হলুদ পাখি
তোমার কাছে এলে মনে হয়
কোন এক সরোবরের ধারে
দাঁড়িয়ে আছি।
তোমাকে ছুঁলে তুমি-ই শরত সরোবর
হয়ে যাও।
তোমার কাছে এলে মনে হয়
কোনএক বৃক্ষের তলায়
বসে আছি ।
তোমাকে স্পর্শ করলে তুমি-ই বসন্ত বৃক্ষ হয়ে যাও।
ভোরের আলো চোখের ঘুম ছিঁড়ে নিলে জীবন্ত হয়ে ওঠে স্বপ্ন, একরাশ।
হলুদ পাখি, কি করে ---
এক-ই ঋতু বৃন্তে ফোটাও পদ্ম-পলাশ ?
অপেক্ষা
অপেক্ষার গোড়ায় একটু একটু করে
ধৈর্য্যের জল দেয় কিষাণ- কিষাণী
ভাবে,একদিন তাদের ক্ষেত
সোনালী ফসলে ভরে উঠবে।
আর পঙ্গপাল অপেক্ষায় থাকে
কখন তাদের সোনালী ফসল খাবে।
উদযাপন
চাঁদ কন্যা জ্যোৎস্না অন্ধকার ঠেলেঠেলে পৃথিবীতে নেমে আসে । আলোর গান শোনায়।
অন্ধকারের বুকে জোনাকিও এঁকে দ্যায়
আলোর আলিম্পন।
মাটি মা পৃথিবী
এক আকাশ আঁচল দিয়ে
ঢেকে রাখে
তাঁর আত্মজ- আত্মজাকে।
নদী মা বাঁচিয়ে রাখে
সভ্যতাকে।
ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ গা ধুতে নামে
বর্ষার ঘাটে।
মেঘ কন্যা বৃষ্টির কান্নায়
সবুজের বাড় বাড়ন্ত। ঢল নামে
পাখি মা মাছরাঙা মাছের স্বাদ-ই পায়নি।
ঠোঁটে বাঁধে অনাগত ভবিষ্যত।
কবিও প্রথম ডেকে তোলে -
"ভোর হল
দোর খোল
"খুকুমণি" ওঠ রে"।
অথচ, ভাবুন --
ঘর না পাওয়া
রাধার প্রেম কৃষ্ণের অলৌকিক শক্তি।
লাঙলের ফলায় উঠে আসা সীতা
দুঃখ-কষ্ট সহ্য করে
রামচন্দ্রকে ভগবান বানায়।
আগুন থেকে উঠে আসা যাজ্ঞসেনীর লজ্জা, মর্যাদা ধুলোয় ছড়িয়ে
ধর্মরাজ্য গড়ে ওঠে।
"শঙ্খ বাজিয়ে মাকে ঘরে এনেছি
সুগন্ধি ধূপ জ্বেলে আসন পেতেছি"--গানে প্রদীপ জ্বেলে যে নববধূকে বরণ করো অকালে তারই মাথা গোড়ায় ধূপ জ্বালো
সীমাহীন চাহিদার চিতায় পুড়িয়ে মারো।
ঘরে ঘরে মিথ্যেবাদী মা
আগলে রাখে সংসারকে।
ভোরে
সূর্যের ঘুম ভাঙায়
গভীর রাতে
চাঁদকে ঘুম পাড়ায়।
সেই মায়েরদের জন্য মাত্র একটি দিন
উ দ যা প ন !