অ্যামোনিয়াম জিভ ও গর্ভবতী নাশপাতি বাগান
মাটির ফাটল ভেদ করে আসার পর প্রতিটি পঞ্চম বর্ণের রৈখিক বন্ধন পুরুষদের হাতে একটি ধারালো তরবারি , দিব্য বিমান ও ১৩ জোড়া বায়বীয় চোখ থাকে নিজেদের হত্যা করার জন্য
একটি পুনর্জন্ম পেরিয়ে যাওয়ার পর তিন ফুট উচ্চতার শিরদাঁড়ার পালকেরা প্রচ্ছন্ন জলাশয়ে নেমে যাচ্ছে একটি ভঙ্গিল স্নানাগারের জন্য ,
হরপ্পা নারীরা তিনটি অ্যামোনিয়াম ভেজানো জিব বের করে উলঙ্গ দৌড়ে বেড়াচ্ছে অমরাবতী জলাশয়ের দিকে , জিব মানেই মেফট্যাল স্প্যাজ , পাকস্থলীর ভেতরে একটা গভীর যন্ত্রনা লুকিয়ে আছে
এখানে এলেই নাকি সবাই কৃষ্ণপক্ষ দেখতে পায় উলঙ্গ চোখে , অবিভাজিত নিদ্রিত প্রতিবিম্বের ভেতর সব মানুষদের প্রতিবন্ধীর মতো মনে হয়
সব গাছ দেবদারুর মতো গর্ভবতী নয় , যাদের মাথাগুলো অনেকটাই মাটির গভীরের দিকে নোয়ানো থাকে তারা অহংকার লুকিয়ে রাখে না ন্যাসপাতির শ্বেতাঙ্গ মাঠে ,
সব পোশাকের ভেতর একটি নগ্ন প্রচ্ছায়া অঞ্চল থাকে , অসদ বিম্বের দিকে এক একটি বাষ্পায়নের রাত জমা হলে সারারাত কঠিন গণিতের মাংসাশী প্রাণীরা নিজেদের দেহকে এক বিষধর সাপের মতো মেলে ধরে চাঁদের শরীরের দিকে ,
সুখপাখি পাথরকুচির মতো মূলরোম রেখে যায় বিক্ষিপ্ত ছায়া রেখার কাছে , ঈশ্বর সব কথা ভুলে গেছেন দেহ চাষাবাদের পর
কোন এক বৃশ্চিক রঙের ঈশ্বর আয়ু রেখার ভেতর থেকে কখনো কখনো কাঁচ ভাঙা নারীদের দক্ষিণ দিকে মুখ করে ঘুমাতে দেখে ফেলেন
অবৈধ নারীর মতো আমি মেটাফেজ চোখ নিয়ে অসংখ্য গর্ভবীজ রোপন করে যাই তুলসী পাতা ও চন্দন ডগার নিচে
আমি ঠিক ভোর বেলায় পিচ্ছিলকারক স্বপ্ন দেখে উঠে পড়ি দেওয়ালের দিকে , আমার দুই হাতে দুটো কঙ্কালের প্রত্ন স্তনবৃন্ত রাখা আছে
কনিষ্কের মাথায় চারজন ভূগোলবিদ ছিলেন
ভগীরথ ও নিষিদ্ধ ধান বীজের দোকান ঘর
নিশাচর পাখিরা ঘুমিয়ে পড়লেই তাদের ভেতরে থাকা কর্দমাক্ত প্রোটোপ্লাজমীয় চোখের তারায় ধূসর রঙের ব্লাউজ লুকিয়ে রাখে ,
নিষিদ্ধ এক মেডিকেল শপের ভিতর অসংখ্য ধান বীজেরা অঙ্কুরোদগমের মাল্টিভিটামিন খেয়ে নেয় দ্রুতগামী ঘোড়াদের মতো
মধ্যরাতের রসায়ন গলাধঃকরণ নেশার কারণে এখনও ঝিমঝিম বৃষ্টির মতো আমাদের মৃত্যু রঙের আয়ুগুলো ঝরে পড়ছে প্রতিটি সিডেটিভ পথের চৌমাথায়
মৃত্যুময় রাতের মতো এত ভৌতিক চুম্বকীয় পৃথিবী আর হয় না ,
শুধু নিজের ছায়ার ভেতর প্রতিটি মানুষ কতকগুলো কাল্পনিক শিরদাঁড়া রেখে আসে হলুদ মেহগিনি পাতার অবতল পেটের ভেতর ,
কোন এক নাভি নক্ষত্রের নারীরা তাদের পছন্দের গান গেয়ে ওঠে তিনটি মাটির প্রদীপ নির্জীব পায়ের কাছে রাখার পর ,
সব শ্মশান বন্ধুরা আয়ুরেখার ঘনত্ব জানে জল ভেজা জীবাশ্মের গাঢ় রং দেখে , আমি প্রতিদিন পালকের মতো এক ভাগীরথী নিয়ে চলি গায়ে লেগে থাকা শুয়োপোকার লোমশ দ্রাক্ষা ফল নিয়ে ,
বৈষ্ণব রং দেখে নেওয়ার পর সকলেই উত্তপ্ত লাইকোপোডিয়াম ঘরের ভেতর ঢুকে গেল , আমি শুধু মৃতদেহের গায়ে অসংখ্য স্ফোটক বিন্দু নিয়ে আমড়াখালির কোন এক স্নানাগারের নোনাচর থেকে কিছু সমাঙ্গদেহী মৃত মৎস্য শাবকদের রোপন করি উর্বর মন্থ কূপের ভেতর
মৃত নাবিকদের লজ্জাবতী পোশাক দিতে যাওয়ার পর জানালার কাছে এক একটি হিমালয় শুয়ে থাকে অসংখ্য বরফ গলা জলের পাহাড় নিয়ে ,
আমি বিছানাকে নগ্ন অপরাজিতা ফুল বলে মনে করি যেখানে অসংখ্য ছিদ্রাল শুক্রাশয় সমযোজী কাঁচ ফুল নিয়ে শুয়ে থাকে ,
কোন একজন পুরুষ আমাকে কাঠের ময়ূরটি দান করেছিল
আমি স্ক্রিন সেভারের তিনটি রগরগে ত্রিশুলের দাঁত চুষে খাই সারারাত
হিমোফিলিক শরীর ও দানবীয় পাতাবাহার গাছগুলি
ফোলিক এসিডের মতো অসংখ্য পাতাবাহারের কাছে দাঁড়ালে নিরাকার অসুখগুলো তৃতীয় অঙ্গানু নিয়ে ছায়ার কাছে এক একটা মারমেড অক্ষর নিয়ে ঝুলে থাকে দানবীয় চোখের মতো
অদ্রবণীয় নরককুন্ডে যাওয়ার পর প্রতিটি ভঙ্গিল শরীরে এক একটা বাষ্পায়ন রাত জমা হয় ,
বাবার শরীরের মতো আর কোনো রাতের অক্ষর নেই যে কেবল অসংখ্য কুরুক্ষেত্র প্রতিদিনই রচনা করে চলে প্রতিটি প্রহরের উপপাতালিক আগ্নেয় অস্ত্র নিয়ে ,
আমি বাবার প্রতিটি আঙুলের ভেতর অসংখ্য আরাবল্লী দেখেছি অন্তর্বাস হীন গুণিতক চিহ্নের মতো
রাতের মানুষ বৈধব্য যাপন করে চলে নিজের লুকানো ধারালো বিষাক্ত অস্ত্র দিয়ে
নক্ষত্রদেরও নিজস্ব গলনাঙ্ক থাকে বলে আমিও দ্রাঘিমা রেখার উপর থেকে দাঁতাল নখ নিয়ে মাংসাশীর চোখ খুঁজে বেড়াই ,
পূর্বজন্মের মাটির গর্ভগৃহ থেকে বের করে নিয়ে আসি কিছু প্লাজমা মিশ্রিত ছয় মুনি ঋষির দেহ , আমি আরো একবার গোপন গর্ভের ভেতর ফুল পরীদের সাথে এ ঘর ও ঘর শুধু বাৎস্যায়নের মতো উর্বর গুহা ক্ষেত্র খুঁজে যাই
অবৈধ এক মৃতজীবী ও আমার ইছামতি নারীর মতো পবিত্র দেহ নিয়ে কেউ একজন হরপ্পা শহরের অসংখ্য হিমোফিলিক স্থাপত্য খুঁজে বেড়ায় ,
আমি প্রতিদিন ত্রিকোণ ত্রিভুজ রন্ধন করে চলি চতুস্তলক রন্ধনশালায় , সকলের মুখে অসংখ্য দূর্বা ঘাসের রৈখিক বন্ধনী ঝুলে আছে ছেঁড়া অন্তর্বাসের মতো
গেরুয়া রঙের কৃষ্ণ ঈশ্বর আজ জলপ্রপাত নির্ণয় করবেন অবিভাজিত অ্যাক্রেলিক দিয়ে , মৃত্যুর শরীরে জোড় কলম বেঁধে দিচ্ছেন বাবা