বিদ্যাসাগরের বিজ্ঞান ভাবনা ।। সুব্রত কুমার বুড়াই

 iswarchandra vidyasagar

 
আলোর উৎস থেকে আস্তে আস্তে যতদূরে যাওয়া যাবে ততই আলোর দীপ্তি ক্রমে কমতে কমতে একসময় আর আমাদের চোখে পড়বে না। ব্যতিক্রম সূর্য। দূরে থাকা সত্ত্বেও তার রশ্মির দিকে তাকানো যায় না। এমনই এক ব্যতিক্রমী আলোকোজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব বিদ্যাসাগর। তাঁর অবিনাশী অস্তিত্ব ও কীর্তির উদ্ভাস আজও অম্লান। শুধু জন্মের দুশো বছর পরে নয়, সমাজে যতদিন শিক্ষার অভাব, দারিদ্র ও মনুষ্যত্বের অবমাননা, নারীদের প্রতি উপেক্ষা থাকবে, যতদিন ধর্ম বা শাস্ত্রের নামে কদাচার সংকীর্ণতা থাকবে, যতদিন মানুষ পৌরুষ আত্মপ্রত্যয় ও উদ্যমের অভাবে নতশির, ততদিন আমাদের বিদ্যাসাগরের স্মরণ নিতেই হবে।
     বিদ্যাসাগরের যুগ থেকে এগিয়ে এসে পেছন ফিরে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে সমকালের পটভূমিতে তাঁর প্রতিভা, বহুমুখী কর্মধারা, খাঁটি বাঙালিয়ানার সঙ্গে ইউরোপিয়ানার বিস্ময়কর সমন্বয়, প্রথম জীবনে দুঃসহ দারিদ্র্যের ও পরবর্তীকালে ঘরে বাইরে চরম প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম, অফুরন্ত প্রাণশক্তি ও ইচ্ছাশক্তির সাহায্যে নিজেকে গড়ে তোলার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে বিস্মিত হতে হয়। বিদ্যাসাগর ছিলেন রামমোহন রায়ের মত প্রগতিশীল সংস্কারপন্থী ও উদারচেতা। ফরাসি দার্শনিক অগুয়েস্ত কোৎ, বেন্থাম, পাশ্চাত্যের সংস্কার মুক্ত নির্মোহ জ্ঞানবাদ, সর্বোপরি মানবতন্ত্রবাদের ব্যবহারিক প্রয়োগ দেখা যায় বিদ্যাসাগরের বহুমুখী কর্মধারায়। গ্রিক দার্শনিক পিথাগোরাসের মত তিনিও বিশ্বাস করতেন 'Man is the measure of everything’ 
    ১৮২০ সালের ২৬ শে সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরবেলা বিদ্যাসাগর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্মের পূর্বে ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থায় শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অনেকগুলি গ্রামের মধ্যে একটি টোল বা চতুষ্পাঠী, মক্তব, মাদ্রাসা ছিল। টোলে হিন্দু ছাত্রদের চার বেদ, ব্যাকরণ, কাব্য, স্মৃতি ও দর্শন পড়ানো হত। মক্তবে মুসলমান শিক্ষার্থীদের পাঠ্য ছিল কোরান, হাদিস ইত্যাদি। এই সব প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কম ছিল। শিক্ষার্থীও ছিল মুষ্টিমেয়। সংস্কৃত, আরবি, ফার্সি ভাষায় ধর্মচর্চা এখানে প্রাধান্য পেত। মাতৃভাষার মাধ্যমে অন্যান্য বিষয় শিক্ষার অবকাশ ছিল না। জীর্ণ পুঁথি, শ্রুতি ও স্মৃতি নির্ভর ছিল মধ্যযুগীয় শিক্ষা ব্যবস্থা। এইরকম শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যেই বিদ্যাসাগরের শিক্ষাজীবন শুরু হয়। তিনি সংস্কৃত মাধ্যমে পড়াশোনা করেন। সেই সময় ইংরেজি পড়ানোর ব্যবস্থা ছিল না সংস্কৃত কলেজে। সেই অর্থে বিজ্ঞান শিক্ষার সঙ্গেও বিদ্যাসাগরের তেমন পরিচিতি ছিল না। ১৭৯২ সালে চার্লস গ্রান্ট ভারতে ইংরেজি ভাষায় শিক্ষা বিস্তারের ব্যবস্থার জন্য সুপারিশ করেন। ১৮০০ সালে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ এবং ১৮২৪ সালে ১লা জানুয়ারি সংস্কৃত কলেজ খোলা হয়। সংস্কৃত কলেজে ১২ বছর ৫ মাস অধ্যায়নের পর তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়েছে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে। পদটির নাম 'সেরেস্তাদার' হলেও কাজ হেডপন্ডিত এর। বিলেত থেকে আগত সিভিলিয়ানদের তিনি বাংলা পড়াতেন। সঙ্গে হিন্দি ও সংস্কৃত পড়াতেন।
শিক্ষকতা জীবনে প্রবেশ করে ছাত্রদের কথা মাথায় রেখে মার্শাল সাহেবের নির্দেশে বেতালপচীসী নামক প্রসিদ্ধ হিন্দি পুস্তক অবলম্বন করে গ্রন্থ লিখেছিলেন। তিনি উপক্রমণিকা, ব্যাকরণ কৌমুদী, ঋজুপাঠ রচনা করে বাংলাদেশে সংস্কৃত শিক্ষার ক্ষেত্রে যুগান্তর সৃষ্টি করেন। নিজের চেষ্টায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে কাজ করার সময় হিন্দি ও ইংরেজি শেখেন। ছাত্রজীবনে বিজ্ঞান চর্চা না করলেও তাঁর আধুনিক ও যুক্তিনিষ্ঠ মন তাঁকে বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলে। ইংরেজি শেখার কারণে বিদেশ থেকে বিশেষ করে ইউরোপীয় মহাদেশে বিজ্ঞানের নানান বই সংগ্রহ করে পড়তেন। ছাত্রদের কথা বিবেচনা করেই নানান বই এর অনুকরণে বিজ্ঞান বিষয়ে ছাত্রদের অনুসন্ধিৎসু করতে বিভিন্ন পুস্তক রচনা করেন। শুধু তাই নয় যাতে ছাত্ররা আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে পরিচিতি হতে পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞান শিক্ষা দেওয়া ও লোক সাধারণের মধ্যে বিজ্ঞানচেতনা, যুক্তিবাদ সম্প্রসারিত না হলে কুসংস্কার, কু-প্রথা থেকে সমাজকে মুক্ত করা যাবে না, দেশের উন্নতি ঘটবে না -এটা ভেবেই তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য কোপার্নিকাস, গ্যালিলিও, নিউটন, হার্সেল, গ্রোশ্যস, লিনিয়স, ডুবাল, জেনকিনস ও জোন্স কিভাবে গভীর অধ্যাবসায় ও অটুট মনোবল নিয়ে চরম প্রতিকূলতার ভেতর নতুন বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব, তথ্য বা যন্ত্র উদ্ভাবনের সাধনায় বা প্রাচ্য বিদ্যাচর্চায় মগ্ন ছিলেন তা বর্ণনা করে পাঠকবর্গকে বিশেষ করে শিক্ষার্থীদেরকে বিজ্ঞান চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে চান। বিজ্ঞান সাধকের দেশের সমকালীন সমাজ ব্যবস্থা ও ইতিহাসের সঙ্গে তাদের পরিচয় করাতে চান। 'চরিতাবলী' গ্রন্থে ডুবাল উইলিয়াম রস্কো, হিন্,স্টোন, হন্টর সিমসন, হটন, ওগিলবি, লিডন প্রমূখ কুড়ি জন মনীষীর সংক্ষিপ্ত জীবনীতে দুঃখ দারিদ্র্য কষ্ট ভোগ করে জ্ঞানার্জনের কাহিনী বর্ণিত আছে। ১৮৫১ সালে 'নীতিবোধ' গ্রন্থে বিদ্যাসাগর পশু গণের প্রতি ব্যবহার, পরিবারের প্রতি ব্যবহার, প্রধান ও নিকৃষ্টের প্রতি ব্যবহার, পরিশ্রম, স্ব চিন্তা ও স্বাবলম্বন, প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব, বিনয় ও নেপোলিয়ন বোনাপার্ট শীর্ষক আটটি রচনা অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। বিদ্যাসাগর ছাত্র তথা কিশোরদের মানসিক গঠনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যার প্রতি যাতে অনুরাগ বৃদ্ধি হয় তার চেষ্টা করেছেন। তিনি মার্সমানের 'History of Bengal' কয়েকটি অধ্যায় এর অনুবাদ করে বাঙ্গালার ইতিহাস (১৮৪৮) রবার্ট ও উয়িলিয়াম চেম্বার্স এর Biographies অবলম্বনে 'জীবনচরিত' (১৮৪৯) চেম্বার্সের Rudiments of knowledge অবলম্বনে 'বোধোদয়' (১৮৫১) Aesop's fables অবলম্বনে 'কথামালা' (১৮৫৬) শেক্সপিয়ারের Comedy of error এর ছায়ায় 'ভ্রান্তিবিলাস' (১৮৬৯) তাছাড়া বেতালপচীসী নামক হিন্দুস্থানি গ্রন্থ অবলম্বনে 'বেতাল পঞ্চবিংশতি' (১৮৪৭) অনুবাদ করেন।
তিনি চিন্তা ও মননে বিজ্ঞানমনস্ক ছিলেন তা তাঁর শিক্ষার্থীদের পাঠক্রম প্রস্তুতিতেই বোঝা যায়। ব্যাকরণের চতুর্থ শ্রেণীর জন্য পশু সংক্রান্ত ছোট ছোট গল্প, তৃতীয় শ্রেণীর জন্য চেম্বারে Rudiments of knowledge ও তার গ্রন্থাবলী, দ্বিতীয় শ্রেণীর জন্য চেম্বার্স এর Moral class book, প্রথম শ্রেণীর জন্য মুদ্রাঙ্কন, চুম্বকার্ষন, নৌ বিদ্যা, ভূমিকম্প, চীনের পাঁচিল, পিরামিড, মৌমাছি ইত্যাদি বিবিধ বিষয় নিয়ে পাঠ্যক্রম প্রস্তুত করেছেন। সাহিত্য শ্রেণীর জন্য চেম্বার্স এর লেখা জীবনচরিত ও বিভিন্ন প্রবন্ধ যেমন রাসেলাস, টেলিমেক্স ও মহাভারতের অংশবিশেষ মূল ও অনুবাদ, অলংকার শ্রেণীর জন্য নৈতিক, রাজনৈতিক, সাহিত্য বিষয়ক পত্রাবলী ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞান প্রবর্তন করেন। সংস্কৃত গণিত বিদ্যার বদলে ইংরেজি ভাষায় লেখা গণিতশাস্ত্র প্রবর্তন করেন। নিজেই গণিত ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের বইগুলি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করেন। সংস্কৃত কলেজের মধ্যযুগীয় ধ্যান-ধারণার পাঁচিল ভেঙে নানান সংস্কারমূলক পদক্ষেপের সাহায্যে প্রতিষ্ঠানটির প্রকৃতিতে আধুনিকতা ও কাজে গতি সঞ্চার করলেন। 
   বিদ্যাসাগরের শিক্ষা চেতনার সারকথা হলো ধর্মনিরপেক্ষ উদার শিক্ষার সম্প্রসারণ, সরলীকরণ ও আধুনিকীকরণ। সাধারণ মানুষের জীবন যাপনে ব্যবহারিক উপযোগিতার হাতিয়ার হিসেবে শিক্ষাকে ব্যবহারের চিন্তাভাবনা তিনি করেন। ১৮৫১ সালে শিশুশিক্ষা (চতুর্থ ভাগ) বোধোদয় এ জীবন ও জগৎ সম্বন্ধে সম্যক ধারণা তৈরীর জন্য বিজ্ঞানের নানান বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। ছাত্ররা যাতে সহজে বুঝতে পারে সেই উদ্দেশ্যে তিনি ভাষাকে যথাসাধ্য সরল করার চেষ্টা করেছেন। তাদের জ্ঞানভান্ডার কে সমৃদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। ছাত্রদের জ্ঞান ও বোধকে ক্রম পরিণতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং তাদের মনে চারপাশের সমাজ ও প্রকৃতি সম্পর্কে কৌতূহল জাগানোর জন্য অভিজ্ঞ মনোবিজ্ঞানীর মত বিদ্যাসাগর শিশুশিক্ষার বইগুলিকে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুসারে প্রথম ভাগ, দ্বিতীয় ভাগ প্রভৃতিতে বিন্যস্ত করেছিলেন। গণিত শিক্ষার প্রবর্তনে তিনি পূর্বের লীলাবতী ভাস্করাচার্যের গণিত এর পরিবর্তে পাটিগণিত, বীজগণিত, পরিমিতি ও জ্যামিতির প্রবর্তন করেন। গণিতের সঙ্গে জ্যোতির্বিদ্যা এবং উদাহরণ বেশি দিয়ে আধুনিক গণিত শিক্ষা প্রবর্তনের চেষ্টাসহ বিভিন্ন শ্রেণীতে গণিত অধ্যয়নের ব্যবস্থা করেন। শুধুমাত্র গণিত নয় তার সঙ্গে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, প্রাণিবিদ্যা, শারীর বিদ্যা, ভূবিদ্যার প্রচলনের ও ব্যবস্থা করেন। উদ্ভিদবিদ্যাতে ঔষধি গাছের বিবরণ সহ প্রাণিজগতে বিভিন্ন প্রাণীদের অবস্থান ও তাদের পারিপার্শ্বিক সম্পর্ক সম্বন্ধে ও ধারণা দেন। যার মধ্য দিয়ে জীববৈচিত্র ও খাদ্য শৃংখল এর ধারণা স্পষ্ট হয়। পৃথিবীর আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতি নিয়েও তিনি সুস্পষ্ট ধারণা ছাত্রদের মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ভাববাদী দর্শনের পরিবর্তে যুক্তিবাদী দর্শনের প্রবর্তনের জন্যও তিনি চেষ্টা চালিয়েছেন। তিনি বার্কলের Inquiry নামে বইটি পাঠ্য হিসেবে ব্যালেস্টাইনের বিরোধিতা করেন। বেকনের আরোহী যুক্তি ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি আর নব্য ন্যায়ের বদলে মিলের A system of logic প্রবর্তন এর পক্ষে সওয়াল করেন। একজন মানুষ কতখানি বিজ্ঞানমনস্ক ও সমাজ সচেতন, ভবিষ্যৎদ্রষ্টা হলে তবেই সেই সময় আধুনিক বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করার প্রয়াস চালানো যায় তা তাঁর কর্ম পদ্ধতিতেই বোঝা যায়। মাতৃভাষার মাধ্যমে বিজ্ঞান চর্চাকে গুরুত্ব দেন তিনি। তিনি বুঝেছিলেন বিজ্ঞান যখন নব নব সৃষ্টির ধারণা তৈরি করে, তখন সমস্ত অজ্ঞানতার রহস্য উন্মোচিত হয়। ছাত্র জীবনে বিজ্ঞান না পড়েও তিনি তার চিন্তা-ভাবনা কে আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তাভাবনায় রসসিক্ত করে ছাত্রসমাজ ও বাংলার বিজ্ঞান সাধনার ভবিষ্যৎ ক্ষেত্রকে প্রস্তুত করেন। ছাত্রদের বিজ্ঞানমনস্ক করতে, জগৎ ও জীবনকে সঠিকভাবে জানতে, শিক্ষকদেরও আধুনিক বিজ্ঞান বিষয়ের প্রশিক্ষণ দিতে হবে, এই প্রয়োজন বিদ্যাসাগরই প্রথম অনুভব করেছিলেন। বিদ্যাসাগর তাঁর সমসাময়িক সময়ের লেখকদের কাছে বিজ্ঞান বিষয়ক বই লেখার উৎসাহদাতা ছিলেন। আমরা প্রসন্নকুমার সর্বাধিকারী, চন্দ্রকান্ত শর্মা, অক্ষয় কুমার দত্ত এবং মহেন্দ্রলাল সরকার কে বিদ্যাসাগরের দ্বারা অনুপ্রাণিত হতে দেখি। পরবর্তী বাংলায় বিজ্ঞান সাধনার ক্ষেত্র প্রস্তুতিতে যাদের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। বিদ্যাসাগরের সময়ের সমাজ ব্যবস্থায় নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও তিনি আধুনিক বিজ্ঞানের ধারাকে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন।
 তবে বিজ্ঞানমনস্ক বিদ্যাসাগর বা তাঁর বিজ্ঞান ভাবনার সফলতম দিকটি সবার কাছে উপেক্ষিতই থেকে গেছে। বর্তমানে যে বিজ্ঞান সাধনার বা বিজ্ঞান চর্চার পরিসর তা শুরু করেছিলেন বিদ্যাসাগর। সেই শুরুর পথ কতটা অমসৃণ ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা বাঙালিরা তাঁর দুশোতম জন্মশতবর্ষে যেন তাঁকে সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করে তাঁর কর্মকাণ্ডকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারি সেই চেষ্টাই হোক আমাদের একমাত্র কর্তব্য। 
গ্রন্থসূত্র: ১/ উনিশ শতকে- নবজাগরণ স্বরূপ- সন্ধান-অলোক রায়,
 ২/ বিদ্যাসাগর জীবন ও কর্ম:- পাঁচু গোপাল বক্সী 
৩/ করুণাসাগর বিদ্যাসাগর -ইন্দ্র মিত্র

একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...