আয়ু , যুদ্ধ
পাহাড়ের গলায় বৃষ্টিভেজা লাঙল
সাঁওতালের ছায়া পড়েছে আয়ুষ্কালে
তৃষ্ণা ভাঙে তৃষ্ণার ওঙ্কার
খুঁজে নিতে দাও রূপ - যুদ্ধ ; আণবিক বেঁচে থাকা ।
কূলে পোড়েন হাঁস , টানা ব্যস্ত পশ্চিমের পুঁজে
এই নিদ্রা তোমার না
তুমি যুদ্ধ করে তুলে নাও রাশিচূড়া ।
ঐ যে স্থল , ঐ ঐ ধনুক , মুঠি , সুপারি গাছ
এ কোনো দিনই আমার ছিল না
কান্না আছড়ে পড়ে ধাতুরুপে !
যুদ্ধ শুরু হলে সুপারি গাছকে কেউ যেন হত্যা না করে ।
পাখির অক্ষর
ফুলের পদবী কী ?
যদি বলি : ফুল , মা সরস্বতীর মেয়ে ; আমার মা ।
গরম চঞ্চলতার আড়ালে নক্ষত্র পিতা
পিতা বিক্ষুব্ধ আলোতে প্রেতাত্মা সিদ্ধ করে আহার মেটায় ?
ফুলের নরম মাংসে রাখি চতুর ধাক্কা
নিরুদ্দেশের পরেই শোকফলদেশ
শোকফলের আরাধ্য দেবী হত ও নাড়ী
আমার নগ্ন শরীরে পোড়া হাসি !
ক্ষুর খিদে পাওয়ার আগে শিখায় এঁকে দি রন্ধ্র পাখির অক্ষর ।
বীজগণিত
মৃত্যুর পরে মৃত্যু কি বিধবা
রজঃস্বলা জন্ম লৌকিক দোল
প্রয়োগে দেখে নিতে পেরেছিলাম আগ্নেয় প্রবণতা
শূন্যে প্রয়োগ করি কায়াকাম ।
উজ্জ্বল অনন্তে মহামায়া নীলাভ
পেখমে আমিই সেই রাজা যেখানে জলকীটরা পাঠ করে
বীজগণিতের সূত্র
জৈব মহাপ্রাণ উপহার দিতে এসেছিল ছোট আবহ
আবহ তোমার আলোটুকু মহত্তর মানুষের উলু ।
উলু - কে তুমি ঘৃণা করতে কেন
মৃত্যুকে ও আমি সমকামী
আমি রাজা ? ভুল , পাথর ডোম ।