দক্ষিণের জানলা ।। হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

 onugolper adda full

 

 

          দক্ষিণদিকের জানলাটা খুললেই রোদ্দুর যেন ঝাঁপিয়ে পড়ে সুগতর ওপর। এই রোদ্দুর যেন তার শক্তি। তার অভিভাবক। আসলে সুগতর মনে হয়, বাড়িতে স্ত্রীর অসুবিধা হলে তাকে জানায়, ছেলের চাওয়া তো লেগেই আছে। কিন্তু তার অসুবিধার কথা জানানোর মতো কেউ নেই। বাবা মা গত হওয়ার পর থেকে সুগত ভীষণ একা। 
 
          সুগত অনেকবার দেখেছে যখনই বিষন্নতা তাকে গ্রাস করেছে তখনই সে দক্ষিণের জানলা খুলে দিয়েছে। রোদ্দুরের তাপে যাবতীয় বিষন্নতা বাষ্প হয়ে উবে গেছে। 
 
          কিন্তু এই জানলা খোলায় বাড়ির কারও সায় নেই। কারণ এই জানলা পেরোলেই একটা বস্তি। সেখানে দিন রাত ঝগড়া লেগেই আছে। আর যখন তখন উচ্চগ্রামে বেজে চলা বক্সের গান। তাছাড়া এই জানলার রোদ ঘরটাকে আগুন করে তোলে।
 
          সুগতর মনে হয় এই জানলাটাই তার সব। এর রোদ তাকে যে শুধু মানসিকভাবে চাঙ্গা করে তাই নয়, এই জানলা দিয়ে ভেসে আসা ঝগড়ার আওয়াজ তাকে বারবার বাস্তবের কঠিন মাটিতে এনে আছড়ে ফেলে। দাঁতে দাঁত চেপে মনে হয় যত কষ্টই হোক সে হাল ছাড়বে না। তাছাড়া জানলার এই রোদ, বস্তির ঝগড়া গান ----- এটা যেন তার একটা নিজস্ব পৃথিবী। কখনও কখনও এই অংশটাকেই তার একটা নিজস্ব বাড়ি বলে মনে হয়। যেখানে সে সম্পূর্ণ একা আর ছেলে বৌয়ের বারণ পাশের বাড়ি থেকে ভেসে আসা উঁচুগলার চিৎকার। 
                      
 

একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...