নিজেকে পড়া হয়নি
চোরা বালির মতোই হারিয়ে যায় সমস্ত চেষ্টা।
বৈরাগ্য আসেনি বলে বৈষ্ণব পদাবলী
ছোঁয়া হয়ে ওঠেনি।
আজও নিজেকে পড়া হয়ে উঠলো না!
নিজেকে পড়ার মতো জ্ঞানার্জনে অক্ষম।
কখনও নাস্তিককের
মুখে ঠাকুরদেবতার নাম শুনেছো?
ভক্তি মার্গে হাঁটা মানুষের সঙ্গে মতের
মিলন ঘটেছে কোনদিন?
চোখে দেখলে তবেই বিশ্বাস করি।
আসলে নিজেকে নিজে কখনও
দেখতেই পাইনি।
আয়নার কাছে গেলাম প্রতিবিম্ব
দেখিয়ে বললে ওটাই আমি।
আসলে সেখানেও তো নিজের বাহ্যিক
সুন্দরতা খুঁজছি শুধু।
কখনো ধরাই পড়েনি অন্তরের অন্তরালে
থাকা মন্দ গুণগুলো।
মৃত্যুঞ্জয়ী
যে গাছটির পাতা খেয়ে কঙ্কাল টা
ফেলে রেখে গেছে শুঁয়োপোকা...
তার কানে কানে মৃত্যুঞ্জয় মহা মন্ত্র ঢেলে দিয়ে এসো।
রক্তাক্ত শরীরের কনকনে শীতের জীর্ণতা
কাটানোর পর বসন্তে আবারও
নতুন জীবন ফিরে পেলেও পেতে পারে!
অসুন্দরের মাঝেও আবারও ফুল ফুটে উঠলে
সেই শুঁয়োপোকাকে বলো প্রজাতি হয়ে
ফুলের ওপর বসতে...
স্বাগত জানাতে ভুলবেনা সেদিনও ওই গাছটি।
কতোটা দংশনে জর্জরিত করেছিল তা কী তার মনে আছে?
নিজ নিজ ধর্ম পালনে সবাই সক্ষম
শুধুই প্রতিহিংসা ছড়িয়ে বিষক্ষয় হয়না শিখিয়েছিলে না তুমি হে মধুসূদন
ওহে মুক্তিদাতা তুমি সৃষ্টি কর্তাকে সৃষ্টি করতে বলো ভুল না যেন কখনও...
আমিও চন্দন মাখবো বৈষ্ণবী
আমিও চন্দন মাখবো বৈষ্ণবী
একটি সেবাশ্রম করবো বৈষ্ণবী
তুমি আসবে তো?
আমারও ইচ্ছে হয় দিনের শেষে
সূর্য যখন ঘুমোতে যায়.....
আমি তখন চন্দন মেখে মাটির কুঠিরে
রাধে নাম জপ করবো
তুমি বধু কে জানিয়ে রেখো।
প্রকাশ্যে ভয়!!!!
না না লজ্জা লাগে কেউ যদি দেখে ফেলে!
আমি কখনও হরিকথা কানে তুলিনি যে
কাকে বলে সংসার তা বুঝিনি যে।
তোমার বধু ছল করে শুধুই মায়া আর
লোভের ঘরের দরজা খুলে দিয়েছে...
ও দরজা বন্ধ করার ক্ষমতা আমাকে দেয়নি
আষ্টেপৃষ্ঠে শুধু বাঁধন দিয়ে রেখেছে।
তোমার বধু মুচকি হেসে ছল করেছে।