কবিকে প্রেমিক হতে নেই
আজ আমার অসুখের পান্ডুলিপির মৃত্যু হল
সারা দিন কাঠ কুপাচ্ছি কাঠুরিয়া হাতে
কুড়ুলের ইস্পাত থেকে কান্না এসে ভিজিয়ে দেয় সেই কাঠ।
শ্মশানের নিরবতা। মুখে কবিতার মন্ত্র রাখি।
আমার দাহ ছাই মেখে বিকৃত হাওয়া হেসে গেছে শ্রাদ্ধ বাড়ির দিকে
স্মৃতিময় ছড়ানো খই থেকে ওঠে বিষাদের হরিবোল
কোন রজনীগন্ধা সন্ধ্যায় কবিকে পদাবলী লিখতে নেই ।
কবিকে ভরদুপুরের প্রেমিক হতে নেই।
সীমান্ত
আমার বোহেমিয়ান বেলায় শুয়ে আছে সারান
স্মৃতির পাটাতনে তারকাটা টান টান।
ওপারে কার ডাক শুনি বাংলা অক্ষরে
হাত বাড়িয়ে থাকি শূণ্য পাজর বক্ষ -রে!
উদ্বাস্তুর চোখের কাঁচে অনেক কোলাজ
পাখির ডানায় নেমে আসে নিঃসঙ্গ সাঁঝ
ছগা বগা কাঁধে রাইফেল ভর্তি সিসা
ভাঙা বুক এখনো অবশিষ্ট মেলামেশা।
এই পথে গেছে আমাদের বাষট্টি, একাত্তর
উলো ঝাঁড়ের পাশে আমার আত্মিয়ের গোর!
আমাবস্যার পর
আমাবস্যার পরে চাঁদ ওঠে নিষিদ্ধ মাংসের মতো
আকাশ বিধবার শোকে ভাতের ফ্যান হয়ে উঠে
ভোরের তারার গা ঘেষে স্বপ্নকুড়াতে যাবেনা পাখির ঝাঁক।
বেসামাল শিশির রেখে যাক
ঘাসের কাছে শোক নয়নের চাবি গুচ্ছো।
আধার রাতের ঘুমে ভেঙে হাই তুলবেনা ঘড়ির কাঁটা
কালপুরুষের লন্ঠন টা জ্বলবে
পদাবলীর বাকি টুকু পড়ে যাবে ঈশ্বর।