রাখাল
রাখালের কিছু নেই
মাঞ্জা দেওয়া ঘুড়ী নেই, লাটিম নেই, বর্ষায় ভিজে ফুটবলের হৈচৈ নেই
নতুন বইয়ের গন্ধ নেই, একটিও ভালো জামা নেই
আরাম আয়েস আয়োজন কিচ্ছু নেই।
রাখালের সূর্যোদয় আছে, নদীর জলে সিঁদুর লেপে ডুবে যাওয়া সূর্যের অস্তরাগ আছে
জোনাক জলা রাতদুপুর আছে,কুঁড়েঘর আছে,
রাখালের মা আছে
আর আছে মন কাড়ানিয়া বাঁশির সুর।
ঐ সুরের জন্য আমি শতজন্ম রাখাল হতে রাজি।
গত জন্ম
গত জন্ম বলে আমাদের কিছু নেই
যা আছে তা যেন কাকের ঠোঁটে খুঁটে খাওয়া মৃত শোক
এঁদো পুকুরের পাশে কলমীলতার বন
ছড়িয়ে ছিটিয়ে ভাঙা ভাঙা সময়ের টুকরো টুকরো কাঁচ
যাতে মুখ দেখে বিরহ সুখ খুঁজে ফিরি জন্মান্তরে গিয়ে
মেঘেদের উড়োচিঠি উড়ে গেছে কতকাল হল দস্যুর গোপন ডেরায়
বন্দী হয়ে গেছে স্বপ্নের চোখ, কোনো এক জল ভাঙা দুপুরে
আমাদের মনের পোড়া শব কাঁধে কেউ যেন চলে গেছে দূরে
তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে
যা কিছু পড়ে আছে
ছাইয়ের ভেতর থেকে জেগে ওঠা মায়াজাল
অনন্ত সময়ের ধারক হয়ে।
ছায়া
সমস্ত শহর মুখ ফিরিয়ে নিলে
ছায়া আঁকড়ে বাঁচি
ছায়া ডুবে গেলে আমিও ডুবি
অস্তিত্বহীন অচীনপুরে
ঘুরপাক খাই শুন্য অনুভবে
আলোহীন যাপন আগলাতে আগলাতে
ছায়া হাতড়াই
ছায়াও আমাকে খোঁজে
শুধু আলোটুকু বিরহের দেশে গা ঢাঁকা দেয়
ফিরে আসার ঋতু খুঁজে পায়না।