স্নিগ্ধা এখন চ্যাটিং এ ব্যস্ত। কৌশিকের সঙ্গে। কৌশিক চল্লিশের হলেও স্নিগ্ধার বয়স কৌশিকের চেয়ে পাঁচ বেশী। স্নিগ্ধার হাসব্যান্ড রৌদ্দুর সেপারেট থাকে । এখন রাত দশটা । দুজন ম্যাচিওর যখন কথা বলে তখন তালগাছ এর গল্প থাকে না । ওদের চ্যাটিং শুধুই শূন্যতার কথা । কৌশিকও ডিভোর্সি। দুজন দুজনার থেকে শান্তি খোঁজে। কৌশিক আর স্নিগ্ধা একই অফিসে কাজ করে ।পাশের ঘরে মেয়ে লিজাও তখন চ্যাটিংএ ব্যস্ত । স্নিগ্ধা জানে চিন্টু ছেলেটা বেশ ভাল । লিজাকে প্রথম প্রথম বারণ করতে গেলে কৌশিকের কথা তুলত । কৌশিক কে বলেছে সেকথা । লিজা কে নিয়ে চিন্তা হয় । কোনো বাজে সঙ্গ কিম্বা ভুল পথে চলে না যায় । কাঁকড়াবিছের মত প্রতিযোগিতা চলছে । কৌশিক বলছে আজকালকার মেয়েরা অনেক কনসাস আমার মনে হয় । ভেবেই সিদ্ধান্ত নেয় । চিন্টুর সঙ্গ ওকে অনেক পালটে ফেলবে সে বিষয়ে স্নিগ্ধার আস্থা আছে ।আজকেই স্নিগ্ধা শুনেছে দরজার আড়াল থেকে ওদের কথা গুলো । লিজা বলছে "কি নিয়ে বাঁচে মানুষ ! সারাদিন কাজ টার্গেট । কর্পোরেট-লাইফের টেনশন শেষে সেই মানুষটার পাশে শুয়ে দু দন্ডের শান্তি পাওয়া যায় । তাই না ! আমাকে যদি বলে টার্গেট আর সম্পর্কের মধ্যে যে কোন একটা খুঁজে নাও আমি বলব সম্পর্ক । এই কর্পোরেট অফিসগুলো একটা কৃষ্ণগহ্বর গিলে খাচ্ছে সম্পর্ক স্বপ্ন সবকিছু ।”