একক কবিতা সন্ধ্যা ।। মেঘ বসু

megh basu mohool in

তুলির জন্য কয়েক পংক্তি : ১৩

ঈশ্বর মানিনা,  তবু...অসুখের বিপ্রতীপে 
হাতের জরুরি পরিষেবাটুকু মানি, আর... 
দু'হাত ছাপিয়ে পড়া রোদ, কোমলতাগুলি 
 
এই গান আর কিছু নয়, 
                           সকালে পাঠানো হাসি 
এবারও কি  ফুটেছে ছাদের টবে 
                                  নয়নতারাগুলি?
 
 
তুলির জন্য কয়েক পংক্তি : ১৬
 
তোমাকে কলমে ভরে 
জীবন কাটাবে কবি 
একজন্মে এত নির্বাসন! তবু 
'শিরোধার্য' জানিয়ে দিয়েছ 
 
তোমার হাসিতে তারা 
বাগানে ফুটেছে ফুল 
সে  ফুলের গন্ধে হাওয়া, 
দেবতা পাগল !
 
 
 
তুলির জন্য কয়েক পংক্তি : ১৭
 
ব্যথার মতো 
স্বজন খুঁজে ফিরি 
ক্ষতের মতো 
নিবিড় প্রতিবেশী 
ফুলের মতো 
কুড়োতে চেয়ে হাসি 
ফিরেছি পথে 
ঘুরেছি বনে বনে 
তখনি বাঁকে 
তোমার সাথে দেখা 
হাত বাড়িয়ে 
ডেকেছ সন্ধেকে 
জোছনা দিয়ে 
আকাশখানি ঢেকে 
তারার মালা 
পরালে অন্ধকে !
 
 
 
 
তুলির জন্য কয়েক পংক্তি : ১৯
 
হৃদয়ের কোনো রঙ নেই, তবু... 
আমার হৃদয়, তোমার হৃদয়ে রাঙা, যেন 
পাহাড়ি পথের বাঁকে নেমেছে গভীর বর্ষা, আর... 
মেঘেরা করুণ, ভিজে ভিজে দিশেহারা !
লাজুক পাতার মতো তুমি, জলের কিনারে এসে 
শুনে যাও পাতালের গান... আর... আমি 
বাতাসের মতো তোমার প্রবাহে এসে 
জড়িয়ে রেখেছি মন, বুঝি    কুয়াশার...
                                             কুয়াশার... !
 
 
 
তুলির জন্য কয়েক পংক্তি : ২০
 
জাহাজ যদি পণ্য আনে 
তোমার হাসি ঝরনাধারা 
স্নানের মতো তোমার হাসি 
মেটায় তৃষা শুষ্ক ঠোঁটে 
তোমার কাছে চাইব শুধু 
এ জীবনের নির্জনতা 
পূর্ণ করো, পূর্ণ করো 
পূর্ণ করো অন্ধজনে !
 
 
 
তুলির জন্য কয়েক পংক্তি : ২১
 
কুড়িয়ে নেব 
যা কিছু তার 
ব্যক্তিগত 
এবং দাবি 
অসংগত 
ধানের বুকে 
হৃদয়টুকু
       জমে 
প্রণয় এত
অসংযমি 
ক্ষমার চেয়ে 
তৃষ্ণাখানি 
         বড় 
তাইতো আমি 
রাতের বেশে 
ছায়ার মতো 
           ঘুরি 
একলা একা 
পথের বাঁকে 
হৃদয় ভেঙে 
পাথর জড়ো 
           করি
 
 
 
তুলির জন্য কয়েক পংক্তি : ২২
 
চোখের ভেতরে এসে, ঘুমিয়ে পড়েছে দেখা !
তুমি কি ভ্রমণে এসে ফেরবার কথা ভাবো? 
গ্রীষ্মের ভেতরে দেখি, পিপাসা গভীর হয়ে আসে !
জলে এসে পড়েছে তারার ছায়া 
ফুলে এসে স্পর্শ রেখে যায় প্রজাপতি 
 
কলমে কি ভরে এলে তুমি? নাকি... 
বর্ষাকাল ! বর্ষাকাল !
 
 
 
 
তুলির জন্য কয়েক পংক্তি : ২৩
 
এ চোখে তার 
চোখ পড়েনা 
অন্য চোখে 
গোলাপ ফোটে 
সে বাগিচায় 
জল ঢেলেছি 
আমিও তবু 
কাঁটার থেকে 
তুলে এনেছি 
আঘাত কিছু 
ভ্রমণ যদি 
ভিন্ন মাঠে 
এ মাঠে তার 
মেলতে আসা 
পালক শুধু !
শুকুক তবে 
ছেঁড়া পালক 
জীবন ধরে 
 জন্ম যদি 
ছোট্ট এত
এটুকুই বা 
কমতি কীসে !
 
 
 
 
তুলির জন্য কয়েক পংক্তি : ২৪
 
এ নিখিল জানি তোমার হাসিতে হাসে 
ভালোবাসাখানি তেমনি জরুরি জেনো 
ভুলে গেলে সুর, একা হয়ে যায় কথা 
তেমনি হয়েছে গান, তুমি ছাড়া ! তুমি ছাড়া !
 
 
 
তুলির জন্য কয়েক পংক্তি : ২৭
 
সমস্ত বর্ণনা শুনে বলেছি সম্ভব নয় 
ছেড়ে থাকা, বিকল্প দেখাও 
সে বিকল্পে, তুমিই প্রধান 
অতএব, একহাতে জন্ম, অন্যহাতে 
মৃত্যু নিয়ে হেঁটে গেছ জ্বর গায়ে 
তুমুল ভিড়ের ট্রেনে একা হতে হতে
                         নিখোঁজ হয়েছ !
 
একদিকে আসন্ন বিবাহ, অন্যদিকে
সিলেবাস  বহির্ভূত প্রেম... 
ট্রেন থেকে নেমে হাঁটাপথে, মুখ 
সরাতে সারাতে তুমি, হারিয়ে ফেলেছ 
                      মাসের টিকিট !
 
 
তুলির জন্য কয়েক পংক্তি : ৩১
 
ও  মুখের ঠিক 
তল পাবনা 
চোখের  জলে 
তারার আনাগোনা 
ইশারা জুড়ে 
অচেনা  বিদ্যুৎ 
আলোর কাছে 
হার মেনেছি রোজ 
ঘাটের  পাশে 
ফেলে গিয়েছি  সুখ !
 
তুমি আমার 
অশ্রুরেখা তুলি 
তুমি আমার 
কুড়িয়ে পাওয়া 
              ঘুম 
গত বছর 
মেলার থেকে 
কিনেছিলে  যে 
                 চারা 
এবার শীতে 
দিচ্ছে তারা 
               ফুল?
 
 
 
 

একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...