সিক্ত শিউলী
কাশ ফুটেছে কোপাই তীরে আসছে খুশির দিন,
চোখের পাতায় হিমের পরশ বাজছে বেদন বীণ।
শিউলী বাসর আজকে মেদুর পড়লো কাঠি ঢাকে,
আসছে পুজো শারদ বেলায় উলুধ্বনি শাঁখে।
আজকে সবাই আত্মহারা আগমনীর সুরে,
বুকের মাঝে যে জন আছে আজ সে অনেক দূরে।।
বছর ঘুরে আসছে পুজো আসবি না তুই আর,
আগের মত তুলবে না সুর তোর গিটারের তার।
সব কিছু আজ এলেমেলো সংসার কংকালে,
থমকে গেছে নৌকো খানি নেইকো হাওয়া পালে।
বেচেঁ আছি হয়তো বা নেই দুঃসহ এই জ্বালা,
যেথায় থাকিস ভালো থাকিস গানের ফেরিওয়ালা।।
তুমি না থাকলে
তুমি থাকলেই সব যন্ত্রণার অবসান।
বৃষ্টির মেদুর আবেশ ছুঁয়ে যায় প্রাণ।
রামধনুর বিচ্ছুরণে স্বপ্নের পাহাড়ে চড়ি।
কান্না গুলো ঘুমিয়ে পড়ে সহসা।
উধাও হয়ে যায় কষ্টের কালসিটে।
মাদল বেজে ওঠে কবিতার পাড়ায়।
দুঃস্বপ্ন খুন হয়ে যায় নিমেষে।
জীবনের তীরে এসে দাঁড়াই।
তুমি না থাকলে গান থেমে যায়।
আকাশ ছেয়ে যায় আদ্রর্তায়।
শব্দের মিছিলে শুনি এলোমেলো কোরাস।
ঘুম ভেঙ্গে যায় রাত্রির গভীরে।
জীবন দুর্বোধ্য হয়ে ওঠে।
বিক্ষুব্ধ সমুদ্রে একা,কেউ নেই পাশে।
দুরন্ত প্লাবন ছুটে আসে,
তুমি না থাকলে ভারি হয়ে আসে চোখের পাতা
খালি পড়ে থাকে বর্ণহীন কবিতার খাতা
দিন বয়ে যায়
ইচ্ছে ছিল সঙ্গে নিয়ে উড়ব অনেক দূরে
ইচ্ছে ছিলো সবুজ হবে সব
আকাশে এখনও ডানা কাটা ঘুড়ি
হয়তো থেমে গেছে সব কলরব
বাদল বেলা অন্ধকারের নীড়ে
অনুগত প্রেম ঘুরেফিরে আসে রোজ
বুকের মাঝে ঝিমিয়ে পড়ে বেলা
দেখবো ছুঁয়ে নেই কোন তার খোঁজ
জোনাকির ডানা অনিচ্ছায় গেছে ভিজে
রাত্রির দেহে অজস্র নীল ক্ষত
নিজেই আমি সন্ধ্যা এঁকেছি দিনের শেষে
শুধু পার হয়ে যায় ফাগুন অবিরত