেলা দেখব
এবং ঝকঝকে রঙিন সোনালি মাছ।
সম্মুখে এক অজানা রহস্য আমাকে হাতছানি দেয়
চিহ্নিত সংবাদ দেয়
প্রখর উত্তাপে আমার সর্বাঙ্গ পুড়ে যায়
মুখ দিয়ে গলগল করে উপছে রক্ত ওঠে আমার।
আমার রক্তের রুমালে পীর মোর্শেদের দূষিত রক্ত
গোর পূজক পীরপূজক দুর্গাপূজক দলের বিরুদ্ধে
চিৎকার করে ওঠে।
আমার মুখ সূর্যমুখী চারা, মোচার খোলা হয়
নিষ্ফল শূন্যে ব্যর্থ হাহাকারে মাথাকুটে
আবার চারিদিক প্রতিধ্বনিত হয়।
ছায়া আর রহস্যের দীর্ঘ জটিলতার মধ্যে
আমার পথ বৃত্ত হয়ে ঘুরে যায়
ধ্বংস করে আমার সম্মুখের মঞ্চ
অশুভ চিহ্ন
রক্ত অস্থি
এবং আগুনের রূপান্তর শুরু হয়।
আমার চামড়ার মধ্যে খেলা করতে থাকে হাওয়া
আমার প্রতি মুহূর্তে মৃত্যু বিকীর্ণ কান্নায় স্পষ্ট হয়।
আমি ভাবি,
কত দুঃখ আছে পৃথিবীতে
কত যন্ত্রণা
দীর্ঘশ্বাস
প্রবল আক্রোশ
আমি ইন্দ্রিয়ের কোনো করতালি শুনতে পাই না
কেবল শব্দের
কেবল ভাষার
ভাষাহীনতায় রিক্ত চতুর্দিক।
কেবল শব্দের
কেবল ভাষার জন্য
সব চিহ্ন অর্থহীন নিরন্তর দুয়ার।
বন্য বরাহের মতো ঈশ্বরের পৃথিবীতে
কোনো লাভ
কোনো দম্ভ নেই আমার।
আমি রক্তমাখা হাসি ও সূক্ষ্মতা নিয়ে
অস্পষ্ট চিৎকার করে
এবার একাকী পথে এসে
সৃষ্টির বিধি বিধান সৃষ্টি করে ফিরে যাব
এবং আমি ঘৃণা ভালোবাসা প্রেম সুন্দরের জন্য
যুদ্ধ অভাব প্রভৃতির জন্য
দীর্ঘ সবুজ হব।
আহত উদ্ধত প্রিয় হিন্দু ব্রাহ্ম খ্রিস্টিয়ান নাস্তিক
ও বৈষ্ণবদের অগণিত মুখ
মুখের মিছিল নিয়ে ফিরে যাব আমি
কেবল শব্দের
কেবল ভাষার।
সচ্চিদানন্দ হালদার - এর
একগুচ্ছ কবিতা
বাঁকুড়ার একটি নদী
লোকসঙ্গীতের মত আজন্ম শুনেছি
ঐ শুশুনিয়া পাহাড় থেকে নূপুর বাজিয়ে নামে
পাশে তার সারি সারি এক্কা-দোক্কা গ্রাম
ওর বিছানাটা গ্রাম সোমসার অবধি পাতা
ওখানেই দামোদর অপেক্ষায় থাকে
ছোট্ট নদীটিকে
নিজের স্রোতের সঙ্গে মিলিয়ে মিশিয়ে নেয়
তুষু ভাসানের ফুল না পেলে এ নদী বইতে চায় না
তরঙ্গ সাজায় শুধু
সূর্য বন্দনার মন্ত্র শুনে শুনে।
সোনামুখী ঘাটে এসে এ নদীর প্রতিদিন ভোর হয়
প্রতিদিন ভোরের আলোয় ও আমাকে দ্যাখে
ওকে আমি দেখি,
যেন ত্রয়োদশী একটি বালিকা
বড় হতে হতে
নদী হয়ে গেছে
শিকে
মা, তোমার দড়ির শিকেটা দাও--চালাঘরে বাঁধি,
দেশ গ্রাম তুলে রাখি, যেমন তুমি তুলে রাখতে--
পিঁপড়ের মুখ থেকে--নির্জলা দুধের মাঠা।
তুলে রাখি, হৃদয়ের পঠন-পাঠন
পাহাড় সমুদ্র নদী
সাত সকালের শিশিরে ভেজান গাছগুলি
কাল সারারাত সোনামুখী বনে কান্না উঠেছিল
প্রহরী জানে না
দুর্জয় কুঠার--অনেক উঁচুতে তাই--
না হলে ঐ চাঁদখানা কেটেকুটে রেখে যেত।
এখনো যা আছে অবশিষ্ট জল
মানুষের বুকে মমতার ছায়া--
মা, তোমার দড়ির শিকেটা দাও--
তুলে রাখি।
পৃথিবী গরিব
পৃথিবী গরিব, খুবই গরিব
তার মাত্র সাতটি সমুদ্র
কয়েকটি পর্বতমালা, হাতে গোনা কয়েকটি নদী
সীমাবদ্ধ জল সীমাবদ্ধ মেঘ সীমাবদ্ধ মাটি
প্রতিদিন সকলেই ধনবান হতে চায়
পৃথিবীর ধারাবাহিক দুঃখ তাই কখনো ঘোচে না।
আমি পৃথিবীকে ভালবাসি
আমি কেন পৃথিবীকে ভেঙ্গেচুরে
রাশি রাশি ডলার কামাব!
পৃথিবী গরিব, খুবই গরিব
তার মাত্র সাতটি সমুদ্র...
দুঃখের লাবণ্য
মানুষের দুঃখ ভাল লাগে, তাই আমি মাটিতে জন্মেছি
তাই অমরাবতীতে কোন মানুষ থাকে না
আমি তো নদীর চরে অরণ্যে পাহাড়ে
দুঃখকে মন্থন করি কখনো অমৃত ওঠে
পান করি উৎসব সাজাই
কখনো বা বিষ ওঠে জ্বলে পুড়ে যাই
দুঃখকে সরাব বলে আমাদের সবুজ বিপ্লব
মানুষের জন্য আমাদের রক্তদান
বনে বনে আমাদের শিকার বর্জন
দুঃখকে সরাব বলে কত না প্রয়াস,
রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে মুখোমুখি কথা,
তবু দুঃখ থেকে যায়, থাক--
আমরা দু্ঃখের লাবণ্য সাজাব।
স্বজনেষু
তুমি সুচন্দনা পাখি শমীবৃক্ষের চামচা নও
বৃক্ষ নয় ঐ বাতাস আটকানো পাকাবাড়ি
আজ আমাদের--কল্যাণীয় পাখি ও বৃক্ষের
বড় দরকার।
জলচক্ষু পাখি,
আর অসংখ্য পুত্রের অনিবার্য জনম দিও না,
এই নাও বীজ, নির্মল উঠোনে গাছ পুঁতে দাও
সন্তানের মত হলুদ বাতাবি শাখায় ফিরুক।
আজ আমাদের
শুচিবাই নদী সাবান মাখানো মেঘ প্রয়োজন,
পরিবেশ ভীষণ পীড়িত
ওকে তুমি আরোগ্য করবে--কথা দাও
তিন সত্যি কর।
মোহিনীমোহন গঙ্গোপাধ্যায় - এর
একগুচ্ছ কবিতা
জাতক
এখানে কোন সূতিকাগার নেই, শূন্যে ঝুলছে লন্ঠন
প্রসব যন্ত্রণায় কে তুমি আকাশ ফাটাও ?
হা হা করে হেসে উঠছে পৃথিবী
মাথা তুলছে পিতৃত্ব
কে কার লজ্জা এখন কোথায় লুকোয় ?
ঝিনুকের খোল খুলে বেরিয়ে পড়ছে গোপন সত্য।
এখানে কোন সূতিকাগার নেই, অপেক্ষা করছে রমণী
জননী হবার যন্ত্রণা সর্বাঙ্গে মোচড় দেয়
মঙ্গল কলস নেই, ছলকে পড়ে চোখের জল
ফুল ছিঁড়ে ছিঁড়ে লাফায় বাঘনখ
পিতৃত্ব লজ্জায় লাল হয়ে যায়।
ভারতীয় অর্থনীতি নতুন জন্মের ঋতুতে
নবজাতকের কান্না কেড়ে তালপাতার বাঁশি বাজায়।
শেষ কথা মানুষের জয়
সর্বাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন , রক্তে ভিজে আমাদের পাঁজরের হাড় ।
সাঁকো পার হতে গিয়ে দুপায়ে জড়ায় অন্ধকার
ঝনঝন শিকলের শব্দ শোনা যায়।
সুন্দর দিনগুলি হঠাৎ নীলাম হয় চৌরাস্তার মোড়ে
চমকে ওঠে ভয় পেয়ে আমাদের শহর ও গ্রাম ।
বয়স তো ঢের হল মানুষের তবু তারা পরাজয়হীন
ঝড়ের কেশর ছিঁড়ে
বাঘের চোয়ালে রাখে হাত ।
আকাশকে জিতে নিতে দেখায় সাহস
নীলের ফোয়ারা মেখে স্বপ্ন মাখা দিন
অনন্ত যৌবন নিয়ে জলে ও জঙ্গলে চায় নগরপত্তন ।
চাঁদ এসে উঁকি মারে আমাদের ঘরের উঠোনে
আন্দোলিত ঘুম
হ্রিদপিন্দে হাতুড়ি পিটে বিদেশির রক্তমাখা হাত
বিশ্বায়ন পাল্টে দেয় জীবনের রঙ
শেওলায় ভরে গেছে সরুপথ অন্দরমহল
স্বপ্ন ছিঁড়ে কে ওড়ায় ঘুড়ি ?
কাদের খেলায় আমরা কাঁচের পুতুল?
কাদের নেশায় আমরা সখের শিকার ?
তিরবিদ্ধ হয়ে গেছি- মুখ থুবড়ে পড়ে আছি ধুলায় ধুলায়
সারা দেশ খুন মাখা ভয়ঙ্কর আরেক চম্বল।
কার ফুঁয়ে নিভে গেছে আমাদের যজ্ঞের আগুন?
পূর্ণাহুতি নেই।
কার থাবা ছিঁড়ে নিল আমাদের প্রণয়ের উলু?
ভাসানের স্রোতে ভেসে চলেছে মানসী।
সব সিঁড়ি ভেঙে গেছে , থমকে গেছে সমস্ত উত্থান
চোখের সামনে এক কদর্য পাতাল
ওত পেতে আছে।
মেঘে মেঘে ঢাকা পড়ে শুক্লা দ্বাদশীর চাঁদ
ভাষাহীন ফাগুনের বোবা কান্না
ছুঁড়ে দেয় কোকিলের লাশ ।
উদাসী হাওয়ায় দুলছে পঞ্চভূত
ক্ষিতি অপ তেজ মরুৎ ব্যোম
জন্মদাগ মুছে ফেলতে বাইজীর নীল নখে শান পড়েছে
মেহফিল খোদার দয়ায়
হাঁ করে তাকিয়ে দেখছে তৃতীয় দুনিয়া
গ্যালারীতে ডানা কাটা পরী
ঢেলে দিচ্ছে আদিম উল্লাস
শিল্পিত কুসুমগুলি চোরা পথে নিঃশব্দে পাচার
বিকৃত যৌনতা এসে হঠাৎ কি থামিয়ে দিল
উদ্যত লড়াই ?
সংগ্রাম স্থগিত হলে কোন ভরসায় পায়ের তলার মাটি
রক্ষা করবে সশস্ত্র দুর্দিনে ?
খাদ্য ও খাদক হাঁটছে হাত ধরাধরি করে একই রাস্তায়
শত্রুমিত্র চেনা বড় দায়
পোশাকের রঙ পাল্টে কে কার পতাকা নিয়ে
ময়দানে দাঁড়ালো ?
ভুল লণ্ঠনের আলো ভৌতিক আলোয়
দুটি চোখ ঝলসে দিয়ে যায়।
বয়স তো ঢের হল মানুষের তবু তারা পরাজয়হীন
মাঠ ভেঙে মাটি উল্টায়
বাঘের চোয়ালে রাখে হাত
ঝড়ের কেশর ছিঁড়ে আকাশকে জিতে নিতে দেখায় সাহস
ভাঙনকে রুখে তারা জলে ও জঙ্গলে চায় নগরপত্তন।
সময় পাল্টায় গতি মার খাওয়া মানুষেরা ক্রুদ্ধ বুকে
ফিরে পায় অনন্ত যৌবন
যে যৌবন ঝড়ে জলে উল্কাপাতে ধরে রাখে সৃষ্টির নিশান ।
ধান
একদিন স্বপ্নের জাল বুনেছি একা একা
অথচ জীবনে যৌবনের বীজ বোনা হয়নি পেলব মাটিতে
ভালোবাসার ফসল ঘরে তুলবো বলেই
কৃষকের সহচর আমিও একজন জন্ম-প্রেমিক।
ক্ষুধার গল্প আছে বলেই অন্নের কথা সবাই বলে
কিন্তু প্রেমের অর্থ কেউ জানে না
অথচ ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে সৃষ্টির মন্ত্রগুপ্তিও জানতে হয়।
রোদ এখন বড়ো চঞ্চল ও দামাল
ছুরির ডগে দু’পা রেখে হাঁটছে অবলীলায়
সেই রোদ নদী হলে জলের অহংকার
ছুঁয়ে ফেলবে মরা-মাটি খরা-মন আধপোড়া যৌবন
নতুন জীবন ঢেউ তুলে তুলে শিল্প ও শস্যের কাছে পৌঁছাবে ।
এতদিন শুধু বানানো রূপকথাই শুনেছি
এখন মাঠের বুকে ধানের গান শুনবো
মহাপ্রলয়ের পরেও যে ধান প্রাণের শিকড়ে জলের বাঁশি বাজিয়ে
সুর তুলে
আমরা এখন সেই সুরে সুরে শত সুরের ঝরনায়
জীবনের মন্ত্র শুনতে পাই
ছায়াসঙ্গী
আমি ও আমার ছায়া পাশাপাশি সমান্তরাল
আমার প্রেমিকা জানে তাই কোন চোখমুখে লাজলজ্জা নেই
প্রাণ খুলে কথাবার্তা হয়।
আমি ও আমার ছায়া একসঙ্গে থাকলেও
দুজনের মধ্যে কোন বন্ধুত্ব হলো না
ছায়া সে ছায়ার মতো, আমিও আমার মতো আছি
প্রতিবিম্বে দোল খায় ফুটে থাকা ফুল ।
প্রতিটি মূহুর্ত যায় ছায়া দেখে আমার মধ্যে শুরু ক্রমাগত যুদ্ধ তুমুল ।
পাথরের কাছে যাই
পাথরের কাছে যাই বুক ভরে ভালোবাসা খুঁজি
পাথর নির্বাক কিছুই শোনে না
পাথরকে পাথর দিয়ে ঠুকে ঠুকে তাই
আগুন জ্বালাই
এ আগুনে হিমাক্ত শরীর সেঁকে অগ্নিমন্ত্রে যৌবন রাঙাই ।
শব্দহীন ঠোঁটে তার লেগে আছে চতুর চুম্বন
পাথর জানে না। পাথরের মুখে কোন ভাষা নেই
ভালোবাসা প্রণয় রোমাঞ্চ নেই
তবু তাকে ক্ষত ও বিক্ষত করে ছবি আঁকি
নিঃশব্দে ফোটাতে চাই কবিতার ফুল
যে ফুলে গোপন প্রেমে কান্না মাখামাখি।
পাথরের কাছে যাই ভালোবাসা খুঁজি
ভালোবাসা সে এক আগুন
ঠুকরে ঠুকরে বের করি তারপর আগুনে আগুনে
অস্ত্র গড়ি, আদিম জীবন নিয়ে খেলা করি
এ খেলায় যুদ্ধ আছে রহস্যময়তা
সেই যুদ্ধ বলে দেয় কোনদিকে ভালোবাসা কোথায় পূর্ণতা ।
পায়ের অনেক নীচে ডুকরে কাঁদে পাষাণের কঠিন দস্যুতা।
আমাদের কথা
আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...
কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...
ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...