পার্ক স্ট্রিট
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে তোলা ফোর পয়েন্ট সিক্স বিলিয়ন বছর আগে এই গভীরতম মহাবিশ্বে পরিষ্কার ইনফ্রারেড ছবির মতো নিজেকে খুঁজে দেখো তুমি আমার ভিতর জ্বলজ্বলে টুনি বাল্বের মতো একদিন একটি ধ্রুবতারা কিংবা শুকতারা হয়ে তোমায় খুঁজে পাবে।
লুব্ধক তারার মতো সব থেকে উজ্জ্বল আরও বেশি আলোময় হয়ে প্রেমে আর একটা নতুন চ্যাপ্টার
এই বছর সিলেবাসে রাখার আবেদন রাখবো সিলেবাস কমিটির কাছে। তোমার আমার প্রেমের সাইন্স ফিকশন থাকুক ক্লাস ইলেভেনের ফিজিক্স বই-এর অন্তত একটি পাতায়। "আলফা ক্যানিস মেজরিস" এর মতো আমাদের সম্পর্কটা একটা জোড়া তারাদের লাভ বার্ড হয়ে বেঁচে থাকা মিস্ট্রিরিয়াস গসিপ হয়ে আনাচে কানাচে ভাসুক! একটা কম বয়সি ছেলে আর একটা নতুন প্রজন্মের মেয়ের একডজন প্রেমের গল্প হয়ে।
প্রতিবেশী শ্বেত বামন তারা "সিরিয়াস বি" -এর মতো তোমার পাড়ার প্রেমিকেরা শুনেছি এখন তোমায় নিয়ে অনেক বেশি সিরিয়াস। কিছু উল্মাদ পাগল প্রেমিকদের দল নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করে রোজ রাতে আবার মিটিয়ে নেয় এক বোতল উইস্কি কিংবা বিয়ারের গ্লাসে অল্প চুমুক দিতে দিতে।
নীল আর লাল অতিদানব তারাদের মতো কিছু বেয়ারা ছেলেরাও নাকি আজকাল তোমার লয়াল পাগল প্রেমিক! ডিমান্ডেবল সিনেমার নস্টালজিয়া নায়িকাদের থেকে প্রোপোজ নেওয়ার জার্নির সংখ্যা নাকি তোমার এখন অনেক বেশি।
কালপুরুষ নক্ষত্রমন্ডলের বাণরাজা তারাটি একটি বহুল পরিচিত নীল অতিদানব তারা! মাঝরাতে এই আলো ঝলমলে কলকাতার রাস্তায় সুন্দরী সব বয়সী মেয়েদের চলাফেরা করলে আজও কিছুটা ভয়েই থাকতে হয়!
আজও বেশি রাত হলে প্রতিটা মেয়ের মনে পড়ে যায় এই শহরের বুকে ঘটে যাওয়া পার্ক স্ট্রিটের দানবিক পুরুষের একটা অমানবিক ঘটনা।
বরফের টুকরো
সময়ের সাথে যে মেয়েটা গোল্ডেন টরটয়েজ বিটল প্রাণীর মতো সহজেই নিজের রঙ বদলে ফেলেছে ক্রমশ একটা চেনা মানুষ রং মিলান্তি তাসের খেলায় সফেল করা জোকার কার্ডটার মতো সাসপেন্স হয়ে লুকিয়ে আছে সে এখন কোনো একটা পাতলা পিচবোর্ড প্লাস্টিকের তৈরি কার্ডের উপর ছবি হয়ে।
এই ব্যস্ত শহরে সময়ের অভাবে আমার আগোছালো জীবনে তোমাকে মনে রাখবার মতো কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না!
আমাকে প্রেমিক বলা যায় না এখন আর!
নিজেদের মাঝে দূরত্ব বাড়ায় কথা বলার সুযোগ ক্রমশ কমে আসছে!
আমার সবটুকু ভালোবাসা আজও আটকে রয়ে গেছে সেদিনের সেই গ্লাসের জলে ভাসতে থাকা বরফের টুকরোটার মতো। শান্ত স্বভাবের মেয়েটা যার খারাপ ভালো থাকার রিয়াকশনটা কোনো ফিলিংস-এ ধরা পড়তো না! ব্যস্ত জীবনে অঙ্কের হিসাবে বরাবরই কাঁচা মেয়েটা যে আমাকে একটু স্বস্তি দিত এই ছোট শহরে বড় কিছু আশায় এখন সে নিজের পথ বদলে ফেলেছে।
সিন ক্রিয়েট
আমার গায়ের রঙ কড়কনাথ মুরগির থেকেও অনেক বেশি কালো বলে বেশি ফর্সা সুন্দরী মেয়েগুলো আমায় খুব বেশি পছন্দ করে না!
অযৌতিকভাবে আমি মনে মনে আকাশ কুসুম ভাবি
তোমাকে নিয়ে চোখ চেয়ে জেগে থেকে এখন স্বপ্নে থাকি আর সিন ক্রিয়েট করি।
একই কালারের সেম টু সেম জামার মতো চামড়া থাকার পরেও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মতো মেয়েরা আমাকে দেখে ক্রাশ খায় না! তার মতো অনেক মেয়েকে নিয়ে নাচ গান করবো সিনেমার পর্দার নায়কদের মতো সে অলৌকিক ক্ষমতাও আমার নেই!
কোনো একদিন ভেনিস শহরে ভেসে বেড়াবো নৌকায় নিজের প্রেমিকার সাথে-এ আমার বড় স্বাদ।
যমুনা নদীতে নৌকার ভিতর পরাশর মুনির মতো আমিও আমার গার্লফ্রেন্ডের সাথে সেক্স করতে চাই। এতে যদি আমার প্রেমিকা সত্যবতী মতো প্রেগনেন্ট হয়ে যায় আমি অ্যাবরশন হতে বারণ করবো।
সেই এক রত্তি শিশুটাও যদি ছেলে হয়ে জন্ম নেওয়ার পর আমার মতো কালো হয়ে জন্ম নেয় তাহলে কিছু না ভেবেই আমি তার অনায়াসে নাম রেখে দেবো কৃষ্ণ-দ্বৈপায়ন।
তার যদি আমার মতো কবিতা লেখার সখ থাকে আমি জানি ঠিক একইভাবে আমার মতো সে একটা বাংলা কবিতা লিখতে দশটা বানান ভুল করবে। অন্ধ কবি হোমার- এর মতো মনে মনে কবিতা তৈরি করে লেখার সময় কৃষ্ণ-দ্বৈপায়ন যেমন বেদব্যাস হয়ে তার বন্ধু অন্ধের যোষ্ঠি গণেশকে দিয়ে মহাভারত লিখিয়েছে। তেমনই তার প্রথম কবিতার বইয়ের প্রুফ চেক করুক যাদবপুর ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগে লাস্ট সেমিস্টারে টপ করা মেয়েটা।