কৃষ্ণগহ্বর ।। সঞ্জীব সেন

 

স্নিগ্ধা এখন চ্যাটিং এ ব্যস্ত। কৌশিকের সঙ্গে। কৌশিক চল্লিশের হলেও স্নিগ্ধার বয়স কৌশিকের চেয়ে পাঁচ বেশী। স্নিগ্ধার হাসব্যান্ড রৌদ্দুর  সেপারেট থাকে ।  এখন রাত দশটা । দুজন ম্যাচিওর  যখন কথা বলে তখন তালগাছ এর গল্প থাকে না । ওদের চ্যাটিং শুধুই শূন্যতার কথা । কৌশিকও ডিভোর্সি। দুজন দুজনার থেকে শান্তি খোঁজে।  কৌশিক আর স্নিগ্ধা একই অফিসে কাজ করে ।পাশের ঘরে  মেয়ে লিজাও তখন চ্যাটিংএ ব্যস্ত । স্নিগ্ধা জানে চিন্টু ছেলেটা বেশ ভাল । লিজাকে প্রথম প্রথম বারণ করতে গেলে  কৌশিকের কথা তুলত । কৌশিক কে বলেছে সেকথা ।   লিজা কে নিয়ে চিন্তা হয় । কোনো বাজে সঙ্গ কিম্বা ভুল পথে চলে না যায় । কাঁকড়াবিছের মত প্রতিযোগিতা চলছে ।   কৌশিক বলছে আজকালকার মেয়েরা অনেক কনসাস  আমার মনে হয় । ভেবেই সিদ্ধান্ত নেয় । চিন্টুর সঙ্গ ওকে অনেক পালটে ফেলবে  সে বিষয়ে স্নিগ্ধার আস্থা আছে ।আজকেই স্নিগ্ধা শুনেছে দরজার আড়াল থেকে ওদের কথা গুলো । লিজা বলছে "কি নিয়ে বাঁচে মানুষ ! সারাদিন কাজ টার্গেট । কর্পোরেট-লাইফের টেনশন শেষে সেই মানুষটার পাশে শুয়ে  দু দন্ডের শান্তি পাওয়া যায় । তাই না ! আমাকে যদি বলে টার্গেট আর সম্পর্কের মধ্যে যে কোন একটা খুঁজে নাও আমি বলব সম্পর্ক । এই কর্পোরেট অফিসগুলো একটা কৃষ্ণগহ্বর গিলে খাচ্ছে  সম্পর্ক স্বপ্ন সবকিছু ।”

 
 
 

একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...